Logo
শিরোনাম

ফোন গরম হলে করণীয়

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

স্মার্টফোন মোটামুটি এখন সব বয়সী মানুষ ব্যবহার করেন। প্রয়োজনে এখন ছোটদের হাতেও ফোন তুলে দিতে বাধ্য হয়েছেন অভিভাবক। তবে ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যায় পড়েন অনেকে, সেটি হচ্ছে-অল্প ব্যবহারেই ফোন গরম হয়ে যাওয়া।

এই সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি মিলবে। এজন্য মানতে হবে কয়েকটি টিপস। তাতে সারাক্ষণ ফোন ব্যবহার করলেও আর খুব বেশি গরম হবে না।

* ফোন কখনো পার্ক করা গাড়ির ভেতরে রাখবেন না। রোদে বাইরে পার্ক করা গাড়ির ভেতরে ফোন রাখা একেবারেই উচিত না।বিশেষ করে আইফোন ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় রাখলে তাদের ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে।

* গাড়ি চালানোর সময় ফোন ড্যাশবোর্ডে রাখবেন না। তাতে ফোন খুব সহজেই গরম হয়ে যাবে। কারণ গ্লাস/উইন্ডশিল্ডে সূর্যের আলো খুব বেশি পড়ে। তাই সেখানে ফোনটিকে না রাখাই ভালো। অতিরিক্ত সূর্যালোকের কারণে স্মার্টফোন খুব দ্রুত গরম হয়ে যায়।

* স্মার্টফোনে ব্যাক-কভার ব্যবহার করা ভালো অভ্যাস। এতে হাত থেকে পড়ে গেলেও ফোনের কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু যখনই দেখবেন ফোনটি গরম হয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে ব্যাক-কভারটি খুলে ফেলুন। পারলে গরমে ব্যাক-কভার ছাড়াই স্মার্টফোন ব্যবহার করুন।

* বেশি গেম খেলা থেকে বিরত থাকুন। ফোনের উপর বেশি লোড পড়ে এমন গেম খেলা থেকে বিরত থাকুন। ভারী গেম স্মার্টফোনের ব্যাটারিতে খারাপ প্রভাব ফেলে। এতে স্মার্টফোন গরম হয়ে যায়।

* ফোন চার্জে বসিয়ে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। অনেকেই ফোন চার্জে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল করেন কিংবা গেম খেলেন। এই অভ্যাস বদলে ফেলুন।


আরও খবর

CMOS(সিমোস) কি?এবং এর কাজের বর্ননা

শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩




বিএনপিকে আলোচনার টেবিলে আমন্ত্রণ জানিয়ে ইসির চিঠি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন, বিশেষ প্রতিবেদক :

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ৪ নভেম্বর ফের দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

এজন্য অন্য নিবন্ধিত দলের পাশাপাশি বিএনপিকেও আলোচনায় অংশ নিতে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক বিএনপি মহাসচিব বরাবর চিঠিটি পাঠিয়েছেন। এর আগেও সংলাপের জন্য দলটিকে চিঠি দিয়েছিল ইসি। এছাড়া আলোচনা বসতে স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ডিও লেটারও (আধাসরকারি পত্র) পাঠিয়েছেন। তবে ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদপূর্তির কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের মূল অংশীজন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পূর্বপ্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আগামী ৪ নভেম্বর এক আলোচনা সভার অয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা অনুষ্ঠানটি নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত থাকবেন। সভায় আপনার দলের সম্মানিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অথবা আপনাদের কর্তৃক মনোনীত দুইজন উপযুক্ত প্রতিনিধিকে অংশগ্রহণের জন্য কমিশন অনুরোধ জানিয়েছেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে আওয়ামী লীগসহ ২২টি দলকে সকালে এবং বিএনপিসহ ২২টি দলকে বিকেলে আলোচনায় বসার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। 

এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে সময় দেয়া হয়েছে সকাল সাড়ে ১০টায়, আর বিএনপিকে সময় দেয়া হয়েছে বিকেলে ৩টায়।


আরও খবর



পুলিশকে হত্যা

মোরেলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বাগেরহাট প্রতিবেদক:স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা ও নগ্ন হামলার জড়িতদের দ্রæত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন মোরেলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সন্তানেরা।

রবিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের বিজয় স্তম্ভ চত্ত¡রে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও  মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মোরেলগঞ্জ শাখার আয়োজনে প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন যুদ্ধ কালিন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. লিয়াকত আলী খান। বক্তৃতা করেন বাগেরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান  কমান্ডের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মো. মাসুম হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার তৈয়েবুর রহমান সেলিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবি ছিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশ্রাব আলী শেখ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সন্তান কমান্ডের সহ-সভাপতি রনি, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতা আব্দুল হালিম হাওলাদার,মামুনুর রহমান, সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। সভা পরিচালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম।

  সভায় বক্তারা বলেন, ২৮ অক্টোবর সমাবেশের নামে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস নৈরাজ্য করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান। 


আরও খবর



১০টি আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী যারা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন, প্রধান প্রতিবেদক :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের বিপরীতে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে ৩ হাজার ৩৬২টি। 

এর মধ্যে ১০টি আসনে একক প্রার্থী রয়েছে বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির বুথ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির কাজ শেষ করেছে আওয়ামী লীগ। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, শনিবারই জানা যাবে আগামী নির্বাচনে কারা হবেন নৌকার মাঝি।  

বুথ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষে গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দলটির নেতারা। 

 গোপালগঞ্জ-৩ আসনের জন্য অন্য কেউ নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়ে ফরম তোলেননি। একই তালিকায় রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। 

এছাড়াও ঢাকা-৩ আসনের জন্য এককপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন নসরুল হামিদ বিপু। এই তালিকায় রয়েছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমান, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাউদ্দিন ও শেখ তন্ময়। 

এসব নেতার আসনে আর কোনো প্রার্থী নৌকার মনোনয়নের প্রত্যাশায় ফরম সংগ্রহ করেননি। ফলে এ ১০ আসনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকছে।

ঢাকা-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বেও রয়েছেন। ঢাকা-৩ আসন থেকে একমাত্র তিনিই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

 বিগত নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ আসনে একমাত্র তিনিই দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর ট্রাস্টি।

এদিকে বাগেরহাট-১ আসন থেকে শেখ হেলাল উদ্দিনের বিপরীতে দলের আর কোনো প্রার্থী ফরম নেননি। শেখ হেলাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আপন চাচাতো ভাই।

 অন্যদিকে শেখ হেলালের ছেলে শেখ তন্ময় বাগেরহাট-২ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তার আসন থেকেও অন্য কেউ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশায় ফরম নেননি।

অন্য দিকে শেখ হেলালের আরেক ভাই শেখ সালাহউদ্দিন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য। তার আসনেও নৌকা প্রত্যাশায় ফরম সংগ্রহ করেননি কেউ।

এদিকে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী মাদারীপুর-১ আসনে একক প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তার আসনেও মনোনয়ন প্রত্যাশায় অন্য কেউ ফরম নেননি।


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁর ৬ টি আসনের মধ্যে ৪টিতে পুরাতন, ২টিতে নতুন মুখ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের চুড়ান্ত নাম ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ আ’লীগ দল। 

নওগাঁর মোট ৬টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনে পুরাতন মুখ আর দুটি আসনে নতুন মুখের প্রার্থীরা পেয়েছেন নৌকা প্রতীক। 

যারা পেলেন নৌকা প্রতিক :

নওগাঁ-১ (পোরশা-সাপাহার-নিয়ামতপুর) আসনে বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ (ধামইরহাট-পত্নীতলা) আসনে বর্তমান এমপি এ্যাডঃ শহিদুজ্জামান সরকার বাবলু, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে নতুন মুখ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে নতুন মুখ এ্যাড. নাহিদ মোর্শেদ বাবু, নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে বর্তমান এমপি ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন ও নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে বর্তমান এমপি আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসেন হেলাল নৌকা প্রতিক পেয়েছেন। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে নৌকার মাঝি করায় আনন্দের জোয়ার বইছে এ জেলার আ'লীগ নৌকা প্রতিকের প্রার্থীদের সমর্থকদের মাঝে। রবিবার বিকেল ৪টার পর সরকার দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করার সঙ্গে সঙ্গেই আনন্দ মিছিল বের হয় নওগাঁর ৬টি আসন এলাকার বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে  এবং জেলা উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় সন্ধার পর (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে 

নতুন মুখ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী নৌকা প্রতিক পাওয়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ হাসান আলী মন্ডল এর নের্তৃত্বে আনন্দ মিছিল বের হয়ে চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজারের রাস্তায় আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করেন।

নৌকা প্রতিক এর প্রর্থীর নেতা-কর্মীরা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আবারো শান্তিপূর্ন পরিবেশের মধ্যদিয়ে আগামী ৭জানুয়ারী পুনরায় উন্নয়ন আর শান্তির প্রতীক নৌকাতে ভোট দিয়ে প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করার মাধ্যমে মানবতার মা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার প্রতি আহ্বান জানান।


আরও খবর



বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অবস্থান 'স্পষ্ট' করেছে ভারত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে। শুক্রবার ভারত আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের টু-প্লাস-টু বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ভিনয় কোয়াত্রা।

তিনি বলেছেন, একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে সেদেশের মানুষ যেভাবে দেখতে চায়, সেই ভিশনকে ভারত কঠোরভাবে সমর্থন করে। তিনি এটাও বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সেদেশের মানুষই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পরে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিবৃতি দেয়নি।

নিজেদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে তুলে ধরার বিষয়টিকে বিশ্লেষকরা ব্যাখ্যা করছেন যে- আমেরিকা যাতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বেশি চাপ না দেয়, সেই বার্তাই শুক্রবারের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছে ভারত।

আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি


টু প্লাস টু বৈঠকের পরে শুক্রবার বিকেলে এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সেখানেই এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি আমরা। তৃতীয় কোনো দেশের নীতিমালা নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার জায়গা নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেদেশের মানুষ তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এক বন্ধু এবং সঙ্গী দেশ হিসাবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান জানাই আমরা। একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে সেদেশের মানুষ যেভাবে দেখতে চায়, সেই ভিশনকে ভারত কঠোরভাবে সমর্থন করে, বলছিলেন কোয়াত্রা।

তিনি একটু জোর দিয়েই বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি, আমরা যেভাবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করি, সেটা খুব স্পষ্ট করে তুলে ধরেছি।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের এই অবস্থান নতুন নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যেভাবে নানা মন্তব্য করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা, তার বিপরীতে গিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করে মার্কিন সচিবদের সামনে তুলে ধরার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

টু প্লাস টু বৈঠকের পরে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যুক্তরাষ্টের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি বা সংবাদ সম্মেলন করা হয়নি।

ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করার দরকার ছিল


বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের নানা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শুক্রবারের বৈঠকে ভারত তাদের অবস্থান যে স্পষ্ট করে দিয়েছে, সেটাকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ী বলছেন, ভারতের অবস্থান স্পষ্টই ছিল, কিন্তু সেটা খুব স্পষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিবের সামনে তুলে ধরাটা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে আমাদের।

তার কথায়, ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে একটা স্থিতিশীল সরকার থাকা খুবই জরুরি আমাদের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের কারণে। সেদেশের ভোটের আগে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে শেখ হাসিনার সরকারের ওপরে নানাভাবে চাপ বাড়াচ্ছে, সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েও তারা যুক্ত হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে, সেগুলো তো ঘটনা। তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যাতে তারা বেশি মাথা না ঘামায়, সেটা ভারত স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে। যদিও যৌথ বিবৃতি জারি করা হলে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানটা জানা যেত।

ভারত কেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বন্দ্বে যাচ্ছে ?


সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক অনেক দৃঢ় হয়েছে। প্রতিবছর টু প্লাস টু বৈঠক যেমন করছেন দুই দেশের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা, তেমনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট আর নরেন্দ্র মোদির মাঝে-মধ্যেই সাক্ষাত হয়।

এরকম একটা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কেন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়বে ভারত?

পররাষ্ট্র সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ শশাঙ্ক মাট্টু তার এক্স (আগেকার টুইটার) হ্যাণ্ডেলে পর পর বেশ কয়েকটি পোস্ট করেছেন বাংলাদেশ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রর ভূমিকা ও ভারতের অবস্থান নিয়ে।

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্বন্দ্বে যাচ্ছে? যুক্তরাষ্ট্রের মাথা গলানোর কারণে ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হুমকির মুখে পড়ছে।

প্রথম এই পোস্টের সাথে ভারত আর বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর একটা ছবি দিয়েছেন মাট্টু।

এর পরবর্তী পোস্টগুলিতে মাট্টু ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ওয়াশিংটন প্রকাশ্যেই হাসিনা সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাসিনা সরকার আর আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে মানবাধিকার ইস্যুতে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমেরিকার অবস্থান একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে।

তিনি এও বলেছেন যে- ভারতের প্রতিবেশীদের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শরিক হলেন শেখ হাসিনা। তিনি যদি নির্বাচনে পরাজিত হন, তাহলে প্রতিবেশীদের নিয়ে ভারতের নীতিমালাতেও সমস্যা হবে।

শুক্রবারের বৈঠকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে যেমন আলোচনা হয়েছে, তেমনই কথা হয়েছে ইসরাইল-গাজা যুদ্ধ নিয়েও, এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

আবার প্রতিরক্ষা খাতেও দুই দেশের সহযোগিতা, যৌথ উৎপাদন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে ভারতের তরফে জানানো হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি


আরও খবর

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩