Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ফুলবাড়ী সীমান্তে, নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ফুলবাড়ি সংবাদদাতা ঃ

ফুলবাড়িতে,ধর্মপুর সিমান্ত দিয়ে গভীর রাতে বাবা,মা দুই সন্তান সহ দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে নদী সাঁতরে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতীয় বিএসএফ ধাওয়ায় নদীতে ডুবে বাংলাদেশী দুইটি শিশু নিখোঁজ হয়েছে।বাবা,মা নদী সাঁতরে বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও সন্ধান মেলেনি দুই শিশুর।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর সিমান্ত ৯৪৩ নম্বর সিমানা পিলারের পাশে নীল কোমল নদীতে এ ঘটনাটি ঘটে। জানাযায়, নাগেশ্বরী উপজেলার পশ্চিম সূখাতি গ্রামের মোঃ রহিচ উদ্দিন (৪০) ও তার স্ত্রী সামিনা বেগম (৩৪) জীবিকার তাগিদে ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের সুলতানপুর নামক স্থানে,চুক্তিতে ইট-ভাটার কাজ করার জন্য যান এক সময় চুক্তিমত কাজ শেষ করে, স্ত্রী ও দুই  সন্তান কে নিয়ে দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে কুচবিহার জেলার,দিনহাটা থানার সেউটি সীমান্তে উপস্থিত হন রহিচ উদ্দিন। এসময় ভারতীয় পাচারকারী দালাল চক্রের সাথে চুক্তিবদ্ধে আবদ্ধ হন।

এ ব্যাপারে রহিচ উদ্দিন জানান, গত-শুক্রবার ০১(জুলাই)ভারতীয় পাচারকারী দালাল চক্রের মাধ্যমে ৩০হাজার টাকা চুক্তির বিনিময়ে গভীর রাতে দালালরা কাঁটাতারের বেড়া কেটে নীল কোমল নদীর ধারে নোম্যান্সল্যান্ডে এনে দাড় করিয়ে রেখে বলে নদী সাঁতরে বাংলাদেশে চলে যাও।এক পর্যায়ে সারাশব্দ টেরপেলে ভারতের সেউটি ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ টর্চলাইট জ্বালিয়ে ধাওয়া করে, অবস্থায় বেগতিক দেখে রহিচ উদ্দিন ব্যাগ বোঁচকা নিয়ে ও স্ত্রী সামিনা বেগম দুই সন্তান কে নিয়ে জীবন বাঁচাতে নদী সাঁতরে থাকলে এক পর্যায়ে নদীর তীব্র স্রোতের বেগে দুই সন্তানের হাতের মুঠো খুলে ডুবে যায় দুই শিশু, পারভীন (৮)আর শাকিবুর (৪) কে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বুকফাটা চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে একথা বলতে থাকে।

ঘটনার তিন দিন পরে ৩(জুলাই) রবিবার সকাল ৮টার দিকে ঐ সিমান্ত এলাকার লোকজন লীল

কোমল নদীতে ডুবে যাওয়া শিশু দুটির লাশ  ভারতের অভ্যন্তরে পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। লাশ ভারতের অভ্যন্তরে থাকায় পরে দুপুরে দিকে ভারতের দিনহাটা থানা পুলিশ এসে নদী থেকে লাশ উত্তোলন করে নিয়ে যায়। একসূত্রে জানাযায় ভারতীয় পুলিশ আগামী সাতদিনের মধ্যে যদি লাশের ওয়ারিশ যথাযোগ্য প্রমাণ দিয়ে আমাদের কাছে আবেদন করে তাহলে আমরা তাদের নিকট লাশ ফেরত দিব।

এব্যাপারে লালমনিরহাট১৫ বিজিপির কাশিপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার কবির হোসেন জনান , পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বাংলাদেশী নাগরিকত্বের কোন প্রমাণপত্র দেখাতে না পারায় শিশু দুটির মরদেহ বিএসএফ নীল কোমল নদী থেকে উদ্ধার করেছে। এনিয়ে

দু'দেশের কোম্পানি পর্যায়ে এক সৌজন্য মূলক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরও খবর



গণমাধ্যমকে মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠা করতে প্রস্তুত সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

গণমাধ্যমকে আরো শক্তিশালী ও মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠা করতে সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

চাঁদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে প্রেসক্লাবের ২০২৪ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও টিভি টুডে-এর প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটোয়ারী, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বশির আহমেদ, ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো: জিল্লুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো: দেলোয়ার হোসেন মজুমদার এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার কবির বকুলকে অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, গণমাধ্যম এখন শিল্প। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিকাশ ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে না। এরকম বাস্তবতায় সরকার গণমাধ্যমকে পূর্ণাঙ্গভাবে সকল সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে। গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী অবস্থায় মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার প্রস্তুত। সে ক্ষেত্রে সরকার সাংবাদিকদের কাছ থেকে একই ধরনের সহযোগিতা চায়।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম ও সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যম শিল্পকে আরো শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর জন্য আমরা চেষ্টা করতে পারি। গণমাধ্যম কিভাবে সরকার বা কর্তৃপক্ষের জন্য সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে জবাবদিহি আনতে পারে, এমনকি সমালোচনা করতে পারে, সে কাজগুলোও আমরা করতে পারি।

তিনি এ সময় আরো বলেন, পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে সাংবাদিকতায় শৃঙ্খলা আনার একটি দাবি রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকতাকে এভাবে উন্মুক্ত ও অবারিত করেছেন, এমনভাবে স্বাধীনতা দিয়েছেন সেটা নিয়ন্ত্রণের কথা এখন সাংবাদিকরাই বলছেন। সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না। তবে যেকোনো পেশায় কিছু অপেশাদার মানুষ চলে আসে। সেসব ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু শৃঙ্খলা আনার প্রয়োজন আছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এই শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করে। গণমাধ্যম সেক্টরে সরকার যা কিছু করবে তা এর সাথে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে আলাপ-আলোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের সামাজিক দায়বদ্ধতার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক দিক আছে। বাণিজ্যিক দিক থেকে লাভবান করা না গেলে গণমাধ্যম অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে। এজন্য কোনো গণমাধ্যমকে আমরা যদি সরকারি বিজ্ঞাপন বা ক্রোড়পত্রের উপর নির্ভরশীল করতে চাই, তাহলে সেটি দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকা মুশকিল হবে। এক্ষেত্রে সংবাদপত্রকে আরো উদ্ভাবনী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে, সৃজনশীলতা আনতে হবে কিভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছানো যায়, কিভাবে সফল হওয়া যায়।

তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের সাথে নিয়েই সরকার গুজব ও অপতথ্যকে মোকাবেলা করতে চায়। গণতন্ত্রকে সফল করার জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জরুরি। তবে অপতথ্য ও গুজবের বিস্তার গণতন্ত্রকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তেমনি গণমাধ্যম ও পেশাদার সাংবাদিকতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।


আরও খবর



পর্দা নামছে মাসব্যাপী বইমেলার

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

শেষ হচ্ছে বাঙালির প্রাণের অমর একুশে বইমেলা। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান হচ্ছে। শেষ দিনে মেলা শুরু হবে বেলা ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

এদিকে প্রকাশকদের দাবির মুখে মেলার সময় দুই দিন সময় বাড়ানো হয়। সবাই আশা করেছিলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার হয়তো বেচাবিক্রি ভালো হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকের ছায়া যেন পড়েছিল মেলায়ও। কারণ শুক্রবার হলেও মেলায় ছিল না আগের মতো উপচে পড়া ভিড়। যারা এসেছিলেন তাদের মধ্যে তো অবশ্যই, লেখক-প্রকাশকদের মধ্যেও ছিল শোকের ছায়া। আজ শনিবার শেষ দিনে মানুষ আবার মেলা জমিয়ে তুলবেন বলে আশা সবার।

আগের মতো গতকাল বেলা ১১টায় মেলা শুরু হয়। সকাল থেকে মেলা শুরু হলেও বিকেল ৫টার আগে ক্রেতাসমাগম ছিল সামান্য। সন্ধ্যায় মানুষের আনাগোনা খানিকটা বাড়ে। তবে আড্ডা থেকে শুরু করে সবখানেই ঘুরেফিরে এসেছে বেইলি রোডে প্রাণহানি প্রসঙ্গ।

কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, একসঙ্গে এত মানুষের মৃত্যু কষ্টের। ধারণা ছিল ছুটির দিনে পাঠকের ঢল নামবে। তবে বেইলি রোডের ঘটনায় অনেকেই আর মেলামুখী হননি।

পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি ও অন্যপ্রকাশের প্রকাশক মাযহারুল ইসলাম বলেন, ছুটির দুই দিনের বিক্রির প্রত্যাশায় সময় বাড়ানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডে রাজধানীবাসী থমকে গেছে। প্রকাশকদের অনেকেই জানিয়েছেন প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রি হয়নি আজ।

এদিকে বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্রের হিসাবে এ বছরের বইমেলায় নতুন বইয়ের সংখ্যা ৩ হাজার ৮০০-এর বেশি। গতকাল বর্ধিত দিনে মেলায় এসেছে ২১৯টি নতুন বই।

বিকেল ৫টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ভাষণ দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সদস্য সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

অনুষ্ঠানে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার এবং শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হবে।


আরও খবর



দেশের সব রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি মালিক সমিতির

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশের রেস্টুরেন্ট খাতের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে রক্ষা করার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। অন্যথায় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় আগামী ২০ মার্চ (বুধবার) মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

এরপরও সমস্যার সমাধান না হলে প্রতীকী হিসেবে ১ দিনের জন্য সারা দেশে সব রেস্তোরাঁ বন্ধের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান।

সম্প্রতি বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানকে নৈরাজ্য আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, রমজান মাসে সিলগালা নাটক বন্ধ করুন। সরকারি সকল সংস্থার নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায় ব্যবসায়ীদের উপর চাপানো হচ্ছে। ঢালাওভাবে রেস্তোরাঁ সেক্টরটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। সিলিন্ডারের কারণে শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেপ্তার কারা হয়েছে। অনেক কাগজ-ডকুমেন্ট থাকার পরও রাজউক অনধিকার চর্চা করছে। স্বাধীন দেশে এটা কোনোভাবে কাম্য নয়।

সরকারি বিধি অনুযায়ী কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে ৬ মাস পূর্বে নোটিশ প্রদান করতে হবে। সময় বেধে দিতে হয় কিন্তু বিনা নোটিশে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

সংগঠনটির মহাসচিব বলেন, এই প্রথম আমরা রাজউকের এফ ১ ও এফ ২ বিষয়টি শুনেছি। রাজউক যে নৈরাজ্য চালাচ্ছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। রাজউকের এফ ১ ও এফ ২ এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে তা সঠিক নয়। রাজউক যে উদ্দেশ্যে ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল, সেইভাবে যদি ভবনটি ব্যবহার না হয় তাহলেও আইন অনুযায়ী কমপক্ষে ১২ মাসের সময় দিয়ে নোটিশ দিতে হবে।

রেস্তোরাঁ সেক্টরটি ক্ষতিগ্রস্ত সেক্টর উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকারি কোনো প্রণোদনা বা কোনো রকমের সহায়তা আমরা পাইনি। এর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য ব্যবসায়ীকভাবে এই সেক্টরটি পিছিয়ে পরে। অনেক চেষ্টা করে ঘুরে দাড়াতে চাচ্ছে এই সেক্টরটি কিন্তু হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আবার ভয়াবহ সঙ্কটে এই সেক্টর। রমজানের মধ্যেও শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেপ্তার ও রেস্তোরাঁ অভিযান বন্ধ হয়নি। এছাড়া নীতিবাচক প্রচার-প্রচারণার প্রেক্ষিতে রেস্তোরাঁয় গ্রাহক আসা কমে গেছে। রাতারাতি এই সেক্টর গড়ে উঠেনি। নানা ধরনের লাইসেন্স বা অনুমতি নিয়ে এবং সরকারকে ভ্যাট, ট্যাক্স দিয়ে এই সেক্টর গড়ে উঠেছে।

প্রায় ১২টি সংস্থা রেস্তোরাঁ শিল্পটি মনিটরিং করে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজিএমইএ এর আদলে রেস্তোরা সেক্টরকে যুগোপোযুগী ও কর্মমুখী করে এগিয়ে নিতে চাই। এখন সময় এসেছে রোস্তোরাঁয় হয়রানি বন্ধ করে খুলে দেওয়ার। রেস্তোরাঁ যদি বন্ধ থাকে তাহলে রেস্তোরাঁর মালিক কিভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বেতন ভাতা ও বোনাস প্রদান করবে? আইনি নোটিশ, গ্রেপ্তার ও প্রতিষ্ঠান বন্ধের মাধ্যমে রেস্তোরাঁ সেক্টরে যে অবিচার ও জুলুম চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কট উত্তরণের কোনো নির্দেশনা না দিয়ে গ্রেপ্তার ও রেস্তোরাঁ বন্ধের মাধ্যমে কোনো সুফল বয়ে আসবে না। ফায়ার সেফটি ও নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে এসওপি প্রদান করা যেতে পারে।

সঙ্কট সমাধানে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করার প্রস্তাব দিয়ে ইমরান হাসান বলেন, এ সঙ্কট উত্তোরণের রাস্তা বের করতে হবে। মাথা ব্যথা হয়েছে বলে মাথা কাটা যাবে না। ঝুঁকিপূর্ণ ও অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে। টাস্কফোর্স এর মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সে অনুযায়ী টাস্কফোর্স নির্দিষ্ট একটি এসওপি তৈরি করবে। দেশের সব রেস্টুরেন্ট সেবাকে একটি সংস্থার অধীনে এনে লাইসেন্স প্রদান করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা একই ব্যবসার জন্য একাধিক সংস্থার নিকট যেতে চাই না, এতে আমাদের খরচ ও হয়রানি দুটাই বৃদ্ধি পায়।

একইসঙ্গে সঙ্কট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা প্রত্যাশার কথাও বলেন তারা।

এর আগে গত ৫ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, রাজধানীতে কয়েকদিনের অভিযানে প্রায় ৪০টির মতো রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য তার কার্যালয়ে সংগঠনটি চিঠি পাঠিয়েছে বলেও জানানো হয়।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২২ জন।

 


আরও খবর



রমজানে গাজায় ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস নামক একটি প্রতিষ্ঠান। ত্রাণ সহায়তায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশসহ ৯ দেশ। রোজা উপলক্ষে প্রায় ২ হাজার টন খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো।

আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণের যত চালান গেছে, সেসবের মধ্যে এই চালান বৃহত্তম। বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানির ত্রাণ এ চালানে যুক্ত হয়েছে।

আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটির মুখপাত্র আবদেল-আলীম কাশতা বলেছেন, ত্রাণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলো মিসরের উত্তর সিনাই থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে গাজায় প্রবেশ করবে।


আরও খবর



নেত্রকোনা অঞ্চলের পানি সংকট বিষয়ে শিশুদের চিত্রাংকন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

'শান্তির জন্য পানি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে নেত্রকোনা অঞ্চলের পানি সংকট বিষয়ে শিশুদের চিত্রাংকন চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শুক্রবার(২২ মার্চ) জেলা শহরের সাতপাই কালীবাড়ি এলাকার নেত্রকোনা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি’র সভাপতি জনাব নাজমুল কবীর সরকার, নেত্রকোনা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব লুৎফর রহমান প্রমুখ। আলোচনা শেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এ সময় অতিথিরা বলেন, হাওর—পাহাড় আর বৈচিত্রের লীলাভূমি নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী মানুষের পানি সংকট দীর্ঘদিনের। কখনো পাহাড়ি ছড়া থেকে, কখনো বালু খুঁড়ে, কখনো বা কয়েক কিলোমিটার ঘন ঝঙ্গল পাড়ি দিয়ে সীমান্তবর্তী বাসীন্দাদের যেতে হচ্ছে ব্যবহার্য পানি সংগ্রহের জন্য। দিনকে দিন সে সংকট আরো তীব্রতর হচ্ছে। অন্যদিকে নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে দিন দিন ভূর্গভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে সেখানেও দেখা দিচ্ছে খাবার পানির সংকট। দিন দিন দূষণে—দখলে বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো। নেত্রকোনা অঞ্চলের পানি’র সংকট ও সম্ভাবনার এই দৃশ্যগুলোই ফুটিয়ে তুলেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিশ্ব পানি দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় এ সমস্ত দৃশ্য অংকন করে শিক্ষার্থীরা। 


আরও খবর