Logo
শিরোনাম

ফুলবাড়িতে,গাঁজা সহ এক মাদক কারবারি আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত (ফুলবাড়ী) কুড়িগ্রাম :

চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা সহ এক মাদক কারবারি কে আটক করেছে।

জানাযায়, ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশিদ এর নেতৃত্বে,থানা পুলিশের এসআই রাকিব সহ মাদক উদ্ধার কারী একটি চৌকস টিম বৃহস্পতিবার ২৬(ডিসেম্বর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার নাও ডাঙ্গা ইউনিয়নের গোড়ক মন্ডল এলাকার বাঘমারা গ্রামের মৃত: জব্বার আলীর বসতবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি পালসার মোটরসাইকেলের ট্যাংকিতে বিশেষ কায়দায় ফিটিং অবস্থায় ২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ তার মাদক কারবারি ছেলে,হাসেন আলী (৪২) কে হাতেনাতে আটক করে।

এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশিদ জানান, আটককৃত মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধতো না

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা করতে প্রস্তুত। এ সময় তিনি ট্রাম্পকে ‘স্মার্ট’ নেতা হিসেবে প্রশংসাও করেন। এ ছাড়া ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকলে ২০২২ সালে ইউক্রেন ‍যুদ্ধের সূত্রপাত ঠেকাতে পারতেন বলেও দাবি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। খবর এনডিটিভির।

তবে কখন আলোচনা হবে সে সম্পর্কে কিছু বলেননি পুতিন। ক্রেমলিন আগেই জানিয়েছিল যে তারা ওয়াশিংটন থেকে সংকেত পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। যদিও ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন তিনি পুতিনের সঙ্গে অবিলম্বে দেখা করতে ইচ্ছুক।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের একজন প্রতিবেদককে পুতিন বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি এবং আমি আবারও জোর দিয়ে বলতে চাই যে আমরা ইউক্রেন সম্পর্কিত আলোচনার জন্য প্রস্তুত।

এ সময় ট্রাম্পকে ‘স্মার্ট’ ও ‘বাস্তববাদী’ নেতা হিসেবে প্রশংসা করে পুতিন রিপাবলিকান নেতার ২০২০ সালের নির্বাচন সম্পর্কিত সেই ‘ভিত্তিহীন’ দাবি পুনরায় উল্লেখ করেন। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে নির্বাচনে জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তিনি জয়ী হয়েছিলেন।

পুতিন বলেন, আমি তার সাথে একমত না হয়ে পারছি না। যদি তিনি প্রেসিডেন্ট থাকতেন—যদি ২০২০ সালে তার বিজয় চুরি না হতো—তাহলে হয়তো ২০২২ সালে ইউক্রেন সংকটের উদ্ভব হতো না।

প্রায় তিন বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। ২০২২ সালে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর দুই পরাশক্তিধর দেশের সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।

তবে ক্ষমতায় বসার পর এই যুদ্ধ মাত্র ২৪ ঘণ্টায় থামিয়ে দেয়ার কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। নির্বাচনে জয়ের পর এই যুদ্ধ বন্ধে একজন প্রতিনিধিকেও নিয়োগ দিয়েছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে ট্রাম্পের তৎপরতায় একটি শান্তি চুক্তির চেষ্টাও চলছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে মস্কো-কিয়েভের ঐকমত্যে সময় লাগবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বাংলাদেশের ইসলামিক বক্তারা কি করছেন?

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে যারা মোটামুটি পরিচিত ইসলামিক বক্তা তারা প্রায় সবাই অর্থনৈতিকভাবে বেশ সলভেন্ট আলহামদুলিল্লাহ্‌ । 

প্রায় সবারই নিজের ব্যাক্তিগত গাড়ি-ড্রাইভার আছে, ঢাকায় ফ্ল্যাট আছে বা অন্তত জেলা শহরে নিজের একটা থাকার জায়গা আছে। 


যাদের ব্যাক্তিগত গাড়ি আছে তারা জানেন যে, ড্রাইভারসহ একটা প্রাইভেট কারের মাসিক খরচ অন্তত ৫০ হাজার টাকা । 

ঢাকার এবং জেলা শহরগুলোর ভালো এলাকার ইমাম-মুয়াজ্জিন-খতীবরাও এখন মোটামুটি স্বচ্ছল বলা যায় ।  

আমরা তো এরকমটাই চেয়েছিলাম, আমাদের ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বগণ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকবেন, তারা পর মুখাপেক্ষী হবেন না, নিজেদের ইনকাম সোর্স তৈরি করবেন। তারাও দেশের প্রথম শ্রেনীর নাগরিকদের মত নিয়মিত ট্যাক্স দিবেন, সকল সুযোগ-সুবিধা, সন্মান ভোগ করবেন ।  

কিন্তু আমার আফসোস এবং কষ্ট লাগে যখন দেখি, হেলিকপ্টার ,ব্যাক্তিগত গাড়ি থেকে মাহফিলে নেমে কোন কোন বক্তা মাহফিলে উপস্থিত শ্রোতাদেরকে দারিদ্রতার দিকে মোটিভেট করেন । 

আপনি বলতেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) দিনের পর দিন না খেয়ে ছিলেন, সাহাবারা (রা) না খেয়ে ছিলেন, অনেকের পায়ে স্যান্ডাল থাকতো না, গায়ের জামাকাপড় ছেঁড়া ছিল । 

আপনি নিজে চকচকা জামা পড়ে এসে, গাড়িতে বসে এসির হাওয়া খেতে খেতে এসে এগুলা কেন বলেন ? রাসুলুল্লাহ (সা) না খেয়ে ছিলেন ওয়াজ করে, পরের মুহুর্তেই মাহফিল কর্তৃপক্ষের আয়োজন করা ৮-১০ পদের শাহী খানাদানা কিভাবে আপনার গলা দিয়ে নামে ?     

প্রথমত, এই যে আমরা বলি, রাসুলুল্লাহ (সা) দরিদ্র লাইফ-স্টাইলটার দিকে ফোকাস করি এই কনসেপ্টটাই ভুল । এটা রাসুলুল্ললাহ (সা) এর ইনকম্পিটেন্সী ছিল না বরং উনার ব্যাক্তিগত চয়েজ ছিল ।  হি হ্যাড অল দ্যা লাক্সারিজ । 

কিন্তু উনি সেগুলো মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন । উনি ব্যবসায়িক-মিলিটারিলি ইন্টিলিজেন্স মারাত্নক রকমের শার্প এবং ব্রিলিয়ান্ট ছিল । উনি চাইলে প্রচুর টাকা কামাতে পারতেন । বাট উনি সেটা করেননি । আবু বকর (রা), উমার (রা) প্রত্যেকের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য । 

বাট আপনি নিজে তো সেই চয়েজটা বেছে নেননি । আপনি ভালো খাচ্ছেন, ভালো পোশাক পড়েন, ভালো গাড়িতে চড়েন, ভালো বাসায় থাকেন । তাহলে মানুষকে কেন গরীব থাকতে বলেন ? শুধু তাই না অপনাকে আনতে বা এই গনজমায়েত করতে কত মানুষের কাছে হাত পাত্তে হয়েছে এবং কোন কোন বয়সের মানুষ হাত পেতেছে তা অপনি ভালো করেই জানেন। তাহলে বলেন এটা কি ধরনের হিপোক্রেসী ? 

আপনি রাসুল (সা) এর বিজনেস/মিলিটারি একিউমেনের কথা কেন বলেন না, উনার সুপার-ডুপার ব্রিলিয়ান্ট ডিপ্লোম্যাটিক স্কিলের কথা কেন বলেন না, রাস্ট্র গঠনে উনার অসাধারণ জ্ঞানের কথা কেন তুলে ধরেন না। 

ভাই নিজেরা নিজেদের লিমিটেশন মেনে নেই । আমরা দুর্বল ঈমানের অধিকারী । আমরা কষ্ট করতে পারি না । ইটস ওকে। আল্লাহ্‌ আপনাকে এর জন্য জাহান্নামে দিবে না । 

আপনি মানুষকে সৎ হতে বলেন, কারো মনে কষ্ট না দিতে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)এর মত অসাধারণ এম্প্যাথেটিক একজন মানুষ হতে বলেন, নিজের কাজ-কর্মে সুপার ডুপার স্কিলড হতে বলেন। 

আইটিতে স্কিলড হতে বলেন, সেলসে স্কিল্ড হতে বলেন, বিজনেস কমিউনিকেশন-ম্যানেজমেন্ট এগুলাতে স্কিলড হতে বলেন । যে ডাক্তার হইছে তাকে তার ফিল্ডের সবচেয়ে বেষ্ট ডাক্তার হইতে বলেন, একজন ইঞ্জিনিয়ারকে সেরা ইঞ্জিনিয়ার হইতে বলেন । আপনি মানুষকে প্রচুর পরিমাণে হালাল উপার্জন করতে বলেন। 

আপনি মানুষকে যাকাত দেয়ার উপযোগী করতে মোটিভেট করেন। বলেন না, যে এ বছর এক লাখ টাকা যাকাত দিয়েছে সে যেন নেক্সট ইয়ার ৫ লাখ টাকা যাকাত দেয়ার মত অবস্থায় যেতে পারে। 

হ্যাঁ, তাকে চেষ্টা করতে বলেন । বাট ক্যারিয়ারকে নিজের ইলাহ বানাইতে না করেন । হালালভাবে একটা সার্টেন এফোর্ট দিয়ে ভালো উপার্জন করতে মানুষকে মোটিভেট করতে অসুবিধা কোথায় ? 

কেন মাত্র একটা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন তৈরি হইছে ? আরো ১০০টা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নাই কেন ? 

আপনি মানুষকে আরও ভালো করতে উৎসাহ দেন। তাদেরকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে বলেন । কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে বলেন । সেখানে ইসলামিক পরিবেশ এনশিউর করতে বলেন । অসহায়-বিপদগ্রস্থ মানুষদের কাজের ব্যবস্থা করতে বলেন।  

আপনি খেয়াল করে দেখেন, শিক্ষিত লোকজন কিন্তু আপনাদের কথা খুব একটা শুনতেছে না । কারন, আপনারা তাদের নীড ক্যাটার করতে পারতেছেন না । বুঝতেছেন না মানুষ এখন অনেক ওয়েল ইনফরমড । তার কাছে অনেক তথ্যের এক্সেস আছে যে পর্যন্ত আপনি এখনো যেতেই পারেন নাই । 

২১ হাজার স্কয়ার কিলোমিটার এবং মাত্র ৯০ লাখ মানুষের একটা পুঁচকে রাস্ট্র সারা দুনিয়াকে নাচাচ্ছে শুধুমাত্র টেকনোলজি আর অর্থণীতির জোরে ।  তাদের অত্যাচার চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আমরা কিছু করতে পারতেছি ? 

ভাইয়েরা এখন সময় আছে নিজেদেরকে আপগ্রেড করি ।  উম্মাহর খেদমত করার অনেক জায়গা আছে । 

এখনো যদি ৮০-৯০ বছর আগের স্টাইল নিয়ে আপনি পরে থাকেন তাহলে আপনার দ্বারা উম্মাহর খুব একটা খেদমত হবে না এবং হইতেছে না এটা নিশ্চিত থাকেন। হ্যাঁ, আপনি খালি আপনার লাইফ-স্টাইলটাই এনশিউর করে যাচ্ছেন।


আরও খবর

প্রথম ধাপের ইজতেমা তুরাগ তীরে জনসমুদ্র

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫




বালুর ঢিবি থেকে ৬৬ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের একটি বালুর ঢিবি থেকে ৬৬ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই বালুর ঢিবিটি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তৈরি করেছিল। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

আনাদোলুর খবর অনুযায়ী, বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো উত্তর গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তৈরি একটি বালুর ঢিবি থেকে ৬৬ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করেছে।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, ইসরায়েলের বুলডোজিং অভিযানের কারণে গাজা সিটি ও উত্তরের বেশ কয়েকটি এলাকায় আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনীর ব্যবহার করা বালুর ঢিবির নিচে ফিলিস্তিনিদের কবর দিয়েছিল তারা। উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়ায় ৩৭টি এবং গাজা শহরের শাতি শরণার্থী শিবিরে ২৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, অনেক কবর এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। কারণ ইসরায়েলি অভিযানের কারণে ফিলিস্তিনিরা সে সময় মৃতদের রাস্তায়, স্কোয়ার ও পাবলিক পার্কে কবর দিতে বাধ্য হয়েছিল। সিভিল ডিফেন্স টিম এবং মেডিকেল সদস্য সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও ধ্বংসস্তূপ এবং বালুর ঢিবির নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব উম্মাহর কল্যাণ ও শান্তি কামনা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের আখেরি মোনাজাতে বিশ্বশান্তি, দেশ ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, সুদৃঢ় ঐক্য, আখেরাত ও দুনিয়ার সাফল্য কামনা করা হয়েছে।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শীর্ষ মুরব্বি কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। সকাল ৯টা ১১ মিনিটে শুরু হয়ে ২৫ মিনিটব্যাপী চলে মোনাজাত। এতে মুসল্লিদের কান্নার রোল পড়ে যায়।

আখেরি মোনাজাত ঘিরে এদিন ভোর থেকে লোকারণ্য টঙ্গী এলাকা। ময়দানে জায়গা না পেয়ে লাখো মানুষ বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে মোনাজাতে শরিক হয়েছেন। টঙ্গী-উত্তরার সব সড়কে ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়। সবাই হাত তুলে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন।

ময়দানের ভেতরে যারা জায়গা পাননি তারা সড়কেই পলিথিন ও কাগজ বিছিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। সড়কে নারী মুসল্লিদেরও অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

মোনাজাতে কায়মনোবাক্যে বারবার মুসলিম উম্মাহর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। একইসঙ্গে সব ধরনের পাপাচার, অন্যায়, অবিচার থেকে বেঁচে থাকার কথা বলা হয়। স্রষ্টার কাছে অন্তরের আত্মশুদ্ধি কামনা করা হয়। মুসল্লিরা এ সময় কান্নার স্বরে আমিন আমিন বলতে থাকেন।

মোনাজাত উপলক্ষে আজ ভোর থেকে বিশ্ব ইজতেমাগামী গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকে। ভোর ৬টা থেকে টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস মোড় এবং আবদুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদ বিলুপ্তির সুপারিশ

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত কনসালটেশন (পরামর্শক) কমিটি সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে।

সুপারিশ অনুযায়ী- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুধু ‘শিক্ষক’ পদবি নিয়ে কর্মজীবন শুরু করে পরবর্তীতে ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হিসেবে পদোন্নতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টাকে এ সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন জমা দেয় পরামর্শক কমিটি। পরে বিকেল ৫টায় এ নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

এসময় পরামর্শক কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ৯ সদস্যের এ পরামর্শক কমিটি দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে মোট ১৪টি সুপারিশ করেছে।

শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের শিক্ষাকর্মীদের পেশাগত মর্যাদা, পদোন্নতি ও পেশাগত অগ্রগতির ব্যাপারে নির্দিষ্ট আশু পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদে প্রাথমিক শিক্ষকসহ বিদ্যালয় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও উচ্চতর বেতন কাঠামো বিবেচনা করার সুপারিশ করে কমিটি। এ উদ্দেশ্যে আশু উদ্যোগ নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।

পরামর্শক কমিটির সুপারিশে শিক্ষকদের বেতন বিষয়ে বলা হয়েছে, বর্তমানে শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে আছেন। প্রধান শিক্ষকদের জন্য সরকার ১১তম গ্রেড দিয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে পদায়নের দাবি উচ্চ আদালতে সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে রিভিউ আবেদন করেছে।

সমগ্র পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও উচ্চতর বেতন কাঠামো প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটির অন্তর্বর্তী সুপারিশ হলো- শিক্ষক পদে প্রবেশ ১২তম গ্রেডে, দুই বছর পর স্থায়ীকরণ, আরও দুই বছর পর ১১তম গ্রেডে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি।

প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রে যে সুপারিশ সরকারের রিভিউ আবেদন প্রত্যাহার ও প্রধান শিক্ষকের জন্য ১০ম গ্রেড নির্ধারণ ও সকল প্রধান শিক্ষক পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ। শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক নিয়মানুসারে উচ্চতর স্কেল পাওয়ার যোগ্য হবেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে ও সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে দায়িত্বভাতাসহ পদায়ন করা যেতে পারে।

মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে পদোন্নতিযোগ্য পদসমূহ ও শূন্যপদ আশু পূরণ, সমন্বিত গ্রেডেশন, পারস্পরিক বদলি, আঞ্চলিক অফিস স্থাপন এবং প্রাথমিক শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিস বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

সুপারিশ প্রতিবেদনের শেষাংশে বলা হয়, শিক্ষা সংস্কারের জন্য কোনো সহজ জাদুকরী সমাধান নেই। প্রস্তাবিত সুপারিশের বিষয়ে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সমন্বিত বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। পঞ্চম প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কার্যক্রম ও সরকারের বার্ষিক বাজেট হবে সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রধান বাহন।

গত অক্টোবরে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে। কমিটিতে একজন সদস্যসচিব ও ৭ জন সদস্য ছিলেন।

কমিটির সদস্যরা হলেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক সচিব খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সাবেক মহাপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি-২ এর সাবেক যুগ্ম প্রোগ্রাম পরিচালক চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, গণসাহায্য সংস্থার পরিচালক (শিক্ষা) বেগম সামসি হাসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরাম মারিয়াম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ এবং শিবরাম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল আলম।


আরও খবর