Logo
শিরোনাম

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নারী-শিশুসহ আরও ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।

এ নিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গত ১৪ মাসে গাজায় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এ উপত্যকার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল দক্ষিণ গাজা উপত্যকার আল-মাওয়াসিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি অস্থায়ী শিবিরে ইসরায়েলের বোমা হামলায় নারী, শিশুসহ ২০ জন নিহত হয়েছেন। আগুনে পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষের মধ্য উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। হামলায় নারী ও শিশুরা ‘পুড়িয়ে মারা’ গেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বসতিগুলোতে নজিরবিহীন হামলায় চালিয়ে অন্তত ১২০০ জনকে হত্যা ও ২৫০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে বলে ভাষ্য ইসরায়েলের। এর প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।

তারপর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৪৪ হাজার ৫৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। আর ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।


আরও খবর



নতুন বছর শুরু হোক রবের নিকট তাওবার মাধ্যমে

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

-ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী 

তওবা একটি অনুগ্রহ, নতুন করে শুরু করার একটি সুযোগ। তওবা আমাদের স্রষ্টার সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি ও আরও দৃঢ় করার একটি মাধ্যম। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অপরাধবোধ বা হতাশা যেন কখনোই আমাদেরকে আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা থেকে বিরত না রাখে। তওবার প্রতিটি পদক্ষেপ রবের অসীম রহমতের দিকে একটি সফল যাত্রা। জীবন একটি উত্থান-পতনের সফর, তাই নতুন বছর শুরু হোক রবের নিকট তাওবার মাধ্যমে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কুমিল্লা চান্দিনা বড় গোবিন্দপুর খানকা শরীফের বার্ষিক প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী। তিনি নতুন বছর উপলক্ষে নৈতিকতা বিবর্জিত সকল অপসংস্কৃতি চর্চা পরিহার করার আহবান জানান। চান্দিনা পৌরসভার সাবেক মেয়র খলিফা মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া কেন্দ্রীয় পরিষদের মহাসচিব খলিফা শাহ্ মোহাম্মদ আলমগীর খাঁন মাইজভাণ্ডারী। মাহফিলে আলোচক ছিলেন, রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১ মসজিদ-এ গাউছুল আজমের খতিব, মাওলানা মুফতি মাকসুদুর রহমান মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা হাফেজ ক্বারী মুহাম্মদ কেরামত আলী মাইজভাণ্ডারী প্রমুখ। মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।


আরও খবর



প্রেমিক ও প্রেমিকার আত্নহত্যা, অন্তরালে কি ত্রিভুজ প্রেম.!

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে প্রেমিকের আত্নহত্যার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গ্যাসবড়ি সেবনকরে আত্নহত্যা করেছেন কলেজ পড়ুয়া প্রেমিকা। প্রেমিক-প্রেমিকার আত্নহত্যার ঘটনায় এলাকার লোকজনের মাঝে নেমেছে শোক। নিহত প্রেমিক হৃদয় কর্মকার (২৯) হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ এলাকার বিকাশ কর্মকারের ছেলে ও প্রেমিকা সুদীপ্তা দাস কেকা (২৫) একই উপজেলার শাহজাদপুর পৌর শহরের সাহাপাড়া মহল্লার অতুল কৃষ্ণ দাসের মেয়ে। গতকাল মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর গ্যাস বড়ি সেবন করার পর বিকাল সারে ৩ টারদিকে সিরাজগঞ্জের  শাহজাদপুর পৌরসভার সাহাপাড়া মহল্লায় প্রেমিকা সুদীপ্তা দাস কেকার মৃত্যু হয়। পর মাত্র কয়েক ঘন্টা পূর্বে সোমবার গভীর রাতে তার প্রেমিক হৃদয় কর্মকার বগুড়াতে কর্মস্থল এলাকায় গলায় ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যা করেন।  প্রেমিক হৃদয় কর্মকার বগুড়ায় একটি ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। অপরদিকে প্রেমিকা সুদীপ্তা দাস কেকা শাহজাদপুর সরকারী কলেজ এর অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও পাশাপাশি সংগীত শিল্পী ছিলেন বলে জানাগেছে। ঘটনাটি বুধবার ২৫ ডিসেম্বর লোকজনের মাঝে প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে এলাকার লোকজনের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বগুড়ায় প্রেমিক হৃদয় কর্মকারের গলায় ফাঁসদিয়ে মৃত্যুর খবর শুনে নিজ বাড়িতে গ্যাসবড়ি সেবন করেন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও সংগীত শিল্পী সুদীপ্তা দাস কেকা। জানতে পেরে পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বিকেল সারে ৩টারদিকে তিনি মারা যান। হৃদয় কর্মকার বিবাহীত হওয়া সত্ত্বেও কলেজ পড়ুয়া সুদীপ্তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি সে যে বিবাহীত সেটাও সুদীপ্তাকে বুঝতে দেননি। হৃদয়ের কর্মস্থল পাশের জেলা বগুড়াতে হওয়ায় সুদীপ্তা মাঝে মধ্যেই সেখানে গিয়ে দেখা করতেন। একারনে বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভিমানে 

দু’জন-ই (আত্নহত্যা) প্রাণ দিয়ে থাকতে পারেন বলে ধারনা স্থানিয়দের। এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, আমরাও জেনেছি যে ত্রি-ভুজ প্রেম সম্পর্কের জেরধরে আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্বীকার করছে না। তারা বলছেন, কলেজ ছাত্রী কেকা ঘুম থেকে দেরীতে ওঠায় আমরা তাকে বকাবকি করতাম। সেই কারনে কেকা অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা।


আরও খবর



গজারিয়ায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র লিফলেট বিতরন ও পথসভা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ও জাতীয় নাগরিক কমিটির গজারিয়া উপজেলার প্রতিনিধিবৃন্দ সমাজে জনসচেতনা, রাজনৈতিক সংস্কার ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মানের লক্ষ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র লিফলেট বিতরণ করেন।

আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) উপজেলার ঢাকা - চট্রগ্রাম মহাসড়কের হোসেন্দি ইউনিয়নের জামালদী বাসস্ট্যান্ড হতে বাউশিয়া ইউনিয়নের পাখির মোড় বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টের স্থানীয় দোকানি পথচারি ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে  লিফলেট বিতরন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গজারিয়া উপজেলা শাখার প্রতিনিধিরা।


লিফলেট বিতরনকালে সাধারন নাগরিকদের কাছে জাতীয় সংবিধানে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে তাদের ৭টি দাবি অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে মতবিনিময় করেন। এসময় পথ সভায় তারা বলেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আহতদের বিনামূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসা প্রদানের প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করতে হবে।অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনী ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে।ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে।ঘোষণাপত্রে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর নেতৃত্ব পরিস্কারভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।১৯৪৭ সালের পাকিস্তান আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিস্কার করতে হবে।নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।জুলাই অভ্যুত্থানের একমাত্র প্রধান লক্ষ্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করা ছিল না; বরং গত ৫৩ বছরের বৈষম্য, শোষণ ও ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিলোপ করার লক্ষ্যে এ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে।

গজারিয়া উপজেলায় লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গজারিয়া উপজেলার প্রতিনিধি ও সংগঠক তানভীর আহমেদ, নূরে আলম হোসেন, মোবারক হোসেন, জিয়াউল হক, নাজমুল সরকার, মিঠুন ইসলাম, রাহাত মিয়াজী, মান্নান খান মৃদুল প্রমূখ সহ অন্যান্য ছাত্র জনতা নেত্রীবৃন্দ।


আরও খবর



ঢালাও মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত জুলাইয়ে রাজধানীর পুরানো ঢাকার যে জায়গায় নাদিমুল হাসান নিহত হন, ঠিক তার অল্প কিছু দূরে তারই সাথে আন্দোলন করছিলেন আরেক শিক্ষার্থী সুলতানা আক্তার।

অথচ তারই বাবাকে আসামি করা হয়েছে ওই হত্যা মামলায়। নাম বাদ দিতে তাদের কাছে টাকা দাবি করা হয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে।

সুলতানা আক্তারের ভাষায়, ‘যে ছেলেটা আমার সামনে মারা যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে, তার মামলায় আমার বাবাকে (আসামি) দিছে। আমি খুব অবাক হয়ে গেলাম এটা কিভাবে সম্ভব? এটাতো সম্ভব হতে পারে না। ওই দিন ওর থেকে এক হাত দূরে, যদি ওই গুলিটা ওর গায়ে না লাগতো, আমার গায়ে তো লাগতে পারতো।

বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহতের ঘটনায় ঢালাওভাবে করা মামলাগুলোতে এরই মধ্যে আসামি করে, আসামি করার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি, কিংবা মামলা থেকে নাম খারিজ করে দেয়ার নামে বাণিজ্যের অভিযোগ দিনে দিনে বাড়ছে।

পরিস্থিতি এমন অবস্থায় গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে বিষয়টি স্বীকার করে কয়েকবারই বক্তব্য দিতে দেখা গেছে।

সর্বশেষ অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ভুয়া মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, সরকারের তরফ থেকে এমন বলা হলেও এখন পর্যন্ত শক্ত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

আন্দোলনকারীর বাবার বিরুদ্ধেই মামলা


ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই পুরানো ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের শিক্ষার্থী নাদিমুল হাসান এলেম।  ঘটনায় ৮৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করে তার মা কিসমত আরা। তবে যাদের আসামি করা হয়েছে মামলার বাদী তাদের চেনেন না।



কিসমত আরা বলেন, ‘আমিতো চিনি না ওদের। যাদের মাধ্যমে মামলাগুলো করেছি ওনারা নামগুলা দিয়েছে। এখন ওনারা ভুলবশত দিয়েছে না কিভাবে দিছে আমি তো এটা বলতে পারি না। এরকম কাগজ নিয়ে আসছে, বলে সিগনেচার করেন। এই ঘর, ওই ঘর, আমি কী কিছু বলতে পারি। তারা বসে পড়ছে, পড়ে আমি কী করতে পারি।

বাদীর স্বামী জানান, আদালতেই পাশের এক এজলাসে (যাদের মাধ্যমে মামলা করা হয়েছে তাদের কথা বোঝান) বসে মামলা।

যেদিন নাদিম মারা যান ওই সময় ঘটনাস্থলেই আন্দোলনরত অবস্থায় ছিলেন সুলতানা আক্তার। এই হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে সুলতানার বাবাকে।

সুলতানা আক্তার বলেন, ‘আন্দোলন করলাম, যেখানে আমার বাবা আমাকে সাপোর্ট দিলো, আমাকে রাত একটা বাজে বাবা আমাকে নিয়ে আসে রাস্তা থেকে, আজকে সেই বাবার জন্য আমি কিছু করতে পারতেছি না। সেই বাবাকেই আসামি বানিয়ে দিছে আজকে এরা।

রাজনৈতিক কারণে নয় বরং ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে হত্যা মামলায় সুলতানা আক্তারের বাবাকে আসামি করা হয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি।

আসামির তালিকা থেকে বাবার নাম বাদ দেয়ার জন্য তিনি মামলার বাদীর স্বামী শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করেন সুলতানা আক্তার।

বিনিময়ে আলম তিন লাখ টাকা দাবি করেন বলে জানান সুলতানা আক্তার। একইসাথে নাম বাদ দিতে পুলিশ, কোর্টসহ নানা জায়গায় খরচের কথাও আলম তাকে জানান।

সুলতানা আক্তার বলেন, ‘আমি তাকে বললাম আমিও তো ছাত্র আন্দোলনের একজন স্টুডেন্টস। পুলিশেরটা আমার কাছে ছেড়ে দেন। ওসির সাথে না হয় আমি কথা বলে নেব, যদি ওই খানে টাকা লাগে। এছাড়া আপনি কী করতে পারেন। ওনি বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে তিন লাখ টাকা নিয়ে আইসেন, আমি মামলা উঠায়া দিব।

যদিও আলম প্রথমে টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

কিন্তু পরে স্বীকার করে বলেন, ‘ওইটা আমি দুষ্টামি করছি। আমি কইছি যে তিন লাখ টাকা নিয়া আসো আমি ব্যবস্থা কইরা দিমু। তারপর আবার বলছি যে এক টাকাও লাগবে না।

তিন লাখ টাকা চাওয়ার পর সুলতানা আক্তার কী বলেছেন জানতে চাইলে আলম জানান, ‘আমারে ওই মেয়েটা বলছে যে আমার কাছে তো এতো টাকা নাই। এক লাখ টাকা আপনারে বলছিলাম। আমি কইলাম দেখরে বাবা তোমার বাবার নাম কাটা যাওয়ার খরচো আছে এখানে, পুলিশ কি টাকা নিবে না মনে করেন? কোর্ট খরচো নিব না? এটা কি আমি খরচো করুম?’

আলমের বক্তব্যেই এটা স্পষ্ট যে সুলতানা আক্তারের বাবার নাম আসামির তালিকা থেকে বাদ দিতে টাকা দাবি করেছেন তিনি।

কোনো রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না হলেও তিনটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে জানান এক ব্যক্তি। তবে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এই ব্যক্তি।

তিনি জানান, মূলত মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের জন্য তাকে আসামি করা হয়েছে।

আমাকে প্রথম বলছে যে মামলায় দিবে না। পরে মামলায় দিছে। জিজ্ঞেস করার পর বলছে নাম কাইটা দিবে। সেজন্য টাকা দেয়া লাগছে। প্রথম ২০ লাখ টাকা দিতে বলছে, ২০ লাখ টাকা দেয়ার পরে আরো সাত লাখ টাকা দিতে বলছে। পরে আরো সাত লাখ টাকা দেয়া হইছে। টোটাল ২৭ লাখ টাকা,’ বলেন ওই ব্যক্তি।

তার দাবি টাকা দেয়ার পর মামলা থেকে বাদ তো দেয়নি বরং তার বিরুদ্ধে আরো বেশি মামলা করা হয়েছে।

আমাকে এবং আরো অনেককেই, যারা রাজনীতি করে নাই, যাদের কাছে টাকা আছে, তাদের টার্গেট করা হয়েছে, টাকা আদায় করার জন্য,’ বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি।

দেশের গণমাধ্যমগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলাগুলোতে আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়ার জন্য টাকা আদায় করার অভিযোগে একের পর এক ঘটনা প্রকাশিত হচ্ছে।

সরকারের পদক্ষেপ কী?


এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এসব মামলাকে ঘিরে যে বাণিজ্য হচ্ছে তা স্বীকার করে জবাবদিহিতার আওতায় আনার কথা বলেছেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে ঢাকা বিভাগে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার এক অনুষ্ঠানে তিনি কথা জানান।

নজরুল বলেছেন, ‘নরমাল কোর্টে মামলা নিয়ে আমি শুনেছি অনেক ধরনের অসঙ্গতি হচ্ছে। মামলা নিয়ে ব্যবসা করছে। কোনো কোনো স্বার্থান্বেষী মহল ভুল মামলা দিচ্ছে। প্রকৃত অভিযুক্তদের পাশাপাশি অনেক লোককে আসামি করে মামলাকে হালকা করার চেষ্টা করছে।

মামলা বাণিজ্য শুরু হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ, হত্যার অপরাধ। এই হত্যার অপরাধের বিচারের দাবি, বিচারের প্রত্যাশা এটাকে নিয়ে ব্যবসা শুরু হয়েছে আমাদের সমাজে। এদেরকে আমরা চিহ্নিত করব। অবশ্যই তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে,’ বলেন নজরুল।

সঠিকভাবে মামলা করার আহ্বান জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথমেই আমাদের শুদ্ধভাবে মামলা করতে হবে। আমাদের আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে লিগ্যাল এইড একটা সেল করে দেব।

কথা দিচ্ছি সাত দিনের মধ্যে করে দেব। শহীদ পরিবারের মামলার ব্যাপারে তোমরা যদি লিগ্যাল এডভাইস চাও আমরা ওখান থেকে এডভাইসটা করতে পারবো। আমাদের পক্ষ থেকে যা করার আমরা করবো,’ বলেন নজরুল।

এর প্রায়, এক মাস আগে সচিবালয়ে নজরুল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘যারা হয়রানিমূলক মামলা করছেন, মিথ্যা মামলা করছেন এবং বাণিজ্যমূলক মামলা করছেন, কাউকে কাউকে নাকি থ্রেটও দেয়া হচ্ছে টাকা না দিলে মামলা করা হবে, আপনারা কিন্তু মনে রাইখেন আমি যদি এই মন্ত্রণালয়ে থাকি, আপনাদের কীভাবে শাস্তি দেয়া যায় সেটার আইনও আমি খুঁজে বাইর করবো।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, ‘বাদী যখন বলে আমি চিনি না তাইলে বাদী কার প্ররোচনায় নামটি দিয়েছে সেটি উদঘাটন করতে হবে।

আসামিদের টেলিফোন করে যখন টাকা চাওয়া হয় তখন এটা বের করা তো কঠিন কিছু না। মামলা বাণিজ্য ইমিডিয়েট বন্ধ করতে হবে। সমন্বিত উপায়ে বন্ধ করতে হবে। দুই-একটা থানাকে মডেল টেস্ট হিসেবে নিয়ে বন্ধ করতে হবে,’ বলেন ফারুক।


সূত্র : বিবিসি


আরও খবর

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




দেশের দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের দুই বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ ছাড়া দিনের তাপমাত্রাও কমতে পারে বলে সরকারি সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সেইসঙ্গে এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। পরের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা সমান্য কমতে পারে।

আগামীকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।

বৃহস্পতিবারও (৯ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এই কয়েকদিন মধ্যরাত থেকে সকাল সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

ঘন কুয়াশার কারণে বুধবার বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিসের বার্তায় বলা হয়েছে। বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে বলা হয়েছে।


আরও খবর