Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

গাজীপুরে সড়কে ১০ মিনিটের ব্যবধানে নিহত ৫

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন :   গাজীপুরে ঈদের দিন মঙ্গলবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

এর মধ্যে বিকেল ৪টার দিকে কালিয়াকৈরের সফিপুর এলাকার উড়াল সড়কের পূর্ব পাশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন এবং একই সময়ে ওই সড়কের আনুমানিক পাঁচ কিলোমিটার দূরে বাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দু'জন নিহত হয়।

নিহতরা হলেন গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ সালনা এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (৪৪), কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার সাদুল্ল্যাপুর গ্রামের মৃ আলতাব হোসেনের স্ত্রী রেণু বেগম (৫০), জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দাবাড়ি গ্রামের মৃত শফিকের স্ত্রী সাথি আক্তার (২৫), দুর্ঘটনায় নিহত শরিফ হোসেনের (৩০) পুরো পরিচয় পাওয়া যায়নি এবং পরিচয় না জানা (৪১) এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর উড়াল সড়কের পূর্ব পাশে উত্তরবঙ্গগামী এনা পরিবহনের একটি বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজিচালক (৪১) নিহত হয়। সিএনজি চালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আরো কয়েকজন আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেণু বেগম, শরীফ হোসেন ও সাথি আক্তারের মৃত্যু হয়।

একই সড়কের দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে তাকওয়া পরিবহনের সাথে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে হাসপাতালে নেয়ার পথে অটোরিকশা যাত্রী মোহাম্মদ হোসেন মারা যায়। 



আরও খবর



নেত্রকোনায় প্রেস রিলিজ গাইডলাইনস ও ভিডিও এডিটিং বিষয়ক কর্মশালা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আয়োজিত প্রেস রিলিজ গাইডলাইনস ও ভিডিও এডিটিং বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার(১৯ মার্চ) শহরের কাটলি এলাকায় পিবি আই কার্যালয়ের হলরুমে এ সংক্রান্ত মূল আলোচনা করেন সময় টিভির রিপোর্টার সিনিয়র সাংবাদিক আলপনা বেগম।

কর্মশালায় ভিডিও বিষয়ে ধারণা দেন সময়ের চিত্র সাংবাদিক আবু সুফিয়ান।

কর্মশালায় পিবিআই নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবিরের সঞ্চালনায় পিবি আই ইন্সপেক্টর ও সাব ইন্সপেক্টরসহ ২৫ জন উপস্থিত ছিলেন। 

কর্মশালায় পিবি আইয়ের সদস্যরা নারী ইস্যুতে ধর্ষণ খুন সহ চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিকটিমদের প্রকাশসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। 

এসকল ঘটনাসহ ভিডিও ধারণ সংক্রান্ত ধারণাও দেয়া হয়। 

বিশেষ করে এসকল তথ্য নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক মো. জাহিদুল হক, ইমদাদুল হক বাশার, উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো: আশরাফুল হাসান, উপ-পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান সহ অন্যরা তথ্য পরিবেশন ও ভুল বা সঠিক তথ্য সংক্রান্ত আলোচনা করেন।  


আরও খবর



নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গৃহবধু আয়না হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিল'কে ঢাকার আদাবর এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে আটক করেছে র‌্যাব।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ কাম্প থেকে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, এর চৌকস অভিযানিক দল মঙ্গলবার ঢাকা জেলার আদাবর থানাধীন সুনিবির হাউজিং এলাকা অভিযান পরিচালনা করে গৃহবধূ আয়না হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক স্বামী নুরুল আমিন ওরফে এরশাদ (৩২), দেবর শাকিল হোসেন (২২) উভয়ের পিতা খোরশেদ আলম এবং তাদের মা মোসাঃ আমেনা বেগম কে আটক করা হয়। আটককৃতরা সকলে, নওগাঁর ধামুরহাট উপজেলার বিহারী নগর গ্রামের বাসিন্দা।


মামলার বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, গত ১২ মার্চ নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার বিহারীনগর গ্রামের নরুল আমিন ওরফে এরশাদ এর স্ত্রী মহসিনা খাতুন ওরফে আয়না (৩০) কে ভোর রাতে বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বে একটি আম গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন থানা পুলিশ কে খবর দিলে সকালে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, মৃত আয়না আক্তারের সাথে তার শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিল এর সাথে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা, সোফা সেট, আলমীরা ও খাট ইত্যাদি আনার জন্য বিরোধ লেগেই থাকতো। সেই জের ধরে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ, দেবর শাকিল এবং আমেনার জামাতা বিদ্যুৎ তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আম গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে জানান মৃতের স্বজনরা। এঘটনায় মৃতের চাচা আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ধামুইরহাট থানায় ভাতিজিকে শ্বাসরোধে হত্যার দ্বায়ে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। মামলার পর থেকেই শাশুড়ী আমেনা, স্বামী এরশাদ, দেবর শাকিল ও আমেনার জামাতা বিদ্যুৎ আত্নগোপনে চলে গেলে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, এর একটি আভিযানিক দল গত ২৩ মার্চ আমেনার জামাতা বিদ্যুৎ কে নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার গোপিরামপুর থেকে আটক করেন এবং আমেনা, এরশাদ ও শাকিল কে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। পরবর্তীতে র‌্যাব-২, সিপিসি-১ এর সহায়তায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিল কে ঢাকা জেলার আদাবর থানাধীন সুনিবির হাউজিং এলাকায় থেকে ২৬ আটক করা হয়।


আরও খবর



টেকনাফ সীমান্তে ফের গুলির শব্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত থেকে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে আবারও মর্টার শেল ও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গোলার শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে এপারের স্থানীয়দের মধ্যে।

টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় নাফ নদের ওপার থেকে আসা মর্টার শেলের শব্দে আতঙ্কে সীমান্ত এলাকার লোকজন। এর আগে, বুধবার গভীর রাতে এসব সীমান্তে মর্টার শেলের শব্দ শুনতে পায় সীমান্তের লোকজন।

সীমান্তে গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে স্বীকার করেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর নাফ নদের ওপারে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছে। তাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মিদের সংঘর্ষ চলছে। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমারের কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামগুলোতে চলছে সংঘর্ষ। সংঘর্ষে গোলার শব্দ সীমান্ত এলাকা টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম থেকে শোনা যাচ্ছে।

হ্নীলা সীমান্তে বসবাসকারী মো.ইলিয়াছ বলেন, বুধবার রাত থেকে আবারও ভারী গোলার শব্দ এপারে শোনা যাচ্ছে। অনেকক্ষণ টানা গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালেও নাফ নদের ওপারে গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। যার কারণে সীমান্তে অযথা লোকজনকে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মোহাম্মদ আলম বলেন, সীমান্তে গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।

হোয়াইক্যং সীমান্তে বসবাসকারী দিন আলম বলেন, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত থেমে থেমে মিয়ানমারে মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে। গত তিন দিন বন্ধ থাকার পর আবারও সীমান্তে গোলার শব্দ। এতে সীমান্তবর্তী লোকজন ভয়ে আছেন।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের কারণে সীমান্তের নাফ নদে আমাদের টহল চলমান রয়েছে। নতুন করে বাংলাদেশে কোনও অনুপ্রবেশকারীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকালে আমরা দুই শতাধিক অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করেছি।


আরও খবর



ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া বহন করছে ৮.৬১% রোগী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

তিন মাস বয়সী শান্তা। শিশুটির জ্বরসহ আরো কিছু সমস্যা দেখা দিলে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। প্যাথলজি পরীক্ষায় দেখা যায়, শিশুটি ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া বহন করছে। চিকিৎসক জানালেন, বেশির ভাগ অ্যান্টিবায়োটিক আপাতত তার শরীরে আর কাজ করবে না।উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার মা-বাবা।

 

জীবাণুর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠা বিশ্বব্যাপীই চিকিৎসাবিদ ও স্বাস্থ্য প্রশাসকদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। দেশে শান্তা নামের তিন মাস বয়সী শিশুটির মতো হাজারো শিশু আছে, যাদের শরীরে থাকা জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। যথেচ্ছ ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াও প্রকৃতি-পরিবেশ ও খাদ্য থেকে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ করা এর অন্যতম কারণ।

অনেক ক্ষেত্রে পোলট্র্রি, মাছ ও গরু-খাসির খামারে পশুর চিকিৎসায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে ৮.৬১ শতাংশ বহু ওষুধ প্রতিরোধী (মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্স বা এমডিআর) ব্যাকটেরিয়া বহন করছে। এর মধ্যে ২৯.২ শতাংশের বয়স ২০ বছরের কম। এদের অনেকেই শিশু।

৪০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে এর হার ৫৭.৬ শতাংশ। সম্প্রতি এক গবেষণায় জীবাণুর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠার উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে। 

 

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত সাত মাস এ গবেষণাটি চালিয়েছে। এতে অর্থায়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ১২টি বিশেষায়িত (টারশিয়ারি) সরকারি হাসপাতালের ১৩ হাজারের বেশি রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ১৪৯টিতে বহু ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু পাওয়া যায়।

গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ২০ বছরের কম বয়সী রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (২৯.২ শতাংশ) ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব রয়েছে। ২০-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে এর হার ২৮.৪ শতাংশ । ৪০-৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে তা ২৫ শতাংশ। ১৮ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে।

গবেষণায় দেখা গেছে, আইসিইউতে ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য এমডিআর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, পালমোনারি যক্ষ্মা, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের মতো অসুখে আক্রান্তদের মধ্যে এমডিআর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের প্রবণতা বেশি।

গবেষক ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার মাইক্রোবায়োলজির চিকিৎসক ডা. সানজিদা আরিনা বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন কিংবা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন এমন ব্যক্তিদের এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বহু ওষুধ প্রতিরোধে জীবাণুর সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি (২১ শতাংশ) পাওয়া গেছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের রোগীদের মধ্যে। বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে নেওয়া রোগীদের ক্ষতের নমুনার ৯৩ শতাংশে এমডিআর পাওয়া গেছে। আর পুঁজের মধ্যে সর্বোচ্চ রেজিস্ট্যান্স পাওয়া গেছে শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতালটির ৫৮ শতাংশ পুঁজের নমুনায়ই এমডিআর পাওয়া গেছে।

ডা. সানজিদা বলেন, আমাদের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ মাছে, মাংসে, পানিতে, ফসলে, গাছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই অ্যান্টিবায়োটিক শেষ পর্যন্ত পানি ও মাটিতে গিয়ে পরিবেশ দূষিত করছে। মাটি ও পানিতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণু সৃষ্টি হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, হাসপাতালে রোগাক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশিতে যেমন রোগ ছড়ায়, তেমনি মশা-মাছির মাধ্যমেও অনেক রোগ ছড়ায়। রোগীদের দেখতে বাইরে থেকে লোকজন আসা-যাওয়া করে। এ অবস্থায় দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ প্রায় অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। সংক্রমণগুলো অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হলে রোগীকে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে থাকতে হয়। এতে চিকিৎসা ব্যয়ও কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

আইইডিসিআরের চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন হাবিব বলেন, দুই জায়গা থেকে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। হাসপাতালে যেমন জীবাণু থাকে, কমিউনিটিতেও থাকে। মানুষ কখনো সংক্রমিত হয় বাসা থেকে, আবার কখনো হাসপাতালে একটা রোগ নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে অন্য রোগে আক্রান্ত হয়। কারণ সেখানে অনেক জীবাণু থাকে।

অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন বলেন, হাসপাতাল থেকে সংক্রমিত হলে জীবাণু বেশি প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। কারণ হাসপাতালে রোগীদের ওপর প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে আইসিইউতে থাকা রোগীর ক্ষেত্রে মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট জীবাণু পাওয়া যায়। ভর্তি ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর মধ্যে তুলনা করলে দেখা যায় ভর্তি রোগীদের মধ্যে বেশি জীবাণু রেজিস্ট্যান্ট হচ্ছে। 

ডা. জাকির বলেন, হাসপাতালগুলোকে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক পলিসি ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রিন্সিপাল মানতে হবে। অন্যথায় অদূর ভবিষতে সংক্রামক ও অসংক্রামক অন্যান্য রোগের চেয়ে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের কারণে বেশি মানুষের মৃত্যু হবে।


আরও খবর



পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫০ টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারত বাংলাদেশকে ৩৮ টাকা দরে পেঁয়াজ দিচ্ছে এমন খবরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে দাম কমেছে ৫০ টাকা। এর ৩ মাস আগে ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবরে পেঁয়াজের দাম এক রাতেই কেজিতে বেড়েছিল ৬৫ টাকা।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. আশরাফ জানান, বাজারে দুই ধরনের পেঁয়াজ আছে এখন। এরমধ্যে একটি হচ্ছে পাবনার এবং অন্যটি হচ্ছে ফরিদপুরের। আজকের বাজারে পাবনার পেঁয়াজ প্রতি পাল্লার (৫ কেজি) দাম ২৮০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজের দাম ২৬০ টাকা। গত সপ্তাহের মঙ্গলবারে পাবনার পেঁয়াজ প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ৪০০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৩৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী জলিল বলেন, গতকাল থেকেই পেঁয়াজের দাম কমেছে। আগে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজি প্রতি ৭২ থেকে ৮০ টাকা। এখন পেঁয়াজের দাম ৫২ থেকে ৫৬ টাকা। দাম কেনা বাড়লো বা কমলো, সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। আমরা কিনে এনে এখানে মাত্র ২/৩ টাকা লাভে বিক্রি করি।

ভারতের পেঁয়াজ দেশে আসলে দাম আরো কমবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতের পেঁয়াজ আসবে কী না তারই তো কোনো ঠিক নেই। আসলেও দাম এমনই থাকবে।

এদিকে মগবাজারের চারুলতা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, যে পেঁয়াজের দাম একদিন আগেও ১১০ টাকা ছিল, সেটি কমে হয়েছে মাত্র ৬০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, দেশের ব্যবসায়ীদের মন বোঝা বড় দায়।

কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ বলেন, গতকাল বিকাল থেকে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এখন পাবনার পেঁয়াজ ১১০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজের দাম ৯০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫০ টাকা। দাম বাড়া-কমার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো কারিশমা নেই। আমরা যেমন দামে কিনি, তেমন দামেই বিক্রি করি।

ওই দোকানের ক্রেতা মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ২ দিন আগে এই দোকান থেকে এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছি ১১০ টাকা দিয়ে। আজও এক কেজিই নিতে এসেছিলাম। কিন্তু এক কেজির দামে আজ ২ কেজি কিনতে পারলাম। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের মন বোঝা বড় দায়। কী এমন হলো যে দাম অর্ধেকে নেমে এলো। তারা কিন্তু সীমিত লাভ করলে সারা বছরই মানুষ একটা লেভেলে বাজার করতে পারে। কিন্তু সেটি তারা করে না। কোনও মাসে একই বাজার হয় ১০ হাজার টাকা আবার কোনও মাসে ওই একই বাজার হয় ১৫-১৬ হাজার টাকায়।

গতকাল বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য দেশের কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল), এমন খবর প্রকাশ পায়। খবরে বলা হয়, প্রতি কেজি ২৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা) দরে এই পেঁয়াজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে।

নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সাড়ে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ডিসেম্বরের শুরুতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

তবে কূটনৈতিক পর্যায়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার পেঁয়াজ পাঠানোর অনুরোধের পর বিশেষ বিবেচনায় ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোতে মোট ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজের মধ্যে বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে ১ হাজার ৬৫০ টন।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪