Logo
শিরোনাম

গান শুনিয়ে চলে ভুট্টুর সংসার, স্বপ্ন ইত্যাদিতে গান গাওয়ার

প্রকাশিত:রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৭৩জন দেখেছেন

Image
গৌতম চন্দ্র বর্মন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ছোট বেলার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে জর্দার ছোট কৌটোর ভেতরে সাইকেলের চাকার বল ঢুকিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন  এলাকায় বাজনা বাজিয়ে গান শোনান ভুট্টু মিয়া।আর এতে যা পান তা দিয়ে চলে তার সংসার। মুলত খালি গলায় গান শুনান তিনি। টাকার অভাবে তবলা বা ঢোল ও একতারা কিনতে পারছেনা বলে জানান ভুট্টু মিয়া। তাঁর ইচ্ছে বিটিভিতে প্রচারিত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে গান গাওয়ার।  

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া চাপাতি গ্রামে ভুট্টু মিয়ার বাড়ী। ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারান তিনি। তারপর থেকে কাজ করে খেতেন তিনি। কাজ করতে করতে দুর্ঘটনায় ডান হাতের হাড় ভেঙে যায় তার। বর্তমানে হাড় জোড়া থাকলেও ওই হাত দিয়ে ভারি কোনো কাজ করতে পারেন না। তাই গানকেই জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। 

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহরের তিতুমীর সড়কের পাশে ইউসিবি ব্যাংকের নিচে ৪০ বছর বয়সী এ যুবককে গান গাইতে দেখা যায়।  

এসময় আব্দুর রহিম নামে এক দর্শক জানান, ভুট্টু মিয়াকে দেখেছি বিভিন্ন হাটবাজারে হাত দিয়ে কৌটা বাজিয়ে গান গাইতে। কিছুদিন আগে রোড বাজারে আমাদের দোকানের সামনেও গান করেছেন তিনি। কোনো বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই তার গলার সুর ও গান মুগ্ধ করে মানুষজনকে। তার এই প্রতিভাকে পুঁজি করেই তিনি সংসার চালাচ্ছেন। 

জুলফিকার নামে দর্শক বলেন আমি রাস্তা দিয়ে হাটে যাচ্ছিলাম। অনেক মানুষজনের সমাগম দেখে আমিও দাঁড়িয়ে গান শুনছিলাম তার। তার গান গাওয়ার প্রতিভা দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ।   

জয়নাল নামে আরেক দর্শক বলেন, তার গান যে কোনো মানুষকে মুগ্ধ করে। তাই খুশি হয়ে মানুষ ১০-২০ টাকা দেন। এতে তার সংসার চলে। নওসেদ নামে আরেক দর্শক তার গান শুনে বলেন, মানুষটির প্রতিভা আছে। সহযোগিতা পেলে তিনি হয়তো ভালো কিছু করতে পারবেন। 

ভুট্টু মিয়া বলেন, আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। বতর্মানে সংসারে আমরা স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তান। রাস্তা ঘাটে ও বিভিন্ন হাটবাজারে গান গেয়ে দৈনিক ৩ থেকে ৪শ টাকা আয় হয়। আমার স্ত্রী দিনমজুরি দিয়ে যা আয় করেন, তাতে করে কোনোমতে সংসার চলে। যদি সহযোগিতা পেতাম তাহলে অন্তত তবলা বা ঢোল ও একতারা কিনতে পারতাম। টাকার অভাবে এসব কিনতে পারছি না।  

ভবিষ্যৎ ইচ্ছার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইত্যাদিতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে আমার। আর ইত্যাদিতে যেতে পারলে সেখান থেকে হয়তো হানিফ সংকেত আমাকে কিছু না কিছু সহায়তা করবেন বলে আশা করছি।

আরও খবর

কি ভাবে ব্ল্যাকহেডস দূর হবে ?

রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দাঁতের সমস্যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে

সোমবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৬ জন ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

মাসুদ উল হাসান,জামালপুর প্রতিনিধি : 

১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা বোনের সম্ভমের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। পেয়েছি স্বাধীন রাস্ট্র। দেশকে বাচাঁতে জীবন বাজি রেখে যারা অস্্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন তাদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা। সেই দিন বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর কো অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন সম্মুখযুদ্ধে তাঁরা বীরের মতো লড়াই করেছেন। বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছেন ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র বশির আহমেদ, নূর ইসলাম ও মতিউর রহমান।

জানা যায়, জামালপুর জেলার সর্ব উত্তরে ভারতীয় সীমান্তবর্তী বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর। কামালপুরের পাশেই ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মহেন্দ্রগঞ্জ। মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের এই মহেন্দ্রগঞ্জ। কৌশলগত কারনে ধানুয়া কামালপুর ছিলো পাক হানাদার বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ন স্থান। যে কারনে কামালপুরে ঘাঁটি গেড়েছিল পাকিস্থানী বাহিনী। কামালপুর দখলে নিতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সম্মুখ যুদ্ধে পা হারান কর্ণেল আবু তাহের। 

শহীদ হন ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজসহ শতাধিক বীর যোদ্ধা। এক সময় অবস্থা বেগতিক দেখে ৪ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় পাকিস্থানী বাহিনী। মুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর। কামালপুরে এমন বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় ভাবে বীর বিক্রম, বীর উত্তম ও বীর প্রতীক খেতাব পান মোট ২৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

১৯৭১ সালের সেই সময়টায় বিভিন্ন সেক্টর ও সাবসেক্টরে ভাগ করা হয় পুরো দেশকে। মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন কোম্পানিতে মুক্তিযোদ্ধা নিয়োগ চলছে এমন খবর চলে আসে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা নাম লেখাতে শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। একে একে ৬৬ জন শিক্ষার্থী মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনের জন্য প্রশিক্ষন নিতে ছুটে গেলেন ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জে। প্রশিক্ষন নিয়েই ঝাপিয়ে পড়লেন শত্রুবাহিনীর উপর। দীর্ঘ ৯ মাস বীরের মত লড়াই করে ছিনিয়ে আনলেন লাল সবুজের পতাকা।  

বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম বলেন,ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চবিদ্যালয়ে আমি তখন নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলাম। দেশের পরিস্থিতি আমরা বুঝে গিয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক আমাদের কাছেও পৌঁছে গেছে। প্রামাঞ্চল হলেও নানা মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের খবর পাচ্ছিলাম। আর ওপাশেই ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ, সেখানে গিয়ে দেখতাম যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে। আমাদের বয়সী অনেকেই যুদ্ধে যাচ্ছে, নিজেকে ঘরে রাখা কঠিন হয়ে গেল। চলে গেলাম মুক্তিযুদ্ধে। আমাদের স্কুলের ৬৬ জন ছাত্র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। 

জানা যায়, ৪ ডিসেম্বর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার হরদেব সিং ক্লের বললেন কামালপুর পাকিস্থানি ক্যাম্পে কে যাবে আত্মসমর্পণের চিঠি নিয়ে। কামালপুর সীমান্তঘেষাঁ ভারতীয় গ্রাম ব্রাহ্মণপাড়ায় তখন মুক্তি বাহিনীর হাজারো সদস্য উপস্থিত। তবে কেউ সাহস করে বলতে পারছিলো না কে যাবে। বিগ্রেডিয়ার ক্লের যখন প্রশ্নটা দ্বিতীয়বার করলেন, ঠিক তখনই মুক্তিবাহিনীর এক কিশোর যোদ্ধা বলে উঠলেন,আমি যাব চিঠি নিয়ে। সেই কিশোর যোদ্ধা সাহসী বশির আহমেদ। 

বশির আহমেদ বলেন,আমাদের স্কুলের ১০০ গজ দূরেই ক্যাম্পটি। আত্মসমর্পণের চিঠিটি পকেটে নিয়ে পাকিস্থানি ক্যাম্পের সামনের রাস্তায় গিয়ে দাঁড়িয়ে আমার হাতে থাকা সাদা পতাকা নাড়ালাম। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া পেলাম না। ভয়াবহ অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলাম। কারণ, শত্রুপক্ষের ছোড়া একটি গুলিই কিশোর বশির আহমেদের জীবন কেড়ে নিতে পারত। তবে কোণঠাসা পাকিস্থানী বাহিনী একসময় ক্যাম্পের ভেতরে তাঁকে ডেকে নেয়। তিনি আত্মসমর্পণের চিঠি পৌঁছে দিলেন বিওপির কমান্ডার ক্যাপ্টেন আহসান মালিকের হাতে। দীর্ঘক্ষণ চিঠির বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেও সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না পাক বাহিনী। এরই মধ্যে মিত্রবাহিনীর চারটি যুদ্ধবিমান হামলা শুরু করল পাকিস্থানী ক্যাম্পে। বশির আহমেদকে বাংকারে ঢোকানো হলো। কয়েকজন সৈনিক হতাহত হলো। পাকিস্থানী বাহিনীর মনোবল আরও ভেঙে গেল। এরই মধ্যে মুক্তিবাহিনীর আরও একজন এলেন আত্মসমর্পণের চিঠি হাতে। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুর রহমান। চারপাশ থেকে হামলায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী। শত্রুমুক্ত হয় কামালপুর রণাঙ্গন। 

বিদ্যালয়টির বর্তমান প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন বলেন,আমি গর্বিত যে আমার এই বিদ্যালয়ের ৬৬ জন প্রাক্তন ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৬৪ সালে এই স্কুল প্রতিষ্ঠার সময় আশপাশের এলাকায় কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল না। সবাই কামালপুরেই পড়তে আসতো। প্রায় ৮০০ শ শিক্ষার্থী ছিলো বলে জেনেছি। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গুরুত্তপূর্ণ এক রণাঙ্গন ছিল বলে স্কুলের এত ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বিষয়টি আমাকে প্রতিদিনই সকল কাজে উৎসাহিত করে। আমি গর্বিত এমন ইতিহাস সৃষ্টিকারী একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলে। তিনি আরো বলেন,১১ নম্বর সেক্টরের এই বিদ্যালয়টির আশানুরুপ উন্নয়ন হয়নি। ক্লাস রুমের সঙ্কট রয়েছে। ইতিহাস রক্ষায় বিদ্যালয়টি আধুনিকায়নের দাবি জানান তিনি। 

ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি বলেন, ১৯৬৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৭১ সালে এই বিদ্যালয় থেকে ৬৬ জন ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। এটা অবশ্যই ইতিহাসের অংশ। এই ইউপি’র চেয়ারম্যান হিসেবে গর্বিত আমি।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে বালু উত্তোলনে বাধাঁ দেয়ায় ভূমি কর্মকর্তার উপর হামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে বালু উত্তোলনে বাধাঁ দেওয়ায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার উপর হামলা ও  পিটিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের বিনোদেরচর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। রাতে নামীয় ৩ জন ও অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩জনকে আসামী করে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নিলাক্ষিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল গণি। এই ঘটনায় বালু উত্তোলনের পাইপ ও ড্রেজার মেশিন জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউর রাব্বী। 

অভিযোগে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ফসলি জমি ও পুকুরে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিলো জিগাতলা গ্রামের মৃত এমাজ উদ্দিনের ছেলে হাসান আলী,কারন আলী ও জানকিপুর ভাটিয়াপাড়া গ্রামের মৃত চন্ডিয়া শেখের ছেলে আবদুল কুদ্দুছ। তারা গোমের চর এলাকায় বালু মজুদ করছিলো । বৃহস্পতিবার বিকালে নিলাক্ষিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল গণি অফিস সহায়ক হানিফ উদ্দিনকে সাথে নিয়ে বিনোদেরচর এলাকায় ঘটনাস্থলে যান এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধাঁ দেন। এ সময় হাসান আলী,কারন আলী ও আবদুল কুদ্দুছ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং এক পর্যায়ে তার উপর হামলা চালায়। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। 

এ ব্যাপারে নিলাক্ষিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল গণি বলেন,কোন কারন ছাড়াই তারা আমার উপর হামলা চালায়। লোহার রড দিয়ে হাত-পা-মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। 

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোহেল রানা বলেন,খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

বকশীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাউর রাব্বাী বলেন, ড্রেজার মেশিন ও পাইপ জব্দ করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধাঁ ও হামলার ঘটনায় অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



ধামরাইয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ২৬জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ  রিপোর্টার):

ধামরাইয়ের বিভিন্ন ইউনিয়নে ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনার অভিযোগে এসব ভাটাকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে ধামরাই উপজেলার কালামপুর এলাকায় মেসার্স এম.এস.বি.ব্রিক্সক কে ৫ লাখ , মেসার্স এস.এম.বি ব্রিক্সসকে ৫ লাখ  সানোরা ইউনিয়নের মধুডাঙ্গা এলাকায় মেসার্স এম.এম.বি.ব্রিকসকে ১ লাখ  এবং গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জলসা এলাকায় মেসার্স এ.বি.সি. ব্রিক্সস নামে একটি ইটভাটাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহের নিগার টুনু।

পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী হাকিম মেহের নিগার টুনু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছিল। এসব ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বা জেলা প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই। ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। সম্পাদনা: ইস্রাফিল ফকির


আরও খবর



বাগেরহাটে মানুষের সাথে বন্ধুত্ব কাক পাখির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট: 

আধুনিক পৃথিবীতে আস্থা বা বিশ্বাসের জায়গা থেকে প্রকৃত বন্ধু হয়ে ওঠা কঠিন। খুব সহজেই মানুষ বিশ্বাস হারিয়ে তার প্রিয় মানুষটিকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু পশু পাখি একবার কাউকে বিশ্বাস করলে সহজে তাকে ছেড়ে যায়না। বাগেরহাটের মোংলায় এমনই এক ঘটনার জন্ম দিয়ে সাড়া ফেলেছে একটি কাক পাখি। তারেক বিন সুলতান নামে এক যুবক বছর খানেক আগে আহত অবস্থায় একটি কাক পাখিকে বাসায় নিয়ে আসেন। সুস্থ হওয়ার পর সেই কাক বন্ধু হয়ে তারেকের বাসায় থেকে যায়।

জানা যায়, কালো কাক পাখি আলাদা আলাদা মানুষের মুখের আকৃতি মনে রাখতে পারে। এছাড়া অন্যান্য প্রাণীদের অনুকরণ করার পাশাপাশি কাক মানুষকে অনুকরণ করতেও পারে। কাক সাধারণত সারা জীবন একই সঙ্গীর সাথে থাকে। তবে খুব সহজে পোষ না মানা কাক পাখিই কিনা এবার মানুষের বন্ধু হয়ে গেলো।

মোংলা পৌর শহরের জয়বাংলা সড়কের বাসিন্দা মোঃ সুলতানের ছেলে তারেক বিন সুলতান প্রায় এক বছর আগে একটি কাকের বচ্চা পাখিকে তাদের গাছের নিচে দেখতে পান। সেটির কাছে গিয়ে তিনি দেখেন বাচ্চা কাক পাখিটি খুবই আহত অবস্থায় পড়ে আছে। এরপর বাসায় নিয়ে এসে চিকিৎসা দেন তিনি। প্রায় ১৫ দিনের মধ্যে পাখিটি সুস্থ হয়ে ওঠে।

তবে তারেক ভেবেছিলেন সুস্থ হওয়ার পর পাখিটি তার আপন ঠিকানায় ফিরে যাবে। কিন্তু ঘটনা ঘটলো উল্টো। পাখিটির সঙ্গে তারেকের ভাল বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যে কারণে প্রায় এক বছর হলেও কাক পাখিটি তারেককে ছেড়ে যায়নি।

তারেক বিন সুলতান এসব কথা জানিয়ে এই প্রতিবেদককে আরও বলেন, ‘মানবিক দায়িত্ব থেকে আহত কাক পাখিটিকে চিকিৎসা দেই। তবে বন্ধুত্বের ব্যাপারে ভাবিনি। কাক পাখিটি প্রায় এক বছর ধরে আমার সঙ্গেই আছে। আমি তাকে সিদ্ধ ডিম, মাছ ও মাংস খেতে দেই। সারাদিন আকাশে ঘুরে বেড়িয়ে ও আবার আমার বাসায় চলে আসে’।

কাক পাখির সঙ্গে তারেকের বন্ধুত্বের ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যায় তারেকের মুখে কোন খাবার নিয়ে কাকটিকে খেতে দিলে সে তার মুখ থেকে সেই খাবারও খাচ্ছে। এমনকি তারেকে কোথাও গেলে কাক পাখিটি তাকে অনুসরণ করে।

তারেক বলেন, তিনি পাখিটিকে আটকে রাখতে চাননা। বরং উড়ে যাওয়ার জন্য পাখিটিকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন তিনি। সে বিশ্বাস করেন স্বাধীনতার মধ্যে এই প্রকৃত বন্ধুত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।

পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘যে কোন বন্যপ্রানীরা সবসময় তার নিরাপদ সেফটি এবং খাদ্য চায়। এটা যদি সঠিকভাবে করা হয় তাহলে তারা মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে চায়’। এছাড়া কাক সবসময় পুরোপুরি বিশ^স্ত হয়না, তারা কখনও কখনও অন্যান্য মানুষের সাথে মিলিত হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন-কাক একটি স্মার্ট পাখি যা অন্য একটি কাক সেখানে মারা যাওয়ার পরে সম্ভ্যাব্য হুমকি খুঁজতে সেই অঞ্চল তদন্ত করতে থাকে। তারা অন্য কাকের সাথে যোগাযোগ করতে পারে যদি তারা বুঝতে পারে যে কখনও নির্দিষ্ট মানুষ বিপদজ্জনক। 


আরও খবর



মোদীবিরোধী প্রচারে গ্রেপ্তার আট

প্রকাশিত:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১০জন দেখেছেন

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে 'আপত্তিকর' পোস্টার লাগানোর অভিযোগে গুজরাটে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পোস্টারটিতে লেখা ছিল 'মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও'।

শুক্রবার আহমেদাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে। পুলিশ বলছে, 'আপত্তিকর' পোস্টারগুলো 'অননুমোদিত উপায়ে' শহরের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছিল। এদিকে গ্রেপ্তারকৃতরা আম আদমি পার্টির কর্মী বলে দাবি করেছেন গুজরাটে দলটির প্রধান ইসুদান গাধভি। তিনি বিজেপিকে 'স্বৈরাচার' বলে অভিযুক্ত করেছেন এবং বলছেন, সরকার ভয় পেয়েই গ্রেপ্তারকাণ্ড শুরু করেছে। সম্প্রতি ভারতজুড়ে ১১টি ভাষায় 'মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও' প্রচারণা শুরু করেছে আম আদমি পার্টি। 


আরও খবর