বাঙালি
ছেলেদের পছন্দের পোশাক সাদা পাঞ্জাবির আভিজাত্য আর সৌন্দর্যের তুলনা হয় না।
পাঞ্জাবি সবসময়ই ট্রেন্ডি, সময়ের সঙ্গে এর কদর কখনো কমে যায়নি। বিশেষত পাঞ্জাবি বা কুর্তার চিরাচরিত ছিমছাম স্টাইল সবসময় ট্রেন্ডি এবং ঐতিহ্যবাহীও বটে।
বসন্তের আগমন, পবিত্র রমজান মাস এবং ঈদের আনন্দ— এই সব আয়োজনে পাঞ্জাবির শুভ্র সৌন্দর্য ফ্যাশনে বিশেষ মাত্রা যোগ করবে।এবারের ঈদে
বাহারি ডিজাইনের পাঞ্জাবি নিয়ে এসেছে 'বালুচর'।
ফ্যাশন ডিজাইনার শাহীন চৌধুরীর হাত
ধরে বালুচরের যাত্রা শুরু ২০০৮ সালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ
করে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব
ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি থেকে। সমসাময়িক ফ্যাশনকে দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যের মাধ্যমে সবার
সামনে তুলে ধরতেই ‘ফ্যাশন ফর ক্রিয়েশন’
স্লোগান নিয়ে বালুচরের পথচলা। এরই মধ্যে পরিণত হয়েছে ছেলেদের ট্রেন্ডি পাঞ্জাবি ও
কুর্তার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে। 
শ্বেত শুভ্র কাপড়ের নিজস্ব সৌন্দর্য আর এর মধ্যে
সুনিপুণ কারুকাজ- সবকিছু মিলিয়ে পাঞ্জাবি অনন্য। আর বসন্তের আবহাওয়ায় পাঞ্জাবির
অন্য রকম আবেদন থাকে। হাতে সূক্ষ্ম সূচিকর্ম বা নকশার নিপুণ কাজ করা নান্দনিক সাদা
রঙের পাঞ্জাবি পাওয়া যায় বিভিন্ন ধাঁচে। এসব পোশাক শুধু রুচিশীলতাই প্রকাশ করে না,
ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবেও গুরুত্ব বহন করে। এই বিশেষ দিকটি পাঞ্জাবিকে ভিন্ন মাত্রা
এনে দেয়।
যেকোনো উৎসব আয়োজনেই বাঙালি ছেলেরা পাঞ্জাবিকে আপন
করে নিতে পারে। প্রতিদিনের বাইরে ঘোরাঘুরি থেকে শুরু করে কোনো বড় অনুষ্ঠান- সব
জায়গাতেই পাঞ্জাবি তার অনন্য সৌন্দর্য নিয়ে হাজির হয়। তবে পাঞ্জাবিকে
ভিন্নভাবে স্টাইল করা যায় বিভিন্ন ধরনের প্যান্টের মাধ্যমে। যদি আপনি আরামদায়ক লুক
চান, তবে সাদা পাঞ্জাবির সঙ্গে খাকি রঙের প্যান্ট পরতে পারেন। আর যদি ঐতিহ্যবাহী
এবং ট্রেন্ডি লুক চান, তবে সাদা বা ক্রিম রঙের পায়জামার সঙ্গে পরতে পারেন। এভাবে
একটি সাধারণ পাঞ্জাবিকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্নভাবে পরা যায়।
এছাড়া
রমজান মাস মানেই ইফতারের আয়োজন। প্রিয়জনদের সঙ্গে ইফতার রমজান মাসের আনন্দকে আরো
বাড়িয়ে দেয়। এ সময় বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে ইফতারের আয়োজনে পাঞ্জাবি অন্য
রকম স্নিগ্ধতা নিয়ে আসবে। সন্ধ্যার দাওয়াতের জন্য, একটু ভিন্নতা নিয়ে আসতে চাইলে,
হালকা প্যাস্টেল রঙের ছোঁয়াযুক্ত বা হালকা নকশার সাদা পাঞ্জাবি বেছে নিতে পারেন।
এর সঙ্গে একটি সাদা রঙের স্কার্ফ ব্যবহার করে পাঞ্জাবিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ
করুন।
বাঙালিদের ঈদ মানেই পাঞ্জাবি, পাঞ্জাবি ছাড়া যেন ঈদ
হয় না। কলার এবং হাতায় সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি করা পাঞ্জাবি ঈদকে জমকালো করে তোলে।
একটু জমকালো ভারি কাজ করা পাঞ্জাবি বা কুর্তা, সঙ্গে সুন্দর এক জোড়া জুতা বা
স্যান্ডেল উৎসবের আমেজের জন্য মানানসই। তবে শুধু উৎসবের পোশাক হিসেবে পাঞ্জাবির
সমাদর না করে যেকোনো জায়গাতেই পাঞ্জাবি বেছে নিতে পারেন। ডেনিম বা চিনোসের সঙ্গে
পাঞ্জাবি পরলে এটি অন্যরকম এক ধরনের স্টাইল তৈরি করে। এ ছাড়া, বিয়ের অনুষ্ঠানে
সাদা পাঞ্জাবি চুড়িদার বা ধুতির সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়।
আবার
যেকোনো উৎসবে বন্ধুদের সঙ্গে মিলিয়ে পরতে পারেন পাঞ্জাবি। অফ-হোয়াট
শেডের ওপর সোনালি কাজ করা অথবা বিভিন্ন প্যাটার্নের নকশা করা পাঞ্জাবি বেছে নিতে
পারেন। কলারের ওপর নীল রঙের এমব্রোয়ডারি করা শুভ্র পাঞ্জাবিও বেশ চমৎকার। এরকম
ছোটখাটো বিষয়ের দিকে লক্ষ করে পাঞ্জাবি বাছাই করলে স্টাইলে যেমন আভিজাত্য আর
সৌন্দর্য ফুটে উঠবে, তেমনি যেকোনো উৎসবে সবার আলাদাভাবে নজর কাড়বে।
এবার অনুষঙ্গের পালা। পাঞ্জাবির পুরো স্টাইলকে আরো
আকর্ষণীয় করে তুলতে ঠিকঠাক অনুষঙ্গ বাছাই করা ভীষণ জরুরি। ধাতব বা চামড়ার স্ট্র্যাপ
যাই হোক না কেন, একটি চমৎকার ঘড়ি বেছে নিন পাঞ্জাবির সঙ্গে। এছাড়া, একটি স্টাইলিশ
সানগ্লাসও ভুলবেন না, যা পাঞ্জাবির আভিজাত্য বজায় রেখেই এতে ফ্যাশনেবল ছোঁয়া যোগ
করবে।
পাঞ্জাবি
বাঙালি পুরুষদের ঐতিহ্য আবার একইসঙ্গে ফ্যাশন অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে, যা সময় বা
ট্রেন্ডের সঙ্গে পরিবর্তিত হয় না। তাই পাঞ্জাবির নির্মল সৌন্দর্য ধরে রাখতে
হলে এটির ছিমছাম ভাব বজায় রাখতে হবে। সৌন্দর্য এবং স্নিগ্ধতাই পাঞ্জাবির
অনন্য বৈশিষ্ট্য।
বালুচরের বিভিন্ন ড্রেস পাওয়া যাচ্ছে
৯০/৯১ নিচতলা, আজিজ সুপার মার্কেট, লেভেল ৩, শাহবাগ, ঢাকা ও ৮১-৮২,
১০২/এ, তৃতীয় তলায়। আহমদ আলী টাওয়ার, জয়দেবপুর, গাজীপুর। আকুরটাকুর পাড়া,
জেলা সদর রোড, টাঙ্গাইল। কমার্শিয়াল এরিয়া, হবিগঞ্জ, সিলেট।