Logo
শিরোনাম

ঘূর্ণিঝড় রেমালে স্থগিত ২০ উপজেলায় ভোট ৯ জুন

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিডি টু ডে ডিজিটাল ডেস্ক:


ঘূর্ণিঝড় রেমালে স্থগিত ২০ উপজেলায় ভোট ৯ জুন 

ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত হওয়া উপকূলীয় ২০ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের নতুন তারিখ ৯ জুন নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 


বুধবার (২৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। 


তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে স্থগিত চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও কচুয়ায় ভোট হবে চতুর্থ ধাপের সঙ্গে ৫ জুন।


 একই দিনে কুমিল্লার চান্দিনায় ভোটগ্রহণ হবে। এসব উপজেলায় বুধবার ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। ওইসব বাদ দিয়ে এদিন তৃতীয় ধাপের ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে।



ইসির কর্মকর্তারা জানান, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে উপকূলীয় ২০টি উপজেলার ভোট স্থগিত করে কমিশন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়।


 ওই দুই উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের কথা ছিল। আর আইনি জটিলতায় চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠেয় ৫ জুনের কুমিল্লার চান্দিনার ভোট আটকে গিয়েছিল।


এসব নির্বাচনের বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, স্থগিত উপজেলাগুলোর ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।


 উপকূলীয় এলাকাগুলোয় ভোট হবে ৯ জুন। আর চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া উপজেলায় ভোট হবে চতুর্থ ধাপের ভোটের দিন অর্থাৎ ৫ জুন। 


মামলার কারণে স্থগিত কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলারও ভোট হবে একই দিনে। সব মিলিয়ে চতুর্থ ধাপে ভোট হবে ৫৭ উপজেলায়।



৯ জুন যেসব উপজেলায় ভোট হবে, সেগুলো হচ্ছে—বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝারা; পটুয়াখালীর সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার তজুমদ্দিন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া; বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা; রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি ও নেত্রকোনার খালিয়াজুরী।  



আরও খবর

সাত জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ

শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫




পিতার লেখা ডায়েরী থেকে পুত্রের বই

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পিতার গৌরবজ্জ্বল জীবনের ডায়েরী থেকে আত্মজীবনীমূলক বই লিখে দাদা-দাদির উদ্দেশে উৎসর্গ করলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহবুবুর রহমান। ঈদের পরেরদিন পারিবারিক মিলন মেলা ঘটিয়ে বইয়ের মোড়কও উম্মোচন করলেন তিনি। তাঁর পিতার বড় পুত্রবধূ ও বড় মেয়েকে দিয়ে ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই উম্মোচন করা হলো বইটির মোড়ক। 

‘ডাঃ মুনসুর আহমেদ হাওলাদার, এক সাহস্য জীবনযোদ্ধার নাম’ শিরোনামের এ বইটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার দক্ষিণ বেতকাটা গ্রামের ডাঃ মুনসুর আহমেদের বর্ণাঢ্য জীবনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যে এমন বিশাল আয়োজন হতে পারে সেটিও নজিরবিহীন ইতিহাস রচনা করলো।

মরহুম ডাঃ মুনসুর আহমেদ প্রতিষ্ঠিত রামপালের দক্ষিণ বেতকাটার ‘ডাক্তার বাড়ি’তেই ঈদের পরের দিন(১এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয় বইটির মোড়ক উম্মোচনী অনুষ্ঠান। বইটির লেখক ও সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন, ডাঃ মুনসুর আহমেদ হাওলাদারের বড়পুত্রবধূ মাজেদা বেগম ও বেঁচে থাকা একমাত্র মেয়ে জয়নব বেগম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, মরহুম ডাঃ মুনসুর আহমেদ হাওলাদারের নাতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের। 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বইয়ের লেখক মোঃ মাহবুবুর রহমানের পুত্র, লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি অধ্যায়ণরত ব্যারিষ্টার মনজুর রাব্বি তনয়, ফাইবার অ্যাড. হোমের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা(সিএইচআরও) মোঃ মাসুদ রাব্বি, লেখকের ভাই অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মোঃ লুৎফর রহমান, শিক্ষক আব্দুস সালাম, আবুল কালাম, বনবিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, কলেজ শিক্ষক মোঃ আল মামুন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সাবেক নির্বাহী সদস্য এইচ এম আলাউদ্দিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের কোষাধ্যক্ষ মোঃ আজিজুর রমান মশিউর, মোড়েলগঞ্জের বহরবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ নাসির ফকির, কামরুজ্জামান সোহেল, শামসুজ্জামান সজিব, তৌহিদুল ইসলাম আকমলসহ পরিবারের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ এবং আত্মীয়-স্বজন।

উল্লেখ্য, প্রকাশিত বইটিতে মরহুম ডাঃ মুনসুর আহমেদের পারিবারিক জীবনের পাশাপাশি কয়েক প্রজন্মের ইতিহাস তুলে ধরা হয়। যার অধিকাংশই লেখকের অনুপ্রেরণায় তাঁর পিতা মৃত্যুর আগে ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। ২০০৪ সালের ৪ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হলে ডায়রী সংগ্রহ করে বই আকারে প্রকাশ করা হয়। বইটি ঢাকার নোলক প্রকাশনী প্রকাশ করেছে। প্রকাশক এম নন্দিনী খান।


আরও খবর

প্রিয় বন্ধু হবেন যেভাবে

মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫




ঢাকায় ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি, কিউলেক্সের যন্ত্রণা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ |

Image

শুকনো মৌসুমেও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি, স্থাপনায় পাওয়া যাচ্ছে এইডিস মশার লার্ভা, মিলছে পূর্ণ বয়স্ক মশাও।এ বছর প্রথম তিন মাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা মাথায় রেখে বর্ষার আগেই এইডিস মশার এই উপস্থিতিকে আশঙ্কাজনক বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

এজন্য মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

ঢাকার মিরপুরের লালকুঠি এলাকায় ২৪ মার্চ গিয়ে দেখা যায়, মশার ওষুধ ছিটাতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিল তিনজনের একটি দল। তাদের দুজন বিভিন্ন জায়গায় মশার লার্ভা খুঁজছিলেন, একজন ছিটাচ্ছিলেন ওষুধ।

তাদের মধ্যে যে দুজন লার্ভা খুঁজছিলেন তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণাগারের কর্মী। অন্যজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের মশক নিয়ন্ত্রণকর্মী।

মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার এই নগর সংস্থাটি নিয়মিত বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছে, এজন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে তাদের।

দলটির সঙ্গে লালকুঠির প্রথম কলোনির ১৫টি বাসায় গিয়ে ফেলে রাখা কলসি, পানি জমিয়ে রাখার ড্রাম এবং পানির মিটারে এইডিস মশার লার্ভা দেখা গেছে। ওইসব বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে, বেশিরভাগ পাত্রেই লার্ভা জমেছে তাদের অসচেতনতায়।

কলোনির একটি টিনশেড বাসায় থাকা বটগাছের নিচে একটি কলসি রাখা। দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় ওই কলসিতে পানি জমে আছে। আর তাতে জমে জন্মেছে এইডিস মশার লার্ভা।

সে বাসার একজন ভাড়াটিয়া বলেন, বাড়িওয়ালা বটগাছের নিচে ওই কলসি রেখেছেন। পরিষ্কার করা হয়নি হয়তো, এ কারণে মশা ডিম পাড়ছে হয়তো।

ওই কলোনির আরেকটি বাড়িতে পানি রাখার দুইটি ড্রামে এইডিস মশার লার্ভা পান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে আসা এই কর্মীরা। ওই বাড়ির মালিকের মেয়ে ডায়না আক্তার বলছিলেন, এলাকার লাইনে ঠিকমত পানি আসে না। এজন্য পানি জমিয়ে রাখতে হয়।

রাত ৩টা-৪টার দিকে পানি আাসে। প্রতিদিন বালতিতে পানি ভরি, থালাবাসন ধোয়ার কাজে তা ব্যবহার করি। পানি তো ঢাকনা দিয়ে রাখি। এরপরও মশা সেখানে ডিম পাড়ল কীভাবে বুঝতে পারছি না। ঢাকনা দিয়ে রাখলেও লার্ভা পাওয়া যায়

প্রথম কলোনির ২২৭/ডি নম্বর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির উঠানে রাখা একটি বড় বালতিতে পানি জমানো। পানি জমে আছে আরেকটি ছোট বালতিতেও। পরীক্ষা করে দুটি বালতিতেই এইডিস মশার লার্ভা পান জরিপে আসা কর্মীরা।

যাদের ঘরের বালতিতে লার্ভা পাওয়া গেছে তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি।

ওই বাড়ির আরেকটি বাসার বাসিন্দা হেনা বেগম বলেন, আমাদের বাসায় কোনো মোটর নাই, এজন্য টেনে পানি আনা যায় না। সাপ্লাইয়ের যে পানি আসে তা বালতিতে জমাইয়া রাখতে হয়। এ কারণে মনে হয় মশা ডিম পাড়ছে।

ওই এলাকায় মশার উপস্থিতি কেমন জানতে চাইলে মো. তরিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, বাসায় প্রচুর মশা। রাতে ঘুমাতে কষ্ট হয়। মশার কয়েল জ্বালাই, মশারি টানাই, তাও কামড়ায়, বেশি কামড়ায় বাচ্চাদের।

মশার গতিপ্রকৃতি, প্রজাতি বৈচিত্র, মৌসুমী অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ডিএনসিসি। মশা ধরার জন্য পাঁচটি অঞ্চলে ফাঁদ পাতা হয়েছে, যাকে ডিএনসিসি বলছে সেনটিনাল সাইট। একটি সাইটে লাইট ট্র্যাপ,এইডিস এক্স স্মার্ট ট্র্যাপ ও গ্র্যাভিড ট্র্যাপ- এই তিন ধরনের ফাঁদ থাকে।

লাইট ট্র্যাপে সব ধরনের পূর্ণবয়স্ক মশা ধরা হয়। এইডিস স্মার্ট ট্র্যাপে পূর্ণবয়স্ক এইডিস মশা এবং গ্র্যাভিড ট্র্যাপে এইডিস মশা ডিম পাড়ে, সেখান থেকে লার্ভা হয়।

প্রতি সাতদিন পর পর এসব ফাঁদ পরীক্ষা করা হয়। ফাঁদে পাওয়া মশার সংখ্যা গণনা করে ওই এলাকায় মশার উপস্থিতির একটি ধারণা নেওয়া হয়।

মিরপুরের লালকুঠি এলাকায় ডিএনসিসির ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারেও এই ফাঁদ বসানো হয়েছে।

২৪ মার্চ কমিউনিটি সেন্টারের ওই ফাঁদে মশা দেখতে যান মশক নিয়ন্ত্রণকর্মীরা। লাইট ট্র্যাপে শত শত মশা মরে আছে। আর এইডিস স্মার্ট ট্র্যাপে দুটি পূর্ণ বয়স্ক মশা পাওয়া গেছে। তবে গ্র্যাভিড ট্র্যাপে কোনো লার্ভা পাওয়া যায়নি। ফাঁদে কতগুলো মশা পাওয়া গেছে সে বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি তারা। তবে তারা জানান, সংখ্যাটি অনেক।

পরিস্থিতি কেমন

সোমবার লালকুঠি এলাকার প্রথম কলোনির ১৫টি বাড়ি পরিদর্শন করে পাঁচটি বাড়িতে ছয়টি পাত্রে মশার লার্ভা পান ডিএনসিসির কর্মীরা। হিসাব করে দেখা গেছে, এতে ওই এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ ও হাউজ ইনডেক্স ৩৩ দাঁড়ায়।

কোনো এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ২০ ও হাউজ ইনডেক্স ১০ এর বেশি হলে সেখানে মশার ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি আছে বলে ধরে নেন কীটতত্ত্ববিদরা।

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর আহমেদ বলেন, এটা খুবই হাইলি উপস্থিতি। সামনে বর্ষায় মশা আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে। গত বছর চিকুনগুনিয়ায় অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। এবারও ডেঙ্গুর পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ডিএনসিসির সঙ্গে চুক্তির থাকায় তারা জরিপের কোনো তথ্য দিতে পারবেন না। তথ্যের জন্য ডিএনসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

তবে কবিরুল বাশার বলেন, এখন বৃষ্টি নাই, এখন যদি ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ হয় বৃষ্টির সময় সেটা ৮০ হয়ে যাবে। মানে মশার উপস্থিতি থাকবে আশঙ্কাজনক।

এ কারণে বছরের শুরুতে বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই যদি আমরা এইডিস মশার প্রজননস্থল নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। তাহলে বর্ষা মৌসুমে মশার উপদ্রব কম হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী দাবি করেন, গত দেড় মাস ধরে এইডিস এবং কিউলেক্স- দুই ধরনের মশার উপস্থিতিই কমেছে। এ কারণে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও কমেছে।

কিছু কিছু পকেট এলাকায় বিশেষ করে উত্তরার কিছু এলাকায় কিউলেক্স মশা কিছুটা পাওয়া যাচ্ছে। মশা নিয়ন্ত্রণে আমরা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তারপরও মানুষের অসচেতনতায় কিছু এলাকায় মশা জন্মাচ্ছে। অনেক বাড়িতে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের কর্মীদের ঢুকতেই দেওয়া হয় না, সেখানে ওষুধ দিবে কীভাবে?

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, শনিবার পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হওয়া রোগীসহ চার মাসে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০২। তাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২০২৪ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের।

যন্ত্রণা দিচ্ছে কিউলেক্স মশা

ঢাকায় শীতের পর থেকে শুরু হয়েছে কিউলেক্স মশার উপদ্রব। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তারা অভিযোগ করেছেন, এই মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ তারা।

ডোবা-নালা পরিষ্কার না করা এবং মশার ওষুধ না ছিটানোর কারণে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়েছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।

ঢাকার ভাসানটেক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ভাসানটেক বস্তির মাঝখানের ঝিলটি কচুরিপানায় ভর্তি। এই জলাধার পরিষ্কার করা হয় না। তাই বদ্ধ পানিতে কিউলেক্স মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে।

ভাসানটেক বস্তির বাসিন্দা আহমেদ আলী বলেন, বিকাল থাইকা মশার অত্যাচার শুরু হয়। কোনো জায়গায় দাঁড়ানোর উপায় থাকে না। সারাক্ষণ কানের কাছে ভনভন করে।

মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকার গৃহিনী জেমমিন আক্তার বলেন, বিকেলেই বাসায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে দিই। রাতে ঘুমানোর আগে কয়েল নিভিয়ে মশার টানিয়ে নিই। কিন্তু তারপরও মশার হাত থেকে বাঁচার উপায় থাকে না। কোনো কারণে বাইরে বের হলেই ভেতরে মশা ঢুকে যায়। বাচ্চাটাকে কামড়ায় বেশি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মশার উপস্থিতি নিয়ে কোনো জরিপ করছে না। এ কারণে ওই এলাকায় বর্তমানে মশার পরিস্থিতি কী তা বোঝার উপায় নেই।

তবে গত বছরের নভেম্বর মাসে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় জরিপের ফলে দক্ষিণ সিটিতে মশার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে।

সে জরিপ অনুযায়ী, তখন দুই সিটি করপোরেশনের ৯৯টি ওয়ার্ডের ৫৬টি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ওয়ার্ড ছিল ৩৫টি; বাকি ২১টি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)।

আসছে বর্ষায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী প্রস্তুতি জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীন বলেন, কিউলেক্স মশার উপদ্রব কমে এসেছে। আর সামনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। আমরা সে অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করেছি। মশার ওষুধ ছিটানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি আমরা মানুষকে সচেতন করব।


আরও খবর



জনসমর্থন নেই-এমন কাজ করলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জনগণের সমর্থন নেই– এমন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, রাজনীতিতে ধীরে ধীরে অদৃশ্য শক্তি দৃশ্যমান হচ্ছে। ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্রকারীরাও সক্রিয় হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনসমর্থন নেই এমন কাজ দলের কেউ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার রংপুর বিভাগের তিন জেলা– লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এ কর্মশালা আয়োজন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটি।

তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারের ভয়ে কেউ যখন কথা বলতে সাহস পায়নি, তখন আওয়ামী লীগের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি। ৩১ দফা দেশ ও জাতির জন্য বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজনীতিবিদসহ পেশাজীবীরা এটি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবেন। যে কোনো মূল্যে আমাদের সুদৃঢ় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে ইস্পাত-দৃঢ় ঐক্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। না হলে সব অর্জন ব্যর্থ হবে।

তিনি বলেন, তিস্তা নদী নিয়ে বহু রাজনীতি হয়েছে। কিন্তু বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে এ দেশের মানুষের কষ্ট লাঘবের লক্ষ্যে। তিস্তা নদী ঘিরে প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবনে প্রভাব পড়ে। কখনও অতিরিক্ত পানি, কখনও পানির তীব্র সংকট। খালখনন ও নদীশাসন আমাদের করতে হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ সুবিধা এবং পানির সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে বিএনপি সরকার গঠনের সুযোগ পেলে এ কাজ যে কোনো মূল্যে শুরু করবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কৃষক যেন শুষ্ক মৌসুমে পানি ব্যবহার করতে পারে, বন্যার ক্ষতি থেকে মানুষ যেন রক্ষা পায়, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করব।

কর্মশালায় নেতাকর্মীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আয়তনে বড় না হলেও জনসংখ্যার ভিত্তিতে একটি বড় দেশ। এ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের রয়েছে আলাদা কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, যা আমাদের জাতিগত ঐতিহ্য। বিএনপি অতীতে ক্ষমতায় থাকাকালে সংস্কৃতি বিকাশে নানা উদ্যোগ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে, যাতে শিশুরা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

এর আগে সকালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে কর্মশালা উদ্বোধন করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সাবেক তিন সংসদ সদস্য– রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলি, শাম্মী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



চলছে আমের মৌসুম, কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাইরে এখন তীব্র রোদের আঁচ। সঙ্গে গা পোড়ানো গরম। বাজারে আসছে কাঁচা আম, দেখলেই যেন জিবে জল এসে যায়। গ্রীষ্মে কাঁচা আম সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারগুলোর মধ্যে একটি। এ সময় কাঁচা আমের এক গ্লাস শরবত সারা শরীরে এনে দিতে পারে প্রশান্তি

কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬ এবং ফোলেটের মতো অগণিত প্রয়োজনীয় ভিটামিন বিভিন্ন নিরাময়কারী উপকারিতা নিয়ে আসে। হজমের সমস্যা নিরাময়, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করা এবং ওজন কমানোর জন্য কাঁচা আম বেশ কার্যকরী। চলুন জেনে নেয়া যাক কাঁচা আম খাওয়ার কিছু অবাক করা উপকারিতার কথা-

১. তীব্র তাপ থেকে রক্ষা

ব্যায়ামের পরে এক গ্লাস কাঁচা আমের রস একটি দুর্দান্ত সতেজ পানীয়। এটি প্রচণ্ড তাপের প্রভাব কমায় এবং শরীরে সোডিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করে। গ্রীষ্মকালে যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থগুলো ঘামের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়, তাই কাঁচা আম শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য একটি আদর্শ খাবার হিসেবে কাজ করে।

২. হজমের সমস্যার চিকিৎসা করে

গ্রীষ্মকালে ক্রমবর্ধমান গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার চিকিৎসার জন্য কাঁচা আম একটি আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক প্রতিকার। এটি পাচক রসের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালাপোড়া, সকালের অসুস্থতা এবং বমি বমি ভাবের চিকিৎসা করে পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।

৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে

যারা ওজন কমাতে বা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করতে চান, তাদের জন্য এখন আদর্শ ফল কাঁচা আম। পাকা মিষ্টি আমের চেয়ে কাঁচা আমে চিনি কম থাকে বলে এটি ক্যালরি খরচে সহায়তা করে।

৪. হৃদরোগের চিকিৎসা

কাঁচা আমে থাকা প্রয়োজনীয় বি ভিটামিন নিয়াসিন এবং ফাইবার হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য দুর্দান্ত। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

৫. লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে

কাঁচা আম লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং লিভারের রোগের চিকিৎসার জন্য দুর্দান্ত। এটি পিত্ত অ্যাসিডের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে চর্বি শোষণ বৃদ্ধি করে।


আরও খবর

কখন কীভাবে দই খাবেন

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫

যে ভুলে কমছে না পেটের চর্বি

বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫




ইনজুরি থেকে ফিরেই দুর্দান্ত গোল মেসির

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চোটের কারণে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সর্বশেষ দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি লিওনেল মেসি। যদিও তার অনুপস্থিতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের জয় পেতে কোনো অসুবিধা হয়নি। চোট কাটিয়ে তিনি রবিবার (৩০ মার্চ) মাঠে ফিরলেন। ইন্টার মায়ামির হয়ে মাঠে নামার দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করলেন মেসি। যাতে ভর করে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নকে ২-১ গোলে হারাল ফ্লোরিডার ক্লাবটি।

এদিন ভোরে ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল হাভিয়ের মাশ্চেরানোর মায়ামি। ম্যাচে লড়াইটা ছিল প্রায় সমান সমান। যদিও আক্রমণের দিক থেকে এগিয়ে ছিল সফরকারী ফিলাডেলফিয়া। যদিও দুই অর্ধে দেওয়া একটি করে গোল করে মায়ামিকে লিড এনে দেন রবার্ট টেইলর ও মেসি। পরে শেষদিকে এক গোল করে ব্যবধান কমায় ফিলাডেলফিয়া।

দ্বিতীয়ার্ধের পর দশম মিনিটে মাঠে নামেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এরপর মিনিট দুয়েক পরই মেসি কাঙ্ক্ষিত গোলটি পেয়ে গেলেন। উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজের বাড়ানো বল ধরে তিনি প্রতিপক্ষ ফুটবলার ইয়ান গ্লাভিনোভিচকে কাটিয়ে ডান পায়ে শট নেন তিনি। মাটি কামড়ানো সেই শট লাফিয়ে নাগাল পাননি ফিলাডেলফিয়া গোলরক্ষক। আলবিসেলেস্তে তারকার গোলে মায়ামিও ম্যাচে দ্বিগুণ লিড নেয়।

এর আগে প্রথমার্ধের ২৩তম মিনিটে মায়ামিকে প্রথম লিড এনে দেন রবার্ট টেইলর। বাঁ প্রান্ত দিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে জর্দি আলবা জোরালো বল বাড়ান অপরপ্রান্তে থাকা বেঞ্জাকে, তার বাড়ানো বল এক স্পর্শে জালে জড়িয়েছেন টেইলর। সেই গোলের লিড নিয়েই মায়ামি বিরতিতে যায়। মেসি সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করলে ২-০ স্কোর নিয়েই ম্যাচ এগিয়ে যাচ্ছিল শেষের দিকে। ৮০ মিনিটে ড্যানিয়েল গ্যাজডাগ এক গোল করে স্বাগতিক মায়ামির উৎসবে বিরতি টানেন। তখন ম্যাচ জমে ওঠার ইঙ্গিত এলেও, আর কোনো রোমাঞ্চ জাগাতে পারেনি ফিলাডেলফিয়া।

এই জয়ে হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেল। ৫ ম্যাচে মায়ামির জয় ৪টি এবং বাকি ম্যাচ ড্র। দুইয়ে থাকা ফিলাডেলফিয়া এক ম্যাচ বেশি খেলে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে।


আরও খবর