Logo
শিরোনাম
মন্ত্রী পরিষদের নির্দেশ অমান্য

গজারিয়ায় পাউবো থ্রি-এঙ্গেলের কারসাজিতে খাল উদ্ধার হচ্ছে না।

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

মুহাম্মদ মাসুম খান: মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মেঘনা ও ফুলদী নদীর তীরে থ্রিএঙ্গেল শীপ ইয়ার্ড কোম্পানী বহুল আলোচিত এবং বিতর্কিত একটি কোম্পানী।

২০১০ সালে এই কোম্পানি নয়ানগর মৌজায়  জমি কেনার নাম করে প্রান্তিক শ্রেনীর জনগনের কৃষিজ জমি,বিল, হাওড়,খাস জমি, খাল এবং নদী দখল শুরু করে।

শুরু থেকেই এই কোম্পানীর কৃষিজ জমি, খাস জমি এবং খাল দখলের বিরুদ্ধে এলাকার জনগন বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ আন্দোলন করেছে, স্থানীয় এবং  প্রায় সব জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এই কোম্পানির অপকর্মের বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

একাত্তর,ইন্ডিপেন্ডেটস টিভি সহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশনে বিশদ প্রতিবেদন হয়েছে।  থ্রিএঙ্গেলের নানা অনিয়ম অপকর্মের কারনে তার আইপিও বাতিল করেছিল বিসিইসি। ২০১৯ সালে জাতীয় নদী কমিশন থ্রিএঙ্গেলকে মুন্সীগঞ্জ জেলার ১ নম্বর নদী দখলদার কোম্পানী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।

২০২০ সালে হাইকোর্টে কোম্পানির বিরুদ্ধে রিট করা হয় যে রিট পিটিশন নম্বরঃ 8768 of 2020। রিটে বলা হয় সংশ্লিষ্ঠ ১২ কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে নোটিশ দেয়া হয় যে,কেন  থ্রিএঙ্গেলের নদী,খাল,কৃষিজ জমি এবং খাস জমি দখলের বিরুদ্ধে একশন না নেয়া এবং এসব বন্দ না করা তাদের ব্যর্থতা বলে গন্য হবে না এবং আইনগত  ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না?

নোটিশে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জবাব দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল। ফলে সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন সময় থ্রিএঙ্গেলকে অবৈধ স্থাপনা বন্ধে চিঠি প্রদান ওতদন্ত করেন। কিন্তু থ্রিএঙ্গেল কোম্পানি এসবের কোন তোয়াক্কা না করে তাদের স্থাপনা চালিয়ে যায়। পরবর্তিতে সাংবাদিক,শিক্ষক,আইনজীবী এবং পরিবেশ  সচেতন বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের সম্বনয়ে নদী-খাল ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলা হয়।

তারা সামাজিক যোগাযোগের  মাধ্যমে থ্রিএঙ্গেলের নদী-খাল ও কৃষিজ জমি দখলের বিষয়টির ভয়াবহ পরিনতি সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করে তুলেন। নখাপরক এর সভাপতি বিশিষ্ঠ আলোকচিত্র সাংবাদিক, গবেষক সাহাদাত পারভেজের তোলা একটি ছবি দিয়ে,"মেঘনা-ফুলদীর বুকে কারখান " শীর্ষক একটি বিশদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়  দেশ রুপান্তর পত্রিকায় ২৮ জুলাই ২০২১ সালে।

পরবর্তিতে ২ আগস্ট মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়কে চিঠি দেয় তদন্ত করার জন্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন তদন্ত করে। ২০ অক্টোবর প্রশাসন নদী, খাল ও সরকারের খাসজমি দখলের অভিযোগের সত্যতা পায়নি বলে প্রতিবেদন জমা দেয়।

এরপর ১৬ নভেম্বর দেশ রুপান্তর, ডেইলি স্টার সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায়" দেখল না ‘অন্ধ’ প্রশাসন” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে মন্ত্রিপরিষদ ফের তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। তার প্রেক্ষিতে ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখে কমিটি সরেজমিন গিয়ে দুটি খাল ভরাটের সত্যতা পায় এবং সাংবাদিক,কৃষক এবং জনতার সামনে স্বিকার করেন যে থ্রিএঙ্গেল কোম্পানি দুটি খাল দখল করেছে তবে নদী দখল হয়নি। যদিও নদী কমিশন, জেলা প্রশাসন ২০১৯ সালে থ্রিএঙ্গেলকে ১নম্বর নদী দখলদার হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন। 

তবে পরিবেশকর্মী ও আইন বিশেষজ্ঞরা সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে করা কমিটির বিরোধিতা করেছেন। তারা ফুলদী ও মেঘনা নদী দখলমুক্ত করতে দ্রুত একটি বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তাদের যুক্তি, যেখান দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হয় সেটাই নদী। সরকারের রেকর্ডপত্রে কী আছে, তা বিবেচ্য নয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান সরকারের উপসচিব মোহাম্মদ এনামুল আহসান বলেন, ‘নয়ানগর মৌজায় দুটি খাল থ্রিএঙ্গেল মেরিন দখল করেছে। এ দুটি খাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে উদ্ধার করা হবে।’ পরবর্তীতে থ্রিএঙ্গেলের দখলকৃত জায়গায় জেলা প্রশাসন সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেয় যাতে লিখা হয়" এই জমির মালিক জেলা প্রশাসন" 

কিন্তু অদ্যাবধি কেন ৩০০ বছরের পুরানো জীবন্ত খাল দুটি উদ্ধার করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয় নি। মুন্সিগঞ্জ উপ বিভাগ,পানি উন্নয়ন বোর্ডের  প্রকৌশলী রাকিব এবং কতিপয় কর্মকর্তা থ্রিএঙ্গেলের সাথে কারসাজি করে এই খনন প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছেন বলে গোপন সূত্র থেকে জানা যায়।

এদিকে এলাকায় ভুক্তভোগী কৃষক জমি হারিয়ে নিস্ব হওয়াসহ,খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এলাকার জীব বৈচিত্র মারাত্মক ভাবে নষ্ট হচ্ছে, কৃষিক সংস্কৃতি বিলীন হয়ে যাচ্ছে,ফুলদী নদীর মুখ সরু হয়ে গেছে,ফুলদী নদীর নাব্যতা কমে গেছে। ফলশ্রুতিতে পুরো গজারিয়া উপজেলার সকল  খালগুলি শুকিয়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ পরিনতির দিকে এগুচ্ছে সুজলা সুফলা ফুলদী এবং মেঘনা নদীর জল ধারায় সিক্ত গজারিয়া উপজেলা।

উল্লেখ্য বর্তমান সরকার নদী-খাল রক্ষায় অত্যন্ত কঠোর। অতিসম্প্রতি ঢাকার মুহাম্মদ্দপুরে বসিলা খাল সহ সারাদেশ ব্যাপী দখলকৃত অনেক  নদী-খাল উদ্ধার করা হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে থ্রিএঙ্গেলের দখলকৃত  গজারিয়ার ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বোরোচক, কুমোরিয়া খাল দুটি কেন উদ্ধার হবে না? শান্তিপ্রিয় নিরীহ  এলাকাবাসীর মধ্যে থ্রিএঙ্গেলের বিরুদ্ধে  চরম ক্ষোভ জমে উঠছে ক্রমশ।

নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় এলাকার পরিবেশ বাচাতে সচেতন মানুষের নেতৃত্বে আপামর জনগন  যে কোন সময় কঠোর আন্দোলন দিতে বাধ্য হবে।


আরও খবর



স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। রাজধানী ঢাকাও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২২৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৭৬, তৃতীয় অবস্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের স্কোর ১৬৩ আর ১৫৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



জুনের মধ্যে প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকে আজ তিন ধাপে পরীক্ষা নেওয়া শেষ হচ্ছে। প্রথম ধাপে যারা পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতও করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফলও কিছু দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। এরপর শেষ ধাপের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে দ্রুত শেষ করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, লিখিত, মৌখিক পরীক্ষাসহ প্রতিটি পর্যায়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেধাবীদের নিয়োগ দেবো আমরা। আশা করছি, জুন মাসের মধ্যেই ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ শেষ হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রুমানা আলী বলেন, কোনো আবেদনকারী যেন প্রতারণার শিকার না হয়, সে জন্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। পরীক্ষার্থীরা সবাই সুশৃঙ্খল পরিবেশেই পরীক্ষা দিচ্ছেন। দ্রুত তারা ফলাফলও পাবেন।

প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এসময় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের ১৮ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে আবেদন করেন দুই বিভাগের তিন লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন। তবে আজকের পরীক্ষায় ঠিক কতজন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন, সেই হিসাব এখনো জানায়নি মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।


আরও খবর



আত্রাইয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার কাশিয়া বাড়ী বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে প্রায় অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আত্রাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন কুমার দাসকে সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

নওগাঁ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান বলেন,রক্তদহ লোহাচুড়া বিলের পানি আত্রাই গুড় নদীতে নিস্কাশন প্রকল্পের আওতায় কাশিয়াবাড়ী বাজার ¯øুইচ গেট এলাকায় জমি অধিগ্রহন করা হয়। অধিগ্রহনকৃত জমিতে স্থানীয়রা অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন দোকানপাঠসহ অবকাঠামো গড়ে তোলেন। জমি দখল মুক্ত করতে কয়েক বছর ধরে নোটিশ দিয়েও কোন লাভ হয়নি। চলতি মাসে আরো দুই দফা নোটিশ দিয়ে এবং বুধবার মাইকিংয়ের মাধ্যমে দখল মুক্ত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও দখলদাররা সরে না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত  ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রায় অর্ধশত দোকানপাঠসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানে অন্যদের মধ্যে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হায়দর আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আত্রাই থানাপুলিশ অংশ নেয়।


আরও খবর



সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ অবস্থায় সারাদেশে ৩ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জারির কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়- দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়।

এছাড়া সারা দেশে হিট আল্যার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, আজ চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চু্য়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়।

চু্য়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় অতিষ্ঠ এ অঞ্চলের জনজীবন।

প্রচণ্ড তাপদাহে এ অঞ্চলের হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। অসহনীয় গরমে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছে না তারা।

তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।


আরও খবর



কৃষি প্রতিবেশ বিদ্যা চর্চা দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক বিষয়ে কর্মশালা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনায় কৃষিপ্রতিবেশ,জলবায়ু ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব পরিস্থিতির উপর অনলাইন ও নাগরিক সাংবাদিক নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।


গত ২৭-২৮ মার্চ জেলার আটপাড়া উপজেলার রামেশ্বরপুরে বারসিক নেত্রকোনা রিসোর্স সেন্টারে গ্লোবাল গ্রীন গ্রান্ডস ফান্ড ইউ এস এ আর্থিক সহযোগিতায় দুইদিন ব্যাপ্তী এই কর্মশালার আয়োজন করে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক।


নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া,আটপাড়া,নেত্রকোনা সদর,মোহনগঞ্জ,কলমাকান্দা,পূর্বধলা ও মদন উপজেলার  ২৫ জন সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সহায়কের ভূমিকা পালন করেন প্রাণবৈচিত্র্য ও খাদ্যনিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক,

সৈয়দ আলী বিশ্বাস এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বারসিক নেত্রকোনার আঞ্চলিক সমন্বয়কারী অহিদুর রহমান।


কর্মশালায় সাংবাদিকরা নিজ এলাকার কৃষি,পরিবেশ,ফসলবৈচিত্র্য,নদী,হাওর,জলাধার,গাছ,মাছ,প্রাণিসম্পদ, মাটি,পানি,বায়ু, বর্তমান পরিস্থিতি ও অতীতের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। সহায়ক সৈয়দ আলী বিশ্বাস কৃষি প্রতিবেশবিদ্যা, জলবায়ূ ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব বিষয়ে আলোচনার পর অংশ্রহণকারীরা নেত্রকোনা  অঞ্চলের কৃষিপ্রতিবেশ অবক্ষয়ের বিষয়টি তুলে ধরেন। 


আলোচনায়‘এগ্রোইকোলজি’ বা কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা হলো বিজ্ঞান, নীতি—দর্শন, অনুশীলন—চচার্ এবং জনআন্দোলনের বিষয়,জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নেত্রকোনা অঞ্চলে দুর্যোগ,কৃষি ফসলের ক্ষেত্রে সংকট,বৈচিত্র্যতা কমে যাওয়াসহ প্রকৃতিগত বিপর্যয়   বিষয়গুলো উঠে আসে। টেকসই খাদ্যব্যবস্থা রূপান্তরের জন্য উপযোগী কাঠামোকে বুঝতে সহায়তা করে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা। কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা সামাজিক ও রাজনৈতিক মাত্রাগুলোকে সন্নিবেশন করে আঞ্চলিক খাদ্যব্যবস্থার সুশাসনকে নিশ্চিত করে, যা খাদ্য সার্বভৌমত্বের আন্দোলনকে বেগবান করার কথা আলোচনায় উঠে আসে।


আলোচনায় যেসব বিষয় ওঠে আসে তা হলো, প্রান্তিক কৃষকদের অধিকার  সুরক্ষা, কৃষকের স্থানীয় বীজসম্পদ সংরক্ষণ, কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা, জৈবকৃষি চর্চা, ভূ গর্ভের পানির ব্যবহার কমিয়ে আনা, ফসলবৈচিত্র্য বৃদ্ধি করা, জৈবকৃষি চর্চাকে সম্প্রসারণ, কৃষকের মাঝে সচেতনতা তৈরী, জলাধার গুলোকে খনন ও সুরক্ষা করা, জনআন্দোলন শুরু করা, মাটিকে ভালো রাখার জন্য, জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করা।


সংবাদকর্মীরা নিজ নিজ এলাকার পরিবেশ প্রকৃতি,কৃষি,জলাভূমি, বিল গাছ,মাছ,মাটি পানি বায়ুর সংকটগুলো তুলে আনেন এবং প্রত্যেকেই এলাকার বিষয়গুলো প্রতিবেদন আকারে লিখে উপস্থাপন করেন। এলাকার পরিবেশগত সংকটগুলো সমাধান করলে ও চর্চা করলে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা সুরক্ষিত হবে। কৃষিপ্রতিবেশ সুরক্ষিত হবে বাস্তুতন্ত্র ঠিক থাকবে এবং  কৃষকের খাদ্যসার্বভৌমত্বও নিশ্চিত হবে। 


আরও খবর