Logo
শিরোনাম

গজারিয়ায় পরিবেশ আইন অমান্য করায় ২ ইট ভাটাকে ৯ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

জুয়েল দেওয়ান :- মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পরিবেশ আইন অমান্য করায় ২ ইট ভাটাকে ৯ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতাধীন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব শহিদুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত উপজেলার বড় ভাটের চর ও মধ্য ভাটের চর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় ও ইট পোড়ানো লাইসেন্স না থাকা এবং জেলা প্রশাসকের অনুমোদন ব্যতিত ইট তৈরির জন্য ইটভাটায় মাটি সংগ্রহ করায় মেসার্স কুতুবিয়া ব্রিকস নামের ইটভাটাকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন( নিয়ন্রন) আইন এর ২০১৩ এর ১৪ ও ১৫ ধারায় ৭ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন পরিবেশের মোবাইল কোর্ট পরিচালিত স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব শহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও একই অভিযানে মেসার্স এনএনএম ব্রিকস ফিলকে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ব্যতীত ইট পোড়ানো দায়ে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ( নিয়ন্ত্রণ) আইনের ২০১৩ এর ১৫(খ) ও ৫ ধারা লঙ্ঘন করায় ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করেন পরিবেশের স্পেশাল মোবাইল কোর্ট পরিচালিত বিচারক।

এ সময় প্রতিষ্ঠান দুটি জরিমানা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মেসার্স কুতুবিয়া ব্রিকস এর ম্যানেজার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও মেসার্স এনএন এম ব্রিকস ফিল্ড এর মালিক বেগম নাজমুন নাহারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির করার নির্দেশ দেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশের অপর স্পেশাল ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মিজানুর রহমান ও সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ সানোয়ার হোসেন এবং গজারিয়া থানা ও পুলিশ লাইনের দুটি পুলিশ দল।

এ ব্যাপারে পরিবেশের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারি মোঃ জাকির হোসেন জানান, পরিবেশের ছাড়পত্র নবায়ন না থাকায় ও জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া ইট পোড়ানোর দায়ে দুই ইট ভাটা কে ৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন পরিবেশের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়।


আরও খবর



হাসিনার শাসনামল ছিল স্বৈরতন্ত্র,দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকারভিত্তিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোপুরি সক্রিয় হতে পারেনি। পুলিশের নীতি-নির্ধারক পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা সরকার পতনের পর থেকে এখনও কাজে যোগ দেননি।

পুলিশের যথাযথ সক্রিয়তার অভাবে বাংলাদেশের সর্বত্র সব সবধরনের অপরাধ বাড়ছে, গোষ্ঠীবদ্ধ অপরাধও (গ্যাং ক্রাইম) বাড়ছে ব্যাপক হারে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনূসের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থী-জনতার ব্যাপক অভ্যুত্থানের মুখে টিকতে না পেরে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা; এখনও সেখানেই আছেন তিনি।

তার বিদায়ের মধ্যে দিয়ে পতন ঘটে বাংলাাদেশে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের। হাসিনার দেশত্যাগের ৩ দিন পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন বিশ্বখ্যাত বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস, যিনি ‘দরিদ্রদের স্বাবলম্বী করতে ক্ষুদ্রঋণ’ প্রকল্পের ধারণা আবিষ্কার ও প্রয়োগের জন্য ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল জয় করেছেন।

৮ আগস্ট যখন তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন, তখনও অভ্যুত্থানের ধকলে বিবর্ণ বাংলাদেশ। সড়ক-মহাসড়ক রক্তে ভেজা; হাসপাতালের মর্গে পড়েছিল ১ হাজারের বেশি মানুষের লাশ, যারা শেখ হাসিনার নেত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে জীবন দিয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তারপরও বরাবরই তাকে রাজনৈতিক হুমকি বলে মনে করতেন শেখ হাসিনা। এ কারণে বছরের পর বছর ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের হয়রানি-অপমান-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। গত ১৫ বছরের বেশিরভাগ সময়ই অবশ্য বাংলাদেশের বাইরেই কাটিয়েছেন ইউনূস।

কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা যখন তাকে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হওয়ার আর্জি জানান, তিনি তাতে সম্মতি জানান। ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বিগত ১৫ বছরে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা বিশাল এবং অভূতপূর্ব। বিগত সরকার দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে। বাংলাদেশ এখন আরেকটি গাজা। বিগত সরকার এই দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান, নীতি, জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে ধ্বংস করে ফেলেছে।

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের শাসনামল ছিল স্বৈরতন্ত্র, সহিংসতা এবং দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ। বিশেষ করে শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থান দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে যে ১ হাজার ৪ শতাধিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে, সেজন্য জাতিসংঘও তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করেছে। হাসিনা অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।

মুহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার পর অনেকেই আশা করেছিলেন, বাংলাদেশে একটি নতুন যুগের সূচনা ঘটতে চলেছে। কিন্তু আজ ছয় মাস পর আপনি যদি ঢাকার সড়কে হাঁটেন, তাহলে অনুভব করবেন যে দেশটি ফের খাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশে যদিও ইউনূসের প্রতি ব্যাপক শ্রদ্ধা ও গ্রহণযোগ্যতা এখন পর্যন্ত রয়েছে, কিন্তু সেই সঙ্গে এও সত্য যে অপরাধ দমন ও শান্তি রক্ষায় তার নেতৃত্বাধীন সরকারের ক্ষমতা নিয়ে ওঠা প্রশ্ন দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।

এর একটি বড় কারণ, শেখ হাসিনার শাসনামলে যারা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ ও নীতি নির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তা ছিলেন, তাদের মধ্যে কয়েকজন ধরা পড়েছেন এবং বাকিরা সবাই আত্মগোপনে আছেন। ফলে সার্বিক চেইন অব কমান্ডে একধরনের ফাঁকা ভাব বা শূন্যতা দেখা দিয়েছে, যা নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির জন্য দায়ী। ঢাকার রাস্তাঘাটে ব্যাপকভাবে বাড়ছে সংঘবদ্ধ অপরাধ বা গ্যাং তৎপরতা। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বর্তমানে নবগঠিত রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) প্রধান নাহিদ ইসলাম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘‘বর্তমানে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবস্থা, তাতে শিগগিরই একটি অবাধ ও মুক্ত নির্বাচন হওয়া অসম্ভব।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্ক্ষলা রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘‘দেশ নৈরাজ্যের দিকে চলছে’’ এবং যদি এটি অব্যাহত থাকে, তাহলে বাংলাদেশের ‘‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংকটের মুখে পড়বে।

গার্ডিয়ানকে অবশ্য ইউনূস বলেছেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ‘খুবই ভালো’ এবং সেনাপ্রধানের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত তার কাছে ‘কোনো চাপ আসেনি।


আরও খবর



বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। অন্যদিকে ভারতের দিল্লি রয়েছে দ্বিতীয় নম্বরে। ১৮ মার্চ সকাল ৮টা ২১ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

দূষণ তালিকায় শীর্ষে থাকা ঢাকার স্কোর ১৮২ অর্থাৎ ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দিল্লির দূষণ স্কোর ১৭৭ অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে সেখানকার বায়ু।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ। এই শহরের দূষণ স্কোর ১৭৬ অর্থাৎ সেখানকার বাতাসও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

তৃতীয় নম্বরে রয়েছে উগান্ডার কামপালা। শহরটির স্কোর ১৬১ অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে সেখানকার বাতাসও।


আরও খবর

তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫




গোলার বাজার টু যাত্রাবাড়ি, বাস সার্ভিসের বৈষম্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক :

পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে সকাল ৭টার পর নড়িয়ার গোলার বাজার থেকে প্রতিদিন শুধু মাত্র একটি বাস ছেড়ে যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে। এতে আশেপাশের ঢাকাগামী মানুষের যাতায়াতের স্বস্তি ফিরে এসেছিল কিন্তু এখানেও নিয়মিত চলছে বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতি। আমি এর মধ্যে একদিন সকাল ৬টার পর পরই বাসে গিয়ে উঠলাম যেন সামনের সিট পাওয়া যায়, সে আশায় ঘন্টাখানেক আগেই গেলাম কিন্তু দেখলাম ভিন্ন চিত্র। পুরো বাস ফাঁকা তিনজন যাত্রী দেখতে পেলাম তাও তারা পিছনের সিটে, সামনে সব গুলো ফাঁকা, বসতে চাইলেও বসতে দিলো না জাহাঙ্গীর নামক এক হেলপার নাকি কন্ট্রাকদার বুঝিনি। তবে চেহারা চিনি সব আমলেই দৌরাত্ম্য তার গাড়ি ব্যবসায়। যাইহোক বসতে না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলে লোক আছে, পিছনে একটা সিট ছিলো কোনরকম বসে পরলাম, অপেক্ষায় ৭.১০ বেজে গেলো, ছবিটি এ সময়েই তোলা। এর মধ্যে অনেক লোক আসলো কিন্তু তাদের ফিরিয়ে দিলো যায়গা নেই বলে। সবাই হতাশ আর মন খারাপ করে চলে গেলো। কেউ কেউ আমার মতোই কারণ জেনে চুপ হয়ে গেলো। ৭ টা ২০ মিনিটে হুট করে দেখি আগে থেকে হাসপাতালের মতো বুকিং দেওয়া লোকজনে বাস ভরে গেলো এবং ছেড়ে গেলো। 

যাইহোক ঘটে যাওয়া বৈষম্য বললাম।  এমন ঘটনায় আমি যা দেখতে পেলাম তা অনেকের কাছে ভালো নাও লাগতে পারে। গোলার বাজার, আশেপাশের দুটি ইউনিয়নের মানুষের বসবাস, এখানে সবাই মিলেমিশে বসবাস করে, সবাই সবার পরিচিত কিন্তু বাস সার্ভিস যদি পরিচিতদের মধ্যে ভিআইপি তৈরি করে দেয় সেখানে বিভেদ সৃষ্টি হয়। যারা নিয়মিত ঢাকাগামী তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়, সময় মতো বাসে গিয়ে কেও সিট না পাওয়া কিংবা ফিরিয়ে দেওয়া সেসব মানুষজন আর এ বাসে যাওয়ার জন্য আসবে না তারা পূর্বের হাল ই বেছে নিবে। নিয়মিত যাত্রীবাহী বাস কখনো আগে থেকেই বুকিং হয়ে থাকে না এতে জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানকার সাধারণ যাত্রী। 

পরিশেষে- যারা এখানকার মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে এ বাসটি চালু করেছেন তারা বিষয়টি দ্রুত সমাধান করবেন বলে আশাবাদী।  

নিয়ম করা যায়-আগে থেকে কোন বুকিং নয় সময়মতো বাস ছাড়বে সে অনুযায়ী যে যেখানে ফাঁকা পাবে সেখানে বসবে। বাস ভরে গেলো ছেড়ে যাবে। এতে সকলেই সুবিধাভোগ করগে পারবে বৈষম্য দুর হবে।


আরও খবর



বুধবার থেকে ৬৪ জেলায় ট্রাকে মিলবে টিসিবির পণ্য

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করতে বুধবার (৫ মার্চ) থেকে ৬৪ জেলায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

ইতোমধ্যে এ কার্যক্রম ছয় জেলায় চলমান আছে। নতুন করে ৫৬ জেলায় কার্যক্রম যুক্ত হবে।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এক কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দিতে চায় সরকার। সে ক্ষেত্রে প্রকৃত উপকারভোগী বাছাইয়ে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা রাখতে হবে। আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে সব উপকারভোগীকে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ৫৭ লাখ উপকারভোগী স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য পাবে। যাদের এখনো স্মার্টকার্ডের কার্যক্রম শেষ হয়নি, কিন্তু তালিকায় নাম আছে তারাও পণ্য পাবে। এছাড়া ৬৪ জেলায় ট্রাকসেলের মাধ্যমে সর্বসাধারণের মাঝে আগামী ৫ মার্চ থেকে পণ্য বিক্রি করা হবে।

তিনি বলেন, রমজানে কেউ যেন মজুতদারি করতে না পারে জেলা প্রশাসকদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একই সঙ্গে ভোক্তারা যেন পুরো মাসের বাজার একসঙ্গে না করে সে বিষয়েও অনুপ্রাণিত করতে হবে। পুরো মাস বা সাতদিনের পণ্য একসঙ্গে কিনলে সরবারহ সংকটে কেউ কেউ দাম বাড়িয়ে নেয়।

তিনি বলেন, আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কারো প্রতি জুলুম করা হবে না, তবে কেউ জুলুম করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এ সময় অন্যায় প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের সর্বশক্তি নিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একদম প্রাথমিক ধাপ টিসিবির মতো সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপকারভোগী নির্বাচন করা। এটি নিশ্চিত করতে পারলে মানুষের মধ্যে আপনাদের (জেলা প্রশাসকদের) গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। মানুষ আপনাদের সম্মান দেবে।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান, টিসিবি চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ভার্চুয়ালি অংশ নেন।


আরও খবর



রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান :

ঝালকাঠির রাজাপুরের (রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবের হলরুমে ১০ ই মার্চ সন্ধ্যায় রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবের সকল সদস্যদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহিম রেজা , সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক নয়া দিগন্তের রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি এনামুল হক, সহ-সভাপতি ও জাগো নিউজ ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি আতিকুর রহমান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক দৈনিক সরকার এর জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম, এখন টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আল আমিন, দৈনিক নিউজ ২৪ টেলিভিশনের এর জেলা প্রতিনিধি রেজাউল করীম, বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি আবু সায়েম আকন, দৈনিক বিবিসি নিউজ এর জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সিকদার, ৭১ বাংলার খলিলুর রহমান, দ্যা ডেইলি অবজারভার এর জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম রাব্বি, দৈনিক অগ্রযাত্রার সহবার্তা সম্পাদক নবীন মাহমুদ, দৈনিক মফস্বল বার্তার রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি ইয়াসিন খান, বিডি টুডেস এর রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান, ফেইস দ্যা পিপল এর জেলা প্রতিনিধি সাজ্জাত বিশ্বাস প্রমুখ।


আরও খবর