Logo
শিরোনাম
গজারিয়ায় উদ্ধারকৃত মর্টাল শেলের অপরিকল্পিত বিস্ফোরণ!

কেঁপে উঠলো গোটা গ্রাম,ক্ষতিগ্রস্থ অর্ধশত বসতবাড়ি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি :

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আড়ালিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করা মর্টার শেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এতে বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশের ৫০-৬০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তীব্র শব্দে মারা গেছে তিনটি গরু। এঘটনায় স্থানীয় লোকজন চড়াও হয় পুলিশ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর।জানা যায়, মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করতে বিকাল থেকে কাজ শুরু করে পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। রাত ৭টা ৫৬ মিনিটে মর্টার শেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতোটাই বেশী ছিল যাতে গ্রামটির অর্ধশত ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণে সেলিম, হারেস, রশিদ, রফিজ, রেনু মিস্ত্রী, ফরিদ হোসেন, আব্দুল হান্নান, মানিক মিয়া, জলিল, মুক্তার হোসেন, আব্দুল গাফফার, সেলিম মিয়া, বারেকের বাড়িসহ গ্রামটির অর্ধশত বাড়ি ঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তীব্র শব্দ আশিক নামে এক চাষীর ৩টি গরুসহ মোট ১৭টি গবাদি পশু মারা গেছে।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চা দোকানী আব্দুর রশিদ বলেন, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটা বেশি ছিল, প্রায় তিনশ মিটার দূরের আমার দোকানের প্রায় সব কিছু উড়ে যায়। শুধু আমার নয় আশপাশের অন্তত ৫০-৬০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মসজিদ ও বিল্ডিং-এ ফাটল ধরেছে। তীব্র শব্দে মারা গেছে গোয়ালে থাকা গরু বাছুর।ঘটনাস্থলের চার কিলোমিটার দূরে বালুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা তানিয়া আক্তার বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ঠিক ৭টা ৫৬ মিনিটে আমরা তীব্র ঝাকুনি অনুভব করি। প্রথমে বিষয়টিকে আমরা ভূমিকম্প ভাবলেও পরে জানতে পারি আড়ালিয়া গ্রামের উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনার পর স্থানীয়দের জনরোষে পড়ে পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীরা। গণমাধ্যমকর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে স্থানীয় কয়েকজন।বিষয়টি সম্পর্কে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার গজারিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল বলেন, মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটানোর পরে আশেপাশের বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। এই ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা আমাদের ওপর চড়াও হয়। কেন আমরা বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যদের মর্টার শেলটি দূরে কোথাও নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে বললাম না সেজন্য তারা আমাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করায় আশেপাশের কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে, সেনাবাহিনী সেখানে যাচ্ছে। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, বিস্তারিত পরে জানাবো।

উল্লেখ্য, সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন হানিফের কৃষি জমিতে মাটি কেটে আইল বানাতে গিয়ে একটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা এটিকে প্রথমে সীমানা পিলার মনে করলেও পরবর্তীতে পুলিশ জানায় এটি একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল।


আরও খবর



ভারতের পশ্চিম সীমান্তজুড়ে হামলা চালাল পাকিস্তান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ড্রোন ও অন্য গোলাবারুদ ব্যবহার করে ভারতের পুরো পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে একাধিক হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এসব হামলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ভারতীয় সেনাবাহিনী এ দাবি করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী আরো বলেছে, ড্রোন হামলাগুলো সফলভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল রাতে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মু অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। রয়টার্সের এক সাংবাদিক বলেন, বিস্ফোরণের সময় চারপাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। শহরে শোনা যায় সাইরেনের শব্দ। এ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকা। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

তবে পাকিস্তানই এ হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ করছে ভারতের সামরিক বাহিনী। এ বাহিনীর একটি সূত্র বলেছে, পাকিস্তান থেকে জম্মু অঞ্চলের সাতওয়ারি, সাম্বা, রণবীর সিং পুরা ও আরনিয়া এলাকা লক্ষ্য করে আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগে সেগুলো ধ্বংস করেছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা।


আরও খবর



ঝিলাম নদীর পানি বেড়ে কাশ্মীরে বন্যা

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় প্রতিবেশী পাকিস্তানের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছে ভারত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে, বাড়ছে যুদ্ধের শঙ্কা। এর মধ্যেই পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের প্রধান নদী ঝিলমে অস্বাভাবিক পানির প্রবাহ হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

আজাদ কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদের বিভাগীয় প্রশাসন শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জানায়, ভারত কর্তৃক ঝিলম নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানি ছাড়ার কারণে এই আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।

মুজাফ্ফরাবাদ প্রশাসনের মুখপাত্র বলেন, “ঝিলম নদীতে ভারত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানি ছাড়ায় মাঝারি মাত্রার বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।” খবর আনাদোলু এজেন্সির।

পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘দুনিয়া নিউজ’ জানায়, ইসলামাবাদকে না জানিয়েই ভারত বিপুল নদীর পানি ছেড়েছে। এর ফলে দ্রুত ঝিলম নদীর পানি বৃদ্ধি পায় এবং বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। বন্যার বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মসজিদ থেকে মাইকিং করা হয়েছে, যা নদী তীরবর্তী এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এই নদীর পানি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের অনন্তনাগ হয়ে পাকিস্তানের চাকোঠি দিয়ে প্রবেশ করছে।

উল্লেখ্য, ঝিলম নদী সিন্ধু নদের একটি উপনদী। এর আগে, ভারত পাকিস্তানের সাথে সিন্ধু নদের জলবন্টন চুক্তি স্থগিত করে এবং পাকিস্তানকে সিন্ধুর এক ফোঁটাও জল না দেওয়ার হুমকি দেয়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান জানায়, সিন্ধুর জলপ্রবাহ আটকানোর যেকোনো চেষ্টা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হিসেবে গণ্য করা হবে এবং সেই অনুযায়ী সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সিন্ধু দিয়ে হয় পানি প্রবাহিত হবে, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে। দুই দেশের মধ্যে এই বাগযুদ্ধ ও সীমান্ত পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।


আরও খবর



নওগাঁয় কাজীর ভেলকিবাজি, এক বিয়ের দুই নিকাহনামা মোহরানাও আলাদা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরে কাজীর ভেলকিবাজি।এক বিয়ের দুই নিকাহনামা মোহরানাও আলাদা।

বিয়ের সময় এক মোহরানা ও বিচ্ছেদের পর অর্থের বিনিময়ে আরেক মোহরানার নিকাহনামা দিয়ে প্রতারণা করে আসছে বেলাল হোসাইন নামের এক কাজী। কাজীর এই ধরণের প্রতারণা মূলক কাজে প্রতারিত হয়ে অনেকেই আইনের আশ্রয়ে গেলে প্রভাবশালী কাজী বেলালের অর্থের দৌরাত্মের কাছে নায্য বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। রাণীনগর উপজেলার পশ্চিম বালুভরা গ্রামের মৃত মনির উদ্দীনের ছেলে মহিদুল ইসলামের লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে প্রয়াত এমপি ইসরাফিল আলমের শাসনামলে রাণীনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাজী বেলাল হোসাইনের এমন প্রতারণা মূলক কর্মকান্ড। শুধু মহিদুল ইসলামই নয় আরও অনেক লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে আলোচিত কাজী বেলাল হোসাইনের নতুন ও পুরাতন নানা অবৈধ কর্মকান্ডের কাহিনী বেরিয়ে আসছে। উপজেলার পশ্চিম বালুভরা গ্রামের মৃত মনির উদ্দীনের ছেলে মহিদুল ইসলাম বলেন, কাজী বেলাল হোসাইন উপজেলার ২নং কাশিমপুর ইউনিয়নের কাজী হলেও সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বাল্যবিবাহ নিবন্ধন করে। সে অর্থের বিনিময়ে বিবাহ নিবন্ধনকালিন সময়ে মোহরানা বৃদ্ধি করেন। অনেক ক্ষেত্রে একই বিবাহ বিনা কারণে শুধুমাত্র মোহরানা বৃদ্ধির জন্য অর্থের লোভে একাধিকবার নিবন্ধন করেন।

তিনি আরো জানান, গত ২০২৪ সালের মার্চ মাসের ০৭ তারিখে তার ভাগিনা নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার গালিমপুর গ্রামের সামছুল প্রামাণিকের ছেলে আনিসুর রহমানের সাথে রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের কাটরাশইন গ্রামের শাহানাজ মেম্বারের মেয়ের ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মোহরানায় বিবাহ নিবন্ধন করেন কাজী বেলাল হোসাইন। বিবাহের কয়েক মাস পর বিচ্ছেদের সময় কাজী বেলালের নিবন্ধন করা ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা মোহরানার বিবাহ নিবন্ধন দাখিল করেন মেয়ে পক্ষ। তখন একই বিবাহের ভিন্ন ভিন্ন মোহরানার বিবাহ নিবন্ধন দাখিল করায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরে উভয় পক্ষই আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার চেস্টা করছেন।

তিনি আরও বলেন, নানা অবৈধ কর্মকান্ডের কারণে বিগত সময়ে কাজী বেলালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে সে অর্থের মাধ্যমে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে নিজেকে বাঁচিয়ে নেয়। তার এই ধরণের কর্মকান্ডে বহু সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে এবং হচ্ছে। এছাড়া অনেক নিরীহ পরিবারে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনাও ঘটছে। সে নিজে এবং তার ভাই, পুত্র ও ভাগিনা দিয়ে নিজ এলাকার বাহিরে এমনকি দেশের বিভিন্ন স্থানে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বে-আইনী ভাবে বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন করার কাজ চালিয়ে আসছে। তার দ্বারা শত শত মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। বছরের পর বছর এমন প্রতারণার হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে কাজী বেলালের সকল অবৈধ্য কর্মকান্ড বন্ধ করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন আইনানুগ পদক্ষেপ এর বিকল্প নেই। এব্যাপারে বক্তব্য জানতে ৬ মে মঙ্গলবার বিকেল পনে ৫ টারদিকে প্রতিবেদক কাজী বেলাল হোসাইন মুঠোফোনে (০১৭--৫২২৫৬৫) যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে উপরোক্ত অভিযোগ বিষয়ে বলেন, আপনেও ঘটনাটি যাচাই করে দ্যাখেন এবং যে বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন এর নিকাহনামার দুটি কাগজ বের হয়েছে দুটির লেখাও আলাদা  আপনিও ভালোকরে দ্যাখেন তাহলেই বুঝতে পারবেন। এছাড়া তিনি দাবি করেন, পূর্বে কাজীর দায়িত্বে থাকা একজন আমার বিরুদ্ধে এসব অপ-প্রচার ও অভিযোগ করে নিচ্ছেন বলেও দাবী করেন তিনি।

এব্যাপারে নওগাঁ জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, একজন কাজী তার এলাকার বাহিরে গিয়ে কাজ করার কোন ক্ষমতা রাখেন না। কাজী বেলাল হোসাইনের বিরুদ্ধে অনেকগুলো বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



মাগুরার শালিখায় ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ব্যাস্ত সময় পার করছেন মাগুরার শালিখা উপজেলার বোরো চাষীরা। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে কৃষাণ ক্রয়, শ্রমিক সংকট , বৈরী আবহাওয়া তার উপর কারেন্ট পোকার উপদ্রব সব মিলিয়ে চাষীদের কপালে যেন চিন্তার ভাঁজ। সরেজমিন উপজেলার তালখড়ি, শতখালী, ধনেশ্বরগাতীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কেউ ধান কাটছে, কেউ দিচ্ছে ধানের সারি, কেউ আবার গরু, মহিষ, ঘোড়াগাড়ি যোগে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে, কেউ কেউ আবার নিকটবর্তী জমি থেকে মাথায় করে ধান বয়ে নিচ্ছেন বাড়িতে। অনেকে আবার ধান কেটে মাঠেই সেরে ফেলছেন মাড়ায়ের কাজ। পুরুষের পাশাপাশি ধান কাটা ও মাড়াই করার কাজে অংশ নিচ্ছেন মহিলারাও। দেখে মনে হচ্ছে দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। রোদের তাপ বেশি থাকায় কাজের জন্য সকাল ও বিকালকেই বেছে নিচ্ছেন অধিকাংশ চাষী।

আড়পাড়া ইউনিয়নের দিঘী গ্রামের কৃষক রতন বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বছর ৭ বিঘা জমিতে ধান লাগাইছি, ফসল অনেক ভালো হয়েছে তবে কৃষাণের (ধান কাটার শ্রমিক) যে মূল্য তাতে করে এক মণ ধানে মিলছে একজন কৃষাণ। এতে করে ধান ঘরে তুলতে মোট ফসলের এক তৃতীয়াংশ ধান শ্রমিকদের পাছে ব্যয় হবে বলে মনে করছেন তিনি। আড়পাড়া ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের কৃষক রবি বিশ্বাস বলেন, এ বছর বোরো ধানের মৌসুমে ১২ একর জমিতে ধান রোপন করেছি। প্রাকৃতিক পরিবেশ যদি অনুকূলে থাকে তাহলে দায়-দেনা পরিশোধ করে সোনা-মণিদের ভোরণ পোষণের পাশাপাশি নিজের আর্থিক যোগান দিতে সক্ষম হব অন্যথায় বিপদের শেষ হবে না।

তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামের কৃষক ফিরোজ হোসাইন বলেন, গত বছর যে জন (কৃষাণ) কিনেছি ৬-৭শ টাকা দিয়ে এবছর তা ১১-১২শ টাকা তার উপর জমিতে কারেন্ট পোকা লাগদিছে ফলে ধান ভালো হলেও চিন্তায় আছি দাম নিয়ে । ধানের দাম যদি ভালো হয় তাহলে তো বেঁচে গেলাম না হলে সমস্যায় পড়ে যাব। এছাড়াও কৃষক এনামুল বিশ্বাস,নজরুল মোল্যা, হরিদাস, গোপাল সহ একাধিক কৃষকদের সাথে কথা হলে জানা যায়, ফসল ভালো হলেও শঙ্কা কাজ করছে বৈশাখীর ঝড় নিয়ে পাশাপাশি শ্রমিক সংকট এবং কিষাণের মূল্য যেন তাদের দুশ্চিন্তার বড় কারণ। তবে শ্রমবাজারের শ্রমিক মূল্য নির্ধারণ করে দিলে একদিকে শ্রমিক এবং অপরদিকে ধান চাষিরাও একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে উভয়ের কাজ সম্পন্ন করতে পারবে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর ১৩ হাজার ৫৭৫ হে. জমিতে বোরো ধানের আবাদ অর্জিত হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ হে. বেশি। এখন পর্যন্ত ২০ শতাংশ জমির ধান কর্তন হয়েছে যেখানে গড় ফলন হেক্টরে ৪.২টন (চাউলে) এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে শতভাগ ধান কর্তন সম্ভব হবে বলে জানা গেছে

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, ধান কর্তনের ক্ষেত্রে কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন ব্যবহার করে ধান কর্তন করলে একদিকে যেমন অর্থ সাশ্রয় হবে অপরদিকে কৃষকদের সময় বেঁচে যাবে। এতে করে শ্রমিক সংকটও কেটে যাবে বলেও মনে করছেন তিনি।


আরও খবর



মহাসড়কে তিন চাকার দাপট, শঙ্কা বাড়ছে দুর্ঘটনার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের ১০৫ কিলোমিটার অংশে তিন চাকার অবাধে ছুটে চলছে সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যান। এ কারণে বেড়েই চলেছে দুর্ঘটনা। এতে ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। আবার অনেকে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে অভিশপ্ত জীবন পার করছেন। মহাসড়কে কাগজে কলমে তিন চাকার বাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও বাস্তবে এই চিত্র উল্টো। ফলে সমস্যায় পড়ছেন বাস, ট্রাকসহ বড় যানবাহনের চালকরা।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, গত দুই মাসে সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে প্রায় ২৫টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহতও হয়েছেন।

মহাসড়কে দেখা যায়, অবাধে চলছে সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যান। আবার কোথাও কোথাও প্রকাশ্যেই চলছে নছিমন ও ভটভটি। জমি চাষের ট্রাক্টরের পেছনে ট্রলি লাগিয়েও মহাসড়ক দাবড়ে বেড়াতে দেখা গেছে।

মহাসড়কের নলকা ও ভুইয়াগাঁতী অংশে দেখা দেখা গেছে, দ্বিমুখী লেনেই উল্টো পথে চলছে এই তিন চাকার যান। এ কারণে বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরিসহ বড় গাড়িগুলোর চালকদের হঠাৎ ব্রেক কষে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে দেশের মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপর ২০১৯ সালে উচ্চ আদালত মহাসড়কে তিন চাকার বাহন না চালানোর নির্দেশ দেয়। এরপর একই বছরের আগস্ট থেকে মহাসড়কে তিন চাকার যান নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। আজও এই সিদ্ধান্ত শুধু কাগজে-কলমে আছে বাস্তবে নেই।

নাটোরগামী ট্রাকচালক হামিদ সরকার বলেন, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহনের দৌরাত্ম্যে তাদের অনেক সমস্যা হয়। ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয় তাদের।

সিরাজগঞ্জ থেকে পাবনার পথে চলাচলকারী একটি পরিবহনের চালক হামিদুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধ এসব যান হঠাৎ করেই সংযোগ সড়ক থেকে মহাসড়কে উঠে পড়ে। তখন জরুরি ব্রেক করলে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আমরা এই সমস্যার সমাধান চাই।

সিরাজগঞ্জের আইয়ুব আলী নামক একজন শিক্ষক জানান, কদিন আগে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের পূর্বদেলুয়া ব্রিজ এলাকায় ট্যাংক লরি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে শরিফুল ইসলাম (৩৫) ও আব্দুল মমিন (৩৫) নামের দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও চারজন। সড়কে তিন চাকার অরাজকতার কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ প্রসঙ্গে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঝে মাঝে তিন চাকার যান মহাসড়কে উঠে যায়। তারপরও আমরা এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল শূন্যের কোটায় আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।


আরও খবর