Logo
শিরোনাম

গৃহবধূ সালমা হত্যাকান্ড-নেপথ্যে মাদক ও অনৈতিক কাজ- ৩ জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

গৃহবধূ উম্মে সালমা হত্যাকান্ড ও হত্যার পর মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনা নিয়েছে নতুন মোর। হত্যাকান্ডে নিহতের ছেলে জড়িত নয়। বাসার নারী ভাড়াটিয়ারা

মাদক সহ অনৈতিক কাজে জড়ীত থাকার ঘটনাটি জানতে পেরে বাসা ছেড়ে দিতে বলায় গৃহবধূ উম্মে সালমা (৫০) কে হত্যা করার পর তার মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজের ভেতর রাখেন বাসার 

নারী ভাড়াটিয়া ও তার সহযোগী। ইতি মধ্যেই এ ঘটনায় থানা পুলিশ ঐ বাসার ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া মাবিয়া বেগম সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঐ বাসার ভাড়াটিয়া ও দুপচাঁচিয়া উপজেলার উত্তর সাজাপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর স্ত্রী মাবিয়া বেগম (৫০) এবং তার দু'জন সহযোগী তালুচ পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (২৬) ও নিখিল রবিদাসের ছেলে ভ্যান চালক সুমন রবিদাস(২৮)। 

এলাকায় ব্যাপক আলোচিত এহত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার ১০ নভেম্বর বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বগুড়া টু নওগাঁ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত 'আজিজয়া মঞ্জিল' নামক একটি বাসায়। গৃহবধূ উম্মে সালমা হত্যাকান্ড ও ডিপ ফ্রিজে মৃতদেহ রাখার ঘটনায় সে সময় আটক করা হয় হত্যাকান্ডের শিকার

গৃহবধু উম্মে সালমা'র ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে।

শুক্রবার ১৫ নভেম্বর দুপুরে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের সময় ঐ বাসা থেকে খোঁয়া যাওয়া রাউটার ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সেই বাসার ভাড়াটিয়া মাবিয়া বেগমকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মাবিয়া বেগম স্বীকার করেন, ৪ মাস আগে উম্মে সালমার বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি মাদক ও অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেন উম্মে সালমা। এছাড়াও ভাড়ার পাওনা টাকা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ক্ষুব্ধ হোন মাবিয়া বেগম। সেইজের ধরে তার দু'জন সহযোগী মোসলেম ও সুমন রবিদাসকে নিয়ে উম্মে সালমাকে হত্যার পর তার মৃতদেহ ফ্রিজে রাখেন তারা। উম্মে সালমা হত্যাকান্ডের সাথে জড়ীত নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুপচাঁচিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নাসিরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য- সে সময় র‌্যাব জানিয়েছিলো, হাত খরচের টাকার জন্য ছেলে তার মাকে হত্যা করেছিল এবং ছেলে তার মায়ের মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু শুক্রবার ১৫ নভেম্বর থানা পুলিশের তদন্তে নিলো নতুন এক মোড় যেখানে বেড়িয়ে আসলো হত্যাকান্ডের নেপথ্যে মাদক ও অনৈতিক কাজ।


আরও খবর



টুঙ্গিপাড়ায় নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শৈলদহ নদীতে সড়ক ভেঙে পরে যাওয়ায় চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছিলো ১০ গ্রামের মানুষ। প্রায় ১৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হতো।উপজেলার ডুমরিয়া ইউনিয়নের চিতলিয়া এলাকায় সড়কে ফাটল ধরে। ঐদিন দুপুরে সড়কের কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

পরে নদী ভাঙন ও মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে প্রতিদিনের সংবাদ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পরে মঙ্গলবার বিকাল থেকে কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কাজের উদ্বোধন করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মঈনুল হক।

এসময় টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনার (ভুমি) মারুফ দস্তগীর, গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদৌস প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলেন। সেই সাথে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদৌস বলেন, গত ৩০ এপ্রিল টুঙ্গিপাড়া উপজেলার চিথলীয়া নামক স্থানে নদীগর্ভে রাস্তার কিছু অংশ বিলীন হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগ দেখা দেয় ১০ গ্রামের মানুষের। তখন বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পরে জেলা প্রশাসকের সার্বিক তত্বাবধানে পাউবোর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা ওই স্থানে অস্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ শুরু করেছি।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মঈনুল হক বলেন, গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরে জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তখন নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন প্রেরন করেন পাউবো। তখন জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন রোধে ৭৬ মিটার এলাকায় ১৭৫ কেজি বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। মঙ্গলবার বিকালে প্রাথমিকভাবে ৯৪ টি জিও ব্যাগ নদীতে ফেলে কার্যক্রম শুরু হয়। আশা করি ওই স্থানের ভাঙন প্রতিরোধে সক্ষম হবো।


আরও খবর



আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ৫ ফেব্রুয়ারি হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। 

পাশাপাশি বিষয়টি কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। মোট ১৭ অধ্যায়ের প্রস্তাবের দ্বাদশ অধ্যায়ে রয়েছে অংশটি। কমিশনের প্রতিবেদনে জনপ্রশাসনে কার্যকারিতার লক্ষ্যে সংস্কারের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে নাগরিক পরিষেবা প্রদানে জনপ্রশাসনের ভূমিকা, নাগরিক পরিষেবার কার্যকারিতা, আমলাতান্ত্রিক লালফিতার দৌরাত্ম সম্পর্কে প্রতিবেদনে সুপারিশমালা পেশ করা হয়েছে। 

সুপারিশে আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার বিষয়ে বলা হয়, নাগরিক সেবা প্রদানের বিষয়ে প্রশাসনিক পদ্ধতি তথা আমলাতান্ত্রিক বিধিবিধান সহজতর ও ডিজিটাল করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে জনপ্রশাসনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সঠিক নীতি-নির্ধারণের স্বার্থে তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করা এবং নীতি-নির্ধারকদের কাছে তা পেশ করার নীতি চালু করা যেতে পারে বলে সুপারিশে বলা হয়।

এতে আরো বলা হয়, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ প্রদান টার্গেট জনগোষ্ঠির চাহিদা ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হতে হবে। নাগরিকদের বিবিধ সরকারি পরিষেবা প্রদানের জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করা এবং সেখানে তাদের অভিগম্যতা সহজতর করার উদ্যোগ নিতে হবে। একটি গতিশীল ও কার্যকর পদ্ধতি চালু করতে হবে যাতে নাগরিকদের মতামত দেয়ার সুযোগ থাকে এবং তারা যেন স্বস্তি বোধ করে যে তাদের কথা শোনা হয়।

কার্য সম্পাদনে প্রযুক্তি গ্রহণ ও প্রয়োগ বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়, কার্যবিধিমালা, মন্ত্রণালয়/বিভাগের কর্মবন্টন ও সচিবালয় নির্দেশমালা পর্যালোচনা করে তা সংশোধন বা বিয়োজন এবং অনলাইনে তা সহজলভ্য করার উদ্যোগ নিতে হবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোকে ৫টি ক্লাস্টারে ভাগ করা যেতে পারে। সরকারি পরিষেবা সহজতর করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টাল স্থাপন করা। 

সরকারি পরিষেবা পদ্ধতি গতিশীল করার জন্য ই-গভর্নেন্স কৌশল বাস্তবায়ন করা। ডিজিটাল টুল ও ডাটা ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের অধিকতর দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ খাতে বেশি বিনিয়োগ করা। নাগরিকদের সেবা প্রদান ও সম্পদ বরাদ্দের ক্ষেত্রে নারী ও পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠিকে প্রাধান্য দিতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিকরণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

পরিবেশ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়, পরিবেশ ও ইকো-সিস্টেম সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় নীতি-কৌশল নির্ধারণ ও প্রকল্প বা কর্মসূচি প্রণয়নের আগে পরিবেশ সমীক্ষা ও তার প্রভাব সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে হবে। পরিবেশ ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে সম্পাদনের জন্য জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় সরকারকে ক্ষমতায়ন করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও আন্ত-বিভাগীয় সমন্বয়সাধন জোরদার করতে হবে। 

জাতীয় জলবায়ু পরিবর্তন কৌশলকে সরকারি নীতি-কৌশলের মধ্যে অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টিকে থাকার জন্য প্রকল্প গ্রহণ ও সম্পদ বরাদ্দ করতে হবে। দুর্যোগ মোকাবিলা সংক্রান্ত জাতীয় নীতি-কাঠামো ও দুর্যোগ-পূর্ব সংকেত প্রদান ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।  দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট এনজিওদের সাথে সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা যেতে পারে বলে সুপারিশে বলা হয়।

জেলা ও উপজেলার সাথে কেন্দ্রের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক স্থাপন বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়, স্থানীয় ই-গভর্নেন্স সিস্টেমের সাথে কেন্দ্রীয় ওয়েব পোর্টালের এবং মোবাইল সংযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। জনপরিষেবা গ্রহণকারী বিশেষ করে কৃষক, নারী, জেলে ইত্যাদি শ্রেণির নাগরিকরা যাতে সহজে সেবা পেতে পারে সেজন্য সহজগম্য স্থানে সার্ভিস ডেলিভারী পয়েন্ট স্থান করতে হবে।  ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনপরিষেবা প্রদানের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে হবে বলে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর



লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে অচল নগর ভবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে এবার নগর ভবনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন তার সমর্থকরা।

২০ মে সকাল ১০টা থেকে নগর ভবনে অবস্থান নিয়েছেন তারা। নগর ভবনের প্রধান ফটকের সামনে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে জাতীয় সংগীত, দেশাত্মবোধক গান বাজানো হচ্ছে।

গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচির কারণে নগর ভবন কার্যত অচল। সেখানে কোনো ধরনের দাপ্তরিক কাজ হচ্ছে না। দুর্ভোগে পড়েছেন সেবা নিতে আসা লোকজন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস নগর ভবনে থাকায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কার্যালয়ে আসতে পারছেন না।

আজ সকাল ১০টা থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে আসেন তারা। এ সময় তারা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

সড়কে অবস্থানের কারণে বঙ্গবাজার থেকে গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজার পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।


আরও খবর



৮ নায়িকা নিয়ে আসছেন মোশাররফ করিম

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

মহানগরর ওসি হারুন থেকে মোবারকনামার মোবারকসহ অসংখ্য চরিত্র দিয়ে দর্শকের মনে দাগ কেটেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। এবার বোহেমিয়ান ঘোড়াতে ট্রাক ড্রাইভার আব্বাস চরিত্রটি নিয়ে দর্শকদের চমক দিতে চান এই অভিনেতা।

অমিতাভ রেজা চৌধুরীর কমেডি ঘরানার বোহেমিয়ান ঘোড়া সিরিজের মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। এতে আছেন একঝাঁক অভিনেত্রী। আছেন তানজিকা আমিন, রুনা খান, মৌসুমী হামিদ, সাদিয়া আয়মান, জুই করিম, ফারহানা হামিদ, অদিতি এবং বৃষ্টি।

অভিনীত চরিত্র নিয়ে মোশাররফ করিম বলেন, অমিতাভ রেজার সঙ্গে এত বড় পরিসরে এটাই আমার প্রথম কাজ। সেই সাথে দুর্দান্ত গল্প ও চরিত্রের কারণেই এই সিরিজের সঙ্গে আমার যুক্ত হওয়া। আর হইচই-এর সাথে আমার সম্পর্কটা তো বহুদিনের তাই এই সিরিজটা নিয়েও প্রত্যাশা অনেক। দর্শক বোহেমিয়ান ঘোড়াতে সম্পূর্ণ নতুন কিছু পাবে বলে আমার বিশ্বাস।

হইচই অরিজিনাল সিরিজ বোহেমিয়ান ঘোড়াতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুনা খান। হইচইয়ের পর্দায় এর আগেও বেশকিছু চরিত্রে তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। তবে এই সিরিজে তার চরিত্রটি একদম ভিন্ন- গরম মেজাজের ও আত্মবিশ্বাসী এক নারীর।

বাস্তব জীবনে তানজিকা আমিন যেমন ঠিক তার বিপরীত চরিত্রে দেখা যাবে তাকে বোহেমিয়ান ঘোড়াতে। আর মৌসুমি হামিদকে দেখা যাবে নারী মৌয়ালের চরিত্রে। সাদিয়া আয়মান অভিনয় করেছেন ছটফটে, চঞ্চল এক তরুণীর ভূমিকায়। জুই করিমকে দর্শক দেখবে একদম নতুন আঙ্গিকে। সাথে আছে ফারহানা হামিদ, তার চরিত্রে রয়েছে সংযম, অনুভূতি আর নিঃশব্দ এক অভিজ্ঞান- যা দর্শকদের ছুঁয়ে যাবে। এছাড়া অদিতি ও বৃষ্টি দুইজন নতুন মুখের আবির্ভাব ঘটেছে এই সিরিজে।

নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী তার পুরো মুন্সিয়ানা দিয়েই নির্মাণ করাছেন সিরিজটি। তিনি বলেন, বোহেমিয়ান ঘোড়া সিরিজে আব্বাস কীভাবে ভালোবাসা, প্রত্যাশা আর সন্দেহ একসাথে সামলান, সেই কৌতুকপূর্ণ জটিলতা উঠে এসেছে। সাথে আছে নানা ধরনের রোড অ্যাডভেঞ্চার। আর যারা অভিনয় করেছে তারা সবাই আমার প্রাণের মানুষ। দুর্দান্ত এক জার্নি ছিল আমাদের সবার। এখন শুধু অপেক্ষা হইচইর দর্শকের কাছে আমাদের বোহেমিয়ান ঘোড়া পৌঁছানোর।


আরও খবর



বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বললেন, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে।অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, মবতন্ত্রের মাধ্যমে যে হামলা হচ্ছে, তা বন্ধ করুন। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করে বাংলাদেশকে একটা যথাযথ উত্তরণের দায়িত্ব পালন করুন। জনগণের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়- এরকম কোনো তৎপরতা চালিয়ে নিজেদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করবেন না।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফারাক্কা লংমার্চের ৫০ বছর উপলক্ষে ‘ভারতের নদী আগ্রাসন প্রতিরোধ করুন, অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হোন’ শীর্ষক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান বাংলাদেশকে গড়তে হলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত যথার্থভাবেই গণমানুষের জন্য হতে হবে। বর্তমান সংকটগুলোতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হলো- সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তা সমাধান করা। একটা পক্ষের আন্দোলন ন্যায্য; আরেকটা পক্ষের অন্যায্য- এরকম দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে না।

মওলানা ভাসানীর পররাষ্ট্রনীতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আরও বলেন, ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে কিংবা নদী ও প্রাণ প্রকৃতি রক্ষার আন্দোলনের সুউচ্চ প্রতীক হচ্ছেন মওলানা ভাসানী। আজকে ৫০তম বার্ষিকীতে আমাদের আবারও ভাসানীর কাছে ফিরতে হবে। কেননা ভারত-রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি যে অন্যায্য পররাষ্ট্রনীতি ও অবস্থান অব্যাহত রাখছে- সেগুলোকে প্রতিহত করতে মওলানা ভাসানীর দেখানো পথ অনুসরণযোগ্য। ভাসানী বলতেন, নদীর পানি কেবল মানুষের জন্য নয়, এতে সকল প্রাণী ও প্রাণের হক জড়িত।

বর্তমানে ৫৪টি অভিন্ন নদীতে ভারত বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করে রেখেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের প্রকৃতির ওপর যে মরুকরণ চাপিয়ে দিয়েছে; বছরের পর বছর ধরে তা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠেকাতে হবে এবং ভারত রাষ্ট্রের দাপটকে আমাদের ভেঙে ফেলতে হবে। কাজেই বিপুল আন্দোলন সংগ্রাম তথা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তথাকথিত লোকদেখানো ভারত বিরোধিতা দিয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হবে না। ভারতের সঙ্গে যৌথ জায়গাগুলোর মীমাংসা করতে হলে দ্বিপক্ষীয়ভাবে যদি সমাধা না হয় তবে আন্তর্জাতিকভাবে তুলতে হবে, যোগ করেন জোনায়েদ সাকি।

তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শক্তির চক্রান্ত মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য দরকার জনগণের বৃহত্তর ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করা। চট্টগ্রাম বন্দরসহ যেকোনো আন্তর্জাতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, দীপক কুমার রায়, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবন, সদস্য সচিব মাহবুব রতন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আলীফ দেওয়ান, সদস্য সচিব সেলিমুজ্জামান, বাঞ্চারামপুর উপজেলার সংগঠক শামিম শিবলীসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।


আরও খবর