
শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :
গৃহবধূ উম্মে সালমা হত্যাকান্ড ও হত্যার পর মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনা নিয়েছে নতুন মোর। হত্যাকান্ডে নিহতের ছেলে জড়িত নয়। বাসার নারী ভাড়াটিয়ারা
মাদক সহ অনৈতিক কাজে জড়ীত থাকার ঘটনাটি জানতে পেরে বাসা ছেড়ে দিতে বলায় গৃহবধূ উম্মে সালমা (৫০) কে হত্যা করার পর তার মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজের ভেতর রাখেন বাসার
নারী ভাড়াটিয়া ও তার সহযোগী। ইতি মধ্যেই এ ঘটনায় থানা পুলিশ ঐ বাসার ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া মাবিয়া বেগম সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঐ বাসার ভাড়াটিয়া ও দুপচাঁচিয়া উপজেলার উত্তর সাজাপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর স্ত্রী মাবিয়া বেগম (৫০) এবং তার দু'জন সহযোগী তালুচ পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (২৬) ও নিখিল রবিদাসের ছেলে ভ্যান চালক সুমন রবিদাস(২৮)।
এলাকায় ব্যাপক আলোচিত এহত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার ১০ নভেম্বর বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বগুড়া টু নওগাঁ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত 'আজিজয়া মঞ্জিল' নামক একটি বাসায়। গৃহবধূ উম্মে সালমা হত্যাকান্ড ও ডিপ ফ্রিজে মৃতদেহ রাখার ঘটনায় সে সময় আটক করা হয় হত্যাকান্ডের শিকার
গৃহবধু উম্মে সালমা'র ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে।
শুক্রবার ১৫ নভেম্বর দুপুরে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের সময় ঐ বাসা থেকে খোঁয়া যাওয়া রাউটার ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে সেই বাসার ভাড়াটিয়া মাবিয়া বেগমকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মাবিয়া বেগম স্বীকার করেন, ৪ মাস আগে উম্মে সালমার বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি মাদক ও অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে বাসা ছাড়ার নির্দেশ দেন উম্মে সালমা। এছাড়াও ভাড়ার পাওনা টাকা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ক্ষুব্ধ হোন মাবিয়া বেগম। সেইজের ধরে তার দু'জন সহযোগী মোসলেম ও সুমন রবিদাসকে নিয়ে উম্মে সালমাকে হত্যার পর তার মৃতদেহ ফ্রিজে রাখেন তারা। উম্মে সালমা হত্যাকান্ডের সাথে জড়ীত নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুপচাঁচিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নাসিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য- সে সময় র্যাব জানিয়েছিলো, হাত খরচের টাকার জন্য ছেলে তার মাকে হত্যা করেছিল এবং ছেলে তার মায়ের মৃতদেহ ডিপ ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু শুক্রবার ১৫ নভেম্বর থানা পুলিশের তদন্তে নিলো নতুন এক মোড় যেখানে বেড়িয়ে আসলো হত্যাকান্ডের নেপথ্যে মাদক ও অনৈতিক কাজ।