Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

হার দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু টাইগারদের

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপের মিশন শুরু করেছিল আফগানিস্তান। নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে তারা উড়িয়ে দিয়েছিল ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১২৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়লো রশিদ-নবীরা। 

৭ উইকেটের জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত হলো আফগানদের। অন্যদিকে সুপার ফোরে যেতে হলে শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হবে বাংলাদেশকে। লঙ্কানদের কাছে হেরে গেলে বিদায় নিতে হবে খালি হাতে।

পরাজয়ের পর ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক,  আপনি প্রথম ৭-৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেললে ম্যাচে ফেরাটা সবসময় কঠিন। উইকেট বিবেচনায় আমরা ১০-১৫ রান কম করেছি। তবে আমি মনে করি বোলাররা দারুণ পারফর্ম করে আমাদের খেলায় ফিরিয়ে এনেছিল। তারা অসাধারণ বোলিং করেছে। প্রথম ১৫ ওভার দারুণ কেটেছে বোলারদের। কিন্তু আফগানিস্তানকে কৃতিত্ব দিতেই হয়, তারা সত্যিই ভালো খেলে (জয় নিজেদের করে নিয়েছে)। পরের ৩-৪ ওভারেই তারা আমাদের থেকে ম্যাচটি বের করে নিয়েছে। 

আফগান ব্যাটার নাজিবুল্লাহর প্রশংসা করেন সাকিব। বললেন, এটা বলতেই হয় নাজিবুল্লাহ একজন বিপজ্জনক খেলোয়াড়। আমরা ভেবেছিলাম এই ধরনের উইকেটে আমরা ভালো পারফর্ম করব। কিন্তু তারা (আফাগানিস্তানের ব্যাটার) দারুণ ব্যাটিং করেছে। এটা তাদের কৃতিত্ব।


আরও খবর



ঈদের পর কারওয়ানবাজারের ডিএনসিসি ভবন ভেঙে ফেলা হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিতে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ঈদের পরে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের স্থানান্তর শুরু হবে। ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিন। কারওয়ান বাজারের ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা আগুন লাগলে বহু মানুষ হতাহত হবে। আমরা আর মৃত্যুর মিছিল দেখতে চাই না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোনো ব্যবসা চলতে দেওয়া যাবে না।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর গাবতলীতে ডিএনসিসির প্রস্তাবিত কাঁচাবাজারে ডিএনসিসির আওতাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের গাবতলীর আমিনবাজার পাইকারি কাঁচাবাজারে স্থানান্তরের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মেয়র একটি চমৎকার সুযোগ আপনাদের জন্য দিচ্ছেন। আপনাদের অবশ্যই এই সুযোগ গ্রহণ করা উচিত। মেয়র বলেছেন পাশেই নদীর পাশে বিজিবি মার্কেটে মাছের আড়ৎ নির্মাণ করে দেবেন। সব সুবিধাই আপনাদের জন্য নিশ্চিত করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখন মেট্রোরেল হয়ে গেছে। কারওয়ান বাজার ধীরে ধীরে সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ট্রাক ঢুকতে অনেক সমস্যা হয়। এছাড়া কারওয়ান বাজারের ট্রাক তেজগাঁওয়ের রাস্তা দখল করে রেখেছে। কারওয়ান বাজার স্থানান্তর করে ওই এলাকার পরিবেশ সুন্দর করতে হবে। গাবতলীতে স্থানান্তর হওয়ার পরে আপনাদের কি কি সুবিধা প্রয়োজন সে বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আলাপ করবেন। মেয়র আপনাদেরই প্রতিনিধি তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান প্রমুখ।


আরও খবর



গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাড়ে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা নির্বিচার এই হামলার জেরে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।

এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েল সাহায্য সরবরাহে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘের একটি সংস্থা। সোমবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল নিশ্চিতভাবে উত্তর গাজায় সাহায্য বিতরণ করতে বাধা দিয়েছে বলে রোববার জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)। গাজার এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষের হুমকি সবচেয়ে বেশি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

জাতিসংঘের এই সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেছেন, আমাদের চোখের সামনে বিপর্যয়কর অবস্থা উদ্ঘাটিত হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘকে জানিয়েছে, তারা উত্তরে আর কোনো ইউএনআরডব্লিউএ-এর খাদ্যবাহী কনভয় প্রবেশ করার অনুমোদন দেবে না।

তিনি আরও বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ আপত্তিজনক এবং একইসঙ্গে এটি মানব-সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের সময় জীবনরক্ষাকারী সহায়তা সরবরাহে বাধা দেওয়ার ইচ্ছাকেই সামনে তুলে ধরছে।

অবশ্য ফিলিপ লাজারিনির বিবৃতি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য এএফপি যোগাযোগ করলেও রোববার ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

এদিকে ইউএনআরডব্লিউএর যোগাযোগের পরিচালক জুলিয়েট তোমা এএফপিকে বলেছেন, রোববার ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহে গাজার উত্তরে সহায়তা ডেলিভারির জন্য লিখিতভাবে দুবার অস্বীকার করার পর এই কথা জানানো হলো। তবে এই ধরনের সিদ্ধান্তের কোনো কারণ জানানো হয়নি বলেও জানান তোমা।

এএফপি বলছে, প্রায় ছয় মাস আগে শুরু হওয়া গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের ফলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির মানুষ ভয়ানক মানবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়নে সতর্ক করে বলা হয়েছে, জরুরিভাবে হস্তক্ষেপ না করা হলে আগামী মে মাসের মধ্যে গাজার উত্তরে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।

আর ইউএনআরডব্লিউএর যোগাযোগের পরিচালক জুলিয়েট তোমা বলছেন, গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ইউএনআরডব্লিউএ গাজার উত্তরে খাদ্য সরবরাহ করতে পারেনি। তিনি বলছেন, সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হলো কফিনে আরেকটি পেরেক

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৪ হাজারের বেশি মানুষ।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

ইসরায়েল গাজার ওপর ব্যাপকভাবে অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। এর ফলে এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠী বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা অনাহারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।

 


আরও খবর



সর্দি-কাশির প্রকোপ, হাসপাতালে ভিড়

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : ঠান্ডা-সর্দি, কাশি আর জ্বর থেকে সেরে উঠতেই পারছে অনেকে। তাদের মধ্যে রয়েছে অনেক শিশুও। শীত শেষে বসন্তের শুরুর দিক থেকে সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরে ভুগছে অনেকে। চিকিৎসকরা বলছেন, এসবের পেছনে বায়ুদূষণ একটি বড় কারণ হিসেবে কাজ করছে। দূষণের কারণে মানুষের ভোগান্তি বেশি। সুস্থ থাকতে তাই স্বাভাবিক জীবনযাত্রার দিকে বাড়তি নজর দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার গোলাম নবী জানান, জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টের রোগী এখন বেশি পাচ্ছেন তারা। প্রতিদিন ১৫০-২০০ রোগী আসছে এসব লক্ষণ নিয়ে। শ্বাসকষ্টও হচ্ছে অনেকের।এই সময়ে অ্যাজমা বা হাঁপানির রোগীদের বেশি ভুগতে হচ্ছে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালে এখন যেসব রোগী আসছে, তার মধ্যে সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাই বেশি বলে জানাচ্ছেন এই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঠান্ডা, জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি, যা হাসপাতালে রোগী বাড়াচ্ছে।শিশু হাসপাতালের বহির্বিভাগে অন্য সময়ে দিনে গড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ জন রোগী আসলেও এখন সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ জনে। এর মধ্যে অনেক শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় তাদের ভর্তি করানো হচ্ছে।

তিন সপ্তাহ ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন রাজধানীর মিরপুরের হোসনে আরা বেগম। এখন ইনহেলার আর নেবুলাইজিং ছাড়া চলতে পারছেন না তিনি। পঞ্চাশোর্ধ এই নারী বলেন, শীতের শেষ দিকে এই যে সর্দি-কাশি হঠাৎ বেড়ে গেল, আর কমছে না। একদিন নেবুলাইজিং না করালে ঘুমাতে পারি না। ইনহেলার নিচ্ছি দুইটা। এমনিতে অ্যাজমার সমস্যা ছিল, সেটা এখন বেড়ে গেছে।বাইরে বের হলেই কষ্ট হয় বেশি, ধুলাবালিতে সমস্যা বেড়ে যায়।মোহাম্মদপুরের একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক আরিফ হোসেন মাসখানেক আগে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হলেও কাশি তার পিছু ছাড়ছে না। আরিফের ভাষ্য, চিকিৎসকের কাছে গিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ নিয়েও তার কাশি সারেনি।

যখন ঠান্ডা-জ্বর ছিল, ডাক্তারের কাছে গেলাম। কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দিল। একটু কমল। এখন আরো বেড়ে গেছে। আবার ডাক্তারের কাছে গেলাম। পরে এক্সরে করে ডাক্তার বলল, ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেলিন চৌধুরী বলছেন, বায়ুদুষণ এবার সর্দি-কাশিতে মানুষকে বেশি ভোগাচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের অর্ধেক সময়ই বায়ু দূষণে ঢাকা শীর্ষে ছিল। এই দূষণের কারণে মানুষের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাও বেড়েছে বলে জানান তিনি।আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ দিন ঢাকার বাতাসের মান ছিল খুবই অস্বাস্থ্যকর। গেল মাসজুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল উপরের দিকে। ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, এমন সময়ে যখন সর্দি-কাশির ভাইরাস কারো শরীরে প্রবেশ করে, তখন সেটি মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মত একটি অবস্থা তৈরি করে।শীত শেষে বসন্তের আগমনের সময় বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে ও দূষণও বেড়ে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে কিছু ভাইরাস জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব এসময় বেড়ে যায়। এর মধ্যে অন্যতম একটি ভাইরাস হচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। যার কারণে সর্দি-কাশি হয়।

যখন বায়ু দূষণ বেড়ে গিয়ে আমাদের শ্বাসতন্ত্রকে সংবেদনশীল ও অসুস্থ করে তোলে, তখন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সর্দি-কাশির ভাইরাস তীব্র করে তোলে। ফলে অন্য সময়ে যে প্রভাব বিস্তার করে, তার চেয়ে এ বছর বায়ুদূষণ বাড়ার কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে।


আরও খবর



বাইডেন-নেতানিয়াহুর বন্ধুত্বে ফাটল?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বন্ধু ও সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। গাজা যুদ্ধের মধ্যেও এই বন্ধুত্বের প্রমাণ দিয়ে আসছিল দুই দেশ। লড়াইয়ের জন্য গোলাবারুদ সরবরাহ করে, জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলোতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিয়ে বারবার ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেই মজবুত বন্ধুত্বে একটু একটু করে ফাটল দেখা দিয়েছে।

গত সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। আর তাতে প্রথমবারের মতো কোনো আপত্তি জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এর আগে অন্তত তিনবার ভেটো দিয়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছিল।

সোমবার পাস হওয়া প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি হতে পারেনি ইসরায়েল। এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এরই মধ্যে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধি দলের সফর বাতিল করেছে তেল আবিব। গাজার রাফাহ শহরে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি নেতাদের।

রাফাহ শহরে ইসরায়েলের প্রস্তাবিত অভিযানের বিষয়ে অনেকদিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অভিযানের সিদ্ধান্তে অনড়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শেষপর্যন্ত নেতানিয়াহু যদি যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি উপেক্ষা করে রাফাহ শহরে অভিযান চালান, তাহলে সেটি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি, এর জেরে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়াও স্থগিত করতে পারে।

এর মধ্যেই নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আর আপত্তি না করার সিদ্ধান্ত নিলো বাইডেন প্রশাসন।

রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেটিক প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সাবেক আলোচক অ্যারন ডেভিড মিলার বলেন, এর ফলে বাইডেন এবং নেতানিয়াহুর মধ্যকার বিশ্বাস ভেঙে যেতে পারে। বিষয়টি যত্ন সহকারে পরিচালিত না হলে পরিস্থিতি শুধু খারাপের দিকেই হবে।

অবশ্য গাজায় বর্বরতা চালানো ইসরায়েলকে ক্রমাগত সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় নিজ দেশেই চাপের মুখে পড়েছিলেন বাইডেন। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বার প্রার্থী হচ্ছেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা। কিন্তু ইসরায়েল ইস্যুতে এবার মুসলিম আমেরিকানদের ভোট হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।

স্বদেশে চাপে রয়েছেন নেতানিয়াহুও। যুদ্ধের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো হামাসকে বাগে আনতে না পারা এবং জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে জোরেশোরে। চলছে আন্দোলনও।

এ অবস্থায় প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটন সফর বাতিলের ঘোষণা দিয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো না দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের আগের অবস্থান থেকে স্পষ্ট পশ্চাদপসরণ এবং এটি ইসরায়েলের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।

 


আরও খবর



রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কেন বাড়ে?

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রক্তে এলডিএল খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ছে মানেই বিপদ। হার্টের রোগের পিছনে যে এই উপাদানটির হাত রয়েছে। তা এখন সকলেই জানেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে স্ট্রোক, করোনারি ডিজিজ, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এখন প্রশ্ন হলো, কোলেস্টেরল কী? তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়ই বা কী?

মোমের মতো চটচটে একটি পদার্থ হলো কোলেস্টেরল। যার উৎসস্থল হলো লিভার। রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে কোলেস্টেরল শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায়। কোলেস্টেরল মানেই যে খারাপ, এমন ধারণাও ঠিক নয়। রক্তের মধ্যে সাধারণত দুধরনের কোলেস্টেরল থাকে।

লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) এবং হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল)। এই দুয়ের মধ্যে হার্টের বন্ধু হল এইচডিএল। অন্যটিই যত নষ্টের গোড়া। চিকিৎসকেরা বলেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে ভাসতে থাকা ওই চটচটে পদার্থগুলোই এক সময়ে ধমনীর গায়ে আটকে যায়। ধমনীর গায়ে অবাঞ্ছিত কিছু প্লাক তৈরি করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়, শুরু হয় নানান সমস্যা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে ওষুধের উপর ভরসা করতেই হয়।

১) রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বাইরের ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই ধরনের খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। যে কারণে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে আগে সেই সব খাবার খাওয়া কমাতে হবে।

২) পলি এবং মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। সাথে ফাইবারজাতীয় খাবার থাকাও প্রয়োজন। ওট্‌স, গম, কিনোয়া, ব্রাউন রাইস, টাটকা শাকসব্জি, বিভিন্ন রকমের বাদাম, বীজ, ফল- রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

৩) এলডিএল বশে রাখতে আরো একটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আখরোট, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ, টোফুর মতো খাবার এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

৪) কোলেস্টরলের সমতার অভাব হওয়ার আরো একটি বড় কারণ হলো শরীরচর্চা না করা। মধ্যবয়সিদের মধ্যে এই প্রবণতা আরো বেশি। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করাও জরুরি। তার জন্য যে জিমে যেতেই হবে এমন নয়। সাধারণ কিছু যোগব্যায়াম, সাইক্লিং, সাঁতারের মতো ব্যায়াম করা যেতেই পারে।


আরও খবর