Logo
শিরোনাম

হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের দেওয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন। এর মধ্যে এক মামলায় ১২ জন ও অন্য মামলায় ১৭ জন আসামি। পরে আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং শরীফ আহমেদ। শেষের দুইজন তদন্তপ্রাপ্ত আসামি।

জানা যায়, পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৮টি অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী ও পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে বহাল থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নং সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

প্রসঙ্গত, দেড় দশক দেশ শাসনের পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি।


আরও খবর



বিসিবির নেতৃত্বে কাদের থাকা উচিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার মতে, ক্রিকেট বোঝেন এমন ও জেলার ক্রিকেট উন্নয়নে সক্ষম প্রতিনিধিরাই বিসিবির নেতৃত্বে আসা উচিত।

জুলাই- আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ক্রীড়াঙ্গনেও আমূল পরিবর্তন আসে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনয়াতনে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে চমক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান কালে তামিম ভবিষ্যতে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডে আসতে যারা আগ্রহী, তাদের প্রতি দিয়েছেন কঠোর বার্তা।

তামিমের বক্তব্যে উঠে আসে জেলার কাউন্সিলরদের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েও স্পষ্ট মত। তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে একটা বিনীত অনুরোধ করবযারা ক্রিকেট বোঝেন, যাদের স্বপ্ন আছে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার, তাদেরকেই জেলা বা বিভাগ থেকে নির্বাচিত করা হোক। আমি অতীতে অনেকবার দেখেছি, কেউ একজন জেলা বা বিভাগ থেকে বোর্ডে আসেন, তারপর বোর্ডের পরিচালক হয়ে নিজের অঞ্চলকে ভুলে যান। এটা হতে দেওয়া যায় না।

সম্প্রতি বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ক্রিকেটের অব্যবস্থাপনা ও লিগ কাঠামোর দুর্বলতা নিজের চোখে দেখেছেন তামিম। সে অভিজ্ঞতা থেকেই বলেন, অনেক জেলায় তো মানসম্মত একটা লিগই হয় না। অথচ আমরা ক্রিকেটকে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা বলে দাবি করি।

তামিম মনে করেন, জেলা বা বিভাগীয় ক্রিকেটের উন্নয়নে যারা ব্যর্থ, তাদের ক্রিকেট বোর্ডের উচ্চপদে আসার যোগ্যতা নেই। তার ভাষায়, যদি কেউ নিজের জেলার ক্রিকেটেও উন্নয়ন না করতে পারে, তাহলে তার বোর্ডে আসা উচিত নয়।


আরও খবর

শনিবার থেকে ফের শুরু আইপিএল

মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫




নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগণই রাস্তায় নামবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগণই রাস্তায় নামবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হলে আমাদের কিছু বলার প্রয়োজন হবে না, জনগণই রাস্তায় নামবে।

তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে আসছে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, অন্যথায় গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের মতো জোর করে ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমরা শুধু সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। জনগণ যেন তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পায়।

সরকারের উদ্দেশে ফারুক বলেন, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তাদের জনগণ আর মেনে নেবে না। নির্বাচনের জন্য এখনই সংস্কার প্রয়োজন।



আরও খবর



ছুটির দিনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সবজির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

শীত মৌসুমের আগে-পরে বাজারে সবজির দামে যে স্বস্তি ফিরেছিল, তা এখন উধাও হয়ে গেছে। গত তিন-চার মাস ধরে তুলনামূলক কম দামে সবজি কিনতে পারলেও, বর্তমানে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেশিরভাগ সবজির দামই ৮০ টাকা ছাড়িয়েছে। আবার কিছু সবজির দাম ছাড়িয়েছে ১০০ টাকা। এমন অবস্থায়, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজ এবং ডিমের দামও।২৫ এপ্রিল সকালে রাজধানীর উত্তরা, বাড্ডা ও মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির দোকানগুলোতে গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙা, কচুর লতি, ঢেঁড়শসহ অন্যান্য সবজি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় অধিকাংশটির দামই কেজি প্রতি ৮০ টাকা বা তার বেশি। বরবটি, কচুর লতি, পটোল, চিচিঙ্গা, বেগুন ও শালগম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। আর কাঁকরোল ও শজনের দাম আকাশছোঁয়া। সবজি দুটি মানভেদে ১২০-১৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। আর তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে করলা, লাউ, ঝিঙে, ধুন্দুল, ঢ্যাঁড়স ও পেঁপে, যেগুলোর কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। সবচেয়ে কম দামের সবজি এখন টমেটো, যা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। এছাড়া, আলু ২০-২৫ টাকা কেজি এবং কাঁচামরিচ ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি এবং বাড়তি পরিবহন খরচই দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

আজমপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা বেশি দামে কিনলে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। গত কয়েক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বিশেষ করে পটল, বরবটি, বেগুন—এগুলোর দাম বেশ চড়া। আমাদের কেনা দাম বেশি হলে আমরা কম লাভে বিক্রি করতে পারি না। তাছাড়া, শীতের পর আগের মতো এখন আর সহজে মাল পাওয়া যাচ্ছে না। দূরের মোকাম থেকে মাল আনতে খরচ বেশি পড়ছে। এখন যে সবজিগুলো বাজারে আসছে, সেগুলোর চাষের খরচও শীতের সবজির চেয়ে বেশি। সেজন্য দামও বেশি।

পেঁয়াজের দাম নিয়ে রফিকুল ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। আড়তে দাম বেশি। আমরা বেশি দামে কিনে আনি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হই। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে তেমন নেই।

এমন অবস্থায় বাজারের এই ঊর্ধ্বমুখী দামে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। ছুটির দিনে কিছুটা সাশ্রয়ে বাজার করার আশায় এসেও তাদের পকেটে টান পড়ছে।

আবু সালেহ নামের এক ক্রেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে গিয়ে অনেককেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবজির দাম হঠাৎ এত বেশি বেড়ে যাবে ভাবিনি। আজ পুরো সপ্তাহের বাজার করতে এসেছিলাম। কিন্তু আজ সবজির দাম অনেক বেশি। তাই প্রয়োজনের অর্ধেক পরিমাণ কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারলে ক্রেতাদেরও সুবিধা হতো এবং তাদের বিক্রিও বাড়তো।

তবে অনেক ক্রেতাই মনে করেন, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও দাম বাড়ার একটি কারণ। এছাড়া, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা যে দামে সবজি কেনেন তার কয়েক গুণ বেশি দামে পরে তারা বিক্রি করেন। যার নজরদারি ঠিকমতো করা হচ্ছে না বলেও মন্তব্য অনেকের।


আরও খবর



অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাসের অভিযান

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক নিয়োজিত বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায় -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ-১-এর আওতাধীন ঠুলঠুলিয়া, ডেমরা এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে একটি ঝটিকা অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

অভিযানে ০৩টি শিল্প কারখানায় ও ২০টি আবাসিক বাসা-বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযানে ৪০০ ফুট পাইপ, ২০টি রেগুলেটর, ২টি কম্প্রেসার ও ২০টি লক উইং কর্ক অপসারণ পূর্বক জব্দ করা হয়েছে। এতে প্রায় ০৪ হাজার ঘনফুট/ঘন্টা গ্যাস সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের দায়ে শ্রাবণ ওয়াশিং কারখানা কর্তৃপক্ষকে আশি হাজার টাকা ও ব্রাদার্স ওয়াশিং কারখানা কর্তৃপক্ষকে এক লক্ষসহ মোট ১,৮০,০০০/-(এক লক্ষ আশি হাজার)টাকা অর্থদণ্ড প্রদান-পূর্বক তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়েছে।

একই দিনে গাজীপুর জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়োজিত বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহমেদ- এর নেতৃত্বে আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ-সাভার, জোবিঅ-আশুলিয়া-এর আওতাধীন সুলতান মার্কেট, কাজী মার্কেট, হাজী আ: কাইয়ুম মার্কেট (মনি ফ্যাশন গেট সংলগ্ন), সারদাগঞ্জ, কাশিমপুর, গাজীপুর এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অপর একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ২(দুই) কিলোমিটার অবৈধ বিতরণ লাইনের ১,০০০ টি অবৈধ আবাসিক গ্যাস বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৩০০ মিটার পাইপ অপসারণ পূর্বক জব্দ করা হয়েছে। এতে প্রায় ২৫,৬৮,৯০২ টাকার অবৈধভাবে মাসিক গ্যাস চুরি সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারের দায়ে ০১টি মামলায় সর্বমোট ২০,০০০(বিশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া, অনন্ত পেপার মিল (মিঠাবো, রূপগঞ্জ) এর পূর্বে ঢাকা লুব ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিতে ১২" বিতরণ লাইন হতে অবৈধ ১" সার্ভিস লাইন এর সংযোগ পাওয়ায় প্রায় ২০ফুট ১" পাইপ অপসারণ সহ উৎস পয়েন্টে কিলিং করা হয়েছে এবং আঞ্চলিক রাজস্ব শাখা ভালুকা, রাজস্ব উপ-শাখা কিশোরগঞ্জ এর নেতৃত্বে ০৩ টি আবাসিকের ০৫টি ডাবল বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ ৭৬০০০/-(ছিয়াত্তর হাজার) টাকার বকেয়া বিল তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ২০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৪১টি শিল্প, ১৬০টি বাণিজ্যিক ও ৩০,৩৩৬টি আবাসিকসহ মোট ৩০,৭৩৭টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৬৯,২৮৭টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ১৪৬ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



রাখাইনে করিডর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: বিএসপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিএসপি’র জাতীয় স্থায়ী পরিষদের এক সভা ১ মে ২০২৫খ্রি: বৃহস্পতিবার পার্টির কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে  বিএসপি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীর  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা  করেন পার্টির মহাসচিব  বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুল আজিজ সরকার। সভায় সম্প্রতি রাখাইনে করিডর ও নারীর সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক  বিএসপি চেয়ারম্যান ড. শাহজাদা  সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী  বলেন, 

তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে রাখাইনে মানবিক করিডর প্রদানের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ঝুঁকিতে ফেলে রাখাইনে যেকোন ধরনের করিডর প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা বিশ্বের বুকে নতুন করে আরেকটি গাজা/ফিলিস্তিন দেখতে চাই না। সার্বভৌমত্ব ইস্যুতে সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় সিদ্ধান্ত  গ্রহন করতে হবে। সর্ত সাপেক্ষে মানবিক করিডরের বিষয়ে  অন্তবর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা সুস্পষ্ঠ বক্তব্য আশা করছি।

নারী সংস্কার কমিশনের  প্রস্তাবের বিষয়ে বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী যেকোন সংস্কার প্রস্তাবনা বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি প্রত্যাখ্যান করছে। কেননা, নারী সংস্কার কমিশনের কিছু প্রস্তাবনা সরাসরি কোরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক।

মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে তিনি বলেন, আধুনিক সভ্যতার মুল কারিগর হচ্ছে শ্রমিক ভাই-বোনেরা। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরী পায় না। পারিশ্রমিক তাদের হক। শ্রমিকদের পারিশ্রমিক তাদের ঘাম শুকানোর আগে পরিশোধ করার তাগিদ দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ সাঃ। আধুনিক বিশ্বে শ্রমিকদেরকে আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে হলে তাদের যুগোপযোগী মজুরি/বেতন নির্ধারণ ও প্রদান জরুরী। এসময় নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনে আইন সংশোধন করার আহবান জানান বিএসপি চেয়ারম্যান।সভায় আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত নেতা মাওলানা  রইস উদ্দিন হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে রইস উদ্দিন হত্যার মামলা গ্রহন করে অপরাধিদের কঠোর স্বাস্থির দাবি  জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসপি ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া, মুফতি মাওলানা খাজা বাকি বিল্লাহ্ আল আযহারী, অতিরিক্ত মহাসচিব ও স্থায়ী পরিষদ সদস্য মো: আবুল  কালাম আজাদ, স্থায়ী পরিষদ সদস্য মো: আসলাম হোসাইন, মো: ইব্রাহিম মিয়া, শাহ্ আলম অভি, মিরানা জাফরিন  চৌধুরী, সিমা আক্তার প্রমূখ।


আরও খবর