Logo
শিরোনাম

হাত ঘুরে আলুর দাম বাড়ছে ৫০%

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

আগাম তোলার পর এখন বাজারে এসেছে নতুন আলু। দাম কমেছে ভোক্তা পর্যায়ে। তবে খেত থেকে বিক্রির হওয়া আলুর দামের সঙ্গে বাজারে বিক্রি হওয়া দামের পার্থক্য অনেক। হাত ঘুরতেই আলুর দাম বাড়ে যাচ্ছে ৫০ শতাংশ। কৃষক পর্যায়ে ৩০ টাকা কেজি দরের আলু বাজারে বিক্রির হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। দেশে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য রয়েছে আলুর ব্যবসায়। এ কারণে ঠকছেন কৃষক ও ভোক্তারা।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় আলুর উচ্চফলন হলেও হিমাগার না থাকায় সংরক্ষণের সুযোগ পাচ্ছেন না কৃষকরা। ফলে পচনের ভয়ে কম দামেই আলু বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। পরে বছর শেষে কৃষককেই আলু কিনতে হচ্ছে বিক্রির চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় খোঁজ নিয়ে এই অবস্থা দেখা গেছে। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগের তৎপরতার কমতিকে দায়ী করছেন ক্রেতারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় খেত থেকে আলু বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩৫ টাকায়। একই দিনে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে আলু খুচরা বিক্রির হচ্ছে ৪৫ টাকা দরে। তবে রাজধানী ও আশপাশের এই দামের বৈচিত্র্য পাওয়া গেছে। ঢাকার ডেমরা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা আলু বিক্রি করেছেন ৪০-৪৫ টাকা দরে। তবে মিরপুর এলাকায় আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫২ টাকা কেজি দরে। রাজধানীর বাসাবো এলাকায় আলু বিক্রির হয়েছে ৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত। রাজধানীর অদূরের জেলা নরসিংদীতেও আলু বিক্রি হয়েছে এই দামে।

রংপুর : জেলার পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নে মাঠে আলু বিক্রি হয় কেজি ৩২-৩৫ টাকা, উপজেলা সদরের বাজারে আলু বিক্রি হয় ৩৮ টাকা। তবে জেলা শহরের মডার্ন মোড় পাইকারি বাজারে ৩৮ টাকা ও খুচরা বাজারে ৪০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হয়। গতকাল একই অবস্থা ছিল সিটি বাজারের।

বিভাগের পাঁচ জেলায় চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে আলুর চাষ হয়েছে ১ লাখ ৬০২ হেক্টর জমিতে। এতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ৯২ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ বেড়েছে। গত মৌসুমে এই অঞ্চলে ৯৭ হাজার ৩২৭ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছিল।

সংরক্ষণে হিমাগার সংকট সৃষ্টি না হলেও আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে চলতি বছর অতিরিক্ত কুয়াশায় লেটব্লাইটের শঙ্কা কাটাতে ওষুধ ছিটানোতে খরচ বাড়ছে কৃষকের।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে রংপুরে ৫৩ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে, যা বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ অঞ্চলে আলু সংরক্ষণের ৬৭টি হিমাগারের মধ্যে ৪০টিই রংপুর জেলায় অবস্থিত।

সিরাজগঞ্জ : জেলায় ৩ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর। এ থেকে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার টন হয়েভে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।

জেলায় সরকারি কোনো হিমাগার না থাকায় চাষিরা সনাতন পদ্ধতিতে আলু সংরক্ষণ করেন। ফলে অনেক সময় সংরক্ষিত আলু নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হন তারা।

ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা সরাসরি মাঠে থেকে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় মণ (কেজি ৩০-৩২) আলু কিনছেন। জেলার বাজারে জাত ভেদে ৩০-৪৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে।

জেলার তাড়াশ উপজেলার নাদোসৈয়দপুর গ্রামের আলু চাষি সালাম জানান, এবার আলুর দাম ও ফলন ভালো। তবে হিমাগার না থাকায় আলু সংরক্ষণ করতে পারি না। যে কারণে ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের কাছে কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হই।

তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মশকর আলী আলুর ভালো ফলন হওয়ার পাশাপাশি বাজারে দাম বেশি থাকায় কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন।

বগুড়া : বগুড়ায় এবার আগে বছরের চেয়ে ২ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। গত বছর ৫৩ হাজার ২১৫ হেক্টর জমি থেকে ১২ লাখ ২৪ হাজার ১২০ টন আলু উৎপাদন হয়। চলতি মৌসুমে আলু চাষ হয়েছে ৫৫ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে। এখান থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ২০ হাজার ৪৭৫ টন।

বগুড়ায় পাকড়ি জাতের আলু জমি থেকেই কৃষক বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৩৭-৩৮ টাকা দরে। সেই আলু শহরের পাইকারি বাজার রাজাবাজারে এসে প্রতি কেজি ৪৪ টাকা ও খুচরা বাজারে ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ডায়মন্ড, এস্টারিক্স, কার্ডিনাল জাতের আলু জমি থেকে ৩৪-৩৬ টাকা বিক্রি হলেও পাইকারি বাজারে ৪০-৪৩ টাকা ও খুচরা বাজারে ৪৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

সদরের শাখারিয়া এলাকার চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, আগাম জাতের আলু তারা উত্তোলন করে জমি থেকেই বিক্রি করছেন, এতে তাদের পরিবহন খরচ বেঁচে যাচ্ছে। তবে বাজার রাজাবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী রায়হান আলী জানান, পরিবহন খরচ, খাজনা, বাছাই খরচ মিলে প্রতি কেজি ২ থেকে ৩ টাকা খরচ হয়।

মুন্সীগঞ্জ : চলতি বছর জেলায় ৩৪ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী তা লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ১০ হেক্টর বেশি। তবে জেলায় এখনো আলু তোলা তেমন শুরু হয়নি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, আলু গাছে যেন আগাম নাভিদশা রোগ থেকে প্রতিকার ও প্রতিরোধে ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটাতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

নরসিংদী : জেলার ছয় উপজেলার মধ্যে শিবপুর, মনোহরদী, বেলাব ও রায়পুরায় সবচেয়ে বেশি আলু আবাদ হয়েছে। জেলায় এবার প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। কৃষি কার্যালয়ের তদারকির ফলে বিভিন্ন এলাকায় বাম্পার ফল হয়েছে।

জেলার রায়পুরা উপজেলার রংপুর গ্রামের চাষি মাহালম মিয়ার প্রায় দুই একর জমিতে ৪৭ মণ আলু হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম দিকে প্রতি মণ আলু দুই হাজার টাকার বেশি দরে বিক্রি করেছেন। এখন ১ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি করায় প্রতি কেজির দাম পড়ছে প্রায় ৪৮ টাকা। তবে বাজার ঘুরে প্রতি মণ আলুর দাম পড়ছে ২ হাজার ৪০০ টাকা দরে। এতে প্রতি কেজি পড়ছে ৬০ টাকা। এদিকে নরসিংদীতে আলু সংরক্ষণাগার (হিমাগার) না থাকার কারণে কৃষকরা সঠিক দাম পায় না। পচনের ভয়ে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন তারা।

নীলফামারী :জেলায় চলতি মৌসুমে জেলায় আলুর ভালো ফলন হলেও খেত ও বাজারের দামের ফারাকে হতাশ চাষিরা। আলু খেত থেকে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৪-২৫ টাকা দরে। হাত ঘুরে বাজারে একই আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪৫ টাকায়। সদর উপজেলার মুন্সীপাড়া গ্রামের মমতাজ উদ্দিনসহ একাধিক চাষির সঙ্গে কথা বলে এই অবস্থা জানা গেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয় ২১ হাজার ৭১২ হেক্টর জমি। তবে হঠাৎ আলু বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আরো ২৭৮ হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ করেছেন কৃষকরা। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫ টন।

জেলার বড় বাজারের আলু সরবরাহকারী আদম আলী জানান, জেলার ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা খেত থেকে আলু সংগ্রহ করা আলু তাদের কাছে ২৭-২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে তারা এই আলু বিক্রি হচ্ছে ৩১-৩২ টাকা কেজি দরে।

শহরের ডাকবাংলো সড়কের সার্কিট হাউজপাড়ার বাসিন্দা আজগার আলী জানান, চাষিরা আলু বিক্রি করছে ২৫ টাকা কেজি দরে, সেই আলু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪৫ টাকায়। এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠানের উদাসিনতাকে দায়ী করছেন তিনি।

জেলায় বার্ষিক খাওয়া আলুর চাহিদা ৭৪ টন ও বীজ আলুর চাহিদা ৩৪ হাজার টন। জেলায় বিএডিসি ২টি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ৯টি হিমাগারে আলুর ধারণক্ষমতা রয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ২৫০ টন। ফলে জেলায় উৎপাদিত আলু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকছে প্রায় ৪ লাখ ১৬ হাজার ৭৬১ টন।

বিরামপুর (দিনাজপুর) : উপজেলায় বিরামপুরের পাইকারি ব্যবসায়ী আবদুল মজিদ জানান, গত সপ্তাহে ১ হাজার ৮০০ টাকা মণ কিনেছি, বৃহস্পতিবার কেনা হয়েছে ১ হাজার ১০০ টাকা। এদিকে দেশি আলু গত সপ্তাহে ছিল ২ হাজার ৪০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা মণ, বৃহস্পতিবার এর দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা মণ।

ফলে খুচরা ব্যবসায়ী ফারুক জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কমেছে কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে প্রকার ভেদে দাম ছিল ৫৫-৬০ টাকা কেজি। বর্তমান বাজারে প্রকার ভেদে আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত। কৃষি কার্যালয় জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। গত মৌসুমের চেয়ে এবার আগাম আলুর ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকদের লোকসান হবে না।


আরও খবর



৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগ এবং দুই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকতে পারে আরও কয়েকদিন। এই সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এ বছর এপ্রিলের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহে পুড়ছে প্রায় সারাদেশ।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছরই এপ্রিল মাসে গড়ে সাধারণত দুই-তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ও এক-দুটি তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। তবে এ বছরের তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

এর মধ্যেই সোমবার (১৫ এপ্রিল) পটুয়াখালির খেপুপাড়ায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত ৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গাতেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

দেশজুড়ে চলমান এই তাপপ্রবাহ এপ্রিল মাসের বাকি সময়জুড়েও থাকবে বলেও জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। মাঝখানে বৃষ্টির কারণে কিছুটা সময় তাপমাত্রা সহনীয় ছিল। ১১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে, যা এ মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এপ্রিল মাসের বাকি সময়জুড়ে দেশে তাপপ্রবাহ থাকবে। তবে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে। এ মাসে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে।

এছাড়াও আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ২০ এপ্রিলের পর দেশের কোথাও কোথাও স্থানীয়ভাবে অস্থায়ীভাবে দমকা বাতাস, ঝোড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ও বজ্রপাত হতে পারে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে।

উল্লেখ্য, তাপপ্রবাহকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যখন ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তাকে বলে মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর, তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে আবার বলে তীব্র তাপপ্রবাহ।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে, কোনো জায়গার দৈনিক যে গড় তাপমাত্রা, সেটি পাঁচ ডিগ্রি বেড়ে গেলে এবং পরপর পাঁচদিন তা চলমান থাকলে তাকে হিটওয়েভ বা তাপপ্রবাহ বলা হয়।


আরও খবর



২ মে পর্যন্ত সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমের কারণে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাহবুবুর রহমান বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



নওগাঁয় ইটভাঙ্গা মেশিনের চাপায় সিএনজি যাত্রী নিহত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর আত্রাইয়ে ইটভাঙ্গা মেশিনের চাপায়  সিএনজির যাত্রী সঞ্জয় কুমার (২৬) নামে এক এনজিও কর্মী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সাহাগোলা-শিমুলিয়া রাস্তার রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত সঞ্জয় আত্রাইয়ের আইডিএফ এনজিওতে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহী বাঘা এলাকায় বলে জানা যায়। নিহত সঞ্জয় কুমারের সহকর্মী শামীম বলেন, সঞ্জয় কুমার আইডিএফ এনজিও'র আত্রাই শাখায় ফিল্ড অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। সকালে বাড়ি থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে অফিসে যাচ্ছিলেন। এসময় ওভারটেক করার সময় একই দিক থেকে আসা ইট ভাঙ্গার মেশিনটি সিএনজিটিকে চাপা দেয। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়। আহত হয় আরো কয়েকজন।

আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারের করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। নিহতের পরিবারকে জানানোর চেষ্টা চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



আজ থেকে বেড়েছে রেলের ভাড়া

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকা থেকে ট্রেনে গাজীপুরে যেতে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীদের যত টাকা ভাড়া গুণতে হয়, এরচেয়ে পঞ্চগড়, খুলনা বা চট্টগ্রাম যেতে কম ভাড়া লাগত। কারণ, বাংলাদেশ রেলওয়ে এতদিন ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ এবং ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২৫ শতাংশ এবং এর বেশি দূরত্বের জন্য ৩০ শতাংশ ভাড়ায় রেয়াতি সুবিধা দিয়ে আসছিল। তবে আজ থেকে রেলযাত্রায় এই রেয়াতি সুবিধা উঠে যাচ্ছে। ফলে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য গুণতে হবে বাড়তি ভাড়া।

রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলের লোকসান কমাতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যথায় রেলসেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এই সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে।

রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলছেন, রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়নি, ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা।

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।

ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা।

ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।

ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা।

ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।

ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা।

ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।

ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা।

ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।

ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা।

ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা।

ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা।

এছাড়া শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার বাদে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে এসি সিট ও বার্থ এবং প্রথম শ্রেণির সিট ও বার্থ আসনের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বেড়েছে।

গত ২২ এপ্রিল যাত্রী পরিবহনে প্রদত্ত রেয়াত প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এতে বলা হয়, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আজ থেকে কার্যকর করা হবে।


আরও খবর



রাজধানীতে রাত ১১টার পর চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীতে রাত ১১টার পর পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রবিবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নিদের্শনা দেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার অলিগলিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ও কোনো কোনো এলাকায় সারারাত চায়ের দোকান খোলা থাকে। এসব দোকানে চা খাওয়ার পাশাপাশি লোকজন আড্ডা দেয়। অনেক অপরাধীও সাধারণ মানুষের মঙ্গে মিশে থাকে। সুযোগ বুঝে তারা চুরি-ছিনতাই করে।

তিনি বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ থাকবে। সমাজে অপরাধের কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার নির্দেশনা দেন তিনি।


আরও খবর