Logo
শিরোনাম

হজ বিধি লঙ্ঘনে জরিমানা ঘোষণা করল সৌদি আরব

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

সৌদি আরব হজ পারমিট নির্দেশিকা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পারমিট ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করা ব্যক্তি এবং এতে সহযোগিতা করা যেকোনো পক্ষকে জরিমানা, বহিষ্কার ও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।

চাঁদ্র মাসের দুল-ক্বিদা ১ তারিখ থেকে শুরু করে দুল-হিজ্জা ১৪ তারিখ পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ এবং জরিমানা কার্যকর থাকবে। এই সময়ের মধ্যে হজ পারমিট ছাড়া মক্কা নগরী বা পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ বা অবস্থান করার চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে নিচের বিধানগুলো কার্যকর হবে

প্রথমত, হজ পারমিট ছাড়া হজ পালন বা পালনের চেষ্টা করলে, বা যেকোনো ধরনের ভিজিট ভিসাধারী যদি মক্কা নগরী বা পবিত্র স্থানগুলোতে প্রবেশ বা অবস্থান করার চেষ্টা করেন, তবে তাদের সর্বোচ্চ ২০,০০০ সৌদি রিয়াল (প্রায় ৫,৩০০ মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হবে।

দ্বিতীয়ত, কোনো ব্যক্তি যদি এমন কারো জন্য ভিজিট ভিসার আবেদন করেন, যিনি হজ পারমিট ছাড়াই হজ পালন করেছেন বা করার চেষ্টা করেছেন, বা যিনি উল্লিখিত সময়ে মক্কা শহর ও পবিত্র স্থানে প্রবেশ করেছেন, তার বিরুদ্ধেও সর্বোচ্চ ১,০০,০০০ সৌদি রিয়াল (প্রায় ২৬,৭০০ মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হবে। এই জরিমানা প্রতি ব্যক্তির জন্য আলাদাভাবে গণ্য হবে।

একই জরিমানা কার্যকর হবে তাদের ওপর যারা ভিজিট ভিসাধারীদের মক্কা নগরী বা পবিত্র স্থানে পরিবহন করেন বা করার চেষ্টা করেন। এ ছাড়াও যারা ভিজিট ভিসাধারীদের কোনো হোটেল, ফ্ল্যাট, ব্যক্তিগত বাসভবন, আশ্রয়কেন্দ্র বা হজযাত্রীদের জন্য নির্ধারিত বাসস্থানে আশ্রয় দেন বা দেয়ার চেষ্টা করেন, তাদের বিরুদ্ধেও একই শাস্তি প্রযোজ্য হবে।

যারা ওই ব্যক্তিদের অবস্থান গোপন রাখেন অথবা তাদের থাকার জন্য সহায়তা করেন, তারাও এই জরিমানার আওতাভুক্ত হবেন। প্রতিটি আশ্রয়প্রাপ্ত বা সহায়তাপ্রাপ্ত ব্যক্তির জন্য জরিমানা বহুগুণে বাড়বে।

তৃতীয়ত, যেসব অবৈধ অনুপ্রবেশকারী (থাকার অনুমতি শেষ হয়ে যাওয়া বা অনিবন্ধিত অভিবাসী) হজ পালনের চেষ্টা করবেন, তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং ভবিষ্যতে ১০ বছরের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।

চতুর্থত, উল্লিখিত সময়ে যারা ভিজিট ভিসাধারীদের পরিবহনে নিজস্ব যানবাহন ব্যবহার করবেন বা করাবেন, তাদের যানবাহন যদি তাদের নিজস্ব মালিকানাধীন হয়, তাহলে তা জব্দ করার জন্য সৌদি আদালতে আবেদন জানানো হবে।

সৌদি কর্তৃপক্ষের এই কঠোর পদক্ষেপ হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে। হজ মৌসুমে বিদেশী ও অভ্যন্তরীণ সব নাগরিকদের এই নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।


আরও খবর



ইসলামপুরের গোয়ালেরচর ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাদশার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সোমবার বিকালে গোয়ালেরচর ইউনিয়ন বিএনপি,সহযোগী অঙ্গসংগঠন ও সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে মহলগিরি শাপলা চত্বর মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ইসলামপুর-গোয়ালেরচর আঞ্চলিক সড়কে ঘন্ট্যাব্যাপী মানববন্ধনে চেয়ারম্যানের অপসারণে এক দফা দাবি জানানো হয়। অপসারণ চেয়ে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গোয়ালেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল করিম মেম্বার,সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক পাগাল,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম,শাজাহান মিয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আলী,যুবদল নেতা পারভেজ ফারাজী,মুছা আলী,জলিল মিয়া ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রহিম বাদশা। এর আগে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে শাপলা চত্বরে বিক্ষোভ করেন তারা। 

বক্তারা বলেন,গোয়ালেরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর  রহিম বিগত সরকারের আমলে বিএনপি,ছাত্রদল,যুবদলসহ ইউনিয়নের নিরপরাধ মানুষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি এবং ব্যাপক চাদাঁবাজি করেছেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পর টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ সকল প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। তার অত্যাচারে ইউনিয়নের মানুষ অতিষ্ঠ। আওয়ামীলীগের দোসররা পালিয়ে গেলেও বহাল তরিয়তে আছেন আবদুর রহিম। এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের চিহ্নিত কোন দোসর থাকতে পারবে না। তাই দুর্নীতিবাজ ও বহু অপকর্মের হোতা আবদুর রহিমকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ করতে হবে। তাকে অপসারণ না করা হলে ইউনিয়নের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তারা। 

এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাদশার ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।


আরও খবর



ঝালকাঠির খাল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ,ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠিতে মিজান হোসেন (২৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (২৮) এপ্রিল সকালে সদরের কলেজ খেয়াঘাট সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় জামে মসজিদ সংলগ্ন খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

মিজান শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি পূবালী সড়কের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।


স্থানীয়রা জানান, খালে কাদায় লেপটানো একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে  পুলিশকে খবর দেই। 

পরে পুলিশ ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের পাঠায়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত চিহ্ন দেখা যায়।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, নিহতের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় স্কুল ছাত্রী সানজিদাকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় দাদা ও চাচা কর্তৃক শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী সানজিদাকে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবি করে দাদা ও চাচার বিচার দাবিতে শুক্রবার ১৮ এপ্রিল নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত স্কুল ছাত্রী সানজিদা'র স্বজনরা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত স্কুল ছাত্রী সানজিদা (১৬) এর মামা ফজলুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সানজিদা'র মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামানিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল ও মামা হামিদুল প্রামানিক।

লিখিত বক্তব্যে স্কুল ছাত্রী সানজিদার মামা ফজলুর রহমান বলেন, দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী কিশোরী সানজিদা নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে ও উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী ছিলো। সানজিদার

বাবা দীর্ঘদিন ধরে সৌদী আরবে ও আরব আমিরাত (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল তার বসত-ভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতে স্কুল ছাত্রী সানজিদা ও তার মা বসবাস করাকালে সেই জায়গায় পাকা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিলে এতে প্রবাসী শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধা দেয় এবং বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গাঁয় বাড়ি নির্মাণ করার জন্য বলে আসছিল। এনিয়ে বিরোধ শুরু হয়। এরপর থেকে স্কুল ছাত্রী সানজিদা ও তার মায়ের সাথে তার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক বিরোধ লেগে থাকতো। সেই জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও চাচা সাজিম মন্ডল গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে সানজিদার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে স্কুল ছাত্রী সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তার শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। 

এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সানজিদার দাদা মোসলেম মন্ডল ও চাচা সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন। এসময় আরে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সানজিদা প্রাইভেট পড়ে সকাল ১১টারদিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে এক পর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর করে ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় মেয়ে সানজিদাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ঐ দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক স্কুল ছাত্রী সানজিদা হত্যায় জড়ীত তার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের বিচার দাবি করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। অপরদিকে এব্যাপারে জানতে চাইলে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ

শাহাবুদ্দীন বলেন, ঐ ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে যেহতু রাজশাহী রাজপাড়া থানায় ইউডি মামলা হয়েছে এবং ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য ময়না তদন্ত প্রতিবেদন এর পরি-প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর



সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন নয়

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

যেকোনো নির্বাচনের আগে অবশ্যই দুটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, একটি হচ্ছে খুনিদের বিচার, এ দৃশ্যমান হতে হবে; আর একটি হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংস্কার- এই দুটি ছাড়া বাংলাদেশের জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।

আজ শনিবার লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে ঐতিহাসিক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু এটি সঞ্চালনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সুষ্ঠ নির্বাচন চাই, কালো টাকা ও পেশীশক্তির প্রভাবযুক্ত নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না। সেজন্য অবশ্যই নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরি করতে হবে।

ভারতের সঙ্গে সম্প্রীতি, শ্রদ্ধা ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী হিসেবে বসবাসের দাবি জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা ভালো থাকলে তারাও ভালো থাকবে। আমাদের ভালো কেড়ে নিলে ভারতকে চিন্তা করতে হবে তারা ভালো থাকবে কিনা।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও এখনো কিছু কু-রাজনীতক চাঁদাবাজি-দখলবাজি করছে। এ সময় জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের সম্মান, নিরাপত্তা ও কাজের ব্যবস্থা করবে বলে জানান তিনি।পাশাপাশি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ লালমনিরহাটের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান।

দেশবাসীর উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, আমরা এমন একটা দেশ চাই, যেখানে পক্ষ-বিপক্ষ বিভাজন চাই না। টুকরা টুকরা জাতি চাই না। আমরা মাইনরিটি মেজরিটি শব্দই শুনতে চাই না।এখন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরাও বলেছে এই কথাগুলো বলে বলেই আমাদের শোষণ করা হয়েছে। আমরাও চাই না।

তিনি বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই দেশকে গড়ে তুলব। নারীদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে। তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তারা নিরাপদভাবেই ঘরে থাকবেন, বাইরে যাবেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। যুবকদের হাত কাজের হাতে পরিণত করব। সেই অপেক্ষায় আছি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য জীবন দেব, তবুও দেশের সার্বভৌমত্ব দেব না। কারও লাল চোখের দিকে আর আমরা তাকাব না। আমাদের দিকে যদি কেউ লাল চোখ তুলে তাকায় তাও আমরা বরদাস্ত করব না। আমরা পিন্ডির হাত থেকে মুক্ত হয়েছি অন্য কারও হাতে বন্দী হওয়ার জন্য না। বরং সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই বৈষম্যহীন মানবিক সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চায় বলে মন্তব্য করেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, এটা কী আপনারা সবাই চান যেদিন এই দেশে ইনসাফ ন্যায়বিচার কায়েম হবে। আমরা সেই দিনটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এজন্য আপনাদের ভালবাসা দরকার, দোয়া চাই, সহযোগিতা চাই, ইতিবাচক সমালোচনাও চাই।আমরা বিভেদহীন জাতি চাই। আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি নিয়ে সামনে এগুতে চাই।

এর আগে জনসভায় যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে দলের কর্মী-সমর্থকরা সকাল থেকে মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে এসে উপস্থিত হন।জনসভা ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। কালেক্টরেট মাঠ ছাড়াও শহরের অপর একটি মাঠে মহিলাদের জন্য বড় পর্দার ব্যবস্থা করা হয়।

জেলা জামায়াতে ইসলামির আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল। এ ছাড়া দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দও এ সময় জনসভায় বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



গোপন রোগের কারণে যদি চুলকানি হয়

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ডা. দিদারুল আহসান: কিছু সংক্রামক অসুখ রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে বিস্তার লাভ করতে পারে কিছু মারাত্মক যৌনরোগ। এমন রোগগুলো একসঙ্গে এসটিডি (ঝঞউ) নামে পরিচিত। উল্লেখযোগ্য কিছু যৌনবাহিত রোগ হলো সিফিলিস বা ফিরিঙ্গি রোগ, গনোরিয়া বা বিষমেহ, ক্ল্যামাইডিয়া, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, জেনিটাল হার্পিস, জেনিটাল ওয়ার্টস, হেপাটাইটিস বি এবং সি, এইডস (এইচআইভির জীবাণু), চ্যানক্রয়েড, গ্রানুলোমা ইনগুইনাল, লিম্ফোগ্রানুলোমা ভেনেরিয়াম ইত্যাদি। এসব রোগের কিছুসংখ্যক অন্যান্য প্রক্রিয়ায়ও ছড়িয়ে পড়ে (যেমন এইচআইভি)।

চুলকানি হওয়ার কারণ : পুরুষের নিম্নাঙ্গের নানাস্থানে অনেক সময় তীব্র চুলকানি দেখা দেয়। এর পেছনে ব্যাকটেরিয়া ছাড়াও আরও যেসব কারণ দায়ী তা হলো ছত্রাকের আক্রমণ, ট্রাইকোমোনিয়াসিস প্যারাসাইটের আক্রমণ ছাড়াও যৌনাঙ্গে উঁকুন, খোসপাঁচড়া, মাইকোপ্লাজমা জেনেটালিয়ামের সংক্রমণ। এসবের কারণে নিম্নাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। কিছু যৌনরোগ, যেমন সিফিলিস, গনোরিয়া, এইডস ইত্যাদি কারণে যৌনাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। বিভিন্ন বিরক্তিকর পদার্থ, যেমন কোনো কোনো ডিটারজেন্ট, কেমিক্যাল, সুগন্ধিযুক্ত সাবান, রঙওয়ালা টিস্যু পেপার, ফেমিনিন হাইজেনিক স্প্রে, ডুশ ইত্যাদি ব্যবহারেও চুলকানি হতে পারে। ডায়াবেটিস, রেনাল ডিজিজ, অ্যাকজিমা ও রক্তে কোনো সমস্যা ও অন্য কোনো রোগ থাকলেও যৌনাঙ্গ চুলকায়। আঁটো পোশাক, যৌনাঙ্গ আর্দ্র হয়ে থাকলে, অপরিষ্কার থাকলেও চুলকানি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

প্রতিকার : ছত্রাকের বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিফাঙ্গাল বা অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। এছাড়া প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যেন তা আর না হয়।

প্রতিরোধের উপায় : সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। রঙিন ও বেশি সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিস্যু ও সাবান ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজন ছাড়া ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে ও ডুশ ব্যবহার করবেন না। ভেজা কাপড় পরে বেশিক্ষণ থাকবেন না। গোসল বা ব্যায়ামের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা কাপড়টি পাল্টে নেবেন। দই খান। এতে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি অন্তর্বাস পরুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওজন কমান। নিয়মিত গোসল করুন। অন্তর্বাস নিয়মিত রোদে শুকাতে দিন, যাতে ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। যারা এ সমস্যায় প্রতিনিয়ত ভুগে থাকেন, তাদের অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শমতো চিকিৎসাব্যবস্থা গ্রহণ করলে রোগটি থেকে মুক্ত থাকা যায়।

লেখক : চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ এবং কনসালট্যান্ট, গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

রুম-৪৩২ (৪ তলা) গ্রিনরোড, ধানমন্ডি, ঢাকা

০১৭১৫৬১৬২০০, ০১৭৩৩৭১৭৮৯৪


আরও খবর