Logo
শিরোনাম

হজ্জযাত্রীদের খরচ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার দাবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :হজ্জযাত্রীদের খরচ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা না হলে ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করবে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ 

বিমান ভাড়া হ্রাস এবং  হজ্জ প্যাকেজ থেকে  সকল প্রকার ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করে ভর্তুকি দিয়ে হলেও পাশ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে মিল রেখে

২০ মার্চ সোমবারের মধ্যে বাংলাদেশের হজ্জ যাত্রীদের খরচ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পুনঃনির্ধারণ করার দাবি জানিয়ে আজ ১৭ মার্চ, শুক্রবার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।  

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেন,২০ মার্চের মধ্যে যদি এ বিষয়ে সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত নেয়া না হয় তবে আগামী ২২ মার্চ, বুধবার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরের স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।  

তিনি বলেন, মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতি, হজ্জ পালনে অস্বাভাবিক ও অতিরঞ্জিত খরচ নির্ধারণ করে অমানবিক প্যাকেজ ঘোষণা এবং কুরবানীর সময়ে কুরবানির পশুর চামড়ার মূল্য কমিয়ে সরকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে ধর্মকর্ম পালনে কৌশলে নিরুৎসাহিত করছে। 

শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, সরকারের উদাসিনতা, অবহেলা এবং দুর্নীতিবাজ ও মুনাফাখোরদের নিয়ন্ত্রণহীন আধিপত্যে মুসলিম প্রধান স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ধর্ম কর্ম পালন করা দিন দিন কঠিন থেকে কঠিন হয়ে পড়ছে। 

তিনি বলেন, মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা সরকারের প্রধান কর্তব্য থাকলেও তারা সে কর্তব্য পালনে বছরের পর বছর ব্যার্থ হয়ে মিডিয়ার সামনে আওয়াজ দিয়ে যাচ্ছে।  বাস্তবে তাদের কোন কর্মতৎপরতা আছে বলে মনে হয় না। 

শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, হজ্জের খরচ কমিয়ে প্যাকেজ ঘোষণা করা সরকারের দায়িত্ব হলেও তা না করে সিন্ডিকেটের সদস্যদের লাভবান করতে সাধারণ ধর্মপ্রাণ হজ্জ যাত্রীদের কষ্টের জমানো অর্থ দিয়ে বিমানের লোকসান কাটিয়ে লাভবান করতে প্রায় ১ লাখ টাকা বিমান ভাড়া বৃদ্ধি করেছে।  যে ক্ষেত্রে সরকারের ভর্তুকি দেবার কথা সেক্ষেত্রে ভ্যাট ট্যাক্স আরোপ করে অমানবিক হজ্জ প্যাকেজ ঘোষণার মাধ্যমে সরকার মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানছে। কুরবানির সময়ে কুরবানির পশুর চামরার মূল্য কমিয়ে দিয়ে গরীবের হক নষ্ট করে অমানবিক কাজ করে যাচ্ছে।  

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মুফতী মুহাম্মাদ মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহাদুজ্জামান মোল্লা, মোঃ আবু শোয়াইব খান,মোঃ আবদুল কুদ্দুস, মোঃ আবদুর রাজ্জাক, মুফতি মুজিবুর রহমান, মোঃ শফিকুল ইসলাম বিশ্বাস ও মুফতী ইসহাক মোহাম্মদ আল আমিন।


আরও খবর



সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়াদ্বীপের ভবিষ্যৎ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, যাকে ঘিরে রয়েছে অপার পর্যটন সম্ভাবনা। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ অবসর যাপনের জন্য ভিড় করে দেশের সর্বশেষ প্রান্তে অবস্থিত এই নীল জলের দ্বীপে। সারি সারি নারিকেলগাছ আর কেয়াবনের সৌন্দর্য সেন্ট মার্টিনের গ্রহণযোগ্যতা আরও অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত এই দ্বীপ বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এই দ্বীপটি ঠিক কত আগে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠেছিল তার সঠিক দিন-তারিখ খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুরুতে এই দ্বীপটিকে জিঞ্জিরা নামে ডাকা হতো। যা পরবর্তীতে নারিকেল জিঞ্জিরা, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, দারুচিনি দ্বীপ ইত্যাদি নামে পরিচিতি পেয়েছে। সেন্ট মার্টিন নামকরণের দুই রকম ইতিহাস থাকলেও ধারণা করা হয় চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মার্টিনের নামানুসারেই এর নাম সেন্ট মার্টিন দ্বীপ হয়। ভৌগোলিকভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে তিনটি অংশে ভাগ করা যায়।

যার উত্তর অংশের ভাগকে বলা হয় উত্তর পাড়া বা নারিকেল জিঞ্জিরা। দক্ষিণ অংশকে বলা হয় দক্ষিণ পাড়া এবং দক্ষিণ-পূর্বদিকে বিস্তৃত লেজের মতো অংশটিকে ডাকা হয় গলাচিপা নামে। এই দ্বীপের দক্ষিণে ছোট আরেকটি দ্বীপ আছে যা স্থানীয়ভাবে ছেঁড়াদিয়া বা ছেঁড়া দ্বীপ নামে পরিচিত। জনশূন্য এই দ্বীপে ভাটার সময় হেটে যাওয়া গেলেও জোয়ারের সময় প্রয়োজন হয় নৌকা। তবে পর্যটকরা বেশিরভাগই ট্রলার, স্পিডবোট ইত্যাদিতে করে ছেঁড়াদ্বীপে যান। অনেকে আবার বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলও ব্যবহার করেন, যা এই দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে ভাড়ায় পাওয়া যায়। এত সুন্দর ভৌগোলিক পরিবেশে অবস্থিত এই দ্বীপের বর্তমানে বড়ই বেহাল দশা। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ফলে সেন্ট মার্টিনের পরিবেশের উপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব। প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে প্রবালের পরিমাণ। কমছে গাছপালা আচ্ছাদিত অঞ্চলের পরিমাণ, নষ্ট করা হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ীঠা কেয়াবন। যেখানে ১৯৯৬-৯৭ সালে সেন্ট মার্টিনে বার্ষিক পর্যটকের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৫০-২০০ জন সেখানে এখন প্রতি বছর লক্ষাধিক পর্যটক ভিড় করছেন এই দ্বীপে। একদিকে যেমন পর্যটন সম্ভাবনা বিকশিত হয়েছে অন্যদিকে হচ্ছে পরিবেশের বিপর্যয়।

যে প্রবালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে স্বচ্ছ জলধারার এই দ্বীপ সেটিই এখন প্রবালশূন্য হওয়ার পথে। গত চার দশকে এই দ্বীপে প্রবালের পরিমাণ কমেছে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। অথচ শুধু এই প্রবালের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে এই দ্বীপ। প্রবাল কমে যাওয়ায় এই দ্বীপের আয়তনও কমা শুরু হয়েছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের ধারণা, এভাবে চলতে থাকলে ২০৪৫-৫০ সালের মধ্যে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ প্রবালশূন্য হয়ে বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যাবে। প্রবালকে আমরা সাধারণভাবে পাথর মনে করলেও এটি এক ধরনের অমেরুদন্ডী প্রাণী। এর বাইরের আবরণ শক্ত হওয়ায় আমরা একে পাথর ভেবে ভুল করে থাকি।

 সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা যায়, সেন্ট মার্টিনে হোটেল-মোটেল ও আবাসিক স্থাপনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ সামলাতে এই স্থাপনাগুলো গড়ে উঠছে। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে এবং নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। প্রবাল পাথরগুলোকে ভেঙে হোটেল নির্মাতাদের কাছে বিক্রি করছেন স্থানীয় মানুষজন। যা সেন্ট মার্টিনের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। অল্প কিছু টাকার জন্য তারা নিজেদের আবাসস্থলকে ফেলছে অসম্ভব বড় ঝুঁকিতে। এই মানুষ হয়তো অজ্ঞতার ফলে বুঝতে পারছে না এই প্রবালের সঙ্গেই নির্ভর করছে তাদের টিকে থাকা, এই দ্বীপের টিকে থাকা।

ব্যক্তি বা বেসরকারি পর্যায়ে অনেকেই গবেষণা করছেন সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কিন্তু সবার গবেষণালব্ধ ফলাফলই আমাদের এই দ্বীপ সম্পর্কে অশনিসংকেত দিচ্ছে। স্থানীয় কিছু সংগঠন ও পরিবেশবাদী লোকজন এই বিষয়ে অল্পবিস্তর আলোচনা বা প্রতিবাদ করলেও হচ্ছে না কোনো প্রতিকার। তাদের ধারণা, কিছু প্রভাবশালী মহল সেন্ট মার্টিনে নিজেদের ব্যবসা প্রসারিত করতে গিয়ে চালাচ্ছেন এক ধ্বংসলীলা। সরেজমিনে গিয়েও আপনি একই চিত্র দেখতে পাবেন। যেখানে ২০১২ সালে সেন্ট মার্টিনে মাত্র ১৭-১৮টি হোটেল-রিসোর্ট ছিল এখন সেখানে হোটেল-রিসোর্টের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। এসব হোটেল-রিসোর্টের সিংহভাগেরই মালিক বিভিন্ন বড় বড় ব্যবসায়ী কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। টাকার খেলায় যারা ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। স্থানীয় অধিবাসীদের শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবকে কাজে লাগিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এই কুচক্রী মহলের মানুষরূপী পরিবেশখেকোর দল।

সেন্ট মার্টিনে একসময় দেখা যেত বিরল প্রজাতির সব কাছিমসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীদের। অথচ এসব প্রাণী এখন চোখেই পড়ে না। সরকারিভাবে এসব প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আশানুরূপ কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে পরিবেশবিদদের ধারণা। কয়েক প্রজাতির কাছিমের অভয়ারণ্য ও প্রজননস্থান হিসেবে সেন্ট মার্টিনের পশ্চিম বিচকে আলাদা করা হলেও এই বিচেও কমেছে কাছিমের আনাগোনা। স্বাভাবিক সময়ে এখন আর এখানে কাছিম দেখতে পাওয়া যায় না। তবে করোনাকালীন লকডাউনের সময় সেন্ট মার্টিন পর্যটকশূন্য থাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে মা কাছিম এই সমুদ্রতটে এসে ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটিয়েছে। এতে সহজেই অনুমান করতে পারি আমরা পর্যটকরা এই সামুদ্রিক প্রাণীদের স্বাভাবিক প্রজননের ক্ষেত্রেও হুমকি তৈরি করছি।

সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ বিপর্যয় ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের জন্য অনিয়ন্ত্রিত ও অতিরিক্ত পর্যটক, পাথর তুলে ফেলা, প্রবাল উত্তোলন, আবাসিক হোটেলের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যটকদের ব্যবহৃত সামগ্রী সমুদ্রের পানিতে ফেলা ইত্যাদি বিশেষভাবে দায়ী। গবেষকদের মতে, সেন্ট মার্টিনে নতুন জন্ম নেওয়া প্রবালগুলো জেলেদের জালের টানে নষ্ট হওযার সম্ভাবনা থাকে কারণ জেলেরা দ্বীপের তীর উপকূলবর্তী এলাকায় জাল ফেলে মাছ ধরেন। যেখানে জন্মায় সবচেয়ে বেশি প্রবাল। ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্বীপের চারপাশের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন ও সামুদ্রিক জলের রাসায়নিক পরিবর্তন যার মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ। সম্প্রতি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ভারসাম্য রক্ষায় 'প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন' এলাকা ঘোষণা করে ভ্রমণে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়েছে, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন এবং পর্যটকদের অসচেতনতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, পরিবেশ এবং প্রতিবেশ বিরোধী আচরণের কারণে সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যসহ দ্বীপটিকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০)-এর ৪ ধারার ক্ষমতাবলে সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধগুলো আরোপিত হয়েছে। নিষেধগুলোর মধ্যে রয়েছে- দ্বীপের সৈকতে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ কোনো ধরনের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক বাহন না চালানো।

সৈকত বা সমুদ্রে পস্নাস্টিক বা অন্য কোনো ধরনের বর্জ্য না ফেলা। দ্বীপের চারপাশে নৌ-ভ্রমণ না করা। জোয়ার-ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর দিয়ে হাঁটাচলা না করা। সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরা না করা। সৈকতে মাইক না বাজানো, হইচই এবং উচ্চৈঃস্বরে গান-বাজনা না করা। স্পিডবোট, ট্রলার কিংবা অন্যান্য উপায়ে ছেঁড়াদ্বীপে না যাওয়া। প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, কাছিম, রাজকাঁকড়া, সামুদ্রিক শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয়-বিক্রয় না করা। সর্বোপরি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য ক্ষতিকর যে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। সেন্ট মার্টিনের পরিবেশগত বিপর্যয়ের অন্যতম প্রধান কারণ পস্নাস্টিক। সম্প্রতি এই দ্বীপের মাত্র দেড় কিলোমিটার এলাকা থেকে প্রায় ১২০ কেজি পস্নাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

সংগৃহীত পস্নাস্টিক বর্জ্যের বেশির ভাগই ছিল একবার ব্যবহারযোগ্য কাপ, পেস্নট, চিপসের খালি প্যাকেট প্রভৃতি। আমরা জেনে কিংবা অজান্তেই এসব পস্নাস্টিক এই দ্বীপে ফেলে আসি যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যেহেতু খাবার এবং পানির জন্য প্যাকেটজাত ও বোতলজাত পণ্যের উপর নির্ভর করতে হয় তাই নূ্যনতম সচেতন না হলে এই মারাত্মক দূষণ ঠেকানো কঠিনসাধ্য হবে। এছাড়া সেন্ট মার্টিনকে পর্যটনবান্ধব করতে এবং এর পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। যত্রতত্র হোটেল তৈরি না করে নিয়ন্ত্রিত ও মানসম্পন্ন স্বল্পসংখ্যক হোটেল তৈরি করা যেতে পারে।

আধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সর্বোপরি দ্বীপটিকে পর্যটকদের নিকট নিরাপদ ও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে যাতে সেই সুন্দর স্থানটিকে কেউ নষ্ট করতে উদ্যত না হয়। মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে স্থানীয় প্রশাসন, কোস্ট-গার্ড, নৌ-বাহিনীসহ পরিবেশ অধিদপ্তরকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে পর্যটক হিসেবে আমাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং পরিবেশকে ভালোবাসতে হবে। তবেই প্রিয় সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে আমরা সবাই মিলে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পারব।

 


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক অব্যাহতভাবে গড়তে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

মো. রেজুয়ান খান, জনসংযোগ কর্মকর্তা :


ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,  মহাসড়ক না হলে যেমন যানবাহন চলতে পারে না, তেমনি ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক ছাড়া ডিজিটাল প্রযুক্তি চলতে পারেনা। তিনি বলেন আমাদেরকে ডিজিটাল সংযুক্তির মহসড়ক অব্যাহতভাবে গড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চাদপদ বাংলাদেশে অনন্য ডিজিটাল সড়ক গড়ে তুলেছেন। মন্ত্রী হাওর অঞ্চলের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, যেখানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে একসময় বলা হতো ‘বর্ষায় নায়ে, হেমন্তে পায়ে’- সেই হাওর এলাকার মা ডিজিটাল সংযুক্তির কল্যাণে এখন হাওর এলাকার গোয়াল ঘর বন্যায় ডুবে যাওয়ার চিত্র তার ছেলেকে মোবাইলের মাধ্যমে দেখাতে পারছে। তিনি আরও বলেন যে এই মহাসড়ক নির্মাণে বিটিআরসি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে যা আগামীতে আরও জোরদার করতে হবে।

তিনি বিটিআরসির বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ধন্যবাদ প্রদান করেন। এসব উদ্যোগের মাঝে রয়েছে বিশ্বের সর্বনিম্ন ইন্টারনেট হার এক দেশ এক রেট প্রবর্তন, বাংলা এসএমএস এর অর্ধেক মূল্য নির্ধারণ, ৪জি-৫জির স্পেকট্রাম নিলাম, টেলিকম খাত থেকে বিপুল জাতীয় রাজস্ব আদায়, সকল মোবাইল গ্রাহককে বাংলায় সকল তথ্য প্রদান, হাওর-দ্বীপ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিজিটাল সংযুক্তি গড়ে তোলাসহ টেলিযোগাযোগ খাতে ডিজিটাল যুগের উপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের পর  স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগুচ্ছি। এজন্য আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটালে রূপান্তর করতে হবে। বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার চক, ডাস্টার, কাগজ, কলম, চেয়ার, টেবিল এর পরিবর্তে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এটি গর্ব করার মতো যে বিটিআরসি তার এসওএফ তহবিলের একটি প্রকল্পেরে আওতায় ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৮টি পাড়াকেন্দ্রে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আজ বিকালে রাজধানীর রমনায় আইইবি ভবনের বিটিআরসি’র সভাকক্ষে সম্প্রতি ড. দীনেশ চন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণপদক ও ‘বিজয় বন্ধু সম্মাননা প্রাপ্তিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বারকে সম্বর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, ড. দীনেশচন্দ্র সেন সংকলিত মৈমনসিংহ গীতিকার তিনটি সংস্করণ প্রকাশের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা প্রকাশের  উদ্যোগ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় অবিরাম অবদান রাখা, বিজয় বাংলা সফটওয়ার এবং  বিজয় ডিজিটাল শিক্ষা সফটওয়্যার উদ্ভাবনসহ  ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বারকে আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। আচার্য  দীনেশচন্দ্র সেন রিসার্চ সোস্যাইটি ভারত এই স্বর্ণপদক প্রদান করে। সোস্যাইটি’র  সাধারণ সম্পাদক এবং দীনেশচন্দ্র সেনের প্রপৌত্রী দেব কন্যা সেন এই  পদক মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। অন্যদিকে ডরপ নামক বাংলাদেশী একটি প্রতিষ্ঠান মন্ত্রী মহোদয়কে বিজয় বন্ধু উপাধিতে ভূষিত করে।

মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল করতে যা করেছেন তা জাতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে পশ্চাদপদ ছিল। প্রিন্টিং কাজের জন্য একসময় শীসার হরফ আনা হতো পশ্চিমবঙ্গ থেকে। অথচ এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের কারণেই আমাদের বাংলাদেশের ডিজিটাল হরফ ব্যবহার করছে পশ্চিমবঙ্গ। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ১৯৭২ সালে যন্ত্রে বাংলা লেখার সুযোগ হয়েছিল। মন্ত্রী বলেন, আমাদের যার যা দায়িত্ব আছে তা যথাযথভাবে পালন করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) মো. মাহবুব-উল-আলম, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেনও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কমিশন সচিব মো. নুরুল হাফিজ।

সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, মাননীয় মন্ত্রীকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনি ও জানি। একসময় ভাই সম্বোধন করতাম। তিনি বলেন, আমিই প্রথম মাননীয় মন্ত্রীকে মন্ত্রিত্ব পদ পেতে যাচ্ছেন তার সংবাদটি দিয়েছিলাম। তিনি বলেন, আমাদের অভিভাবকরা সচেতন নয়। মানুষকে অনুপ্রেরণা দিতে হবে। আমাদের মাননীয় মন্ত্রী একজন অনুপ্রেরণা দান করা সুন্দর মানুষ। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার নীতিমালা তৈরি সহ আইসিটির অনেক কাজেই তিনি মন্ত্রী হবার আগে থেকেই যুক্ত ছিলেন। মাননীয় মন্ত্রী অনেক উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন। তার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার কারণেই বাংলাদেশের মানুষ প্রযুক্তিতে ঢুকতে পারছে।

বিটিআরসি’র মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তী পুরুষ। তিনি বলেন, মাননীয় মন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ  প্রযুক্তিতেই সীমাবদ্ধ নন, তিনি দেশবাসীর কাছে ডিজিটাল সেবা পৌছেঁ দেয়ার একজন কারিগর। বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন মন্ত্রীর সম্বর্ধনাকে যথার্থ মন্ত্রব্য করে বলেন, ক্ষণজন্মা মেধাবী এ মানুষটি তাঁর শ্রম ও মেধা দিয়ে দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি তার ভালোবাসাকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বের চেহারা ৯০ দশকেই তিনি বাংলাদেশের মানুষকে দেখিয়েছিলেন। তিনি ৯০ দশকেই বুঝেছিলেন, আগামির বাংলাদেশটিকে কেমন হতে হবে। ৯০ দশকেই তিনি বিজয় কী বোর্ড আবিষ্কার করে কম্পিউটারে বাংলাভাষার ব্যবহার শুরু করেছিলেন। এখন তিনি ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করছেন।

বক্তব্য শেষে বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বারকে বিশেষ স্মারক প্রদান করা হয়।

 


আরও খবর

বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মডেল

শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩




প্রেম প্রত্যাখান করায় স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ

র‌্যাবের অভিযানে ছাত্রী উদ্ধারসহ অভিযুক্ত আটক

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণ করলেন যুবক-অভিযোগ পেয়ে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম ছাত্রীকে উদ্ধার সহ অভিযুক্ত যুবক কে আটক করেছেন র‌্যাব।

সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে প্রতিবেদককে জানানো হয়, বুধবার ১৫ মার্চ পূর্বরাত সোয়া ২টারদিকে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ মোস্তফা জামান এর নেতৃত্বে জয়পুরহাট জেলার সদর থানাধীন পূর্ব পেচুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার পূর্বক অপহরণকারী অভিযুক্ত আসামী মোঃ মাহি হোসেন (১৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত যুবক মাহী হোসেন জয়পুরহাট জেলা সদর উপজেলার পেচুলিয়া গ্রামের রহিম মোল্লার ছেলে।

র‌্যাব আরো জানান, (ভিকটিম) ১৪ বছর বয়সী ছাত্রী (মোছাঃ--- আক্তার) ও অভিযুক্ত আসামী পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা।

অভিযুক্ত যুবক মোঃ মাহি হোসেন (১৮) পূর্ব থেকেই ভিকটিমকে পছন্দ করতো এবং এক পর্যায়ে সে ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে ভিকটিম ছাত্রী তা প্রত্যাখান করেন। এরপর মাহী হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার ১৪ মার্চ (ভিকটিম) স্কুল ছাত্রীকে স্কুল হতে বাড়ি ফেরার পথে ইচ্ছার জোরপূর্বক একটি অটোরিক্সাতে করে উঠিয়ে মাহী হোসেন তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘটনাটি লোক মারফত ভিকটিমের পরিবার জানতে পেরে তারা

র‌্যাব ক্যাম্প জয়পুরহাটে এসে অভিযোগ করেন। অভিযোগ করার পরই র‌্যাব-৫, জয়পুরহাট এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বিষয়টি নিয়ে অতিদ্রুত কাজ করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান সনাক্তের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে রাতেই অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ভিকটিম ছাত্রীকে উদ্ধার সহ অভিযুক্ত অপহরণকারী মোঃ মাহি হোসেনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এব্যাপারে নিকটস্থ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব


আরও খবর

জেলেই থাকতে হচ্ছে সাহেদের

মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩




মিলন সভাপতি, রিয়াসাদ সম্পাদক

সুন্দরবন অঞ্চল সহ ব্যাবস্থাপনা নেটওয়ার্কের কমিটি গঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি :

সুন্দরবন অঞ্চল সহ ব্যাবস্থাপনা নেটওয়ার্ক এর কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে শরণখোলা সিএমসির আসাদুজ্জামান মিলন সভাপতি ও খুলনা সিএমসির রিয়াসাদ আলী সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। 

সোমবার ১৩ মার্চ খুলনা সিএসএস আভা সেন্টারে নেটওয়ার্কের সাধারণ সভা শেষে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। 

আরন্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রাকিবুল হাসান মুকুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহওর কুমার দো। বিশেষ অতিথি ছিলেন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও বেলায়েত হোসেন, পশ্চিম বিভাগের ডিএফও এম এ হাসান, প্রতিবেশ প্রকল্পের কর্মকর্তা মোস্তফা ওমর শরীফ, মাসুদ খান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও মোসুমী 

সভার শুরুতে সদ্য প্রয়াত শরণখোলা সিএমসির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রস্তাব সমর্থনের ভিত্তিতে আসাদুজ্জামান মিলন কে সভাপতি ও রিয়াসাদ আলী কে সাধারণ সম্পাদক কটে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। এতে সাতক্ষীরা সিএমসির আবু ফরিদ ও চাঁদপাই সিএমসির শর্মিলা সরকার কে সহ সভাপতি, টেংরাগিরি সিএমসির আঃ জলিল ফকির কে যুগ্ম সম্পাদক, চাঁদপাই সিএমসির আল-আমীন মুসল্লি কে কোষাধ্যক্ষ, শরণখোলা সিএমসির মর্জিনা বেগম কে দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক, খুলনা সিএমসির অসিত কুমার মন্ডল, টেংরাখালি সিএমসির মোঃ মহসিন,সাতক্ষীরা সিএমসির জুলেখা বেগম, ও খুলনা সিএমসির আসমা বেগমকে কার্যকরি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। 

সভায় অতিথিবৃন্দ আশা প্রকাশ করে বলেন, নব নির্বাচিত এ কমিটি সুন্দরবন ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি, সহ ব্যাবস্থপনা কমিটি গুলোর দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বনের উপর নির্ভরশীল পেশাজীবীদের জীবনের মানোন্নয়নে কাজ করবে।


আরও খবর



আইনজীবীদের হামলা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে নওগাঁয় প্রতিবাদ সমাবেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার 

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পুলিশি হস্তক্ষেপে ভোটার বিহীন এক তরফা ভোট ডাকাতি 'নির্বাচন' এর প্রতিবাদে এবং আইনজীবী সহ সাংবাদিকদের উপর পুলিশি নগ্ন হামলা ও আইনজীবীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এর দাবিতে নওগাঁয় প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নওগাঁ জেলা ইউনিটের সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ জাকারিয়া হোসেন এর সভাপতিত্বে ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নওগাঁ জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রেজাউল করিম এর সঞ্চালনায় ররিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সকাল সোয়া ১১ টা পর্যন্ত ঘন্টা ব্যাপি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ১৪/১৮ সালে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে আইনজীবী এসোসিয়েশন সহ অন্যান্য নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে তাদের দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচিত করছেন বলে তীব্র সমালোচনা করেন করেন বক্তারা। গত ১৫ ও ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন বাতিল করে পুনঃ নির্বাচন এবং বিজ্ঞ আইনজীবীদের নামে দায়ের কৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান বক্তারা। 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নওগাঁ জেলা ইউনিটের সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ জাকারিয়া হোসেন বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। নইলে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা সহ অন্যান্য দেশের মতো বিমানের পাখা ধরে, নদী সাঁতরিয়ে পালিয়ে বাঁচতে পারবেন না।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট সরোয়ার জাহান সরোয়ার, মোঃ মুনসুর আলী, মোঃ শাহ আলম, মোঃ মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ প্রমুখ।


আরও খবর