Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন হবে ঢাকায়

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

হজযাত্রীদের শতভাগ ইমিগ্রেশন ও লাগেজ তল্লাশির কাজ ঢাকায় সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়া সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুদেশের চুক্তি সই হয়েছে।

বাংলাদেশ সফররত সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী নাসের বিন আবদুল আজিজ আল দাউদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এ চুক্তি সই হয়। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নেতৃত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনার পর আমরা দুটি এমওইউ সই করেছি। একটি হলো নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি, আরেকটি হলো রুট-টু-মক্কা সার্ভিস এগ্রিমেন্ট।

তিনি বলেন, প্রথমটিতে দুদেশের নিরাপত্তা আরো কীভাবে উন্নতি করা যায়, সে বিষয়টি মাথায় আছে। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় এর মধ্যে রয়েছে। রুট-টু-মক্কার মধ্যে রয়েছে আমাদের হজযাত্রীদের আরো কীভাবে সহযোগিতা দেওয়া যায়। এখান থেকে ইমিগ্রেশন ও সবকিছু ঠিকঠাক করে তারা উড়োজাহাজে উঠে যাবে। এ সুবিধাগুলো আগে পরীক্ষামূলকভাবে ছিল।

মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে ইমিগ্রেশন, ব্যাগেজ চেকিং সবকিছু বাংলাদেশের বিমানবন্দর থেকে হয়ে যাবে। এটাই হলো রুট-টু-মক্কা সার্ভিস এগ্রিমেন্টের বিষয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ছাড়া আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু আলোচনায় এসেছে। আমাদের দুদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে প্রশিক্ষণ এবং পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদান। ভাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশ, দুদেশের সম্পর্ক আরো উন্নত করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে শ্রমিকরা যেখানে যাচ্ছে, দক্ষ শ্রমিকদের সেখানে পাঠানোর জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছেন। দক্ষ শ্রমিক পাঠালে তারা আরো ভালো সুবিধা পাবেন বলে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আরো বলেছি, কীভাবে ভিসা আরো সহজ করা যায়। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর হজ ও ওমরাহযাত্রী, ব্যবসায় ও চাকরির জন্য প্রতিনিয়ত সৌদি আরব যাচ্ছেন। তারা যে স্কলারশিপ দিচ্ছেন, সেটা আরো কীভাবে সহজ করা যায় সেটা নিয়ে এবং বিজনেস ভিসাটা আরো কীভাবে সহজ করা যায় সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে।

নতুন করে শ্রমিক নেওয়া ও সৌদি আরব থেকে এলএনজি আনার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, এলএনজির কোনো বিষয় আলোচনায় আসেনি। শ্রমিকদের ই-পাসপোর্ট তাড়াতাড়ি দেওয়ার বিষয়ে তারা অনুরোধ করেছেন। আমরা বলেছি আমরা তাড়াতাড়িই করব, কিন্তু প্র্যাকটিক্যালি এ অসুবিধাগুলো আছে।


আরও খবর



রামগড় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা,রামগড় :

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণে রামগড় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। সূর্যদয়ের সাথে সাথে উপজেলা বিজয় ভাস্কর্য প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষথেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রামগড় হাই স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে সকাল সাড়ে ৮টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন এবং পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রামগড় পৌরসভার মেয়র মো.রফিকুল আলম কামাল, রামগড় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো.আনোয়ার ফারুক, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ, রামগড় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মো.মফিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম প্রমূখ।

এদিকে সকাল ১০টায় উপজেলা টাউন হলে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনা দেওয়া হয়।


আরও খবর



ঈদের চাঁদ দেখে বিক্রি হবে তিন দিনের ট্রেনের টিকিট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ ঘোষণা করা হলেও ঈদের তিনদিন (১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল) এর টিকিট বিক্রি করা হবে চাঁদ দেখার পরই বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

সম্প্রতি ঢাকায় রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান রেলওয়ের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী।

তিনি বলেন, এপ্রিলের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের ট্রেনের টিকিট বিক্রয় করা হবে ঈদের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। অগ্রিম ও ফেরত ঈদ যাত্রার টিকিট শতভাগ অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। একজন যাত্রী অগ্রিম যাত্রা ও ফেরত যাত্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ বার করে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন এবং প্রতি ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৪টি টিকিট ক্রয় করতে পারবে। একজন যাত্রীর সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহযাত্রীদের নাম ইনপুট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। ঈদযাত্রার টিকিট রিফান্ড করা যাবে না। এ ছাড়া ঈদের আগের ৭ দিন ও ঈদের পরের ৭ দিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে।

তিনি আরও বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) বাতিল করা হয়েছে। ৩ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না। ঈদের পর যথারীতি সাপ্তাহিক ডে-অফ কার্যকর থাকবে। এ ছাড়া ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।

আগামী ১০ এপ্রিলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের এ ট্রেন যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। এবারের ঈদে ১৬টি ট্রেন নতুন যুক্ত হয়েছে।


আরও খবর



হাসপাতাল গুলোতে পরিদর্শন অব্যাহত রাখা হবে..স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন সারা বছর সরকারী-বেসরকারী ক্লিনিক ও হাসপাতাল গুলোতে পরিদর্শন অব্যাহত রাখা হবে। কোন রকম গরমিল পাওয়া গেলে বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে সব হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে না। রবিবার দুপুরে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও কৃষিজীবীদের মাঝে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমি একজন সাধারণ মানুষ। মন্ত্রী হবো এটা কোনো দিন ভাবিনি। একটা ফোন আমার ভাগ্য বদলে দিয়েছে। দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। সে দায়িত্ব থেকে সরকারী হাসপাতালে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে সেগুলো সমাধান করা হবে। ইম্প্রেশন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) কাজী শাহেদুল হালীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মওলা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আলী আকন্দ সহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা। পরে তিনি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও কৃষিজীবীদের ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক পরিবেশন উপভোগ করেন এবং স্বাস্থ্য সমাবেশে অংশ নেয়।


আরও খবর



সাংবাদিকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, তথ্য চাইতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডে তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বাংলাদেশের কোথাও একজন সাংবাদিক তথ্য চাওয়ার জন্য কোনোভাবে যাতে হেনস্তা বা হয়রানির শিকার না হয়, সেই সুরক্ষা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোনো সাংবাদিক যেন কোনো ধরনের হয়রানি বা ঝুঁকির মুখে না পড়ে। তাদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম তাদের কাজ করবে। কর্তৃপক্ষকে, সরকারকে প্রশ্ন করবে, সমালোচনা করবে, এরকম একটি সমাজব্যবস্থা আমরা তৈরি করতে চাই। এর বাইরে বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার চিন্তা করে না।

ঢাকার বাইরে গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দিয়ে জেলে নেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ খবরটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি খোঁজ নিয়েছি। তথ্য কমিশন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এ বিষয়টি আমলে নেয়। ইতোমধ্যে তারা বিষয়টির তদন্ত করেছে। আমি কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছি, আমরা সঠিক তথ্য জানতে চাই।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষা বলয় তৈরির জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রয়াসের অংশ হিসেবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে কল্যাণ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এখানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা রাজনৈতিক বিশ্বাস বা অন্য কোনো কিছু দেখেননি, শুধু প্রয়োজন দেখেছেন, মানুষ দেখেছেন, সাংবাদিককে দেখেছেন। কে কোন দলের, কার পক্ষে ছিলেন, বিপক্ষে ছিলেন এগুলো চিন্তা করেননি এবং তার ভিত্তিতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সাংবাদিকদের অনুদানের কাজটি করা হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে প্রয়োজন এবং পেশা বিবেচনায় সরকার সাংবাদিকদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে।

নবম ওয়েজ বোর্ডের বকেয়া পাওনা দ্রুততার সঙ্গে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সব গণমাধ্যমের মালিকপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকবান্ধব ও গণমাধ্যমবান্ধব। আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই এবং পেশাদার সাংবাদিকদের পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই। সেই নিরিখে সাংবাদিকদের কল্যাণের স্বার্থে সরকার কাজ করছে। বেসরকারি খাতকেও অনুরোধ করতে চাই, তারাও বিশেষ করে মালিকপক্ষ যেন সহানুভূতি ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এ সরকার দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে কাজ করতে চায় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের একটি বড় জায়গা হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম পাশাপাশি হাতে হাত ধরে চলে, সে পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী ব‌লেন, যারা সমাজে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অপতথ্য ছড়ায়, তাদের আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব। কারণ অপতথ্য গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সুস্থ সাংবাদিকতা ও সুস্থ গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সবসময় পাশে থাকবে।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকার ৪২ জন সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর আগে একই অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে দুস্থ, অসচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা/কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর



রাণীনগরে কাঠের ফার্নিচারে আগ্নিকান্ডে ছয় লক্ষ টাকার মালামাল ভস্মিভূত!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুর বাজারে ফার্নিচারের দোকানে আগুন ধরে কাঠের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র পুরে ভস্মিভূত হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের এঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকান মালিক কামাল হোসেন। কামাল হোসেন নওগাঁ সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের এবারত আলীর ছেলে।

কামাল হোসেন বলেন, গত তিন বছর ধরে এই বাজারে টিনের চালা ঘর নির্মান করে ফার্নিচার দিয়ে কাঠের বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করে বিক্রি করে আসছেন। বুধবার দোকানে সারা দিন কাজকর্ম শেষে রাতে বাজারেই ভারা বাসায় ঘুমাতে যান। গভীর রাতে হঠা’ করেই প্রতিবেশির লোকজন ডেকে তুলে দোকানে আগুন লাগার খবর জানায়। এসময় স্থানীয় লোকজনসহ আগুন নিভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে রাণীনগর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। সেখান থেকে রাত অনুমান আড়াইটা নাগাদ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্র করে। ততক্ষনে দোকানের ভিতরে থাকা ছয়টি খাট,দুইটি সোফা,দুইটি ড্রেসিং টেবিল,একটি ওয়ারড্রব ও দুইটি আলমারীসহ কাঠের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র ও তৈরির জন্য রাখা কাঠ পুরে ভস্মিভূত হয়ে যায়। এতে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকান মালিক কামাল হোসেন। তবে কিভাবে আগুন ধরেছে তা বরতে পারেননি তিনি। খবর পেয়ে রাতেই থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

রাণীনগর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন লিডার দেলোয়ার হোসেন বলেন,খবর পেয়ে সাথে সাথে সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা পৌছার আগেই দোকান ঘর এবং কাঠের তৈরি আসবাবপত্র পুরে ভস্মিভূত হয়ে গেছে। তবে বিদ্যুতের সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করেছেন তিনি।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ বলেন,খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করা হয়েছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর