Logo
শিরোনাম

হজযাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া যাবে না কোরবানির টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রি করার জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে হজযাত্রীদের কাছ থেকে কুরবানির অর্থ না নেওয়ার জন্য তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টুন না পাঠানোসহ কতিপয় বিষয়ে হজ এজেন্সিগুলোকে হুঁশিয়ার করেছে। এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি পত্র জারি করেছে।

পত্রে জানানো হয়, গত ১২ মে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জুম প্ল্যাটফর্মে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালক আব্দুর রহমান ঘ্যানামের সঙ্গে সভা শেষে এসব নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ওই সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ হজ অফিস, মক্কা ও জেদ্দার কর্মকর্তা এবং হজ এজেন্সির মালিকেরা অংশগ্রহণ করেন।

ওই সভায় সৌদি আরবের পক্ষ থেকে হজ এজেন্সি কর্তৃক ফ্লাইট ডাটা সঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, হজ ফ্লাইট ডাটা এন্ট্রি না দেওয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে কোন ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছে, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী এবং কোন হোটেল বা বাড়িতে তাদের আবাসন ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া হজযাত্রী ও তাদের লাগেজ পরিবহণের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। মোয়াল্লেমের প্রতিনিধিও হোটেল বা বাড়িতে সার্ভিস দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছে না। এ কারণে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না এবং রুট-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ সভায় হজ ফ্লাইট যাত্রা শুরুর পূর্বেই সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

হজ প্যাকেজে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের কাছ থেকে হজে যাওয়ার আগে কুরবানি বাবদ অর্থ নিচ্ছেন। হজযাত্রী তার ইচ্ছা মাফিক সৌদি সরকারের ব্যাংকের কূপন ক্রয় করে বা তার নিজের ব্যবস্থাপনায় কুরবানি সম্পন্ন করবেন। এজেন্সি কোনোভাবেই কুরবানির টাকা নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ এজেন্সিগুলোকে আরও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। কিছু এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টুন পাঠিয়েছে, যা জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক হয়েছে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের সঙ্গে হজ গাইড বা প্রতিনিধি না পাঠানোর কারণে হজযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন।


আরও খবর



ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইরান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব জমা দিয়েছে রাশিয়া, চীন এবং পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের পর রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রস্তাব জমা দিয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই খসড়া প্রস্তাব ভোটে দেওয়া হয়নি। এটি এখনও একটি খসড়া হিসেবেই রয়েছে এবং ভোটাভুটির জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এটি বিতরণ করতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের শুরুতে বা মাঝামাঝি সময়ে এটি ভোট গ্রহণের জন্য উত্থাপন করা হতে পারে।

রাশিয়া, চীন এবং পাকিস্তানের জমা দেওয়া খসড়া প্রস্তাবটি আকারে ছোট, মাত্র দেড় পৃষ্ঠার মতো, তবে এতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

১. ইরানে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার তত্ত্বাবধানে থাকা শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার নিন্দা।

খসড়া প্রস্তাবে ইরানে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সুরক্ষায় থাকা শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থান এবং স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি এবং এটি সংস্থার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার জন্য একটি বড় ঝুঁকি।

তবে খসড়া প্রস্তাবের কোথাও যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

২. অবিলম্বে ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান। এই খসড়া প্রস্তাবে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনটি দেশই পক্ষগুলোকে কূটনীতির পথে ফিরে আসার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।


আরও খবর



‎টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিংয়ে এবারও স্থান পায়নি মাভাবিপ্রবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :‎

‎বিশ্বখ্যাত শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (THE) প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৫’-এর তালিকায় এবারও জায়গা হয়নি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি)।‎

‎বুধবার (১৮ জুন) প্রকাশিত এই তালিকায় বিশ্বের ১১৫টি দেশের দুই হাজারের বেশি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় স্থান পেলেও মাভাবিপ্রবি অনুপস্থিত রয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।‎

‎বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উপস্থিতি

‎এবারের র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ৮টি সরকারি ও ১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।

‎বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, যেটি বিশ্বের ১০১–২০০তম অবস্থানে রয়েছে এবং বাংলাদেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। এছাড়া আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (AIUB), ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU) যৌথভাবে রয়েছে ৬০১–৮০০তম স্থানে।

‎সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর আছে 

‎বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

‎কেন নেই মাভাবিপ্রবি?

‎টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং জানা গেছে, ১৭টি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে র‌্যাঙ্কিংটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, নো পোভার্টি; জিরো হাঙ্গার; গুড হেলথ এন্ড ওয়েলবিং; কোয়ালিটি এডুকেশন; জেন্ডার ইকুয়ালিটি; ক্লিন ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন; অফ ডল এন্ড ক্লিন এনার্জি; ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইকোনমিক গ্রোথ; ইন্ডাস্ট্রি ইনোভেশন এন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার; রিকোয়ার্ড ইনেকুয়ালিটিস; সাসটেইনেবল সিটিজ এন্ড কমিউনিটিস; রেসপন্সিবল কনসামশান এন্ড প্রোডাকশন; ক্লাইমেট চেঞ্জ; লাইফ বিলোওয়াটার; লাইফ অন ল্যান্ড; পিস, জাস্টিস এণ্ড স্ট্রং ইন্সটিটিউশন্স ও পার্টনারশিপ ফর দ্যা গোলস। সংশ্লিষ্ট সূচকে পিছিয়ে থাকাই মাভাবিপ্রবির তালিকায় স্থান না পাওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

‎এ বিষয়ে মাভাবিপ্রবি গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল নাসির বলেন, “ আমাদের গবেষণা কার্যক্রমে বিনিয়োগ কম, গবেষণা অনুদান পর্যাপ্ত নয়, আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও যৌথ গবেষণার অভাব রয়েছে।  যা আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব ফেলে।

‎আমাদের একটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো—বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ ও শিক্ষকসংখ্যা কম। র‍্যাঙ্কিংয়ে যেতে হলে কমপক্ষে ৩৫টি বিভাগ এবং ৭০০ শিক্ষক প্রয়োজন। পাশাপাশি টানা ৫ বছর ধরে বছরে ৫০০টির বেশি ইনডেক্সড জার্নালে গবেষণা প্রকাশনার প্রয়োজন হয়।”‎

‎তিনি আরও বলেন, “মাভাবিপ্রবি থেকে অতীতে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত (ডেটা) প্রদান করা হয়নি। তবে বর্তমানে ‘র‍্যাঙ্কিং বিষয়ক কমিটি’ গঠন করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ডেটা সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে সময়মতো তা প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই আমরা ভালো করতে পারব।

‎তবে অনেকেই মনে করেন, র‍্যাঙ্কিংয়ে স্থান না পাওয়া মানেই বিশ্ববিদ্যালয়টি অকার্যকর—এমনটা নয়। বরং এটি একটি চ্যালেঞ্জিং বার্তা, যা ভবিষ্যতে উন্নয়ন পরিকল্পনা ও গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।‎

‎উন্নয়নের পথে অগ্রসর হওয়া জরুরি‎

‎বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং এখন আর শুধু কাগজে তালিকা নয়; এটি একটি প্রতিচ্ছবি, যা শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় কে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে তা বুঝতে সহায়ক। মাভাবিপ্রবির জন্য এটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় গবেষণা খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

‎বিশ্বমানের তালিকায় স্থান পেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণায় বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা, শিল্পখাতের সঙ্গে কার্যকর সংযোগ তৈরি এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যতে মাভাবিপ্রবি গ্লোবাল র‍্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা ও সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



১২ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দুই সিটির

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ |

Image

কোরবানির পশুর বর্জ্য দিনের মধ্যে সরানোর ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, ঈদের দিন বিকাল থেকে আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু হবে। আমরা আশা করছি, ১২ ঘণ্টার ভেতরে আমরা কোরবানির ময়লা পরিষ্কার করব। পরিষ্কারের জন্য প্রায় ১০ হাজারের বেশি কর্মী আমরা প্রস্তুত রেখেছি। প্রস্তুত রয়েছে সিটি করপোরেশনের প্রয়োজনীয়সংখ্যক গাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান তিনি।

শাহজাহান মিয়া বলেন, একই সঙ্গে সরকারের অন্যান্য সংস্থার কাছে রিকুইজিশন দিয়ে রেখেছি, যদি বেশি গাড়ির প্রয়োজন হয়, সেগুলো আমরা নেব। যেসব প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ময়লা কালেকশন করে বাসাবাড়ি থেকে তাদেরও আমরা এ অপসারণের কাজে সম্পৃক্ত করেছি। কাজেই আমাদের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি নেই।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যদি এক জায়গায় কোরবানি দেয়া যায়; তাহলে আমাদের বর্জ্য কালেকশনে সুবিধা হয়। এছাড়া ইন্ডিভিজুয়ালি কেউ কোরবানি দিলে সেই ময়লাও আমাদের কর্মীরা করতে প্রস্তুত থাকবে। বর্জ্য কালেকশনে আমাদের কোনো দুর্বলতা থাকবে না।

ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বুধবার আমিনবাজার ল্যান্ডফিল পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, ঈদে দিনের বর্জ্য দিনের মধ্যেই অপসারণ করে শহর পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। সংস্থার প্রায় ১০ হাজার কর্মী ঈদের তিনদিন এ পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

এবার ঈদে প্রায় ২০ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হবে বলে ধারণা করছে ডিএনসিসি। এ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে ২২৪টি ডাম্প ট্রাক, ৩৮১টি পিকআপ, ২৪টি পেলোডার নিয়োজিত থাকবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সাড়ে ১২ লাখ পলিব্যাগ, আড়াই হাজার বস্তা ব্লিচিং ও চার হাজার ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়েছে। এবার পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আমিনবাজারে দুটি পরিখা খনন করার কথা জানিয়েছে উত্তর সিটি করপোরেশন।

এদিকে কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিবেশসম্মতভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য দেশের সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। যত্রতত্র পশু জবাই, উচ্ছিষ্ট ফেলা ও বর্জ্য জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি তৈরি করে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোরবানির সময় গবাদিপশুর রক্ত, গোবর, নাড়িভুঁড়ি ও অন্যান্য পরিত্যক্ত অংশ যত্রতত্র ফেলে রাখার কারণে পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ দেখা দেয়। এ অবস্থায় সবাইকে সচেতনভাবে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। উন্মুক্ত বা অনির্ধারিত স্থানে পশু জবাই থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে জবাইয়ের সময় ও পরবর্তী কার্যক্রমে গ্লাভস, মাস্ক, অ্যাপ্রোন ইত্যাদি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, পশুর রক্ত, গোবর, চামড়া, হাড়, শিং, নাড়িভুঁড়ি ইত্যাদি যেন কোনো অবস্থাতেই খোলা জায়গায় না ফেলা হয়। এসব নির্ধারিত গর্তে ফেলে মাটিচাপা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কোরবানির মাংস বিতরণ বা বর্জ্য অপসারণে পরিবেশবান্ধব ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে, যাতে প্লাস্টিক দূষণ এড়ানো যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, কোরবানির বর্জ্য দ্রুত ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অপসারণে স্থানীয় প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করা সামাজিক ও নাগরিক দায়িত্ব। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে যেমন আমরা নিজেরা সুস্থ থাকি, তেমনি চারপাশকেও নিরাপদ রাখা সম্ভব।


আরও খবর

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




ফুলবাড়ী সীমান্তে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার মাদক জব্দ

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক গাঁজা,ফেন্সিডিল ও ইস্কাফ জব্দ করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।যার সর্বমোট বাজার মূল্য ৭লাখ ৭২হাজার ৬শত পঞ্চাশ হাজার টাকা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম।

জানাযায়,রবিবার ১৫(জুন)গভির রাতে লালমনিরহাট -১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন ফুলবাড়ী উপজেলার বালারহাট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা কুরুষা ফেরুষা শিমুলবাড়ি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা নন্দির কুটি ও কাশিপুর অনন্তপুর ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা নাখরাজ নামক এলাকা সহ- বিজিবির ৩টি বিশেষ টহলদল পৃথক পৃথক এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। এসময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা কতিপয় সন্দেহ জনক ব্যাক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করে ধাওয়া করলে চোরাকারবারিরা তাদের সঙ্গে থাকা মাদক গাঁজা,ফেন্সিডিল ও ইস্কাফ ফেলে পালিয়ে যায়।পরে একটি ইজিবাইক সহ-বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যর মধ্যে গাঁজা ১২৬.৭কেজি, ফেন্সিডিল ১০৯ বোতল ও ফেনসিডিলের বিকল্প নেশা ইস্কাফ সিরাফ ৩৩৯ বোতল।

লালমনিরহাট -১৫ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম "পিএসসি"বলেন দেশের যুব সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সর্তক ও প্রস্তূত রয়েছে। সীমান্তে মাদক প্রবেশ ঠেকাতে আমাদের নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। তিনি মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং প্রতিরোধে সকলের নিকট সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।


আরও খবর



ইরানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতায় লিপ্ত মুসলিম দেশগুলো

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিজেদের আকাশসীমায় ভূপাতিত করছে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ জর্ডান। এছাড়াও ইরানের হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলোকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতিও দিয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ আরব রাষ্ট্র যখন ইরানের প্রতি সংহতি জানাচ্ছে জর্ডান কেন এর বিপরীত।

প্রকৃতপক্ষে, জর্ডানের জনসংখ্যার ২০ থেকে ৫০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত, যার মধ্যে দেশটির রানী রানিয়াও রয়েছেন- যিনি গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের স্পষ্ট বিরোধী ছিলেন। তবুও বেশিরভাগ আরব দেশের বিপরীতে, জর্ডান ঠিক বিপরীতভাবে কাজ করছে। জর্ডানের বিমান বাহিনী তাদের আকাশসীমা অতিক্রম করে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে অভিমুখে আসা ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে বাধা দিচ্ছে এবং গুলি করে ভূপাতিত করছে বলে জানা গেছে।

জর্ডান প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র। ২০২১ সালের শুরুতে জর্ডান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী সামরিক প্রশিক্ষণ, অনুশীলন কৌশল এবং ট্রানজিটের মতো বিভিন্ন কার্যকলাপের জন্য মার্কিন সামরিক কর্মীদের জন্য জর্ডানে নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে এতে জর্ডানের যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কোনো সামরিক অভিযানে সহায়তার কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।

অন্যদিকে ১৯৯৪ সালের ইসরায়েলের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি করে জর্ডান, তবে দুটি দেশের মধ্যে একে অপরকে সামরিকভাবে সমর্থন করার কথা উল্লেখ নেই।

মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার ক্ষেত্রে জর্ডানের সিদ্ধান্তের পিছনে অন্যান্য কারণও রয়েছে। কিছু ড্রোন, অথবা ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ইসরায়েলের ওপর না পড়ে জর্ডানের ভূখণ্ডে পড়েতে পারে। আম্মানের যুক্তি তারা ইসরায়েলকে সমর্থন করার চাইতে ইরানের ভুলভাবে ছোড়া ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র থেকে নিজস্ব ভূখণ্ডকে রক্ষা করছে।

জর্ডানের সেনাবাহিনী বলছে, তারা মূল্যায়ন করেছে ইরানের ছোড়া কোন ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে পারে এবং কোনগুলো জর্ডানে অবতরণ করতে পারে।

তবে ইরানের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় জর্ডানের অংশগ্রহণের কারণ যাই হোক না কেন, তা ইসরায়েল এবং তার বন্ধুদের সম্মিলিত প্রতিরক্ষামূলক প্রচেষ্টাকে সাহায্য করেছে- যার ফলে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া বোশর ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর জন্য, ইসরায়েল জর্ডানের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ।


আরও খবর