
নিজস্ব প্রতিবেদক :
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সঙ্গবদ্ধ অপরাধী, অপহরণকারী, ধর্ষণকারী, মাদক, ছিনতাইকারী, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ জুন ২০২৪ ইং তারিখ বগুড়া জেলার সদর থানাধীন বালা কৈগাড়ী গ্রামস্থ আসামী মোঃ আব্দুল ওয়াহাব(৩৭) ও তার সহযোগীদের নির্মম আঘাতে ও শ্বাস রোধ করে ভিকটিম ইউনুছ আলী (৬৫) খুন হয়। উক্ত ঘটনাটি জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমসমূহে প্রচারিত হলে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানা যায় যে, বগুড়া জেলার সদর থানাধীন বালা কৈগাড়ী গ্রামস্থ ভিকটিমের বুদ্ধি প্রতিবন্ধি বড় ছেলে মোঃ শাহিন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ০১ নং আসামী মোঃ আব্দুল ওয়াহাব এর স্ত্রীকে হাত ধরিয়া রাস্তা হতে সরিয়ে দেয়। উক্ত ঘটনা জের ধরে ০১ নং আসামী মোঃ আব্দুল ওয়াহাব বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মোঃ শাহিন’কে মারধর করে। উক্ত ঘটনা ভিকটিমের ছোট ছেলে ও মামলার বাদী মোঃ গোলাম রসুল জানতে পারে এবং বালা কৈগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে কাচা রাস্তার উপর দিয়ে গত ২২/০৬/২০২৪ ইং তারিখ যাওয়ার সময় ০১ নং আসামীকে দেখতে পেয়ে মারধরের কারন জিঙ্গেস করলে ০১নং আসামীসহ তার সহযোগীরা ভিকটিমের ছোট ছেলে মোঃ গোলাম রসুলকে এলোপাথাড়ী মারধর শুরু করে। তার চিৎকারে পাশে থাকা ভিকটিম দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসলে ০১ নং আসামীসহ অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে এলোপাথাড়ী মারধর করে এবং ঘাড়সহ মাথা চাপিয়া শ্বাস রোধ করে মৃত্যূ নিশ্চিত করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩, রংপুর উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এক পর্যায়ে তথ্য উপাত্ত পর্যালচনা করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৫/০৬/২০২৪ ইং তারিখ ০৪.১৫ ঘটিকার সময় রংপুর জেলার সদর থানাধীন বিদ্যিবান গ্রামস্থ্য জনৈক আরমান আলী, পিতা-রফিক উদ্দিন এর বসত বাড়ীর পশ্চিমে নদীর কিনার হতে অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১নং আসামী মোঃ আব্দুল ওয়াহাব(৩৭), পিতা-মোঃ জিল্লুর রহমান, সাং-বালা কৈগাড়ী, থানা-সদর, জেলা-বগুড়া’কে গ্রেফতার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী স্বীকার করে যে, ভিকটিম ইউনুছ আলী (৬৫)’কে নির্মমভাবে আঘাতের মাধ্যমে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে ধৃত আসামীকে বগুড়া জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সালমান নূর আলম সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) পক্ষে অধিনায়ক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।