Logo
শিরোনাম

ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগ সংস্কারে ১০ দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image
  • ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিভাগ সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন সমাজ কল্যাণ বিভাগের চলমান সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এসময় বিভাগ সংস্কারের ১০ দফা দাবি উত্থাপন করে ৭ দিনের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ চান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো—প্রতিটি কোর্সের ন্যূনতম ক্লাস নিশ্চিত করা, তিন মাসের মধ্যে সেমিস্টার সম্পন্ন করা, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ, নতুন ক্লাসরুম ও সেমিনার লাইব্রেরি বরাদ্দ। প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আন্দোলনে অংশ নিয়ে ‘অন্য বিভাগ স্বর্গ, সমাজকল্যাণ কেন মর্গে’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে’, ‘সেশনজট নিরসন করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো নির্দিষ্ট রুটিন প্রনয়ণ এবং প্রতিটি কোর্সের নুন্যতম ক্লাস নিতে হবে। সেশন জট নিরসনে তিন মাসের মধ্যে প্রত্যেক সেমিস্টারের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।


আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে পুর্নাঙ্গ একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত গেস্ট টীচার দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।পর্যাপ্ত ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করতে হবে। সেমিনার লাইব্রেরী বরাদ্দ দিতে হবে। ইনকোর্স সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার আগে নিতে হবে এবং নম্বর প্রকাশ করতে হবে। বর্তমান ট্রেজারার, জাহাঙ্গীর আলম স্যারকে সমাজকল্যাণ বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানের দায়িত্ব দিতে হবে। প্রতি বছর বিভাগ থেকে শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেটা সম্পূর্ণ বিভাগের অর্থায়নে করতে হবে। আন্দোলন পরবর্তী প্রভাব কোনো শিক্ষার্থীর উপর যেনো না পড়ে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কয়েকবার দাবি জানিয়ে আসছি কিন্তু কোনো কর্ণপাত নাই।১০ দফার দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।


প্রয়োজনে আমরণ অনশনে নেমে যাব। শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে কিছু সময় নিতে পারে কিন্তু খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ সহ অন্য দাবিগুলো সব মেনে নিতে হবে। তাদের দাবি সব রোডম্যাপ রাজপথে ঘোষণা দিয়ে ক্লাসে ফেরার সুযোগ দিতে হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি আসমা সাদিয়া রুনা জানান, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়া হয়েছে। সবার চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে অর্থাৎ এক সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান সংস্কার দেখতে পাবে শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বিভাগের শিক্ষকরা স্বাক্ষর করেছেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্যের সম্মতিক্রমে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমকে সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। খণ্ডকালীন শিক্ষক সহ সব সংকট দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রেজারার দেখভাল করবেন।


শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহের মধ্যে বর্তমান ট্রেজারারকে বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে আসলে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগের প্রশাসন কী করছে বা করছে না সেটা দেখার বিষয় না। আমি দায়িত্ব নিয়েছি যেহেতু প্রতিদিন জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা হবে। শিক্ষার্থীদের এইটুকু আশ্বস্ত করতে পারি যে আমি যেখানে থাকবো সেখানে স্বল্প সময়ের মধ্যেই দৃশ্যমান ফলাফল দেখতে পাবে।


আরও খবর



টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে সম্প্রতি ঢাকায় এক গোপন বৈঠকের পর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য দেয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

অভিযোগ রয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মাধ্যমে টিউলিপ ও তার পরিবারের সদস্যরা ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন। এ প্রকল্পের ৯০ শতাংশ ঋণ এসেছে ক্রেমলিন থেকে, আর দায়িত্বে আছে রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটম। এছাড়া টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি প্রমাণ হলে তার ১০ বছরের জেল হতে পারে। কারণ, ব্রিটেনের ব্রাইবারি অ্যাক্ট ২০১০ অনুযায়ী, কেউ বিদেশে ঘুষ গ্রহণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্রিটেনে মামলা এবং সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

এনসিএর কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।

সূত্রের দাবি, এনসিএ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলার জন্যও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

এনসিএর বাংলাদেশে এটি দ্বিতীয় সফর। গত বছরের অক্টোবরে প্রথম সফরে সংস্থাটি অন্তর্বর্তী সরকারকে দুর্নীতির তদন্তে সহায়তার প্রস্তাব দেয়। অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রতি বছর প্রায় ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড বিদেশে পাচার করতেন। টিউলিপ সিদ্দিক গত মাসে লেবার পার্টির পদ থেকে পদত্যাগ করেন, যা তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আরও অন্তত দুটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করছে দুদক। তবে তিনি এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে এ বিষয়ে কেউ যোগাযোগ করেনি এবং তিনি এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। 

লেবার পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, এনসিএ বা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কেউ এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এনসিএ ও ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ১৭ এপ্রিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত (১১ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।

তবে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়।

দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতানামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।


আরও খবর

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫




বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে দ্রুত গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। তিনি বলেন, আমরা উভয়ই (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চাই। আর এটি বাংলাদেশে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে সহায়তা করবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউওআইএনকে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরিক গারসেটি একথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে ডব্লিউআইওএনের ‘ভিডিও জার্নালিস্ট’ ধিরাজ প্যাটেল বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ভারত সরকারের জন্য বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেখানে বর্তমানে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের উত্থান ঘটছে। সেই সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ছে চীনের। এসব বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? জবাবে এরিক গারসেটি বলেন, ‘আমরা উভয়েই (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) মৌলিক বিষয়গুলোর কথা বলছি। আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশের কথাও বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র একক নীতিতে বিশ্বাস করে। সেটি হলো উভয় দেশই শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া দেখতে চায়। এই মুহূর্তে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র।

ডব্লিউওআইএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, হোক সেটি বাংলাদেশ বা পৃথিবীর অন্য যে কোনও দেশ—ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যেন কখনই নির্যাতনের শিকার না হন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বিভিন্ন খাতে সংস্কারের পাশাপাশি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। গত বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে একটি ধারণা দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানান, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।

তবে তার ঘোষিত সময় নিয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপিতে অসন্তোষ রয়েছে। দলটির নেতারা আগামী জুন থেকে আগস্টের মধ্যে নির্বাচনে দাবি জানিয়েছেন।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মুক্তি পেল অনুদানের দুই সিনেমা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের হলে মুক্তি পেল দুই নতুন সিনেমা। সরকারি অনুদানের সাত বছর পর আজ শুক্রবার আলোর মুখ দেখল ‘দায়মুক্তি’। অন্যদিকে বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শন ও কানাডায় মুক্তির পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে এসেছে ‘বলী’।

বৃদ্ধাশ্রমের গল্পকে উপজীব্য করে ‘দায়মুক্তি’ নির্মাণ করেছেন বদিউল আলম খোকন। এতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক ও সুম্মি রহমান। গুরুত্বপূর্ণ দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত ও দিলারা জামান। আরও আছেন সামিয়া নাহি, সুচরিতা, সুব্রত প্রমুখ।

২০১৭-১৮ সালের অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছিল ‘দায়মুক্তি’। অবশেষে সাত বছর পর আজ ছবিটি মুক্তি পেল। সিনেমাটির সহপ্রযোজক জসিম উদ্দিন।

এদিকে, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে ‘বলী (দ্য রেসলার)’। বানিয়েছেন ইকবাল হোসাইন চৌধুরী। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায় ছবিটি। ‘বলী’র প্রযোজক পিপলু আর খান, সহপ্রযোজক সাইফুল আজিম ও গাউসুল আলম শাওন।

এ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। সাগরপারের এক খ্যাপাটে জেলের চরিত্রে দেখা যাবে তাকে, যিনি অংশ নেন ঐতিহ্যবাহী বলী খেলায়। আরো অভিনয় করেছেন প্রিয়াম অর্চি, অ্যাঞ্জেল নূর, এ কে এম ইতমাম প্রমুখ।

২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকারের অনুদান পায় ‘বলী’। এরপর কক্সবাজারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুরু হয় সিনেমাটির শুটিং।


আরও খবর

আমি একজন শিল্পী আমি কী ভূমি দস্যু ?

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




পর্যটনের হাতছানি দিচ্ছে ‘তারুয়া’ সমুদ্র সৈকত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

পর্যটনের অপার সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে তারুয়া সমুদ্র সৈকত। যার একদিকে সবুজ বন, অন্যদিকে সৈকত পাড়ে বালুর ঝলকানি আর লাল কাঁকড়ার বিচরণসহ জীব বৈচিত্র্যের সমারোহে ভরপুর এ চরটি যেন প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। প্রায় ৪ দশক আগে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে জেগে ওঠা এই চরের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রতিনিয়ত ভ্রমণপিপাসুদের মুগ্ধ করছে। বলছিলাম ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সাগর মোহনায় অবস্থিত তারুয়া সমুদ্র সৈকতের কথা। এই চরটি প্রকৃতির সুনিপুণ নিখুঁত এক অপরূপ সৃষ্টি।

জানা গেছে, জেলা শহর থেকে প্রথমে চরফ্যাশনে যেতে হবে। যার দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। এরপর চরফ্যাশন উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কপথ এবং ১৫ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিলেই দেখা মিলবে তারুয়া চরের। প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘের এই চরটি দেখতে অবিকল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতই। সৈকতের একপাশে বঙ্গোপসাগর আর অন্য পাশে বিস্তীর্ণ চারণভূমি, যা শেষ হয়েছে সৈকত ঘেরা ম্যানগ্রোভ বনে গিয়ে। এই চরের মোহনীয় রূপ সকলকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

স্থানীয় জেলে সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ বছর আগে বঙ্গোপসাগরের বুকচিরে জেগে ওঠে এই চর। ওই চর মোহনায় একসময়ে শত শত তারুয়া নামের এক প্রকার মাছ ধরা পড়ত জেলেদের জালে। তাই সেই মাছের কারণেই এ চরের নামকরণ করা হয়েছে তারুয়া। শীত মৌসূমে এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো পর্যটক ঘুরতে আসে। অধিকাংশ পর্যটক তাঁবু টানিয়ে রাত্রী যাপন করে থাকেন। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।

তারুয়া সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা লিটন, আরিফ ও শাহাবুদ্দিন বলেন, তারুয়া সৈকত প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য চমৎকার জায়গা। এখানে অপার সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে যেতে যে কারো ইচ্ছা করবে। এটা দেখতে অবিকল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতই।

ঘুরতে আসা পর্যটক মামুন বলেন, আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিগত বছরে কক্সবাজার, কুয়াকাটা গিয়েছি। সেখানকার থেকে কোনো অংশে কম না তারুয়া সমুদ্র সৈকত। পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত এবং যাতায়াত ব্যবস্থা যদি সহজ করা যায়, তাহলে এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্র বদলে দিতে পারে। সরকার যদি এখানে পৃষ্ঠপোষকতা করে তাহলে বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম পর্যটন স্পটে পরিণত হবে।

জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, পুরো দ্বীপজেলাতেই পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো মনপুরা, ঢালচরের তারুয়া সৈকত ও চর কুকরি-মুকরি। এই জায়গাগুলোতে পর্যটকদের জন্য নিরাপদ ও সহজ যোগাযোগব্যবস্থার জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে তারুয়া সমুদ্র সৈকতের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব, যাতে পর্যটকরা এখানে নির্বিঘ্নে যাতায়াত ও থাকতে পারে।


আরও খবর

দুই বছর পর খুলল বান্দরবানের দেবতাখুম

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্যারিস, প্রেম ও ভালোবাসার শহর

রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪