Logo
শিরোনাম

ইলিশ খিচুড়ি রান্নার রেসিপি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জুন ২০22 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বর্ষার শুরুতেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর বর্ষা মানেই বাঙালির পছন্দের খিচুড়ি খাওয়া। বৃষ্টি-মুখর দিনে চাল-ডালে খিচুড়ি আর ইলিশ থাকলে তো কথাই নেই। আর এই দুটো যদি একসঙ্গে হয় তাহলে বৃষ্টির দিনগুলো বেশ ভালো কাটে। এবার তাহলে ইলিশ-ভুনা খিচুড়ির সহজ রেসিপি জেনে নেয়া যাক

উপকরণ: কাপ পোলাওর চাল, টুকরো ইলিশ মাছ, চা চামচ আদা-রসুন বাটা, চা চামচ হলুদ গুঁড়া, থেকে ৫টি এলাচ, ৪টি লবঙ্গ, ২টি দারুচিনি, আধা কাপ মুগ ডাল, আধা কাপ মসুর ডাল, পরিমাণমত কাঁচা মরিচ, চা চামচ সরষের তেল স্বাদমত লবণ।

প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে চালগুলো ভালো করে ধুয়ে ২০-৩০ মিনিটের মতো ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরতে দিন। মাছে সামান্য লবণ-হলুদ মাখিয়ে ভেজে একটি পাত্রে রেখে দিন। এখন মাছ ভাজা তেলে লবঙ্গ, এলাচ দারুচিনি দিন। দু-এক মিনিট পর তাতে আদা রসুন বাটা দিয়ে এবার ডাল, ডাল, হলুদ গুঁড়ো ইত্যাদি দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ পর পর নাড়তে হবে। এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, চাল যেন কিছুতেই পাত্রের সঙ্গে লেগে না যায়।

 

 


আরও খবর

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪




চলতি বছরই উৎপাদনে আসছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চলতি বছরই পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আসছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। তার আগেই নিরাপত্তার দিকসহ সার্বিক প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আসবে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-এর প্রতিনিধি দল। পারমাণবিক শক্তিতে অগ্রগামী রাশিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে রূপপুরের প্রযুক্তি কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা টেকসই সেই তথ্যই জানার চেষ্টা চলছে।

গত ৬ দশক ধরে রাশিয়ার সভারডলভস্ক অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জোগানে অন্যতম নির্ভরতা বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট। কেন্দ্রটির প্রথম দুটি ইউনিট প্রথম প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি এএমবি রিঅ্যাকটরের, আর তৃতীয়টিতে বিএন ৬০০ ও ২০১৫ সালে উৎপাদনে আসা চতুর্থ ইউনিটে বসেছে বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টর।

আর এই বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টরকে মনে করা হয় থ্রি প্লাস জেনারেশন প্রযুক্তির,আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টরও সমমানের প্রযুক্তির।বাংলাদেশে যে রুশ প্রতিষ্ঠানটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, রাশিয়ার বুলেয়াস্ক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনাতেও যুক্ত সে একই প্রতিষ্ঠান রোসাটম।

তবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সবসময়ই প্রশ্ন আসে নিরাপত্তার দিক নিয়ে।রাশিয়ার বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টকে উদাহরণ হিসেবে নিলে বলা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির যাত্রা শুরু হয়েছিল যে ধরনের প্রযুক্তি দিয়ে, সেটির তুলনায় বেশি অগ্রগামী সংস্করণ রূপপুরের পরমাণু চুল্লি। রাশিয়ার প্রকৌশলীরাও মনে করেন, বেশ নিরাপদেই এগোচ্ছে রূপপুর।

রাশিয়ার বিএনপিপির ফার্স্ট ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়া ফিলিন বলেন, রাশিয়ার পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল বার্তা হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে মানুষের কল্যাণে, নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব। আর রোসাটম এই দর্শনেরই সফল প্রয়োগ করছে। বাংলাদেশ, মিশর, ভারত ও হাঙ্গেরির প্রকল্পগুলো তারই উদাহরণ।

পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পর্শকাতর নিরাপত্তার বিষয়গুলো কতটা অনুসরণ করছে বাংলাদেশ? ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক উৎপাদন সামনে রেখে সে সব বিষয় সরেজমিনে দেখতে রূপপুরে আসছে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা-আইএইএ প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানড. মো. শৌকত আকবর বলেন, আমাদের জনবলই এই প্রকল্প পরিচালনা করবে। পরমাণু শক্তি কমিশন সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে। এর জন্য যত ধরনের প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাগ্রহণের প্রয়োজন তা করা হচ্ছে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার আলোচনায় সবসময় উচ্চারিত চেরনোবিল কিংবা ফুকুশিয়ার মতো দুর্ঘটনার কথা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রযুক্তিগত কারণে সে ধরনের কোনো শঙ্কা নেই রূপপুরে। তবে অন্য সব ঝুঁকি এড়াতেও সর্বোচ্চ সতর্কতার বিকল্প নেই। বলছেন পরমাণু গবেষক অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এ শিক্ষক বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি ধারণ করতে হবে। একে চর্চার মধ্যে আনতে হবে। নয়তো যেকোনো প্রযুক্তিগত বা মানুষের ত্রুটি থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, রূপপুরের নিরাপদ পরিচালনায় দেশীয় জনবল প্রশিক্ষিত করতে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে রোসাটমের বিশেষ কর্মসূচি।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বস্তির ঈদযাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষ বেশ স্বস্তিতে বাড়ি যাচ্ছেন। তবে বিকালের পরে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ।

সোমাবার (৮ এপ্রিল) সকালে মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক থাকার চিত্র দেখা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, বাস স্ট্যান্ডের যানবাহন সড়ক দখল করে রাখাসহ নানা সমস্যা সমাধানে ডিভাইডার দিয়ে পৃথক পৃথক লেন করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে সেখানে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে। এতে যানজট অনেকাংশে কমে গেছে। তাছাড়া এবারের ঈদকে আরও স্বস্তির করতে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি কাউন্টার বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে এবার মহাসড়কের যানবাহনের চাপ নেই।

মহাসড়কের চিটাগাং রোড এলাকায় দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আসতে কোনও সমস্যা হয়নি। সড়ক প্রায় ফাঁকা বলা চলে। এতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পেরেছি। এখান থেকে বাসে করে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দেবো। আশা করছি, বাকিটা পথ স্বস্তির হবে।

সিএসজিচালিত অটোরিকশাচালক রফিক মিয়া বলেন, মহাসড়কে কোনও যানজট নেই। আজ গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়নি। যানজটের ভোগান্তি নেই।

কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের বাসের জব্বর মিয়া বলেন, মহাসড়কের কোনও পয়েন্টে যানজট চোখে পড়েনি। এক টানে চিটাগাংরোড চলে এসেছি। প্রতিদিন এমন সড়ক থাকলে ভালো হতো। তবে এখনো ঈদের আরও কয়েকদিন বাকি আছে, ওই সময়ে যানজট হয় কি না তা বলা সম্ভব নয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. রেজাউল হক বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় কম রয়েছে। গাড়ির চাপ একেবারে নেই। তবে বিকালের পর থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে।

এবারের ঈদযাত্রায় যানজট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মহাসড়কে যানজট হওয়ার শঙ্কা নেই। আশা করছি, ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে। কারণ ঈদকে কেন্দ্র করে মেঘনা টোল প্লাজায় নতুন করে ছয়টি টোল কাউন্টার চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ইউটার্ন দেওয়া হয়েছে ও পুলিশের কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। ফলে যানজটের শঙ্কা নেই।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে ইউরোপের তিন দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের তিন দেশ আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেন। শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী অসলোতে এক বৈঠকে বসেছিলেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমোন হ্যারিস এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোর। সেখানে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদ্রিদ ফিলিস্তিনকে যত শিগগির সম্ভব স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসলোও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত।

আর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডাবলিন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে চায় এবং সেই সঙ্গে আশা করে, ইউরোপের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোও এই পথ অনুসরণ করবে।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে আয়ার‌ল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমোন হ্যারিস বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের জন্য একটি রাষ্ট্র এবং সার্বভৌমত্বের দাবি জানিয়ে আসছেন। বিশ্বের প্রতিটি স্বাধীন জাতি যে সম্মান-মর্যাদা ভোগ করছে, ফিলিস্তিনের জনগণের জন্যও তা প্রাপ্য।

আমরা আজকের বৈঠকে ফিলিস্তিনকে (স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে) স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছি এবং এ ইস্যুতে সম্মিলিতভাবে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোর বলেছেন, তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত, তবে এই মুহূর্তে এক্ষেত্রে তারা কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করতে চান না। পরিস্থিতি অনুকূলে এলেই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেবেন তারা।

প্রসঙ্গত,গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত প্রায় ৭ মাসের অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৫ হাজার জন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

এর আগে ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। তাতে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরেও নিয়ে গিয়েছিল হামাস।

সেই জিম্মিদের মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত ১৩২ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০৮ জন এখনও রয়েছেন হামাসের কব্জায়। তাদের মুক্তির জন্য গাজায় ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি আহ্বানে আলোচনা চলছে।

যদিও এই আটক জিম্মিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কতজন বেঁচে আছেন তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়েসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি সদস্যরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিপ্রবণ এবং ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর বিষয়টি আরও গতিশীল হয়েছে।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে সিকিউরিটি গার্ডকে মারপিট

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটের সাবেক সিকিউরিটি ম্যানকে আলতিবুরুজ বাড়িয়া গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিন শেখকে মারপিট করেছে একই প্রশিক্ষনের ফিসারী কর্মী সোহাগ মোল্লা। এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আহত নিজাম উদ্দিন মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লের্ক্সে ভতি করা হয়েছে।  

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. নিজাম উদ্দিন শেখ বলেন, আমি প্রাইড সিকিউরিটি কোম্পানির গার্ড হিসেবে ৪ বছর চাকুরি করি। চাকুরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে “গফফার সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি আমাকে দুই মাসের জন্য অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেন। মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট থেকে আমি চলে আসার ৮ মাস পরে গত ১৯ মার্চ একটি কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ করে সংস্থার ৪ হর্স ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বৈদ্যিুতিক মটর টুরি হয়ে গেছে। মটরটি চুরির বিষয় আমি কিছুই জানি না মর্মে ৩১ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায় নোটিশের লিখিতভাবে জবাব দিতে দিতে গেটে গিয়ে আমি আমার জবারের নোটিশখানা বিবাদীদ্বয়ের হাতে দিলে খামটি খুলে জবাব পড়ার পরে বিবাদীগন আমাকে অশ্লীন ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, তুই যে এ ধরনের কথাবার্তা কেন লিখে এনেছ সোহাগ মোল্লা ও জিয়াউর মোল্লা উত্তেজিত হয়ে চর ছাপ্পর, বুকে পিঠে মাথায় শরীরের বিভিন্নস্থানে কিল ঘুষি মারে। আমি এ ঘটনার প্রশাসনের প্রতি ন্যায় বিচার দাবি করছি।


আরও খবর



শ্রেণিকক্ষে পাঠ বা কোচিং ছাড়াই উচ্চ মাধ্যমিকে উপজেলায় প্রথম হলেন ফাতেমা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

হাফেজ উম্মে ফাতেমা। কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বটে। কিন্তু কোন শ্রেণিক্ষ বা শিক্ষকের সাথে নেই কোন পরিচয়। একদিনও শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহন করেননি। বাড়িতে ছিলোনা কোন প্রাইভেট পড়ার শিক্ষকও। অথচ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উপজেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি। ২০২৩ সালে সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে তিনি ১৩০০ ’র মধ্যে ১১৬৫ নম্বর পেয়েছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, হাফেজ উম্মে ফাতেমা অভাবনীয় মেধার অধিকারি। সে একদিনও কলেজে ক্লাশ বা কোচিং করেনি। বাড়িতে একাই তার পাঠ চর্চা করেছে। সে আমাদের কলেজের মুখ উজ্জল করেছে। হাফেজ উম্মে ফাতেমা শিক্ষার্থীদের জন্য বড় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবেন আশাকরি।

উম্মে ফাতেমা মাত্র ৮ বছর বয়সে পবিত্র কোরআনের হেফ্জ শেষ করেছেন। সে কারনে তার নাম এখন ‘হাফেজ উম্মে ফাতেমা’। তার পিতা মো. টিপু সুলতান আমতলী ইসলামীয়া কামিল মাদরাসার ইংরজি বিষয়ে অধ্যাপক। মা শিউলি খাতুন একজন গৃহিনী। তবে তিনি লোক প্রশাসন বিষয়ে অনার্স মাষ্টারস্ শেষ করেছেন।  

হাফেজ উম্মে ফাতেমা ভবিষ্যতে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করতে চান। সে লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারিভউ দিয়ে খ ইউনিটে টিকেছেন। ইংরেজি, অর্থনীতি বা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করতে আগ্রহী হাফেজ উম্মে ফাতেমা। 


আরও খবর