Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ইমরান খানের জামিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে দুই সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। ১২ মে সংক্ষিপ্ত শুনানির পর বিচারপতি মিয়াঁগুল হাসান আওরঙ্গজেব ও বিচারপতি সামান রাফাত ইমতিয়াজের সমন্বয়ে গঠিত ইসলামাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে নেওয়া হয়। এ কারণে রাজধানী ইসলামাবাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে পুলিশ ও রেঞ্জার্স কর্মকর্তাদের আদালত প্রাঙ্গণের বাইরে মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে এবং আদালতের গেটের সামনে কাঁটাতারের বেড়া দেখা গেছে। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) বাইরের ফুটেজে দেখা গেছে, পিটিআই প্রধানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে স্লোগান দিচ্ছেন বিপুল সংখ্যক আইনজীবী।

দুর্নীতির মামলায় গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে। তার সেই গ্রেপ্তার পারমাণবিক অস্ত্রধারী এদেশে মারাত্মক অস্থিরতা সৃষ্টি করে এবং এরই একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইমরানের গ্রেপ্তারকে অবৈধ এবং বেআইনি বলে রায় দেয়।

বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে বেআইনি বলে আখ্যায়িত করেন।

ইমরান খানকে হাজির করা উপলক্ষে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে বাড়তি পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। আদালতের মূল ফটকে পেচানো কাঁটাতার ফেলে নিরাপত্তা বুহ্য সৃষ্টি করা হয়েছে।

এদিন আদালত কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পিটিআই প্রধান জানান, গ্রেপ্তারের পরে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবলিটি ব্যুরোর (এনএবি) কর্মকর্তারা ল্যান্ডফোনের মাধ্যমে স্ত্রীর সঙ্গে তাকে কথার বলার অনুমতি দিয়েছিলেন।

গ্রেপ্তার হবেন ভেবেছিলেন কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, আমি শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম, আমাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

সূত্র : খবর দ্য ডন ও আলজাজিরা।


আরও খবর



৩৮ দিন কারাবাসের পরেও চাকরি বহাল, গণপিটিশনে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ে ৩৮ দিন কারাবাস করেও চাকরি বহাল থাকায় স্থানীয়দের গণপিটিশনে তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সচিব বরাবরে স্থানীয়রা ডেপুটি স্পিকারের সুপারিশসহ গণপিটিশন দায়ের করেন।

বুধবার (২০ মার্চ) দিনভর তদন্ত করেন তদন্ত টিমের প্রধান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপংকর রায়।

অভিযোগে জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দুর্গাপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলে সরকার। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের সহায়তা করতে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়। গত ২০১১ সালের মে মাসে আদিতমারী উপজেলায় যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত রয়েছেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ওমর ফারুক। তিনি যোগদানের পরে নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে খুলে বসেন নিজস্ব চেম্বার। মেয়ের নামে গড়ে তুলেন তানিশা মেডিকেল সেন্টার।

অভিযোগ উঠে, হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসলে তাদেরকে নিজেস্ব চেম্বারে ডাকেন স্যাকমো ওমর ফারুক। চেম্বারে রোগী ভিড়াতে রয়েছে বিশাল দালাল চক্র। দালাল চক্র নির্ধারীত বখসিসে রোগীদের পাঠান এবং পেশি শক্তি দিয়ে স্যাকমো ওমর ফারুককে পাহারা দেন। গত ২০১৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্যাকমো ওমর ফারুকের নিজেস্ব চেম্বার তানিশা মেডিকেল সেন্টারে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে নানান অনিয়মের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক তাকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এরপর কর্তৃপক্ষ স্যাকমো ওমর ফারুককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিল করেন সাজাপ্রাপ্ত স্যাকমো ওমর ফারুক। আদালত ৩৮ দিনের কারাবাসকে সাজা হিসেবে গণ্য করে আপিল মঞ্জুর করেন। এরপর এ দুই রায়ের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল (নং ৪৫/২০১৭) করেন তিনি। সেখানে আপিল না মঞ্জুর করে আগের রায় বহাল করেন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্টে ক্রিমিনাল রিভিশন নং ১৬১৪/২০১৭ দায়ের করেন স্যাকমো ওমর ফারুক। যা একক বেঞ্চে খালাস পান তিনি। মামলা থেকে খালাস পেয়ে পুনরায় বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। স্বাস্থ্য বিভাগে বিশাল ক্ষমতাধর এ স্যাকমো মুহুর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সকল কিছু ম্যানেজ করে বরখাস্তাদেশ বাতিল করে নেন। একই সাথে ৩৮ দিন কারাবাস করা সময়ের বেতন ভাতাদিও উত্তোলন করেন তিনি।

বরখাস্তাদেশ বাতিল করে নিয়ে পুনরায় বেস্ট পপুলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে তিনি চালু করেছেন তার পুর্বের ব্যবসা। স্খানীয়রা বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও তাকে বদলি করাতে পারেনি। ক্ষমতার প্রভাবে সকলকে ম্যানেজ করে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। একই কর্মস্থলে যুগপুর্তি হলেও বদলি করাতে পারেননি কেউ।

অবশেষে স্থানীয়রা স্যাকমো ওমর ফারুকের নানান অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপচিকিৎসার চিত্র তুলে ধরে তার বদলি দাবি করে স্বাস্থ্য সচিব বরাবরে গণপিটিশন দায়ের করেন। সেই গণপিটিশনে বদলির সুপারিশ করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামছুল হক টুকু। অপশেষে সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে পড়েন সিভিল সার্জনের গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত টিম। বুধবার দিনভর বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলেন তদন্ত টিমের প্রধান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপংকর রায়।

তদন্ত টিমের সামনে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে তার নিজেস্ব দালালদের বুধবার দিনভর হাসপাতাল চত্ত্বরে বসিয়ে রাখেন স্যাকমো ওমর ফারুক। তদন্ত টিম যাতে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে না পারে এবং সাধারণ মানুষ দালালদের ভয়ে তদন্ত টিমকে স্যাকমোর বিরুদ্ধে কোন তথ্য না দেয়ার অভিযোগ উঠছে । সব মিলে এ অভিযোগও খেয়ে ফেলতে উপর মহলকে ম্যানেজে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে স্থানীয়দের দাবি।

এতবড় সাজা ভোগ করেও একই স্টেশনে বহাল রয়েছেন দেশে দ্বিতীয় এমন কোন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী নেই বলেও মন্তব্য করে ভাদাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, তদন্ত টিম আসবে জেনে তদন্ত টিমের সামনে দালালদের রেখেছিলেন স্যাকমো ওমর ফারুক। হাসপাতাল চত্তর ছিল স্যাকমোর দালালে ভরা। সাধারণ মানুষ ভিড়তে পারেনি তদন্ত টিমের সামনে।

অভিযুক্ত স্যাকমো ওমর ফারুক বলেন, বিগত সময়েও আমার বিরুদ্ধে এমন বে নামি অভিযোগ করেছিল। তখনও কিছু করতে পারেনি এখনও পারবে না। তাই তদন্ত টিমের সামনেই আসেনি অভিযোগকারীরা।

তদন্ত টিমের প্রধান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দীপংকর রায় বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে সিভিল সার্জন মহোদয়ের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা তদন্ত করছি। স্যাকমোর মামলা ও রায়ের বিষয়টি আদালতের কাগজেই প্রমাণিত। দীর্ঘ এক যুগ একই স্টেশনে থাকা স্যাকমোকে বদলি করাতে গণপিটিশনে ডেপুটি স্পিকার সুপারিশ রয়েছে। যা আরও ভাবিয়ে তুলছে। আমরা সব বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তদন্ত করছি। খুব দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’


আরও খবর



রাফায় হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন নেতানিয়াহুর

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নতুন যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে অযৌক্তিক বিষয়বস্তু রয়েছে দাবি করে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেই সঙ্গে গাজার সর্বদক্ষিণের নগরী রাফায় হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন তিনি। ইসরায়েলি হামলার মুখে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি এখানে আশ্রয় নিয়েছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের।

হামাসের পক্ষ থেকে ৪২ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠানো হয় ইসরায়েলকে। এ নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। বৈঠকের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাস যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া রয়েছে।

নেতানিয়াহু আরও বলেন, রাফাহ শহরকেন্দ্রিক অভিযানের জন্য ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) যে পরিকল্পনা করেছে তা অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

ইসরায়েল রাফায় বড় ধরনের হামলা শুরু করলে ব্যাপক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাছাড়া গাজাজুড়ে মানবিক সংকট আরও প্রকট হবে।

ইসরায়েলি হামলার অনুমোদন করার প্রেক্ষাপটে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বিয়েরবক এক্সে (আগের যার নাম ছিল টুইটার) বলেছেন, রাফায় বড় ধরনের হামলা যৌক্তিক হতে পারে না। সেখানে ১০ লাখের বেশি লোক আশ্রয় নিয়েছে। তাদের আর কোথায় যাওয়ার জায়গা নেই। আর লোক যাতে না মরে এবং পণবন্দীরা যাতে মুক্তি পেতে পারে, সেজন্য অবিলম্বে মানবিক অস্ত্রবিরতি প্রয়োজন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতোপূর্বে বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছাড়া হামলা চালানো হবে ‌'রেড লাইন' অতিক্রম করা।

পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি। আর আহত ৭৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।

কঠোর অবরোধ ও অবিরাম হামলার মধ্যে থাকা গাজাবাসীরা অনাহারে ভুগতে ভুগতে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে। ইতোমধ্যেই অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। ত্রাণবাহী ট্রাক দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে, ত্রাণের জন্য হুড়োহুড়ি করছে।


আরও খবর



আগামী বছর থেকে শনিবার স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা রাখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব মতের মানুষের বিশ্বাস ও চিন্তা-চেতনার প্রতি সম্মান রেখে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ সব বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে মন্ত্রণালয়।

এ বছর রমজানে স্কুল ছুটির আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল মন্ত্রণালয়। রমজানের আগের দিন তারা আপিল করে বসে। সোমবার বিকেলের দিকে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হয়। শুনানিতে স্কুল খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এএম আমিন উদ্দিন।

এ সময় চেম্বার বিচারপতি প্রশ্ন রাখেন, এই কদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকলে কী এমন অসুবিধা হবে? পরে উচ্চ আদালতের আদেশ স্থগিত না করে মঙ্গলবার আপিল বিভাগে শুনানির দিন ধার্য করা হয়। পরে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।

 


আরও খবর



রমজানে যুদ্ধবিরতি হলো না গাজায়

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

গতকাল রোববার চাঁদ দেখা যাওয়ার পর সোমবার থেকে রোজা শুরু হয়েছে ফিলিস্তিনসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে; কিন্তু রমজানের চাঁদ রাতেও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এখন অবধি পেরিয়েছে ৬ মাস। এ ছয় মাসে গাজায় ব্যাপক বোমা বর্ষণের পাশাপাশি ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্যের সরবরাহেও বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বিশেষ করে খাদ্য ও চিকিৎসা পণ্যের অভাবে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে গাজায়।

গাজার ভৌগলিক আয়তন ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার। এ উপত্যকার উত্তর ও পশ্চিমে ইসরায়েল সীমান্ত, দক্ষিণে মিসর সীমান্ত এবং পূর্বদিকে ভূমধ্যসাগর অবস্থিত। ২০০৫ সালে হামাস ক্ষমতা দখলের পর থেকে উপত্যকার উত্তর ও পশ্চিম সীমান্ত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতে। এতদিন পর্যন্ত উপত্যকায় খাদ্য-ত্রাণ ও মানবিক সহায়তার সরবরাহ দক্ষিণে মিসরীয় সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতো; কিন্তু এখন সেই সীমান্তপথটিও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ওপেন আর্মস নামের স্পেনভিত্তিক একটি দাতব্য সংস্থা ভূমধ্যসাগর পথে সম্প্রতি ২০০ টন খাদ্য ও ওষুধবাহী একটি জাহাজ গাজা উপত্যকার উদ্দেশে পাঠিয়েছে। গতকাল এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ত্রাণবাহী জাহাজটি বর্তমানে ভূমধ্যসাগরীয় দেশ সাইপ্রাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরশহর লারাঙ্কায় রয়েছে, সোমবারের মধ্যে সেটি গাজার উপকূলের কাছাকাছি থাকবে। গাজার উপকূলে পৌঁছানোর পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের কর্মীদের তত্ত্বাবধানে এসব ত্রাণপণ্য খালাস করা হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ওপেন আর্মস।

খাদ্যের অভাবে মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়া গাজা উপত্যকায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, কানাডা ও অন্যান্য দেশ বিমান থেকে ত্রাণের বস্তা ফেলা শুরু করেছিল, কিন্তু জাতিসংঘের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা বিভাগ জানিয়েছে, উপত্যকায় বসবাসকারী প্রায় ২৪ লাখ ফিলিস্তিনি জনগণের সবার কাছে ত্রাণ পৌছানোর জন্য বিমানের চেয়ে সড়ক পথ বেশি উপযোগী।

গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধের শুরু থেকে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। চলতি মার্চের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছিলেন যে আসন্ন রমজানে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হতে যাচ্ছে গাজায়। এই বিরতির সময় উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহে কোনো বাধা দেবে না ইসরায়েলি বাহিনী এবং তার পরিবর্তে নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০০ জনকে মুক্তি দেবে হামাস।

কিন্তু বহু আকাঙিক্ষত সেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি আর হয়নি; আর চুক্তি না হওয়ার জন্য ইসরায়েলের এবং হামাস উভয়ই পরস্পরকে দায়ী করছে। হামাসের দাবি ছিল যে যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই দাবির প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পুনরায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

গতকাল চাঁদরাতে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল ও বিমান অভিযানে গাজার মধ্যাঞ্চল গাজা সিটিতে ১৩ জন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে গাজা উপত্যকায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। রোববার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির যেসব শর্ত দিয়েছিল, হামাস সেসবের বিপক্ষে। তাই বর্তমানে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যে সর্বাত্মক অভিযান চলছে, তা রমজানেও অব্যাহত থাকবে।

এদিকে শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাসকে নির্মূল করার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে, তবে গাজায় যে হারে বেসমারিক লোকজন হতাহত হচ্ছেন তাতে দিন দিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওপর অধৈর্য হয়ে উঠছেন তিনি।

তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী যেভাবে অভিযান পরিচালনা করছে, তা ইসরায়েলকে সহায়তার পরিবর্তে ক্ষতি করছে বেশি। গাজার বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানি ঠেকাতে ইসরায়েলি বাহিনীর আরও মনযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন আরও জানান, ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে ইসরালের জনগণের সঙ্গে এ ইস্যুতে তিনি সরাসরি মতবিনিময় করতে আগ্রহী।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও সব পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং চুক্তিতে স্বাক্ষরের জন্য ইসরায়েল ও হামাসের ওপর কূটনৈতিক চাপ অব্যাহ রয়েছে।

আমরা আশা করছি রমজানের মাঝামাঝি এ ইস্যুতে একটি মীমাংসায় পৌঁছানো সম্ভব হবে, এএফপিকে বলেন ওই কর্মকর্তা।

সূত্র : এএফপি


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন মৌসুমী ,জল ঢেলে দিলেন ওমর সানী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

বিনোদন ডেস্ক :

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আসন্ন ২০২৪-২৫ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে চারদিকে। যেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে, চিত্রনায়িকা মৌসুমীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ। 

বেশ কয়েকবার এই নায়িকাকে নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে, অভিনেত্রী নিপুণের প্যানেল থেকে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে মেলেনি মৌসুমীর কোনো বক্তব্য। এবার সেই গুঞ্জন নিয়েই মুখ খুললেন তার স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী। 

সরাসরি জানিয়ে দিলেন, নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন না চিত্রনায়িকা মৌসুমী। এ বিষয়ে ওমর সানীর ভাষ্য, ‘আমিও কানাঘুষা শুনেছি, মৌসুমী এবার নির্বাচনে দাঁড়াবে। এটার কোনো ভিত্তি নেই। কারণ, আমাদের মেয়ে ফাইজার লেখাপড়ার জন্য এ বছরটা মৌসুমীকে আমেরিকায় থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হল, নির্বাচনে দাঁড়ানোর মতো ইচ্ছে আমার ফ্যামিলির কারো নেই। এ ধরণের অনুরোধ আমাকে কেউ করবেন না।’

এরপর শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে খানিকটা বিরক্তিও প্রকাশ করলেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই নায়ক। তিনি বলেন, ‘শুনেছি এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচন আগামী ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এবার যারা প্যানেল সাজাবেন তাদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই, দয়া করে তারা কেউ আমাকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর বিষয়ে অনুরোধ করবেন না। কারণ, ভালো সিনেমা দিয়ে জীবনে মানুষের যতটুক ভালোবাসা আমরা পেয়েছি এই নির্বাচন করে সেই ভালোবাসা হারাতে চাই না।’

প্রসঙ্গত, শিল্পী সমিতির ২০২৩-২৪ মেয়াদে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল থেকে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করে করেছিলেন মৌসুমী। এ নির্বাচনে ২২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন মৌসুমী। এরপর সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে জটিলতা শুরু হলে পর তিনি আর সমিতিতেই আসেননি।


আরও খবর

সংগীতশিল্পী খালিদ মারা গেছেন

সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪

ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন পরীমণি

শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪