Logo
শিরোনাম

ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন মনিরুজ্জামান নামে এক আইনজীবী। সেইসঙ্গে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশনাও চেয়েছেন তিনি।

বুধবার গণমাধ্যমের রিপোর্ট তুলে ধরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এ ব্যাপারে আদেশ প্রার্থনা করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান।

এদিকে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেলকে ডেকে পাঠান আদালত।

আদালতে এসে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, সারাদেশের মানুষের মতো তারও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয় এখনই কোনো সিদ্ধান্ত যেনো আদালত না নেয়। কারণ সরকার এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। সরকারের কাছে এটি এখন ১ নম্বর এজেন্ডা।

তিনি বলেন, যে কেউ কোনো অ্যাঙ্গেল থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সরকার জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এ সময় উদ্বেগ জানিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, কেউ যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করতে না পারে। এছাড়া ইসকন ও সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকারের পদক্ষেপ আগামীকালের মধ্যে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।


আরও খবর

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধনে আবেদন

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




বাজারে চালের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। নিজস্ব মজুদেও ঘাটতি নেই। স্থানীয় উৎপাদনেও ঘাটতি নেই। আমরা আমনের ভরা মৌসুম পার করছি। ঠিক এই মুহূর্তে বাজারে এই দামের কোনো যৌক্তিক কারণ আমরা দেখছি না। এটার কারণ আমরা খোঁজার চেষ্টা করছি, বোঝার চেষ্টা করছি। আমাদের কাছে এটা অযৌক্তিক মনে হচ্ছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে দাম নেমে আসবে।

বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বেগুনবাড়ি দীপিকার মোড়ে দেশব্যাপী স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বশিরউদ্দীন বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে বিশেষ করে নাজিরসাইল ও মিনিকেট, এই দুইটা চালের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা লেভেলে যে ধরনের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তার থেকে পাইকারি লেভেলে দামের বৃদ্ধিটা অনেক বেশি।

তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে যে আমদানিকে উদারীকরণ করতে পারি। আলুর ক্ষেত্রেও আমরা উদারীকরণ করেছি। আলুর দাম ব্যাপকভাবে নেমে এসেছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, সাময়িক মজুদদারীর ঘটনা ঘটছে। বাণিজ্য উদারীকরণের জন্য গতকাল আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ টিসিবির চেয়ারম্যানাকে নিয়ে বসেছি। বাজারের সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার জন্য আপাতত আমদানিকেন্দ্রীক ব্যবস্থা নিচ্ছি। ব্যাপক আমদানি প্রস্তুতি চলছে। আমদানি ব্যাপকতার ফলে স্থানীয় বাজারে দামের হ্রাস ঘটবে। যারা মজুদ করছেন তারা ভোক্তাদের কষ্টের সাময়িক মুনাফা করছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টিসিবির চেয়রাম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবালসহ টিসিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে দ্রুত গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। তিনি বলেন, আমরা উভয়ই (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চাই। আর এটি বাংলাদেশে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে সহায়তা করবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউওআইএনকে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরিক গারসেটি একথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে ডব্লিউআইওএনের ‘ভিডিও জার্নালিস্ট’ ধিরাজ প্যাটেল বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ভারত সরকারের জন্য বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেখানে বর্তমানে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের উত্থান ঘটছে। সেই সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ছে চীনের। এসব বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? জবাবে এরিক গারসেটি বলেন, ‘আমরা উভয়েই (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) মৌলিক বিষয়গুলোর কথা বলছি। আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশের কথাও বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র একক নীতিতে বিশ্বাস করে। সেটি হলো উভয় দেশই শান্তিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া দেখতে চায়। এই মুহূর্তে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র।

ডব্লিউওআইএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, হোক সেটি বাংলাদেশ বা পৃথিবীর অন্য যে কোনও দেশ—ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যেন কখনই নির্যাতনের শিকার না হন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বিভিন্ন খাতে সংস্কারের পাশাপাশি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। গত বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে একটি ধারণা দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানান, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।

তবে তার ঘোষিত সময় নিয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপিতে অসন্তোষ রয়েছে। দলটির নেতারা আগামী জুন থেকে আগস্টের মধ্যে নির্বাচনে দাবি জানিয়েছেন।


আরও খবর

ভারতীয় গণমাধ্যমের কড়া সমালোচনা

বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫




শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

গত ২০/১২/২০২৪ ইং তারিখে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের এক প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্টিত হয় সংগঠনটির নিজস্ব কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। উক্ত সম্মেলনে সর্ব সম্মতিক্রমে মোঃ রেজাউল কবির দিপুকে সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক সেলিম লালু, সধারণ সম্পাদক নুরুল আল-আমিন (সম্রাট), সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাঈদুল ইসলাম,সহ মহিলা সম্পাদক রোকসানা মনোয়ার এবং মোঃ জাহিদুল ইসলাম (রাজু) দস্তুর সম্পাদক নির্বাচিত হন।

কেন্দ্রীয় পূর্ণনাঙ্গ কমিটিগঠন করা হয় প্রযোজনে এই কমিটির আকার আরো বৃদ্ধি করা যাবে। এই কমিটি ছাড়া কোন জেলা/মহানগর/পৌরসভা/উপজেলা অন্য কেউ কমিটি দিলে তাহা অবৈধ বলিয়া ঘোষণা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে। এই নতুন কমিটির মাধ্যমে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ পরিচালিত হবে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সংগঠনটির নামে অবৈধ ভাবে পদ ব্যবহার করলে তাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ নেওয়া হবে। এই সংগঠনকে আরো গতিশীল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ নব কমিটির দপ্তর সম্পাদক মোঃ আহিদুল ইসলাম (রাজু) স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান হয়।


আরও খবর



দেশে বর্তমানে বেকার ২৬ লাখ ৬০ হাজার মানুষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জানিয়েছে, বর্তমানে বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দেশে কিছুটা বেড়েছে। ২০২৪ সালের শুরুতে দেশে বেকার মানুষ কম থাকলেও বছর শেষে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে এই সংখ্যা। দেশে বর্তমানে মোট বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৬০ হাজার।

দেশে কর্মে নিয়োজিত বা শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। সম্প্রতি ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিএস।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষি, সেবা ও শিল্পসহ সব খাতেই কমেছে কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী। নারীর চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে পুরুষ বেকারের সংখ্যা।

বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৯০ হাজার। এ ছাড়া নারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৭০ হাজার।

২০২৩ সালের একই সময়ে পুরুষ বেকার ১৬ লাখ ৪০ হাজার, আর নারী বেকার ছিল ৮ লাখ ৫০ হাজার। সে হিসাবে পুরুষ বেকার বেড়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার এবং নারী বেকার বেড়েছে ২০ হাজার।

বিবিএস জানায়, শ্রমশক্তিতে এখন (তৃতীয় প্রান্তিকে) ৫ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। অথচ ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে এ সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা কমেছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার। যেখানে মোট শ্রমশক্তিতে থাকা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়ম অনুযায়ী, বেকার জনগোষ্ঠী মূলত তারা, যারা গত সাত দিনের মধ্যে মজুরির বিনিময়ে একঘণ্টা কাজ করার সুযোগও পাননি। এ ছাড়া গত এক মাস ধরে কাজ খুঁজেছেন, কিন্তু মজুরির বিনিময়ে কোনো কাজ পাননি। বিবিএস এ নিয়ম অনুসরণ করেই বেকারের হিসাব দিয়ে থাকে।


আরও খবর



সচিবালয়ের সামনে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। প্রায় ৩২ ঘণ্টা অনশনে থাকা অসুস্থ শিক্ষার্থীরাও সেখানে এসেছেন। দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা এবার সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে সচিবালয়ের পথে রওনা হন শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৫টার দিকে তারা সচিবালয়ের সামনে পৌঁছান। শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে স্লোগান দিচ্ছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করবেন। সেখানে আমরণ অনশনও শুরু করেছেন তারা।

এর আগে সোমবার বিকেল ৩টায় ক্যাম্পাসে ব্রিফিং করেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, বিকেল ৪টার মধ্যে তাদের ৩ দফা দাবি মেনে না নিলে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করবেন তারা।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি পূরণে করণীয় ঠিক করতে সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ সভা হবে।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আহমেদ শিবলীর সই করা নোটিশে এ সভা আহ্বান করা হয়। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জবি ক্যাম্পাসে গণ-অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে ১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের জবি মেডিকেল সেন্টারসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ছাত্ররা অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ায় কর্মসূচি চালিয়ে নিতে রাত ২টার দিকে গণ-অনশনে বসেন অর্ধশতাধিক ছাত্রী। তারা সকাল পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি

১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে সই করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ বৈঠকের মাধ্যমে তা শেষ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালি সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।

২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।

৩. যতদিন পর্যন্ত আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এই কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। বৈঠকে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। এরপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।


আরও খবর