Logo
শিরোনাম

ইসলামপন্থীদের কাছে টানতে তৎপর বিএনপি-জামায়াত

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় সে মাঠ এখন বিএনপি ও জামায়াতের দখলে। বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থী দলগুলোকে নিয়ে মৈত্রী গড়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিএনপিও নির্বাচনী যাত্রায় ইসলামপন্থীদের পাশে রাখকে তৎপরতা শুরু করেছে।

আদর্শিক ভিন্নতা থাকলেও ভোটের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে চরমোনাই পীরের বরিশালের বাড়ি পর্যন্ত গেছেন জামায়াত আমীর। আর রাজধানীতে দলটির প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব।

নির্বাচন ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের তৎপরতায় ইসলামী দলগুলোর মধ্যে দোটানা ভাব দেখা দিয়েছে। জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন অতীতের তিক্ততা মিটিয়ে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। তারা ইসলামপন্থীদের ভোট ‘এক বাক্সে’ দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ইসলামী শক্তির অভিন্ন বাক্স আমরা নির্বাচনে দিতে চাই। তবে, জামায়াত এবং আমরা আদর্শিক, নীতিগত বা রাজনৈতিকভাবে এক হয়ে গেছি, তা কিন্তু নয়। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় মতপার্থক্য আছে বলেই আমরা আলাদা রাজনীতি করি। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ইসলামিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনী ঐক্যের সম্ভাবনা বেড়েছে। আমরা সব ইসলামিক দলগুলো নিয়ে কাজ করছি। আমরা মনে করি ইসলামি রাজনৈতিক এলায়েন্স এখন সময়ের ব্যপার মাত্র।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ জানান, ফ্যাসিবাদবিরোধী যেকোনো দলের সাথেই ঐক্য হতে পারে। আর ইসলামী দলগুলোর জন্য যেকোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত তারা।

তবে, নির্বাচনী রাজনীতির সরল অঙ্কের গরল ফলাফল এখনই মেলানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দলের নেতারা।


আরও খবর



কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে গরু ও মুরগির মাংসের দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ঈদুল ফিতরে সরবরাহ ঘাটতির প্রভাব পড়েছে বাজারে। যে কারণে ক্রেতা কমলেও কমেনি মাংস, সবজির দাম। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বেড়েছে গরুর মাংস ও মুরগির দাম। তবে দুটি বাজার খুঁজেও মেলেনি খাসির মাংস। পেঁয়াজ রসুনে স্বস্তি মিললেও গরুর মাংস আর মুরগির দামে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

রাজধানীর মিরপুরের উত্তর ও মধ্য পীরেরবাগের একাধিক মাংসের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেজিতে অন্তত ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। কোনো দোকানে আরেকটু বেশি।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-২ উত্তর পীরেরবাগ ছাপড়া মসজিদ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজি, মাছ ও গরুর মাংসের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়।

মরিয়ম গোস্ত বিতানের বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচুর গরু কাটছি। চাহিদা অনুযায়ী বিক্রিও ছিল বেশি। আজকে আর গরু কাটি নাই। তবে চাহিদা থাকায় মিরপুর-১ থেকে একমণ মাংস এনেছি। আর ৫ কেজি বিক্রি বাকি আছে।

তিনি বলেন, গতকালও ৭৮০ টাকায় মাংস বিক্রি করছি। আজ ৮০০ টাকা বিক্রি করছি।

তবে কাদের গোশত বিতানে গরুর মাংসের দাম আরও ২০ টাকা বেশি, অর্থাৎ সেখানে ৮২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। পাইকারি এই দোকানে মুরগি ডিমসহ নিত্যপণ্য বিক্রি করা হয়।

কাদের গোশত বিতানের বাদশা মিয়া বলেন, আজও সবচেয়ে বেশি মাংসের চাহিদা। ঈদের আগের দিন থেকে এখানে ৮২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। দেশি মুরগি ৬০০ টাকা, ব্রয়লার ২৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি বাজারে নেই। পাকিস্তানি কক ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিম মিলছে কমেই, ১২০ টাকা ডজন।

উত্তর পীরেরবাগ এলাকার একটি আবাসিক ভবনের এক বাসিন্দা বলেন, হাসপাতালে চাকরি করি। এ ঈদে ছুটি মেলেনি। বাসায় রাতে কিছু অতিথি আসবে। গরুর মাংস কিনতে এসে দেখি কেজি প্রতি ৪০ টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে। গত ৩ দিন আগেও গরুর মাংসের কেজি ছিল ৭৮০ টাকা। আজকে নিলো ৮২০ টাকা।

নির্মাণ শ্রমিক ফরহাদ গরুর মাংসের দাম শুনে কপালে ভাঁজ নিয়ে মুরগির দাম জানতে চান। সেখানেও বাড়তি দাম। বাধ্য হয়ে ৩৩০ টাকায় একটি পাকিস্তানি কক কিনে ফেরার পথে ফরহাদ বলেন, গরুর মাংস আমগো নাগালের না, মুরগিও দেখতাছি দাম বাড়তাছে। খামু কি? ৩৩০ টাকায় কক কিনে আমগো পোষায় না। কি করমু। ব্রয়লার আর কতো! একটা দিন তো কক খাইতে মন চায়।

মরিয়ম গোশত বিতানের মালিক বাবুল শিকদার বলেন, গরুই বেচতেছিলাম, খাসির মাংসের বাড়তি দাম, তাই দোকানেই তুলি নাই।

ব্রয়লার মুরগি কিনে মুসলিমা বেগম বলেন, কক ৩৩০ টাকা কেজি। কেমনে খামু কন! ব্রয়লারও যে খুব কম তা না, তবে দেড় কেজি ব্রয়লার কিনে যা বাঁচবে তা দিয়ে কিন্তু সবজি কেনা যায়। তাই কক বাদ দিয়ে ব্রয়লারই কিনতে হলো।

মধ্য পীরেরবাগ বিসমিল্লাহ গোশত বিতানে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা ভিড় করেও ফিরে যাচ্ছেন। মাংস শেষ। মালিক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, প্রতি রমজানের ঈদে অন্তত ২০টা গরু কাটি। গতকালও ২টা কাটছি। আজ একটা, তা সকাল সকালই শেষ হয়ে গেছে।

মাছের সরবরাহ কমেছে বাজারে। যা আছে তাও ক্রেতা কম।

নদীর চিংড়ির কেজি ৭০০ টাকা, তবে লাল ও অন্য সাদা চিংড়ি ৬৬০ টাকায় মিলছে। রুই মাছ যেন ছুলেই দাম। ৪৬০ টাকা কেজি হাঁকিয়ে বেচা হচ্ছে ৪২০ টাকায়। তেলাপিয়া ১৮০ টাকা। নলা মাছ ১৬০ টাকা। ইলিশ ৭৬০ থেকে ১৩০০ টাকার মধ্যে আকার অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বিক্রেতা তরিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে মাছের সরবরাহ কম। ক্রেতাও কম। যা পাইছি তাই বেচতাছি। ক্রেতারা তো মাছের চেয়ে মাংসই বেশি কিনতাছে।

ছাপড়া মসজিদ কাঁচাবাজারে গিয়ে জানা যায়, কিছু সবজিতে বেড়েছে দাম। দামে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ নেই। কেজিতে টমেটোর দাম বেড়েছে ২০ টাকা। টমেটো ৬০ টাকা ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

আলু ২০-২৫ টাকায় মিলছে। তবে পটল ও শশায় অসন্তুষ্ট ক্রেতারা।

ছাপড়া মসজিদ কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম মিয়া বলেন, বেগুন গত সপ্তাহে কিনেছি ৮০ টাকায়। গত সপ্তাহেও ঢেঁড়শ ছিল ৫০ টাকা, আজ তা ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে, কেজি বাড়তি ১০ টাকা। গত সপ্তাহেও শশার দাম ছিল ৬০টাকা, আজ ৮০ বেচতে হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা পিস, কচুরলতি ৮০ টাকা কজি, ১০ টাকা বাড়তিতে করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের ছোট পাতা কপির পিস ৫০ টাকা, ঝিঙা ৭০, চিচিঙ্গা ৭০, কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা। পেঁপে আর পটলে বিরক্ত ক্রেতারা। পটল ৮০, পেঁপে ৬০ টাকা।

হুসাইন আল মামুন নামে ক্রেতা বলেন, গরুর মাংসের সঙ্গে আলু আর পটল ভাল লাগে। আলুটার দাম ঠিক আছে। পটল যে ৮০! আর গরুর মাংসের দাম তো জানেনই ৮২০ টাকা! আমাদের মতো মধ্যবিত্তের ৬ সদস্যের পরিবারের জন্য এটা বেশিই।

ধনেপাতার ১০০ গ্রাম ২৫ টাকায় বিক্রি হলেও লেবুর দাম ফের বেড়েছে। ছোট ছোট লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

সবজি বিক্রেতা আলমগীর বলেন, টমেটো ও গাজরের দাম বাড়তি। পেঁপে ও পটলে বিরক্ত ক্রেতারা। কিন্তু কিছু করার নাই। কেনাই তো বাড়তি আমাদের।


আরও খবর

সবজিতে আর স্বস্তি নেই

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫




চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব পালনে পার্বত্য অঞ্চলে ছুটি

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, চৈত্র সংক্রান্তিতে এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখ আমরা পাহাড়িরা ছুটি পেয়েছি। চৈত্র সংক্রান্তিতে উৎসব উদযাপনের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জন্য ছুটি ঘোষণা করায় বর্তমান সরকারকে পার্বত্যবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

আজ রাজধানীর বেইলি রোডে বিসিএস ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটোরিয়ামে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের প্রেস উইং আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কর্তৃক নববর্ষ উৎসব সংক্রান্ত প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এ অনুভূতি জানান। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বিজু উৎসব চাকমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব।

তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকার রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি বান্দরবান সর্বত্র বিজু মেলা চলছে। গিলা খেলা, বলি খেলা ও বিভিন্ন ধরনের আনন্দদায়ক খেলা চলছে সেখানে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজু উপলক্ষে বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমরা তিন জেলায় ৬০০ মেট্রিক টন চাল খাদ্যশষ্য, ৪৫০ মে.টন গম খাদ্য ইতোমধ্যে দিয়েছি।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বিজু উৎসব সম্পর্কে বলেন, বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এইদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই ছেলেমেয়েরা বেরিয়ে পড়ে ফুল সংগ্রহের জন্য। সংগ্রহিত ফুলের একভাগ দিয়ে বুদ্ধকে পূজা করা হয় আর অন্যভাগ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ফুলগুলো দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো হয়। চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পালন করা হয় মূল বিজু। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পাহাড়ে বসবাসকারী জনপদগুলো এই দিনে মেতে ওঠে ভিন্ন এক আনন্দে। নিজস্ব সংস্কৃতির অনুষ্ঠান ফুল বিজু সকলের মনকে আনন্দে রাঙ্গিয়ে দিবে এবারের এ আসর।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি আমরা সবাই ভাই ভাই হিসেবে কাজ করতে চাই। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আমাদের এক করে দিয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ঢাকা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে অনুষ্ঠান পরিচালনা করছে।

প্রেস কনফারেন্সে এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের সহকারী প্রেস সেক্রেটারি সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বলদীপুকুর চায়না ক্যাম্পে রাত হলেই চলে চুরির হিড়িক

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রংপুর জেলা প্রতিনিধি :

মিঠাপুকুর উপজেলার বলদীপুকুর চায়না ক্যাম্পে রাত হলেই চলে চুরির হিড়িক। হাইওয়ে কাজের জন্য বলদীপুকুর - জায়গীর মধ্যস্থলে অবস্থিত চায়না ক্যাম্প।সেখানে রাত হলেই রন্জু বাহিনীর কিশোর গ্যাংয়ের চলে চুরির হিড়িক।ভিতরে কাজের আড়ালে তাদের রয়েছে আলাদা সোর্স, ভিতরে তারা নজরদারি করে রাখে কোন মালমাল চুরি করা সহজ হবে।হাইওয়ের কাজে ব্যবহৃত মালামাল চুরি করতে  আলাদা কিশোর গ্যাং তৈরি করে রন্জু আহমেদ।চায়না ক্যাম্পে তাদের সোর্সের দেয়া তথ্য মতে,রাত হলেই রন্জু বাহিনীর কিশোর গ্যাং দেশীয় অস্ত্র সহ বিভিন্ন ভাবে ক্যাম্পে প্রবেশ করে।তার কিশোর  গ্যাংয়ের সদস্যরা চায়না ক্যাম্পের বিভিন্ন পয়েন্টে দেশীয় অস্ত্র সহ অবস্থান নেয়।সুযোগ বুঝে তারা চুরি করা মালামাল টিনের প্রাচীর ভেদ করে বাহিরে থাকা সদস্যদের কাছে পারাপার করে।চুরি শেষ হলেই তার গ্যাংয়ের সদস্যদের যেকোনো একজনের বাড়িতে রাখে।রন্জু আহমেদ রংপুরে ইলেক্ট্রিকের কাজ করে বিধায় তার চুরির মালামাল বিক্রি করা সহজ হয়।চুরির মালামাল বহনের জন্য তারা নিজেদের  আলাদা ভ্যানগাড়ি ব্যবহৃত হয়।ভ্যান গাড়িতে মালামাল তোলার পর রন্জু আহমেদের কাছে পৌছানোর পর্যন্ত তারা মোটরসাইকেল দিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। সেগুলো বিক্রি করে তারা গভীর রাতে বিভিন্ন হোটেলে খাবার খেয়ে মাদকের আসর জমায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের গ্যাংয়ের এক সদস্য বলেন, আমরা চায়না ক্যাম্পে থাকা সোর্সকে দিয়ে সেখানেই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে দেশীয় অস্ত্র তৈরি করেছি এমনকি চাইনিজ অস্ত্রসহ।আমাদের দলের সকল সদস্যের কাছে এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। আমরা প্রথমে ভিতরে প্রবেশ করি, আমাদের সোর্সের দেয়া তথ্য মতে সেগুলো বাহিরে বের করি।কিছুদিন সিকিউরিটি গার্ড ঝামেলা করেছিলো,পরে তাদের অস্ত্র ঠেকিয়ে এগুলো চুরি করি। এখন আর সমস্যা নেই, আমরা যা চুরি করি তা সিকিউরিটি গার্ডদের কয়েকজনকে ভাগ দেই।


পরে সিকিউরিটি গার্ডদের কাছে তথ্য নিতে গেলে তারা জানান,আমরা নিরুপায় হয়ে গেছি, এখানে কিশোর গ্যাং রাত হলেই চলে আসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে।কখন কাকে তারা মেরে ফেলে তার কোনো গ্যারান্টি নেই।

উল্লেখ্য, রন্জু বাহিনীর কিশোর গ্যাংয়ের বেপরোয়া চলাফেরায় এলাকার মানুষ আতংকিত। কারণ তারা চুরির মালামাল বিক্রি করে নেশা সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে গেছে।


আরও খবর



২৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হবে। আমাদের হজযাত্রীরা আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজের উদ্দেশে ফ্লাইট সিডিউল মোতাবেক সৌদি আরব গমন করবেন। সচিবালয়ে হজ প্রস্তুতির সর্বশেষ অগ্রগতি বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ তথ্য জানান।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এ বছর সরকারি মাধ্যমে নিবন্ধিত ৫ হাজার ২০০ জন হজযাত্রীর জন্য আমরা সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা তথা মিনায় ও আরাফায় তাঁবু বরাদ্দ ও ক্যাটারিং সার্ভিস কোম্পানির সাথে চুক্তি, বাড়ি/হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তি, পরিবহন কোম্পানির সাথে চুক্তি অনেক আগেই সম্পন্ন করেছি।

ভিসার কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হবে, ইনশাআল্লাহ। আমাদের হজযাত্রীরা আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজের উদ্দেশ্যে ফ্লাইট সিডিউল মোতাবেক সৌদি আরব গমন করবেন।

তিনি বলেন, এ বছর আমাদের হজযাত্রীদের একটি বিরাট অংশ অর্থাৎ ৮১ হাজার ৯০০ জন হজযাত্রী বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজব্রত পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। সৌদি সরকারের এজেন্সি প্রতি ন্যূনতম হজযাত্রীর বাধ্যবাধকতার কারণে মোট ৭৫৩টি এজেন্সির অধীনে নিবন্ধিত এসব হজযাত্রী ৭০টি লিড এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করবেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান, কঠোর মনিটরিং ও ফলো-আপ তৎপরতার কারণে সৌদি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য কেবল মিনা ও আরাফায় তাঁবু বরাদ্দ গ্রহণ এবং ক্যাটারিং সার্ভিস কোম্পানির সাথে চুক্তি-এই দুটি অ্যাক্টিভিটি সম্পন্ন হয়। পরে সৌদি সরকার মক্কা-মদিনায় বাড়িভাড়া ও পরিবহন কোম্পানির সাথে চুক্তির সময় ২৫ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে এবং তারা এ বিষয়ে কঠোর সতর্ক বার্তা জারি করে।


আরও খবর

হজ অ‍্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন

সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫




লক্ষ্মীপুরে সামাজিক বনায়নের অর্থ বিতরণ, ৩১ জন পেলেন টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরে উপকূলীয় বন বিভাগের আওতায় সামাজিক বনায়নের বিক্রিত বাগানের লভ্যাংশ উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৩১ জন উপকারভোগীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে টাকা প্রদান উদ্বোধন করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জামশেদ আলম রানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে অর্থ প্রদানের স্মারক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা মিঠুন চন্দ্র দাসসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের আওতায় ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে সৃজিত লক্ষ্মীপুরের বসুরহাট-ছয়আনি সড়কের ছয় কিলোমিটার এলাকায় সৃজিত বাগানটি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। বিক্রয়মূল্য ছিল ৩২ লাখ ২৮ হাজার ৬২০ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী এর ৫৫ শতাংশ অর্থ উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপকারভোগীদের থেকে লভ্যাংশ প্রাপ্তির আবেদন সমূহ যাচাই-বাছাই শেষে ৩১ জন উপকারভোগীর প্রত্যেকের ব্যাংক  একাউন্টে ৩০ হাজার ১৪৫ টাকা জমা প্রদান করা হচ্ছে। বিক্রয়ের অর্থ থেকে ১০ শতাংশ বন রাজস্ব, ১০ শতাংশ টিএফএফ (ট্রি ফার্মিং ফান্ড), ২০ শতাংশ ভূমিমালিক সংস্থা এবং ৫ শতাংশ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

চেক পেয়ে প্রাপ্তির অনুভূতি জানালেন উপকারভোগীরা:

সদর উপজেলার পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের নুরজাহান বেগম জানান,

"অনেকদিন পরে হলেও আমাদের প্রাপ্য অর্থ পাবো জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আমরা অনেক কষ্ট করেছি, তবে আজকে আমাদের পরিশ্রমের ফল পেলাম। এজন্য বন বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।"

একই উপজেলার পূর্ব জাফরপুর গ্রামের মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম বলেন,

"বন সংরক্ষণে অংশগ্রহণের কারণে আজ আমাদের জন্য এই বড় সুযোগ এসেছে। দীর্ঘদিন পর আমাদের প্রাপ্য অর্থ খবর পেয়ে, আমরা অনেক খুশি। ধন্যবাদ জানাই বন বিভাগকে।"

একই উপজেলার পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের ছায়েদুল হকের স্ত্রী ছেমনা খাতুন বলেন,এই অর্থ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জন্য এটি শুধু কিছু টাকা নয়, এটি আমাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল। বন বিভাগের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ যে তারা আমাদের এই সুযোগ দিয়েছে।"

উল্লেখ্য যে, সামাজিক বনায়নের আওতায় গাছ রোপণ ও সংরক্ষণে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট।


আরও খবর