Logo
শিরোনাম

ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’র অভিযোগ জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের

প্রকাশিত:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image


একটি স্কুল লক্ষ্য করে শনিবার ইসরাইলি হামলায় ৯৩ জন নিহত হওয়ার পর, জাতিসংঘে নিযুক্ত এক বিশেষজ্ঞ গাজা যুদ্ধে গণহত্যার দায়ে ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছেন। স্থানীয় উদ্ধারকারীরা ওই হামলার কথা জানায়।



এ ঘটনার পর জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি অঞ্চলে নিযুক্ত অধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ বলেন, ইসরাইল সেই সময়ে এক ফিলিস্তিনি প্রতিবেশী এলাকায় হামলা চালিয়ে একই সময়ে একটি হাসপাতাল, একটি স্কুল ও এক শরণার্থী শিবিরে গণহত্যা চালিয়েছে। খবর এএফপি’র।


আরও খবর



এইচএসসির ফল নির্ধারণ হবে যেভাবে

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতিতে জেএসসির ২৫ ও এসএসসির ৭৫ শতাংশ নম্বরের সমন্বয়ে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফল তৈরি হবে। এ জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য ও কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে শিক্ষা বোর্ড। সব ঠিক থাকলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এই ফল প্রকাশ করা হতে পারে।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ফলাফল কীভাবে প্রকাশ করা হবে, সে বিষয়ে সম্ভাব্য প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় যে নির্দেশনা দেবে, সে অনুযায়ী ফলাফল তৈরি করে প্রকাশের ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য আগামী বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা বোর্ডগুলোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে এবারের এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পদ্ধতি চূড়ান্ত হতে পারে

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের ছয়টি পরীক্ষা বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া বিষয়গুলোর মূল্যায়নের ক্ষেত্রে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হবে। অর্থাৎ জেএসসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের গড় করে ফল তৈরি হবে

এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জেএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ৭৫ শতাংশ যোগ করে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া হবে। যেমন- কোনো একটি বিষয়ে জেএসসিতে ১০০ নম্বর পেয়ে থাকলে সেখান থেকে ২৫ এবং একই বিষয়ে এসএসসিতে ১০০ নম্বর পেয়ে থাকলে ৭৫ নম্বর নেওয়া হবে। এ দুটি নম্বর যোগ করলে এইচএসসিতে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর হবে ১০০

এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ফলাফল প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় যেভাবে বলবে, সেভাবেই ফল প্রকাশ করা হবে

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩০ জুন এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার

সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১১ আগস্টএর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষা বাতিল করা হয়

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন অংশগ্রহণ করেন


আরও খবর

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ১৪ হাজার ২৬৯ কোটি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীসহ ৯৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
নাঈম তালুকদার - সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::

গত ৪ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগের নির্দেশে ছাত্র জনতার উপর বর্বর হামলার ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে দ্রুত বিচার আইনে সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 


সোমবার দুপুরে ছাত্র আন্দোলনে জখমীর বড় ভাই দোয়ারাবাজর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের এরোয়াখাই গ্রামের নাজির আহমেদের ছেলে হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, এড. রনজিৎ সরকার, সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট,  সাধারন সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখত, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, ঘটনাকালীন দ্বায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস ও সদর থানার তৎকালীন ওসি খালেদ চৌধুরীসহ ৯৯ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ই আগস্ট সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্টেন্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলা আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা  ছাত্রদের উপর গুলি করে, রামদা দিয়ে কুঁপিয়ে, রড হাতুড়ি দিয়ে পিঠিয়ে লাশ গুম করার হুকুম দেয়া হয়।

হুকুম পেয়ে আ’লীগের সন্ত্রাসীবাহিনী ছাত্রদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। রামদা, রড, হকিস্টিক, পেট্রোল-বোমা, ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় একটি ভীতিকর পরিস্থিতিরি সৃষ্টি করা হয়। এমনকি এ সময় অবৈধ পিস্তল দিয়েও হামলা চালায় নিরীহ ছাত্রদের উপর। এতে করে অসংখ্য ছাত্র ও জনতা মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হন। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এ হামলার হাত থেকে বাঁচতে লুকিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেও রক্ষা পাননি শিক্ষার্থীরা। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস ও ওসি খালেদা চৌধুরী নিজ হাতে শর্টগান দিয়ে গুলি করে পা ঝাঝড়া করে দেন। প্রানে বাঁচার জন্য অপর আহত রিপন একটি বাসায় সিএনজির পেছনে লুকিয়ে পড়লেও ওসি খালেদ চৌধুরী তাকে লক্ষ্য করে তার পায়ে গুলি করে পা ভেঙ্গে দেন। তাদের চিৎকার শুনে কিছু গণমাধ্যমকর্মীরা এগিয়ে এসে তাকে একটি রিক্সায় করে হাসপাতালে পাঠান। সেখানেও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা চিকিৎসা নিতে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট পাঠানো হয়। 


এভাবে গত ৪ই আগস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশের কিছু অসাধু কর্মী শিক্ষার্থী ও সাধারন জনগনের উপর নির্মম অত্যাচারে মেতে উঠে। এ সময় অসংখ্য শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ পথচারী সাধারন জনতাও মারাত্মকভাবে জখম প্রাপ্ত হন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান বাদী হাফিজ আহমদ ।


এ ব্যাপারে বাদীর আইনজীবী মোশাহিদ আলম জানান, আদালতের বিচারক নির্জন মিত্র মামলাটি গ্রহণ করে সুনামগঞ্জ সদর থানাকে এফ আই আর এর  জন্য নির্দেশ  দিয়েছেন।

আরও খবর



চট্টগ্রামে বাদী চেনেন না ২৭ সাংবাদিককে, তবুও আসামি বানিয়ে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:: 



সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, শুকলাল দাশ, তপন চক্রবর্তী, দেবদুলাল ভৌমিকসহ ২৭ জন সাংবাদিক এবং ২২ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ মোট ৪৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম জুয়েল দেব এর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নগরীর আন্দরকিল্লা নজির আহম্মদ চৌধুরী রোড এলাকার হাসিনা মমতাজ (৫৫)। বাদি চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা ছায়েরা খাতুন কাদেরিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই কে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য নির্দেশ দেন।


এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিউ মার্কেটে অবস্থান চলাকালীন পূর্বপুর ঘটনায় সংবাদপত্র-অনলাইন মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশে সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষাবলম্বন করা, শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকা, গণমাধ্যমের গাড়িতে করে ভারী অস্ত্র বহন, ছাত্র ও যুবলীগ নেতাদের হাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের  তুলে দেওয়ার অভিযোগে এই মামলা হয়। কিন্তু সাংবাদিকেরা বিভ্রান্তিমূলক যে খবর প্রচারের কথা বলা হচ্ছে সে সব খবরের সত্যতা নিশ্চিতে অবিরাম চেষ্টা চলছে। যদিও এখনো ধোঁয়াশা কাটছে না। আদৌও এসব সাংবাদিক ঘটনাস্থলে ছিলো কিনা। যা অধিকতর তদন্তের বিষয়।

মামলায় ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের সময় হামলার  ছবি তুলতে গেলে বাদীর উপরও সাংবাদিকরা চড়াও হন বলে অভিযোগ তোলা হয়। মামলায় সাবেক তথ্য সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত ছাড়াও সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতা হিসেবে আসামিরা তালিকায় রয়েছেন।

মামলায় অভিযোগযুক্তরা হলেন-চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও পেশাজীবী সমন্বয়  পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আজাদীর সিনিয়র রিপোর্টার শুকলাল দাশ, সময় টিভি চট্টগ্রাম প্রধান প্রমল কান্তি দে কমল প্রকাশ কমল দে, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির অনুপম শীল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সাংবাদিক আজহার মাহমুদ ( বাংলাদেশ প্রতিদিন) রতন কান্তি দেবাশীষ (সম্পাদক সিনিউজ২৪বিডি),  চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী (বাংলা নিউজ২৪ ডটকম), ফটো জার্নালিস্ট উজ্জ্বল কান্তি ধর, বিএফইউজে এর যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, সাংবাদিক একরামুল হক বুলবুল, রমেন দাশগুপ্ত ( সারাবাংলা নেট) উত্তম সেনগুপ্ত, মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (সমকাল), মিন্টু চৌধুরী (বিডি নিউজ) রাহুল কান্তি দাস (পূর্ব দেশ) সুবল বড়ুয়া (প্রতিদিনের বাংলাদেশ ), রুনা আনসারী (দীপ্ত টিভি) রফিকুল বাহার (একুশে টিভি) আয়ান শর্মা (চট্টগ্রাম প্রতিদিন)  আমিনুল ইসলাম মুন্না( আজাদী) বিশ্বজিৎ রাহা (প্রতিনিধি, দৈনিক পূর্বকোণ), ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক আলোকচিত্র সাংবাদিক রাশেদ মাহমুদ, হামিদ উল্লাহ (আমাদের সময়)  স্বরুপ ভট্টাচার্য (সি প্লাস), সমরেশ বৈদ্য (ভোরের কাগজ)।

এছাড়াও এই মামলায় ৪ জন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন-ওয়ার্ড সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল সুমন, নুরুল  মুস্তাফা টিনু, শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম,  মোরশেদ আলম চৌধুরী।  

সাংবাদিকরা ছাড়াও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে এই মামলায় আসামী হিসেবে রয়েছেন-সাবেক মেয়র এবিএম  মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী ও চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন,  মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র বোরহানুল হক চৌধুরী সালেহীন, পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা শ্যামল কুমার পালিত, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর  চৌধুরী বাবর, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, যুবলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, যুবলীগের জাহিদ সুমন, ওয়াসিম উদ্দিন, আরসাদুল আলম বাচ্চু,  দিদারুল আলম মাসুম,  সনৎ বড়ুয়া, সিরাজুল  ইসলাম, এয়ার মোহাম্মদ ডুবুরিসহ প্রমূখ।

মামলার বাদী হাসিনা মমতাজ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা ৪ আগস্ট নিউমার্কেট এলাকায় ছিলাম। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছিল। আমি তখন ভিডিও করছিলাম। তারা সেখানে একটা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। আমার স্বামী আহত হন। আমি ব্যক্তিগতভাবে সব সাংবাদিকদের চিনি না। সাংবাদিকদের নামগুলো বিক্ষোভকারী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া।'

বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন বিএইচআরএফ-এর মহাসচিব কলামিস্ট অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আসামিও চেনেন না বাদীকে। পুরোনো শত্রুতা থেকে কাউকে কাউকে ফাঁসাতে এসব মামলা হচ্ছে। এতে প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’



আরও খবর

লিগ্যাল নোটিশ

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক সাগর রুনি ও রুবেল হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মাহাবুব হোসেন,কুমারখালী(কুষ্টিয়া)

বাংলাদেশের আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী ও কুষ্টিয়ার সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেলের হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৫ আগস্ট) কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১ টাই কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) (রেজি নং-২০৬৯) এর  আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চুর সভপতিত্বে মানববন্ধন পরিচালনা করে সাধারন সম্পাদক শামিম-উল হাসান অপু। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি লুৎফর রহমান কুমার, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুন্নবী বাবু, দপ্তর সম্পাদক এস,এম মাহফুজ-উর রহমানসহ সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার আল মামুন সাগর, প্রবীন সাংবাদিক দৈনিক কুষ্টিয়া বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম ও কুমারখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মাহমুদ।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, গত এক যুগে ১১১বার সাগর-রুনী হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়েছে। আওয়ামী সরকার নিজের দোষ গোপন রাখতেই সাগর-রুনী হত্যা কান্ডের বিচার না করে প্রহোসন করেছে। বর্তমানে নির্দলীয় অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে সাগর-ররুনী হত্যা কান্ডের বিচারের জোর দাবি জানান এছাড়াও কুষ্টিয়ার হাসিবুর রহমান রুবেল হত্যা কান্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, অতি পরিকল্পিত ভাবে রুবেলকে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয়া হয়। এই হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রশাসনের স্বার্থলোভী কর্মকর্তা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা হত্যা করা হয়। এই হত্যার যেনো কোনভাবে বিচার না হয় সে জন্য নৌ পুলিশের কাছে মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে। এখন সময় এসেছে রুবেলের হত্যাকারিদের শনাক্ত করার। দ্রুত রুবেল হত্যা কান্ডের জট খুলে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাংববাদিকদের কলম থামিয়ে দিতে কালো আইনের সমালোচনা ও বাতিলের দাবি জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, আওয়ামী সরকার তার রাজত্ব্য কায়েম ও নির্বিগ্নে জুলম নিপিরন চালিয়ে যেতে সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা নামক কালো আইন পাশ করে। এই আইনের মাধ্যমে দেশের অনেক সাংবাদিক মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে। স্বাধীন সাংবাদিকতা ও সত্যকে সত্য বলে তুলে ধরার ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয় এ আইনের মাধ্যমে। তাই বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে অবিলম্বে এ কালো আইন বাতিলের দাবি জানান তারা

আরও খবর



রাজশাহীতে সাংবাদিকবৃন্দের সাথে জামাতের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image
মোঃ শাকিল আহামাদ - জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী ::


রাজশাহীতে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সভা আয়োজন করা হয়। এ সময় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বিগত সময়ের আন্দোলন সংগ্রাম এবং আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাজশাহীর একটি রেস্তোরাঁয় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা ড. কেরামত আলী দাবি করে বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে রাজশাহীতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১১ নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলেই সবচেয়ে বেশি জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের জনশক্তি। আমরা কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি। এমন কী কেউ মারা গেলে জানাজার নামাজটাও পড়তে দেওয়া হয়নি। আমাদের লোকজন যে, কান্না করবে সেই স্বাধীনতাটুকুও ছিল না। তাই দেশের পটভূমি পরিবর্তন হওয়ার পর রাজনৈতিকভাবে প্রতিশোধ নিলে আমাদেরই বেশি প্রতিশোধ নেওয়া উচিত। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী কখনোই প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না।

ড. কেরামত আলী আরও বলেন, জামায়াত প্রতিশোধ নিতে চায় না। ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের বিনিময়ে আমরা দেশ থেকে স্বৈরাচার হটাতে পেরেছি। এখন দেশ গড়ার সময়। জামায়াত দেশ গঠনে কাজ করছে।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক এমাজ উদ্দিন মণ্ডল বলেন, কোনো নিরাপরাধ মানুষই যেন মামলায় না জড়ায়, আমরা সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছি। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। কোনো ধরনের অন্যায় ও লুটের সঙ্গে আমাদের নেতাকর্মীদের সর্ম্পক নেই। আগামীতে অনেক কাজ আছে। আমরা জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। আমরা নতুন প্রজন্মকে ন্যায় ও সত্য সম্পর্কে জানাতে ও চেনাতে চাই। আমাদের পরিকল্পনাই হচ্ছে- কীভাবে দেশটাকে নতুন করে সাজানো যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারগুলোকে জামায়াতের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। দেশ গড়তে আর কোনো সহিংসতা চায় না জামায়াত।

এ সময় পুলিশের সমালোচনা করে জামায়াতে ইসলামী নেতারা বলেন, অধিকাংশ মামলা ও নির্যাতনই রাজনৈতিক নেতাদের আদেশে পুলিশের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে নির্যাতন করেছে। এরপরও দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে থানাসহ ক্ষতিগ্রস্ত সব সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তার কাজ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। কারণ জামায়াতে ইসলামী নতুন দেশ গড়তে চায়।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও রাজশাহী বার অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম ও অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

এ সময় মহানগর জামায়াতের মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক সারোয়ার জাহান প্রিন্স, ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি আব্দুল মোহাইমিন, মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি সিফাত আলমসহ অনেকই উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর