Logo
শিরোনাম

ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে ফুলবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদ এবং বিশ্বব্যাপী মজলুম গাজা বাসীদের সমর্থনে তৌহিদী জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার ৭(এপ্রিল) যোহরের নামাজ শেষে উপজেলা কাচারী মাঠ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে তৌহিদী জনতার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলি প্রদক্ষিণ শেষে মাওলানা আমির হামজার সভাপতিত্বে, শহরের জিরো পয়েন্টে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ী কাচারী মাঠ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল মালেক, মাওলানা আতিকুর রহমান, মাওলানা মঈনুদ্দিন মিয়া,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা নাইম ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা ইসরাইলি বাহিনীর দখলদারিত্ব ও গণহত্যার প্রতিবাদ জানায়। একই সাথে ফিলিস্তিন ও গাজা বাসীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বিশ্বের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিম দেশগুলোকে এক হয়ে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান করেন। পরে মাওলানা জোবায়ের আলম ফিলিস্তিনিদের স্মরণে দোয়া পরিচালনা করেন।

পথসভা শেষে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ছবিতে জুতা নিক্ষেপ সহ পতাকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়।


আরও খবর



পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, কিশোরগঞ্জে তিনজন, সুনামগঞ্জে একজন, হবিগঞ্জে একজন ও ও নেত্রকোণায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।২৮ এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা

জেলায় বজ্রপাতের পৃথক দুটি ঘটনায় দুই কৃষক ও দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কোরবানপুর পূর্ব পাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে বজ্রপাতে মারা যান দুই কৃষক।

তারা হলেন- দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভুঁইয়া (৩৫) ও কোরবানপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া (কালীবাড়ি) এলাকার মৃত বীরচরণ দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬০) ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ওই সময় তারা মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম (মেম্বার) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দুপুরের দিকে বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে দুই স্কুলছাত্র। নিহতরা হলো- ওই এলাকার মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং একই এলাকার আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন। দুজনেই বড় হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হালকা মেঘলা আবহাওয়ায় তারা মাঠে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নেত্রকোণা

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় আকস্মিক বজ্রপাতে দিদারুল ইসলাম নামে কওমি মাদরাসার এক শিক্ষক ও মদন উপজেলায় আরাফাত মিয়া নামে এক মাদরাসার ছাত্র (১০) মারা গেছেন।

ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী গ্রামে নিজ বাড়ির সামনেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় আরাফাত মিয়ার। সে উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে।

অপরদিকে কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, রোববার দিবাগত রাত ১০টার দিকে আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হোন মাদরাসা শিক্ষক দিদারুল। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং এর হাওরে বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ঝড়বৃষ্টির সময় এই ঘটনা ঘটে।

জেলার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান জানান, সোমবার সকালে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আড়িয়ামুগুর গ্রামের কালবাসী দাসশর ছেলে দূর্বাসা দাশ (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় তার ভাই ভূষণ দাশ (৩৪) ও বোন সুধন্য দাশ (২৮) । এছাড়াও বজ্রপাতে বানিয়াচং উপজেলার বাগহাতা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ মিয়া (১৩) আহত হয়।

সুনামগঞ্জ

শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে রিমন তালুকদার নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে এই ঘটনা ঘটে।

রিমন তালুকদার উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও শাল্লা ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে গ্রামের পাশে বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান রিমন তালুকদার। এক পর্যায়ে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। রিমন তালুকদার নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগেই বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় একটি গরুও বজ্রপাতে মারা যায়। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন কৃষক ও একজন কৃষাণী। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে খড় শুকাতে গিয়ে ফুলেছা বেগম নামে এক কৃষাণী বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।

এছাড়া সকাল ১০টার দিকে জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর হাওরে ধান কাটার সময় ইন্দ্রজীত দাস ও কলমা হাওরে ধান কাটার সময় স্বাধীন মিয়া নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়।

মৃত ফুলেছা বেগম মিঠামইনে উপজেলার রাণীগঞ্জ কেওয়ারজোড় এলাকার মৃত আশরাফ আলীর স্ত্রী, ইন্দ্রজীত দাস অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্র দাসের ছেলে এবং স্বাধীন মিয়া একই উপজেলার খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

মিঠামইন থানার উপ-পরিদর্শক অর্পন বিশ্বাস জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশে ধানের খড় শুকাচ্ছিলেন ফুলেছা বেগম। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে কৃষক ইন্দ্রজীত দাস বাড়ির পাশে হালালপুর হাওরে ধান কাটছিলেন। এ সময় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই কৃষক ইন্দ্রজীত দাসের মৃত্যু হয়। একই সময় উপজেলার খয়েরপুর হাওরে কৃষক স্বাধীন মিয়া ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।


আরও খবর



নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের হিড়িক

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

দীর্ঘ কারাভোগের পর গত ১৫ জানুয়ারি ছাড়া পান ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। ছাড়া পাওয়ার ৩ মাস ২ দিন পর গত ১৭ এপ্রিল রাজনৈতিক দল আ-আম জনতা পার্টির ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ নামে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। এ দলের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এবং মহাসচিব হয়েছেন সাংবাদিক শওকত মাহমুদ। শুধু রফিকুল আমীন কিংবা ইলিয়াস কাঞ্চনই নন; গত ৮ মাসে রাজনৈতিক দল ও প্ল্যাটফরম হয়েছে ২৬টি। এর মধ্যে ২২টিই রাজনৈতিক দল। বিশ্লেষকরা বলেছেন, দেশের বাতাসে এখন নির্বাচনের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তাই নানারকম আর্থসামাজিক লক্ষ্য এবং সমাজে ব্যক্তিগত প্রভাব বাড়াতে এসব দল হচ্ছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে মুসকিল লীগ, নতুন বাংলা, বঙ্গবন্ধু দুস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ ইত্যাদি পার্টির মতো দলের আত্মপ্রকাশ নতুন আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দল গঠনের এ প্রবণতা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এমন নতুন নতুন দল গঠন করতে দেখা গেছে। আর নির্বাচনকেই এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন তারা। এরশাদ আমলে এমন রাজনৈতিক দল তৈরির হিড়িক পড়েছিল। সেসময় ১২০টির মতো রাজনৈতিক দল গঠন হলেও পরে তা হারিয়ে গেছে। সেই পরিস্থিতি নতুন এসব দলের ক্ষেত্রেও হতে পারে।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর অর্থাৎ ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫-এর ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত গত ৮ মাসে অন্তত ২২টি রাজনৈতিক দল ও ও চারটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম আত্মপ্রকাশের খবর এসেছে। যার মধ্যে গত বছর ১১টি আর চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে আরো ১১টি দল গঠিত হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে তিনটি করে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে ‘ব্যাঙের ছাতার মতো এমন অনেক দল গজিয়ে ওঠে’। তবে নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশকে আপাতদৃষ্টিতে গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে যুক্ত করা হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক ক্ষেত্রেই তা স্বার্থ ও ক্ষমতাচর্চার একটি রূপ বলেই মত বিশ্লেষকদের। একইসঙ্গে ভোটের সময় জোট-রাজনীতিও এ প্রবণতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রভাব রাখে বলেও মনে করেন অনেকে।

ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত রফিকুল আমীনের হঠাৎ রাজনীতিতে নাম লেখানোর কারণ কী? প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রাজনৈতিক পরিচয় না থাকার কারণে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর অন্য অনেকে জেল থেকে ছাড়া পেলেও তিনি তা পাননি। ‘যেদিন হাসিনা পালিয়ে গেল, ৫ তারিখ, ৬ তারিখ, ৭ তারিখ, ৮ তারিখ, ৯ তারিখ- এ কয়দিনে ঢাকা জেল খালি হয়ে গেছে। মানুষকে দিনরাত ছেড়ে দিছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এত লোকের জামিন কীভাবে হলো? বলে, না জামিন হয়নি তো। এদের রাজনৈতিক বিবেচনায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, আমি তখন সুপারের (জেল সুপার) কাছে দৌড়ায়ে গেলাম। আমি তো এত বছর আটকে আছি, আমাকে ছাড়েন। বলল, আপনি তো কোনো রাজনৈতিক দল করেন না। আপনি যদি অন্তত হরাকাতুল জিহাদও করতেন বা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমও করতেন, তা-ও আপনাকে আমি ছেড়ে দিতাম। মানে ওনারা রাজনৈতিক লেবেল থাকলে ছেড়ে দেবে, বলেন তিনি। রফিকুল আমীন জানান, এ রাজনৈতিক মঞ্চকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে তিনি তার ‘জুলুমের কথা তখন যে প্রশাসক থাকবে, যে রাষ্ট্রশাসন করবে তার কাছে’ পৌঁছাবেন।

রাজনীতিতে আসা নতুন দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব নিয়ে আলোচনায় রয়েছে এনসিপি। দলটি এখনো নিবন্ধন পায়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নামক যে রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম থেকে দলটি তৈরি হয়েছে, সেগুলোও বর্তমানে সচল আছে। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি প্ল্যাটফরমগুলো থেকে নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ তৈরি হয়েছে। এছাড়া এনসিপির গঠন থেকে বেরিয়ে আসা শিবিরের সাবেক নেতাদের নতুন সংগঠন ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ’রও এ মাসের মধ্যেই আত্মপ্রকাশের কথা।

অদ্ভুত সব নামের দলগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নতুন দল হতেই পারে। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের কাজই হবে রাজনীতি করা। কিন্তু দেশে একটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নানা হিসাব-নিকাশ হচ্ছে। নির্বাচন হবে কি না, হলে কী রকম হবে। ফলে রাজনীতির পানি, নির্বাচনের পানি ঘোলা হচ্ছে। এ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য অনেকেই রাজনৈতিক দল গঠন করছে। এদের হয়তো সাধারণ মানুষ চেনে না। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগও নেই। তারপরও কিছু একটা পাওয়ার আশায় কেউ কেউ রাজনৈতিক দল করছে।

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তী সময়ে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করা হয়। গত বছর ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আদালতের নির্দেশে এবি পার্টি নিবন্ধন পায়। এছাড়া নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য এবং গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) ও বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি ( বিএমজিপি)। এ অবস্থায় এখন ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০।

ইসি সচিবালয়ের তথ্যানুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন পেতে নতুন ৯৩টি দল আবেদন করে। এর মধ্যে ভুঁইফোঁড় দল হিসেবে পরিচিত দুটি দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকে নিবন্ধন দেয় তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। তার আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে শর্ত পূরণ না করার কারণ দেখিয়ে আবেদন করা ৭৬টি দলের কোনোটিকেই নিবন্ধন দেয়নি ইসি। পরে ২০১৯ সালে ববি হাজ্জাজের দল এনডিএম আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায়। ইসিতে নিবন্ধিত এ দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ এবং তাদের জোটের শরিকসহ ২৭টি দল গত বছরের ৭ জানুয়ারি বিতর্কিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। এসব দলের বেশিরভাগের কার্যক্রম নেই বললেই চলে।

ইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যেসব দল আবেদন করে নিবন্ধন পায়নি, সেসব দলের তালিকাও সংরক্ষণ করে রেখেছে। এ ধরনের অনিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৮৭। এ দলগুলোর মধ্যে রয়েছে নৈতিক সমাজ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, মুসকিল লীগ, নতুন বাংলা, বঙ্গবন্ধু দুস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ ইত্যাদি পার্টি, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), বৈরাবরী পার্টি, বাংলাদেশ বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী ও নন-প্রবাসী কল্যাণ দল, গণরাজনৈতিক জোট (গর্জো), বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), নাকফুল বাংলাদেশ, মুক্ত রাজনৈতিক আন্দোলন, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ জনতা পার্টি (বিজেপি), জনতার অধিকার পার্টি (পিআরপি), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জনস্বার্থে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা কল্যাণ পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড, গণঅধিকার পার্টি (পিআরপি) ও বাংলাদেশ গরিব পার্টির মতো প্রায় অপরিচিত ও বিচিত্র নামের দলগুলোও।

এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, এর আগেও আমরা দেখেছি যখন নির্বাচনের গন্ধ এসে নাকে লাগে, তখন হঠাৎ করেই এমন অনেক দল গজিয়ে ওঠে ব্যাঙের ছাতার মতো। এ ধরনের দল তৈরির প্রবণতা দেখা গিয়েছিল এরশাদের আমলেও। এরশাদের আমলে বড় দলগুলো এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে সহযোগিতা করেনি বা করতে চায়নি, তখন এরশাদ দেখাতে চেয়েছিল যে দেশে প্রচুর রাজনৈতিক দল আছে। সুতরাং তারা নির্বাচনে এলে তো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। সেসময় ১২০টার বেশি দল গঠন হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ৯০টা দল নিয়ে জোট করার নজির আছে উল্লেখ করে ‘এরা জাস্ট সংখ্যা’ বলে মন্তব্য করেন এ বিশ্লেষক। একইসঙ্গে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যেও এসব দল তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, এটা নির্বাচনি রাজনীতির একটা প্রবণতা। ওয়ান ম্যান শোর মতো রাতারাতি রাজনৈতিক দল হয়। তারা নানা সুবিধার আশায় এটা করে। কখনো আবার সরকারের ইচ্ছায় হয়। গত নির্বাচনের আগেও আমরা দেখেছি। আর এটার সুযোগ তৈরি হয় রাজনীতিতে গুণগতমানের অবনমনের কারণে। ৯০-এর দশকের পরে দেশে কোনো আদর্শিক দল তৈরি হয়নি। এটা নির্বাচনকে সামনে রেখে হয়েছে।

বড় রাজনৈতিক দলগুলোও এরকম রাজনৈতিক দল তৈরিতে কাজ করে। তারা এদের নিয়ে জোট করে। জোটে দলের সংখ্যা বাড়ায়। শক্তি দেখায়। তবে নির্বাচনের পর এসব রাজনৈতিক দল আর সক্রিয় থাকে না। কয়েকটি বড় দলই থাকে। এরা নির্বাচন সামনে রেখে আসে আবার নির্বাচনের পর হারিয়ে যায়। এখন একটা বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গেছে সবার মধ্যে যে রাজনীতি করলে খুব দ্রুত লাভবান হওয়া যায়। রাজনীতি করলে খুব দ্রুত টাকা-পয়সা কামানো যায়, আর ব্যক্তিগত প্রভাব খাটানো যায়- এটা ভেতরের উদ্দেশ্য আর কী। এর বাইরে এসব দলের রাজনীতিতে কতটুকু আদর্শ থাকে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। মূল যেটা সেটা হচ্ছে, এটার পেছনে একটা রাজনৈতিক অর্থনীতির বিষয় জড়িত আছে। তবে বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস বলছে, অনেক দল এলেও তাদের মধ্যে খুব কমসংখ্যকই দিন শেষে রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে পারে।


আরও খবর



২০০ কেজি ওজনের বোমা নিষ্ক্রিয় করলো সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল টিম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

 নিজস্ব প্রতিবেদক :

মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কালের একটি ১৫০-২০০ কেজি ওজনের মিলিটারি অর্ডিন্যান্স (এরিয়েল বোম) সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর  সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। এটি বাংলাদেশে উদ্ধারকৃত সবচেয়ে বড় বোমা।

সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়,গত ২৮ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. সকাল ৬:৪৫ ঘটিকার দিকে জনৈক জামাল উদ্দিনের জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি খননের সময় বোমা সদৃশ বস্তু দেখতে পান ভেকু চালক। জমির মালিক বস্তুটি মাটি দিয়ে ঢেকে রাখেন। সংবাদ পেয়ে গজারিয়া থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এটি বোমা হিসেবে শনাক্ত করে। পরবর্তীতে সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। 

সিটিটিসি সূত্রে আরো জানা যায় ২৯ এপ্রিল বিকাল ৪:৩০ ঘটিকার দিকে সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ১২ সদস্যের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমাটি পরীক্ষা করে। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা যায়, উদ্ধারকৃত বস্তুটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কার  অত্যন্ত বিপজ্জনক এরিয়েল বোমা এবং ওজন আনুমানিক ১৫০-২০০ কেজি। বোমাটি স্থানান্তর করা সম্ভব না হওয়ায় এবং জননিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বোমাটি  ঘটনাস্থলেই নিষ্ক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে রাত ৮:০০ ঘটিকার দিকে  যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সফলভাবে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে।নিষ্ক্রিয়করণের সময় আশপাশের কিছু টিনের ঘর সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের এই সাহসী ও পেশাদারিত্বপূর্ণ কার্যক্রম স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। এ ঘটনা দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর দক্ষতা ও প্রস্তুতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। 

এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

গণঅভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে জুলাই গণ অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করেছে সরকার। আজ সোমবার অধিদপ্তর গঠন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।


আরও খবর



ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে মাভাবিপ্রবির ছাত্রসংগঠনগুলো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (৯ মে) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে ‘মাভাবিপ্রবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ (বৈছাআ), শিবির, ছাত্রদল ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতাকর্মীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পরীক্ষার্থীরা যেন কোনো সমস্যায় না পড়েন, সে লক্ষ্যে সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

এছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে তথ্য সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন, পরীক্ষার্থীদের জন্য পথনির্দেশনা, জরুরি প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত অভিভাবকদের জন্য অস্থায়ী বিশ্রামস্থলের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ।

শিবিরের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, “ভর্তি পরীক্ষায় আগত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা চেষ্টা করছি, যেন তাদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকতে পারি।”আমাদের পক্ষ থেকে যেসব সেবা প্রদান করা হচ্ছে সেগুলো হলো: তথ্যসেবা, ‘আমানত কর্নার’ (পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য), কলম উপহার, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ, ছাউনির মাধ্যমে অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা,

চিকিৎসাসেবা এবং হাতপাখা উপহার।

ছাত্রদলের কর্মী মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, “মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের উদ্যোগে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বিগত দিনের মতো ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য সহায়তা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া অভিভাবকদের বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি সুপেয় ঠান্ডা পানি, স্যালাইন, বাইক সেবা সহ যত ধরনের সাহায্য দরকার হয়, আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আমাদের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে সর্বপ্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করবে।

মাভাবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব তানভীর ইসলাম তামিম বলেন, “আগামী GST ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতায় মাভাবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বেশ কিছু কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট গেট থেকে সন্তোষ বাজার পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতে ট্রাফিক ব্যবস্থায় সহযোগিতা করবে সংগঠনটির সদস্যরা। পরীক্ষার্থীদের মোবাইল, ঘড়ি ও ব্যাগ নিরাপদে রাখার জন্য থাকবে সুরক্ষিত জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা। অভিভাবকদের জন্য নির্দিষ্ট বসার স্থান ও পর্যাপ্ত সুবিধা রাখা হবে যেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে অপেক্ষা করতে পারেন। সব মিলিয়ে, কোনো পরীক্ষার্থী যাতে কোনো ভোগান্তির শিকার না হন, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সহানুভূতির সঙ্গে কাজ করবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।”

“আমরা বিশ্বাস করি, এসব উদ্যোগ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করবে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কর্মী আক্তারুজ্জামান সাজু বলেন,"আমরা মাভাবিপ্রবিতে আগত ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কলম উপহার দিয়ে আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানিয়েছি এবং আগামীকাল ‘এ’ ইউনিটের শিক্ষার্থীদেরও জানাবো। পাশাপাশি তীব্র গরমে তৃষ্ণার্ত পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে পানি বিতরণ করবো, যাতে তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়।

উল্লেখ্য, ‘এ’ ইউনিটে এবার ১ লাখ ৪২ হাজার ৭১৪ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর আগে, গত ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা, যার ফলাফল প্রকাশিত হয় ২৮ এপ্রিল। এছাড়া ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২ মে এবং এর ফলাফল প্রকাশ করা হয় ৫ মে। ‘এ’ ইউনিটে সাধারণত বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে থাকে।


আরও খবর