Logo
শিরোনাম

ইসরায়েলি বর্বরতায় আরো ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরো ৭০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৫ জানুয়ারি) আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, গাজা উপত্যকাজুড়ে শনিবার ৩০ দফা হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলের এমন বর্বরতার মধ্যেও দেশটিকে নতুন করে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা না দিতে বিশ্বজুড়ে চলা বিক্ষোভের মধ্যেই এই সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

গত আগস্টেও ইসরায়েলকে যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামসহ ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তার অনুমোদন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।


আরও খবর

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের

সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৬৩৬ মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ৬৩৬টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়। অভিযানকালে ১২৮টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৩৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন ডিসি তালেবুর।


আরও খবর

সড়কে আজও চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

রাজধানী শনিআখড়ায় প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমানের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে যাত্রাবাড়ী দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। দীর্ঘ চার ঘন্টা সড়ক অবরোধে সব ধরনের সড়ক পরিবহন যান চলাচল বন্ধ থাকায় মহাসড়ক জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে  পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাসের পরে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। 

নিহত মিনহাজের পরিবার জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়  সাকরাইন উড়াতে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসলে ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রাসী তাকে ছুরিকাঘাত করে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। খবর পেয়ে পথচারীদের সহযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ছোট ছিলেন মিনহাজ। তিনি বিবাহিত তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর গ্রামে। মিনহাজ বেসরকারি একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে লেখাপড়া শেষ করে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছিলেন। 

কদমতলীর সাদ্দাম মার্কেটের তুষারধারা এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করতেন। তার বাবা হাফেজ কারী মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জানায়,নিহত মিনহাজ তাদের সহপাঠী ছিলেন। আগষ্টে ছাত্র আন্দোলনে এই এলাকায় তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। সরকার পরিবর্তনের পরে দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাত থেকে চাঁদা নেয় মাহফুজ গংরা। কয়েকদিন আগে চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেওয়ায় হত্যাকারীদের সাথে বিবাধ হয় মিনহাজের। পরে অভিযুক্ত মাহফুজসহ করেকজন তাকে হুমকী দেয়। এর পরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা।

যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ওয়ারী জোনের ডিসিসহ  উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা। এসময় তারা হত্যা কারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা কথা বলেন। এ হত্যার ঘটনায় বুধবার নিহতর ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন ৯ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১০৬।


আরও খবর

সড়কে আজও চলছে না কাউন্টারভিত্তিক বাস

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




গুম কমিশনে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে নেয় ২২ কোটি টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

নগদ অর্থ ও জমি লিখে নেওয়ার তথ্য ফাঁস করায় ফের গুম করা হয় এক ব্যবসায়ীকে, ১০ বছরেও যিনি ফিরে আসেননি।এদিকে এখন পর্যন্ত গুম কমিশনে এক হাজার সাতশ অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে বেশিরভাগ র‌্যাবের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। গুম, অপহরণে পুলিশও কম হাত পাকায়নি। কেউ এখনো চাকরিতে বহাল আছেন, কেউ হয়েছেন গ্রেফতার। আবার পালিয়ে গেছেন বেশ কয়েকজন। 


গুমসংক্রান্ত কমিশনের সভাপতি হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা ইনকোয়ারি (অনুসন্ধান) অব্যাহত রেখেছি। এটা তো এক দিনের ব্যাপার নয়। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের আমরা তলব করছি, ওদের কথা শুনছি। দরকার হলে যারা অভিযোগ করেছেন তাদের কথাও দ্বিতীয়বার শোনা হবে। অনেক সময় উভয়পক্ষকে মুখোমুখি করছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা অনেক সময় ডিনাই (অস্বীকার) করছে। আমাদের অবশ্যই সত্যটা খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের কাজই হলো সত্য অনুসন্ধ্যান।’ মার্চ বা এপ্রিলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। 


কেস স্টাডি-১ : গুমসংক্রান্ত কমিশনে ৬ জানুয়ারি অভিযোগ করেন খান মো. আক্তারুজ্জামান নামের এক ব্যবসায়ী। অভিযোগে বলা হয়, পারিবারিকভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিনি। গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানায়। বিএনপির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা ছিল। এ কারণে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহদের দ্বারা গুমের শিকার হন। 


ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে নেয় ২২ কোটি টাকা

নগদ অর্থ ও জমি লিখে নেওয়ার তথ্য ফাঁস করায় ফের গুম করা হয় এক ব্যবসায়ীকে, ১০ বছরেও যিনি ফিরে আসেননি

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের শুধু গুম করেই ক্ষ্যান্ত হননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, অনেককে ক্রসফায়ারে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আবার নগদ অর্থ ছাড়াও জমিও লিখে নেন। এছাড়া যারা ছাড়া পেয়ে বিষয়টি প্রকাশ করে বিচার চেয়েছেন তাদের ফের গুম করা হয়। এ রকম অনেকে আজও ফিরে আসেননি। গুম কমিশনের কাছে দেওয়া ভুক্তভোগীদের অভিযোগ থেকে চাঞ্চল্যকর এ রকম তথ্য পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী এবং গুম কমিশন সূত্রে এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি কেস স্টাডি পাওয়া গেছে। 


এদিকে এখন পর্যন্ত গুম কমিশনে এক হাজার সাতশ অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে বেশিরভাগ র‌্যাবের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। গুম, অপহরণে পুলিশও কম হাত পাকায়নি। কেউ এখনো চাকরিতে বহাল আছেন, কেউ হয়েছেন গ্রেফতার। আবার পালিয়ে গেছেন বেশ কয়েকজন। 


গুমসংক্রান্ত কমিশনের সভাপতি হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা ইনকোয়ারি (অনুসন্ধান) অব্যাহত রেখেছি। এটা তো এক দিনের ব্যাপার নয়। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের আমরা তলব করছি, ওদের কথা শুনছি। দরকার হলে যারা অভিযোগ করেছেন তাদের কথাও দ্বিতীয়বার শোনা হবে। অনেক সময় উভয়পক্ষকে মুখোমুখি করছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা অনেক সময় ডিনাই (অস্বীকার) করছে। আমাদের অবশ্যই সত্যটা খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের কাজই হলো সত্য অনুসন্ধ্যান।’ মার্চ বা এপ্রিলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। 


কেস স্টাডি-১ : গুমসংক্রান্ত কমিশনে ৬ জানুয়ারি অভিযোগ করেন খান মো. আক্তারুজ্জামান নামের এক ব্যবসায়ী। অভিযোগে বলা হয়, পারিবারিকভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিনি। গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানায়। বিএনপির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা ছিল। এ কারণে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহদের দ্বারা গুমের শিকার হন। 



ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘লে. কর্নেল আজাদ ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর থেকে আমাকে চোখ বেঁধে তৎকালীন র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধানের নেতৃত্বে একটি কালো গাড়িতে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। চোখ বাঁধা থাকায় আমি স্থান চিনতে পারিনি। তবে পরবর্তীতে বুঝতে পারি, র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্সের বহুল আলোচিত ‘আয়নাঘরে ৩ দিন বন্দি ছিলাম। সেখানে থাকাবস্থায় ক্রসফায়ারে হত্যার ভয় দেখিয়ে আমার কাছে ৩০ (ত্রিশ) কোটি টাকা ও জমি দাবি করেন র‌্যাবের সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তা। এরপর র‌্যাবের নজরদারিতে থেকে কয়েক দফায় নগদ ২২ কোটি টাকা দিয়ে জীবন ভিক্ষা পেয়েছিলাম। আমার কোম্পানির এজিএম অ্যাকাউন্টস মো. শহিদুল্লাহ ও ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী শুভকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন ধাপে কোম্পানির ব্যাংক লোন থেকে টাকা তুলে দেই। এছাড়া আমার ও আমার স্ত্রীর নামে থাকা জমি বিক্রি করে টাকাগুলো দিয়েছিলাম। কিন্তু এরপরও তারা থেমে থাকেনি। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে ভয় দেখিয়ে আমার বেশ কিছু জমিও রেজিস্ট্রি করে দিতে বাধ্য করে। সে সময় আমার ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। আমার শরীরে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। যার ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি। নির্যাতনের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে নিয়মিত থেরাপি নিতে হচ্ছে।’ র‌্যাব কর্মকর্তাকে টাকা দেওয়ার অডিও রেকর্ড, সিসিটিভি ফুটেজের কিছু তথ্য-প্রমাণ অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছেন ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান।


ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ‘গুমের শিকার হয়ে টাকা দেওয়ার পর থেকে আমার কোম্পানি অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে এবং ব্যাংকের ঋণগুলো খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানি দেউলিয়া হওয়ার পথে। অথচ আমাকে তুলে নেওয়া র‌্যাবের সেই কর্মকর্তার নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে।’ 


কেস স্টাডি-২ : রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থানা এলাকা থেকে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি অপহরণ হন ব্যবসায়ী মো. কুদ্দুসুর রহমান চৌধুরী। গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারিতে গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন ব্যবসায়ী কুদ্দুসের মেয়ে ফারজানা আক্তার টুম্পা। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালে কর্নেল (অব.) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে র‌্যাব-৪ এর একজন কর্নেল, একজন ক্যাপ্টেন চোখ বেঁধে কুদ্দুসুর রহমানকে উঠিয়ে নিয়ে যান। ইলেকট্রিক শক দিয়ে ৪টি গাড়ি, ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার চেক, ২ লাখ টাকা এবং জমির দলিলে সই নেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন কুদ্দুসুর রহমান। হাইকোর্টে রিট পিটিশনও দায়ের করেন তিনি। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি মিরপুর জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানের সামনে থেকে সাদা মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায় কুদ্দুসুর রহমানকে। এভাবে তুলে নেওয়ার ১০ বছর পার হলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। তার ভাগ্যে কী হয়েছে সেটিও পরিবারের সদস্যরা আজও জানতে পারেননি। 


এদিকে ঘটনার ১ মাস পর পল্লবী থানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৬ সদস্যের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন কুদ্দুসুর রহমানের স্ত্রী মোছা. জোসনা বেগম। মামলাটি থানা পুলিশের পর পুলিশের বিশেষায়িত দুটি সংস্থা তদন্ত করে। কিন্তু কোনো হদিস মেলেনি তার। এছাড়া অভিযুক্তদের আইনের আওতায়ও আনা যায়নি।


নিখোঁজ কুদ্দুসুর রহমানের পরিবারের দাবি, রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সঙ্গে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে গুম হন কুদ্দুস। আর ওই রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিকানায় আছেন সাবেক এক প্রভাবশালী সেনা কর্মকর্তা। ফলে মামলা করলেও আওয়ামী লীগ আমলে প্রভাব খাটিয়ে সঠিক তদন্ত করতে দেওয়া হয়নি।


কুদ্দুসুর রহমানের মেয়ে ফারজানা আক্তার টুম্পা বলেন, ‘বাবাকে প্রথমে র‌্যাব তুলে নিয়ে গুম করে নগদ টাকা ও গাড়ি নিয়েছিল। এ বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ করায় ফের গুম হন। আজও বাবাবে খুঁজে পাইনি। আমরা এখনো আশা করছি বাবা বেঁচে আছেন।’ 


গুম কমিশন সূত্র বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীদের বর্ণনার সঙ্গে ঘটনার মিল রয়েছে। তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের বিষয়ে চাক্ষুষ প্রমাণ খুব কম পাওয়া যাচ্ছে। নিরপেক্ষ সাক্ষীও পাওয়ার সুযোগ নেই। গুমের সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা কাজটি এমনভাবে করেছেন যাতে এগুলো পরবর্তীতে শনাক্ত করা না যায়। 


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই প্রকাশ্যে আসতে থাকে গুমের লোমহর্ষক কাহিনী। ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি। গুমের অভিযোগ জমার ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হলেও এখনো একে একে জমা পড়ছে অভিযোগ। সেসব অভিযোগের অনুসন্ধান করছে কমিশন।


এদিকে অভিযোগ পর্যালোচনা ও অনুসন্ধ্যান করে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিশন। ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে বিস্তারিত জানানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টাকে। গুমসংক্রান্ত বেশিরভাগ অভিযোগ উঠেছে এলিট ফোর্স র‌্যাবের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে গুমসংক্রান্ত কমিশন র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশও করে। 


গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর গঠিত হয় পাঁচ সদস্যের গুমসংক্রান্ত কমিশন। কমিশনের সভাপতি করা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুমের ঘটনা তদন্তের জন্য কমিশনের বিবেচনায় আনা হয়েছে। কমিশন গঠনের পর কয়েক দফা অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ৩১ অক্টোবর অভিযোগ দায়েরের সময় শেষ হয়েছে। তবে এখনো অভিযোগ নিয়ে আসছেন ভুক্তভোগীরা।


আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের শুধু গুম করেই ক্ষ্যান্ত হননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, অনেককে ক্রসফায়ারে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আবার নগদ অর্থ ছাড়াও জমিও লিখে নেন। এছাড়া যারা ছাড়া পেয়ে বিষয়টি প্রকাশ করে বিচার চেয়েছেন তাদের ফের গুম করা হয়। এ রকম অনেকে আজও ফিরে আসেননি। গুম কমিশনের কাছে দেওয়া ভুক্তভোগীদের অভিযোগ থেকে চাঞ্চল্যকর এ রকম তথ্য পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী এবং গুম কমিশন সূত্রে এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি কেস স্টাডি পাওয়া গেছে। 

ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘লে. কর্নেল আজাদ ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর থেকে আমাকে চোখ বেঁধে তৎকালীন র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধানের নেতৃত্বে একটি কালো গাড়িতে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। চোখ বাঁধা থাকায় আমি স্থান চিনতে পারিনি। তবে পরবর্তীতে বুঝতে পারি, র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্সের বহুল আলোচিত ‘আয়নাঘরে ৩ দিন বন্দি ছিলাম। সেখানে থাকাবস্থায় ক্রসফায়ারে হত্যার ভয় দেখিয়ে আমার কাছে ৩০ (ত্রিশ) কোটি টাকা ও জমি দাবি করেন র‌্যাবের সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তা। এরপর র‌্যাবের নজরদারিতে থেকে কয়েক দফায় নগদ ২২ কোটি টাকা দিয়ে জীবন ভিক্ষা পেয়েছিলাম। আমার কোম্পানির এজিএম অ্যাকাউন্টস মো. শহিদুল্লাহ ও ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী শুভকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন ধাপে কোম্পানির ব্যাংক লোন থেকে টাকা তুলে দেই। এছাড়া আমার ও আমার স্ত্রীর নামে থাকা জমি বিক্রি করে টাকাগুলো দিয়েছিলাম। কিন্তু এরপরও তারা থেমে থাকেনি। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে ভয় দেখিয়ে আমার বেশ কিছু জমিও রেজিস্ট্রি করে দিতে বাধ্য করে। সে সময় আমার ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। আমার শরীরে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। যার ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি। নির্যাতনের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে নিয়মিত থেরাপি নিতে হচ্ছে।’ র‌্যাব কর্মকর্তাকে টাকা দেওয়ার অডিও রেকর্ড, সিসিটিভি ফুটেজের কিছু তথ্য-প্রমাণ অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছেন ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান।


ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ‘গুমের শিকার হয়ে টাকা দেওয়ার পর থেকে আমার কোম্পানি অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে এবং ব্যাংকের ঋণগুলো খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানি দেউলিয়া হওয়ার পথে। অথচ আমাকে তুলে নেওয়া র‌্যাবের সেই কর্মকর্তার নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে।’ 


কেস স্টাডি-২ : রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থানা এলাকা থেকে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি অপহরণ হন ব্যবসায়ী মো. কুদ্দুসুর রহমান চৌধুরী। গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারিতে গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন ব্যবসায়ী কুদ্দুসের মেয়ে ফারজানা আক্তার টুম্পা। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালে কর্নেল (অব.) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে র‌্যাব-৪ এর একজন কর্নেল, একজন ক্যাপ্টেন চোখ বেঁধে কুদ্দুসুর রহমানকে উঠিয়ে নিয়ে যান। ইলেকট্রিক শক দিয়ে ৪টি গাড়ি, ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার চেক, ২ লাখ টাকা এবং জমির দলিলে সই নেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন কুদ্দুসুর রহমান। হাইকোর্টে রিট পিটিশনও দায়ের করেন তিনি। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি মিরপুর জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানের সামনে থেকে সাদা মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায় কুদ্দুসুর রহমানকে। এভাবে তুলে নেওয়ার ১০ বছর পার হলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। তার ভাগ্যে কী হয়েছে সেটিও পরিবারের সদস্যরা আজও জানতে পারেননি। 


এদিকে ঘটনার ১ মাস পর পল্লবী থানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৬ সদস্যের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন কুদ্দুসুর রহমানের স্ত্রী মোছা. জোসনা বেগম। মামলাটি থানা পুলিশের পর পুলিশের বিশেষায়িত দুটি সংস্থা তদন্ত করে। কিন্তু কোনো হদিস মেলেনি তার। এছাড়া অভিযুক্তদের আইনের আওতায়ও আনা যায়নি।


নিখোঁজ কুদ্দুসুর রহমানের পরিবারের দাবি, রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সঙ্গে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে গুম হন কুদ্দুস। আর ওই রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিকানায় আছেন সাবেক এক প্রভাবশালী সেনা কর্মকর্তা। ফলে মামলা করলেও আওয়ামী লীগ আমলে প্রভাব খাটিয়ে সঠিক তদন্ত করতে দেওয়া হয়নি।


কুদ্দুসুর রহমানের মেয়ে ফারজানা আক্তার টুম্পা বলেন, ‘বাবাকে প্রথমে র‌্যাব তুলে নিয়ে গুম করে নগদ টাকা ও গাড়ি নিয়েছিল। এ বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ করায় ফের গুম হন। আজও বাবাবে খুঁজে পাইনি। আমরা এখনো আশা করছি বাবা বেঁচে আছেন।’ 


গুম কমিশন সূত্র বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীদের বর্ণনার সঙ্গে ঘটনার মিল রয়েছে। তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের বিষয়ে চাক্ষুষ প্রমাণ খুব কম পাওয়া যাচ্ছে। নিরপেক্ষ সাক্ষীও পাওয়ার সুযোগ নেই। গুমের সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা কাজটি এমনভাবে করেছেন যাতে এগুলো পরবর্তীতে শনাক্ত করা না যায়। 


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই প্রকাশ্যে আসতে থাকে গুমের লোমহর্ষক কাহিনী। ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি। গুমের অভিযোগ জমার ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হলেও এখনো একে একে জমা পড়ছে অভিযোগ। সেসব অভিযোগের অনুসন্ধান করছে কমিশন।


এদিকে অভিযোগ পর্যালোচনা ও অনুসন্ধ্যান করে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিশন। ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে বিস্তারিত জানানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টাকে। গুমসংক্রান্ত বেশিরভাগ অভিযোগ উঠেছে এলিট ফোর্স র‌্যাবের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে গুমসংক্রান্ত কমিশন র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশও করে। 


গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর গঠিত হয় পাঁচ সদস্যের গুমসংক্রান্ত কমিশন। কমিশনের সভাপতি করা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুমের ঘটনা তদন্তের জন্য কমিশনের বিবেচনায় আনা হয়েছে। কমিশন গঠনের পর কয়েক দফা অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ৩১ অক্টোবর অভিযোগ দায়েরের সময় শেষ হয়েছে। তবে এখনো অভিযোগ নিয়ে আসছেন ভুক্তভোগীরা।


আরও খবর



ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রামমূর্তি নগরের কেলকেরে লেকের কাছে ২৮ বছর ওই বয়সী বাংলাদেশি নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারী একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন এবং গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা নির্জন এলাকায় তার মরদেহ আবিষ্কার করে এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, নিহত নারী একজন বিবাহিত ছিলেন এবং তার স্বামী ব্রুহাত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকার পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন। তারা তিন সন্তানসহ শহরে বসবাস করতেন।

এক পুলিশ কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ওই নারী বাংলাদেশি নাগরিক এবং গত ছয় বছর ধরে এখানে বসবাস করছিলেন। তার স্বামীর বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে এবং তিনি চিকিৎসা ভিসায় ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ওই নারী তার সহকর্মীকে জানিয়েছিলেন যে তার কিছু ব্যক্তিগত কাজ আছে এবং তার দেরি হতে পারে। তাই সহকর্মীকে আগে চলে যেতে বলেন। তবে রাতে বাড়ি না ফেরায় তার স্বামী রামমূর্তি নগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তিনি পরিচিত কারও সঙ্গে দেখা করতে সেখানে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে মাথায় বড় পাথরের আঘাতসহ তার মরদেহ পাওয়া যায়। সম্ভবত কোনো তর্ক-বিতর্কের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিএনএস ধারা ৬৩ (ধর্ষণ) এবং ১০৩ (হত্যা)-এর অধীনে মামলা দায়ের করেছি এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।

এদিকে ঘটনার খবর পাওয়ার পর পূর্ব বিভাগের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি) দেবরাজ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও ডগ স্কোয়াড নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে ১১২ নম্বরে কল পেয়ে আমরা একটি পরিত্যক্ত স্থানে এক নারীর মরদেহ পাওয়ার তথ্য পাই। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি নৃশংস অপরাধ। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে।


আরও খবর



তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের একদফা ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সরকারি তিতুমীর কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ ও আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন । এবার সাত দফা থেকে সরে এসে একদফা দাবিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ‘বারাসাত ব্যারিকেড’ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

রাজধানীর মহাখালী এলাকায় তিতুমীর কলেজের সামনে শনিবার রাত আটটার দিকে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন কলেজটির শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান।

মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আজ থেকে আমরা আর সাত দফা চাই না। এখন থেকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির একদফা দাবিতে অনশন ও বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছে, আমরা সেটি প্রত্যাখ্যান করছি। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আমাদের সাত দফা দাবি থেকে একদফা দাবি ঘোষণা করছি। সেটা হলো- মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা কলেজে এসে আমাদের বলবেন, আপনাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে। আজ থেকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হলো। তাহলেই আমরা রাজপথ ছেড়ে আমাদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাবো।’

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবিতে আজ শনিবার টানা তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে মহাখালী থেকে গুলশান ১-এ যাওয়ার বীর উত্তম এ কে খন্দকার সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধের এক পর্যায়ে বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে কয়েক শ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাখালী রেলগেট ক্রসিং ও আমতলী প্রদক্ষিণ করে আবার কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে যান। পরে ক্যাম্পাসের সামনে থেকে গুলশান ১ নম্বরের দিকে যান। সেখানে থেকে আবার ক্যাম্পাসের সামনে ফিরে এসে সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখেন।


আরও খবর