Logo
শিরোনাম

ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোত্তম এবং দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় একটি মাইলফলক।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপষ্টোর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে (এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস) এএনএফআরইএল-এর প্রতিনিধিদলকে তিনি এই আশ্বাস দেন।

এএনএফআরইএল-এর প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, ক্যাম্পেইন ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের সিনিয়র প্রগ্রাম কর্মকর্তা থারিন্দু আবেরথনা, প্রগ্রাম কর্মকর্তা আয়ান রহমান খান এবং প্রগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমে।

এএনএফআরইএল হচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক, যা গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচনী গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে কাজ করছে। সংস্থাটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং নাগরিক অংশগ্রহণে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে।

সাক্ষাৎকালে এএনএফআরইএল বাংলাদেশে চলমান তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানায়; বিশেষ করে স্বাধীন, নাগরিক-নেতৃত্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ প্রচেষ্টা পুনর্গঠনে তাদের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে। প্রতিনিধিদল স্টেকহোল্ডার ম্যাপিং ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করে, যার উদ্দেশ্য হলো নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ জোরদার করা এবং নির্বাচনী স্বচ্ছতা উন্নত করার সুযোগ চিহ্নিত করা।


আরও খবর



পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, কিশোরগঞ্জে তিনজন, সুনামগঞ্জে একজন, হবিগঞ্জে একজন ও ও নেত্রকোণায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।২৮ এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা

জেলায় বজ্রপাতের পৃথক দুটি ঘটনায় দুই কৃষক ও দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কোরবানপুর পূর্ব পাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে বজ্রপাতে মারা যান দুই কৃষক।

তারা হলেন- দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভুঁইয়া (৩৫) ও কোরবানপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া (কালীবাড়ি) এলাকার মৃত বীরচরণ দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬০) ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ওই সময় তারা মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম (মেম্বার) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দুপুরের দিকে বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে দুই স্কুলছাত্র। নিহতরা হলো- ওই এলাকার মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং একই এলাকার আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন। দুজনেই বড় হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হালকা মেঘলা আবহাওয়ায় তারা মাঠে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নেত্রকোণা

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় আকস্মিক বজ্রপাতে দিদারুল ইসলাম নামে কওমি মাদরাসার এক শিক্ষক ও মদন উপজেলায় আরাফাত মিয়া নামে এক মাদরাসার ছাত্র (১০) মারা গেছেন।

ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী গ্রামে নিজ বাড়ির সামনেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় আরাফাত মিয়ার। সে উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে।

অপরদিকে কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, রোববার দিবাগত রাত ১০টার দিকে আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হোন মাদরাসা শিক্ষক দিদারুল। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং এর হাওরে বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ঝড়বৃষ্টির সময় এই ঘটনা ঘটে।

জেলার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান জানান, সোমবার সকালে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আড়িয়ামুগুর গ্রামের কালবাসী দাসশর ছেলে দূর্বাসা দাশ (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় তার ভাই ভূষণ দাশ (৩৪) ও বোন সুধন্য দাশ (২৮) । এছাড়াও বজ্রপাতে বানিয়াচং উপজেলার বাগহাতা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে বায়েজিদ মিয়া (১৩) আহত হয়।

সুনামগঞ্জ

শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে রিমন তালুকদার নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সকালে উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে এই ঘটনা ঘটে।

রিমন তালুকদার উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও শাল্লা ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে গ্রামের পাশে বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যান রিমন তালুকদার। এক পর্যায়ে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। রিমন তালুকদার নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগেই বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় একটি গরুও বজ্রপাতে মারা যায়। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জন কৃষক ও একজন কৃষাণী। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলার মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে খড় শুকাতে গিয়ে ফুলেছা বেগম নামে এক কৃষাণী বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।

এছাড়া সকাল ১০টার দিকে জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর হাওরে ধান কাটার সময় ইন্দ্রজীত দাস ও কলমা হাওরে ধান কাটার সময় স্বাধীন মিয়া নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়।

মৃত ফুলেছা বেগম মিঠামইনে উপজেলার রাণীগঞ্জ কেওয়ারজোড় এলাকার মৃত আশরাফ আলীর স্ত্রী, ইন্দ্রজীত দাস অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্র দাসের ছেলে এবং স্বাধীন মিয়া একই উপজেলার খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

মিঠামইন থানার উপ-পরিদর্শক অর্পন বিশ্বাস জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশে ধানের খড় শুকাচ্ছিলেন ফুলেছা বেগম। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে কৃষক ইন্দ্রজীত দাস বাড়ির পাশে হালালপুর হাওরে ধান কাটছিলেন। এ সময় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই কৃষক ইন্দ্রজীত দাসের মৃত্যু হয়। একই সময় উপজেলার খয়েরপুর হাওরে কৃষক স্বাধীন মিয়া ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।


আরও খবর



তুমি যাকে শিরক বলছ, তা আমার কাছে ধর্ম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

পুলক ঘটক, সিনিয়র সাংবাদিক :

তুমি যাকে শিরক বলছ, তা আমার কাছে ধর্ম। তুমি মেনো না, কিন্তু আমাকে বাধা দিবে কেন? তুলনা করলে বা প্রতীক বানিয়ে উপাসনা করলে আমার ঈশ্বর ক্ষিপ্ত হয় না। এ কাজ আমার ধর্মের ঈশ্বরের কাছে কোনো অপরাধ নয়; আমার কাছেও অপরাধ নয়। আমার বিবেচনায় ঈশ্বর উপাসনার সকল পন্থাই বরং উত্তম। এ কোনো ক্রাইম নয়। 

ঈশ্বর কেমন, তাঁর চরিত্র কেমন, কিসে তিনি ক্ষিপ্ত হন, কিসে তিনি রাগান্বিত হন ইত্যাদি সম্পর্কে সব ধর্মের বর্ণনা এক রকম নয়। যেমন সনাতন ধর্ম অনুযায়ী ঈশ্বর জগৎ ও জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন দূর আকাশের কোনো শক্তি বা বস্তু নন। তিনি আকাশ থেকে শাসন করা রাজা নন। তিনি আকাশেও আছেন, মাটিতেও আছেন। তিনি জীবন ও জগতের সাথে মিশে আছেন –সৃষ্টির পাতায় পাতায় মিশে আছেন। এর বাইরেও তাঁর স্বতন্ত্র সত্তা আছে। তিনি একাধারে এক এবং বহু; তিনি একাধারে নিরাকার এবং সাকার। তাঁর কোনো শেষ নেই। জল যেমন বাষ্প হতে পারে, আবার বরফের মতো আকৃতি নিতে পারে; তেমনি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর সব হতে পারে। নিরাকার হতে পারে, সাকারও হতে পারে। এক হতে পারে, আবার বহুরূপও হতে পারে। তাই সব রূপের মাঝেই তাঁকে সন্ধান করা বা তাঁর উপাসনা করা সনাতন ধর্মে অপরাধ নয়, বরং ঈশ্বরের নৈকট্য লাভের পন্থা। 

"বহু রূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর" –সনাতন ধর্মের অমোচনীয় বাণী। এখন আমি যদি এটা বিশ্বাস করি এবং এভাবে উপাসনা করি, এজন্য তুমি কি আমার উপর অত্যাচার করবে? আমার উপাসনার স্থান ক্ষতিগ্রস্ত করবে? কেন করবে? আমি তো তোমাকে এভাবে উপাসনা করতে বলিনি! তুমি তোমার বিশ্বাস অনুযায়ী এবাদত কর। কিন্তু আমার ঈশ্বর উপাসনায় তুমি বাধা দাও কেন? 

"ব্রহ্ম হতে কীট পরমাণু, সর্বভূতে সেই প্রেমময়” –এটি আমার মৌলিক ধর্মীয় দর্শন। ঈশ্বর সর্বব্যাপী এবং প্রকৃতির সবকিছুতেই ঈশ্বরের উপস্থিতি –এ আমি বিশ্বাস করি। 

"আছ, অনল-অনিলে, চিরনভোনীলে, ভূধর সলিলে, গহনে;

আছ, বিটপীলতায়, জলদের গায়, শশী তারকায় তপনে।" 

–ঈশ্বরকে আমি এভাবে দেখি; সর্বত্র দেখি।

মাদারীপুরে যে বট গাছটি তোমরা কেটে ফেলেছ, তার মধ্যে ঈশ্বরের বিশেষ উপস্থিতি আমি অনুভব করি। অসীমের এক প্রবল উপস্থিতির সন্ধানে সেখানে গিয়ে আমি শ্রদ্ধায় নিরব হই; অথবা প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করি। আমি তো তোমার ক্ষতি করি না। এ আমার বিশ্বাস, আমি আমার মতো চলি। আমি তোমাকে বাধা দেইনি, বা তোমাকে সেখানে গিয়ে উপাসনা করতে বলিনি। তাহলে তুমি প্রকৃতির এই গাছটি কাটবে কেন? তুমি শুধু প্রকৃতির ক্ষতি করনি, তুমি আমার উপরেও জুলুম করেছ। 

হিমালয় থেকে সাগর পর্যন্ত যেখানেই বৃহৎ কিছু, সেখানেই আমার (ঈশ্বরের) বৃহৎ উপস্থিতি। গ্রহ, নক্ষত্র, হাতি, ঘোড়া, কচ্ছপ সবকিছুর মধ্যে যা কিছু বৃহৎ, তা আমার (ঈশ্বরের) বিশেষ উপস্থিতিতে বা বিভূতিতে বৃহৎ –এটা বেদ, উপনিষদ ও গীতার ঈশ্বর শিখিয়ে গেছে। আমি এই শিক্ষায় ও এই বিশ্বাসে গড়ে ওঠা। তুমি আরেক রকম শিক্ষায় ও আরেক রকম বিশ্বাসে গড়ে ওঠা। এজন্য আমি তোমাকে বাধা দেবো না, তুমিও আমাকে বাধা দেবে না –এটাই তো সংস্কৃতি হওয়া উচিত।  

হ্যাঁ, আমার বিশ্বাসের যুক্তিপূর্ণ সমালোচনা, এবং তোমার বিশ্বাসেরও যুক্তিপূর্ণ সমালোচনা হতে পারে। সেটা সবাই করতে পারে, গণতান্ত্রিক সহনশীলতার সাথে। সত্য সন্ধান এবং জ্ঞান বিস্তারের জন্য আলোচনা, সমালোচনা, পর্যালোচনা দরকার আছে। মিথ্যা বিশ্বাসগুলো যুক্তির দ্বারা অপনোদনের প্রয়োজন আছে। সুতরাং আমি ধর্মেরও সমালোচনার পক্ষে। কিন্তু একজনেরটা আরেকজনের উপর চাপিয়ে দেয়ার বা জুলুম করার পক্ষে না। অন্যরা উপাসনা করে জন্য তার গাছটা কেটে ফেলার পক্ষে না। 

ঈশ্বর এমন হিংসাত্মক কেন হবেন, বা তার অনুসারীদের এমন হিংস্র আচরণ কেন করতে বলবেন? তাঁকে কখনো সামনাসামনি দেখতে না পাওয়ায় নিছক বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে কে কিভাবে তাঁর উপাসনা করে –তাতে যদি অদেখা ঈশ্বরের মনে রাগ হয়ে থাকে, তবে তিনি নিজে সে জাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারেন। সেই জাতির মানুষের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা রহিত করে দিতে পারেন। অথবা তিনি সহজেই দেখা দিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভ্রান্তি নিরসন করে দিতে পারেন। দেখা না দিয়েও ঈশ্বর মানুষকে বদলে দিতে পারেন, কারণ তিনি সর্বশক্তিমান। মানুষের কোন উপাসনা পদ্ধতিতে তাঁর আপত্তি থাকলে সে মানুষকে বদলে দেওয়া ঈশ্বরের নিজের দায়। সেই দায় নিজের ঘাড়ে তুলে নিয়ে মানুষ হয়ে মানুষের উপর উৎপীড়ন করা অপরাধ। 

আমার মতে ঈশ্বরকে এমন নিষ্ঠুর ও হিংসাত্মক চরিত্রের ভাবাটাও ন্যায়সঙ্গত নয়। তাঁর সাথে কারও তুলনা করলেই ঈশ্বর হিংসায় ফেটে পড়বেন – এমন হিংসুক স্বভাবের একজন মানুষের মতো চরিত্র ঈশ্বরের উপর আরোপ করলে তাঁর প্রতি ন্যায়বিচার করা হয় না। তাঁর প্রতিমূর্তি রচনা করে তাঁর উপাসনা করলে তিনি ব্যাপারটিকে প্রেমময় দৃষ্টিতে না দেখে হিংসার চোখে দেখবেন– ঈশ্বরের চরিত্র এমন হতে পারে না। এ আমি বিশ্বাস করি না; এটা আমার বিশ্বাসের ধরন। এভাবে বিশ্বাস করা আমার অপরাধ নয়। 

আমরা আমাদের শ্রদ্ধার ও প্রিয়জনের মূর্তিতেই আমাদের ভালবাসা দেই; ফুল দেই; আলো জ্বালাই। এতে আমার প্রিয়জন ক্ষিপ্ত হতে পারে না। ঘরে মা ও বাবার ছবি/মূর্তি শ্রদ্ধার সাথে রেখেছি –এজন্য আমার প্রতি পিতামাতার স্নেহ নষ্ট হওয়ার কথা নয়। আমার প্রিয়ার ছবি আমার মানিব্যাগে রেখেছি জন্য ঐ ছবিটির প্রতি হিংসায় আমার প্রিয়তমা জ্বলে উঠবে না। 

যতক্ষণ দেখিনি ততক্ষণ ঈশ্বর কাল্পনিক বটে। জাগতিক বা কাল্পনিক কোন কিছুর সাথে সেই ঈশ্বরের তুলনা করলে বা তাঁর ছবি বা মূর্তি রচনা করলে সেই বস্তু বা প্রতীকটির প্রতি ঈশ্বর হিংসা করবেন –ঈশ্বরের চরিত্র আমার কাছে এমন মনে হয় না। যে কোনো প্রকার তুলনায় বা প্রতিমূর্তি রচনায় শিরক হয়ে যাবে; ধর্ষণ, হত্যা, নিরীহ মানুষের খাবার কেড়ে নেওয়া, জুলুম, নির্মম অত্যাচার ইত্যাদির চেয়ে বড় অপরাধ হয়ে যাবে– আমার ধর্ম বিশ্বাস এমন নয়। 

এই যে আমার ধর্ম বিশ্বাস, একে ভুল প্রমাণের জন্য আপনি যুক্তি দেখাতে পারেন। কিন্তু এজন্য আমার উপর হামলা করতে পারেন না, জোর-জুলুম করতে পারেন না এবং আমার উপাসনার উপাদানকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারেন না। আসুন সভ্য ও গণতন্ত্রী হই; আলোচনায়-পর্যালোচনায় সত্য সন্ধান করি। ধ্বংস ও অত্যাচারের পথ সঠিক নয়।


আরও খবর



আধুনিকতার ছোঁয়ায় ফিরেছে ঝালকাঠির গামছার ঐতিহ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

শত বছরের প্রচলিত হাতে ঘুরানো তাঁতের চাকার বদলে এবার দেশে এসেছে আধুনিক মেশিন কোরিয়ার থেকে দৈর্ঘ্য সাড়ে চার হাত আর প্রস্থে আড়াই হাতের এক একটি গামছা দেশের খুচরা বাজারে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর জেলার এ প্রাচীন শিল্পটি ঘুরে দাঁড়ানোয় নতুন উদ্যোক্তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন।ফলে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ফিরেছে ঝালকাঠির গামছার ঐতিহ্য। এতে উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি মিটছে চাহিদাও।

ঝালকাঠির সারাদেশে যেসব পণ্যে সুনাম আছে তার মধ্যে গামছা অন্যতম। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও সমাদৃত এ ঐতিহ্যবাহী তাঁতের গামছা। ৪০ বছর আগে শুরু হওয়া এ শিল্প এখনো টিকে আছে আজও।

ঝালকাঠির গনি মিয়ার গামছা সারাদেশেই একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত। তবে সেই গনি মিয়া এখন আর নেই। গনি মিয়ার মৃত্যুর পরে তার ছেলে নাসির উদ্দিন কয়েকবছর তাঁতে গামছা বুনে প্রতিষ্ঠানটি ধরে রাখছিলেন।

বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে নাসির উদ্দিন পৈত্রিক পেশার হাল ছেড়ে দেন। এক পর্যায়ে ওই প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন গনি মিয়ার ভাইয়ের ছেলে খোকন মিয়া। এতদিন গামছা হাতে বোনা হতো। যার কারণে চাহিদা বেশি থাকলেও উৎপাদন হতো কম। এছাড়া হাতে বোনা তাঁতের সংখ্যাও এখন অনেক কম। হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার ধরে রেখেছে পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য।পপরিস্থিতিতে আবারো ঘুরে দাঁড়িয়েছে গামছা শিল্প।

গামছা তৈরিতে আধুনিকতার ছোঁয়া এনেছে ঐতিহ্যবাহী গনি মিয়ার গামছা। প্রায় ৩/৪ বছর ধরে আধুনিক মেশিনে প্রস্তুত হচ্ছে গামছা।

পশ্চিম ঝালকাঠির কীর্ত্তীপাশা সড়কের রামনগরে গিয়ে দেখা যায়, কোরিয়া থেকে আমদানি করা স্বয়ংক্রিয় মেশিনে গামছা তৈরি করছেন কারিগররা। প্রতিদিন এখন কারখানায় ২৫০টি গামছা উৎপাদন হচ্ছে।

কারিগররা জানান, ঝালকাঠির গামছা যাচ্ছে চট্টগ্রাম, নরসিংদী, চাঁদপুর, বরগুনা ও পিরোজপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ঝালকাঠির এ ঐতিহ্যবাহী গামছা দেশি-বিদেশি অতিথিদেরও দেওয়া হয় উপহার কিংবা উপঢৌকন হিসেবে। গামছা তৈরির কাঁচামাল আনা হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। নিজস্ব ডিজাইনাররা কারাখানায় বসেই ডিজাইন করছে বাহারি রঙের গামছার।

স্থানীয় ফয়সাল সঙ্গে কথা হলে , শৈশবে দেখেছি বাসন্ডা গ্রামে ঘরে ঘরে তাঁতে শাড়ি লুঙ্গি আর গামছা বোনা হতো। শতাধিক কারিগর পরিবারের প্রধান আয় ছিল এ শিল্প। তাঁতের খট খট শব্দে দিন-রাত মুখরিত ছিল। তবে তা এখন অতীত স্মৃতি। মাত্র দু-তিনটি পরিবার কেবল গামছা তৈরি করে বাপদাদার পেশা টিকিয়ে রেখেছে। দুই যুগে ধীরে ধীরে তাঁত বোনাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঝালকাঠির গামছা শিল্প। 

উদ্যোক্তা খোকন হোসেন বলেন, কোরিয়া থেকে আমদানি করা স্বয়ংক্রিয় এ মেশিনে এখন প্রতিদিন কারখানায় ২৫০ গামছা উৎপাদন হচ্ছে খুব সহজেই। আর তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

পাকা রঙ এবং টেকসইসহ গুণগতমানে ঝালকাঠির গামছা দেশ সেরা দাবি করে উদ্যোক্তা খোকন আরও বলেন, দৈর্ঘ্য সাড়ে চার হাত আর প্রস্থে আড়াই হাতের এখানকার এক একটি গামছা দেশের খুচরা বাজারে ৩৮৫ টাকায় বিক্রি হয়।

ঝালকাঠি বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা মো. আল-আমীন বলেন , জেলার এ ঐতিহ্যবাহী শিল্পটি একেবারেই হারিয়ে যাচ্ছিল। নতুন করে আধুনিক মেশিনের যাত্রায় তা আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আসলে মেশিনে উৎপাদন লাভজনক হয় ও সময় বাঁচায়। স্থানীয় এই প্রাচীন শিল্পটির প্রসারে উদ্যোক্তা ও কারিগরদের প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।


আরও খবর



ভেনিসের মসজিদে নামাজে নিষেধাজ্ঞা, পার্কে হাজার মুসল্লির জুমা আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ইতালি প্রতিনিধি:

ইতালির ভেনিসে মসজিদুল ইত্তেহাদে নামাজ পড়ায় প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। আদালতের নির্দেশনার ভিত্তিতে মসজিদে জামাত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে, মসজিদ কর্তৃপক্ষ আজ স্থানীয় একটি পার্কে জুমার নামাজের আয়োজন করেন।

খোলা আকাশের নিচে হাজারখানেক মুসল্লি শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেন। নিরাপত্তার স্বার্থে নামাজস্থলে ছিলো পুলিশের টহল।

মসজিদুল ইত্তেহাদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আরিফ মাহমুদ বলেন- ইতালির একজন প্রভাবশালী সিনেটর তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন। তবে ইমামের ধারণা, সিনেটার ব্যস্ত মানুষ, তাকে ভুলভাবে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

মসজিদুল ইত্তেহাদ পরিচালনা পর্ষদের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ সম্রাট বলেন- 

প্রশাসনের সাথে তাদের কথা হয়েছে- প্রশাসন নামাজের জন্য বিকল্প জায়গা খুঁজছে যতদিন বিকল্প জায়গা না হয়- তারা পার্কেই জুমার নামাজ আদায় করবেন।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় আচার পালন করতে চান। প্রশাসনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত তাদের কষ্ট দিয়েছে। 

তারা মনে করেন, এ জাতীয় আইন বা নিষেধাজ্ঞা ইতালির সভ্য সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক।

এদিকে, মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন- তারা ইতোমধ্যে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং মসজিদে আবার নামাজ চালুর আশ করেন।

মসজিদুল ইত্তেহাদ কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন থেকে 'মসজিদ বিরোধী আইন' নামে পরিচিত একটি আইনের বিরুদ্ধে এককভাবে লড়াই করছে। তারা এই আইনটির বাতিল চায়। 

ওই আইনে বলা হয়েছে, নামাজ পড়তে হলে- শহরের বাইরে গিয়ে মসজিদ করতে হবে, যা অসম্ভব প্রায়। কারণ মুসলমানরা প্রতিদিন পাঁচবার মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। 

এই আইনের বিরুদ্ধে মসজিদুল ইত্তেহাদ এককভাবে লড়াই করলেও ভেনিসের অন্যান্য মসজিদ কর্তৃপক্ষকে তাদের পাশে কখনো দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর জুন জুলাই মাসে অভিন্ন দাবিতে ইত্তেহাদ কর্তৃপক্ষ পার্কে প্রায় তারা তিন মাস নামাজ আদায় করেছিলেন।


আরও খবর



রাণীনগরে ২৯ হাজার কেজি চাল জব্দের ঘটনায় মামলা দায়ের

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুর এলাকার একটি গোডাউন থেকে ২৯টন সরকারি চাল জব্দ করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে উপজেলা খাদ্য বিভাগ। উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো: আনিছুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান।

উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো: আনিছুর রহমান জানান সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচির চাল কয়েকজন ব্যবসায়ী কিনে উপজেলার আবাদপুকুর বাজারের কুতকুতিতলা এলাকার আমজাদ মন্ডলের মার্কেটের দুইটি ভাড়া করা গোডাউনে মজুদ করে রেখেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সহকারি কমিশনার (ভ’মি) শেখ নওশাদ হাসানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ওই দুই গোডাউন থেকে ৫০কেজির ৪৫৩বস্তা ও ৩০কেজির ২২২বস্তাসহ মোট ২৯টন ৩১০কেজি সরকারি চাল প্লাস্টিকের বস্তায় পাওয়া যায়। এ সময় গোডাউন থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বেশকিছু সরকারি বস্তাও পাওয়া যায়। অভিযানের সময় চাল ব্যবসায়ী ও গোডাউন মালিকরা পলাতক ছিলো। অভিযান শেষে শুক্রবার রাতে চালগুলো জব্দ করে উপজেলা খাদ্যগুদামে মজুদ করা হয়েছে। এই ঘটনায় গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে চাল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গির আলম বাবুকে প্রধান আসামী এবং আরো ৩/৪জনকে অজ্ঞাত করে উপজেলা খাদ্য বিভাগের পক্ষে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

 উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান জানান আবাদপুকুর এলাকার কুতকুতিতলায় সরকারি বিতরণকৃত চাল ক্রয় করে মজুদ করা হয়েছে মর্মে জানতে পেরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দিনব্যাপী পরিচালিত অভিযানে বিপুল পরিমাণ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ায় উদ্ধারকৃত চাল জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসন যেকোন ধরণের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে সদাতৎপর রয়েছে। আগামীতেও অবৈধ মজুদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।


আরও খবর