Logo
শিরোনাম

ইটনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশং ডে-২০২২ উদযাপন 

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মোজাহিদ সরকার, ইটনা, কিশোরগঞ্জ:

কমিউনিটি পুলিশংয়ের মূলমন্ত্র শান্ত-শৃঙ্খলা সর্বত্র ” এই প্রতিপাদ্যে উদযাপিত হলো কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২২। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ শনিবার জনগণকে সাথে নিয়ে এ দিবসটি পালন করে থাকে বাংলাদেশ পুলিশ।

২৯ অক্টোবর (শনিবার) কিশোরগঞ্জের ইটনায় থানা পুলিশের আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশং ডে-২০২২ উদযাপন করা হয়েছে। সকাল ১১টায় থানা'র সামন থেকে এক বিশাল র‌্যালি নিয়ে বাজারে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে ইটনা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অডিটেরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারের গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে বেলা ১২টায় পায়রা উড়িয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে এক আলোচনা সভা শুরু হয়।

ইটনা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুল ইসলাম মোল্লা'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান।

আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম ঠাকুর, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আমন্ত্রিত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির ইটনা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্যবৃন্দ। আলোচনা সভা পরিচালনায় ছিলেন ইটনা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসান হাবীব।

প্রধান অতিথি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান বলেন, আজকের এই দিনে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমান এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নিহত পুলিশ সদস্যদের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে প্রথম পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যে গুলিটা বাহির হয়েছিল সেটা কিন্তু পুলিশ সদস্যদের বন্দুক থেকেই বাহির হয়েছিল। কমিউনিটি পুলিশিং তৈরির পর পুলিশের সেবার মান উন্নয়ন হয়েছে। “পুলিশই জনতা জনতাই পুলিশ” এটার অর্থ হলো সব জনতা পুলিশ না শুধুমাত্র সেই জনতাই পুলিশ যে নিজে সচেতন এবং নিজের দায়িত্ব থেকে সমাজে সমস্যা গুলো সমাধানের পথ খুঁজে, যে জনতা মনে করে সমাজ ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকবো। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের ইটনা থানা পুলিশ সংখ্যা এবং জনসংখ্যার যদি তুলনা করি তাহলে দেখা যাবে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মানুষের জন্য একজন পুলিশ। আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি অন্যান্য থানায় মাসে শতাধিক মামলা হয় কিন্তু আমাদের থানায় মাসে চার থেকে পাঁচটা বেশি মামলা হয় না এবং সেইগুলো খুব সামান্য বিষয় নিয়ে বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে না।

আলোচনা সভার সভাপতি ইটনা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, কমিউনিটি পুলিশ সমাজ কর্তৃক একটি পুলিশী ব্যবস্থা। সমাজের সকল ধরণের অপরাধ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পুলিশী কার্যক্রম সমাজের সকল পেশার সমাজ সচেতন জনগোষ্টীকে সক্রিয়ভাবে সহায়ক শক্তি হিসেবে সম্পৃক্ত করাই কমিউনিটি পুলিশের লক্ষ্য। অপরাধ প্রতিরোধ, জননিরাপত্তা ও সামাজিক ন্যয় বিচার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পুলিশ ও প্রশাসনকে কমিউনিটি সাংগঠনিক কাঠামোর মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করবে। এক কথায় কমিউনিটি বা সমাজ যে পুলিশী ব্যবস্থা গড়ে তোলে থাকেই কমিউনিটি পুলিশ বলা হয়।


আরও খবর



অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স এক অশনি সংকেত

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বৈশ্বিক স্বাস্থ্যখাতের অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের হুমকি মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সব খাতকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনিসংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। মানুষ থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জে পশুপাখির মধ্যেও এটি বিস্তার লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিষয়ক গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ব্র্যাকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ব্রেস্ট ক্যানসার বা স্তন ক্যানসার, সার্ভিক্যাল ক্যানসার বা জরায়ুমুখ ক্যানসার ও হাইপারটেনশনের মতো বিষয়গুলোতে আরও বেশি সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। একজন ব্রেস্ট ক্যানসারের রোগী যখন চিকিৎসকের আছে আসে, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর বিশেষ কিছু করার থাকে না। অথচ প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় হলে তা অনেকাংশেই নিরাময়যোগ্য। একইভাবে গ্রামাঞ্চলে অনেক ঠোঁটকাটা, তালুকাটা রোগী ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তারা সঠিক চিকিৎসা পান না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে স্বাস্থ্যখাতে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে, কিন্তু এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় সমন্বয়ের অভাব দেখা যায়। সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজগুলো করলে মানুষ উপকৃত হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টার (বিএলবিসি) পরিকল্পিত ও পরিচালিত কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপন চিকিৎসাকেন্দ্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, এর মাধ্যমে অনেক মানুষ কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সুবিধা পাচ্ছেন। মানুষের কল্যাণে বেসরকারি খাতের সহযোগিতায় এমন আরও অনেক উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারের কাজে যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতা করে আসছে, তাদের মধ্যে ব্র্যাক অন্যতম। তবে এসব কাজে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। কোনো একটা কর্মসূচি বা প্রকল্প হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়া অবাঞ্চিত। তাই প্রকল্প শুরু করার সময়ই একটি প্রস্থান পরিকল্পনা সঠিকভাবে ডিজাইন করা গুরুত্বপূর্ণ।


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

স্বস্তিদায়ক আবহাওয়ার খোলস ভেঙ্গে হঠাৎ করেই তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য বিভাগের জনজীবন। চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় শনিবার (৬ এপ্রিল) দেশের ও এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে। সঙ্গে রোজাদার খেটে খাওয়া মানুষদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঈদে মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা জমে উঠলেও ভ্যাপসা গরমের কারণে দিনের বেলা লোকজন বাইরে তেমন বের হচ্ছেন না।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান তাপমাত্রা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে, গত ১ এপ্রিল থেকে জেলার ওপর দিয়ে মৃদ ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান পরামর্শ দিয়ে বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্টোকের ঝুঁকি থাকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর থেকে বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু-কিশোর ও যারা রোজায় থাকছেন না তাদেরকে ঘন ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

অপরদিকে, চলমান তাপ প্রবাহের কারণে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ধান রক্ষার জন্য বোরো ধানের জমিতে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখা, ধানের শিষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি রাখতে হবে। আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচ প্রদান করা; প্রয়োজনে গাছের শাখাপ্রশাখায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। সবজি ক্ষেতে মাটির ধরন বুঝে প্রয়োজন অনুযায়ী ২ থেকে ৩টি সেচের ব্যবস্থা করা।

জেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা জানান, অতিরিক্ত গরমে মাঠে কৃষি কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। রোজায় তারা দিনে বেশি কাজ করতে পারছেন না।

শহরে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, আর কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। বেচাকেনা জমে উঠলেও অতিরিক্ত গরমের কারণে দুপুর ১২টা পর থেকে বিকেল পর্যন্ত মার্কেটগুলোতে লোকজনের আনাগোনা খুবই সীমিত।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, আজ শনিবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলছি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। চলমান তাপ প্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র নতুন নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে ইরান

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান। জবাবে ইসরায়েলও প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজছে, সাজাচ্ছে নানা পরিকল্পনা।

এরই মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইসরায়েল অবশ্য আগেই ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে- সপ্তাহান্তে ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর তারা এখন ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের দিকে নজর দিচ্ছে।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, তিনি আগামী দিনগুলোতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করছেন। অন্যদিকে ইইউয়ের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, তার ব্লক এটি নিয়ে কাজ করছে।

ইসরায়েল অবশ্য ইতোমধ্যেই তার মিত্রদের প্রতি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। মূলত ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত বছরের অক্টোবরে শেষ হয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য একটি বিস্তৃত চুক্তির সাথে যুক্ত ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে এবং বিভিন্ন সময়ে নতুন নিষেধাজ্ঞাও যুক্ত করেছে।

সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেছেন, ইরানের হামলার জবাব দেওয়া হবে।

সিরিয়ার রাজধানীতে তেহরানের কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে শনিবার গভীর রাতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারপরও উত্তেজনার আরও বৃদ্ধি হতে পারে বলে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।

মূলত গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইসরায়েলে রাতারাতি ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে তেহরান। এর বেশিরভাগই ইরানের অভ্যন্তর থেকে নিক্ষেপ করা হয়।

তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রবাহিনী।

নজিরবিহীন সেই হামলার জবাবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল শুধুমাত্র কূটনৈতিক ভাবে আক্রমণ চালিয়েই পাল্টা জবাব দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৩০টিরও বেশি দেশকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়া ইরানের প্রধান সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি - ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করার আহ্বানও জানিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করলেও যুক্তরাজ্য এখনও তা করেনি।

এমন অবস্থায় মঙ্গলবার বক্তৃতাকালে মার্কিন অর্থমন্ত্রী ইয়েলেন বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে, আমি পুরোপুরি আশা করি, আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আগে থেকে বলি না। তবে ইরানের সন্ত্রাসী অর্থায়ন ব্যাহত করার সমস্ত বিকল্পই আমার টেবিলে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইরানের তেল রপ্তানি এমন একটি সম্ভাব্য ক্ষেত্র যা আমরা টার্গেট করতে পারি। তার ভাষায়, স্পষ্টতই, ইরান এখনও কিছু পরিমাণ তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা হয়তো আরও কিছু করতে পারি।

ইয়েলেন বলেন, ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই আর্থিক নিষেধাজ্ঞাগুলোকে ব্যবহার করছে। পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি এবং সংস্থাকে লক্ষ্য করে আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞা প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করার এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন করার ক্ষমতাকে ব্যাহত করার কাজ করছে।

ইরানের ওপর বিদ্যমান মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইতোমধ্যে দেশটির সাথে প্রায় সমস্ত আমেরিকান বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেছে।

এদিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন কর্মসূচির পাশাপাশি বিপ্লবী গার্ড এবং ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে লক্ষ্যবস্তু করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা শিগগিরই তাদের নিজস্ব নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করবে।

অন্যদিকে ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল বলেছেন, কিছু সদস্য দেশ ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানোর জন্য বলেছে। তিনি বলেন, তিনি নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করার জন্য ইইউয়ের কূটনৈতিক পরিষেবার কাছে অনুরোধ পাঠাবেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই ইতিবাচক প্রবণতাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলে ইরানের সর্বশেষ হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের উত্তেজনা এড়াতে বিশ্বনেতারা সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি ফোন কলে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে চলমান পরিস্থিতিতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।

ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তিনি (সুনাক) জোর দিয়ে বলেছেন, উত্তেজনার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি কারও স্বার্থে ভালো কিছু নয় এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তাহীনতাকে আরও গভীরে নিয়ে যাবে। জয়ের জন্য মাথা ঠান্ডা রাখার সময় এখন।


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড রায় দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার ২২ এপ্রিল দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন। 

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত সালাউদ্দিন নওগাঁ জেলার পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। 

আদালত ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন তুকাজ্জেবার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুড় বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১জুলাই সালাউদ্দিন তার স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুত্বরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা  বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি রবিউল ইসলাম লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পায় তারা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিন কে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদীয় হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে  মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামী পক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারী কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামী পক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামীকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামী সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী।


আরও খবর



ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন।

১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এ অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে পঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রণীত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এ দিন থেকে স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা ও স্বদেশ ভূমি থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়।

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তৎকালীন পাকিস্তানের শাসকচক্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বেআইনিভাবে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৭১র ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ন্যায়-নীতি বর্হিভূত এবং গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়ারলেসের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার মুক্তাঞ্চলে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হন এবং স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন।

 এই অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন ও বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এবং এ.এইচ.এম কামারুজাজামানকে স্বরাষ্ট্র এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকার। মেহেরপুর হয়ে ওঠে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী। মুজিবনগর সরকারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার দুঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান বিমান বাহিনী বোমাবর্ষণ ও আক্রমণ চালিয়ে মেহেরপুর দখল করে। ফলে, সরকারের প্রতিনিধিগণ ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় এবং সেখান থেকে কার্যক্রম চালাতে থাকে। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

নবজাত রাষ্ট্রের এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জনগণকে তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা লাভের লক্ষে অদম্য স্পৃহায় মরণপণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় নবগঠিত এই সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এই সরকারের যোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায়।

 এই সরকার গঠনের ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বরাবরের মতো স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সবার সাথে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্বের সাথে স্মরণ ও পালন করবে।


আরও খবর