Logo
শিরোনাম

ইটনায় সরকারি স্কুলে বেলা ১২টায় শিক্ষক আসে নাই, ক্লাস নিচ্ছেন দপ্তরী

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মোঃ মুজাহিদ সরকার কিশোরগঞ্জ ঃ

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের ভয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন দপ্তরী মোঃ নরু আলম। স্থানীয়দের অভিযোগ এটা শুধুমাত্র আজকের দৃশ্য না এই স্কুলে সচরাচর এমন দৃশ্য দেখা যায়। 

গত ২৪ আগস্ট ইটনায় মহামান্য রাষ্টপতি তার বক্তব্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে বলেন গেছেন, যারা শিক্ষকতা করেন অনেকেই প্রতিদিন জেলা সদর থেকে শিক্ষকতা করতে ইটনায় আসেন আবার এইদিনই জেলা সদরে চলে যান, এতে করে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাগ্রহণ কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে, আপনারা যদি এলাকায় থেকে শিক্ষকতা করতে না পারেন, তাহলে চাকরি ছেড়ে চলে যান, এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। 

২৮ আগস্ট রোজ রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটায়(১১:৩০) ভয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংবাদ প্রতিবেদক সরজমিনে উপস্থিত হলে এমন দৃশ্য দেখেন। প্রথম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন ঐ ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি স্কুলের শিক্ষক না আমি দপ্তরী। তিনিও আরও জানান, স্যার-ম্যাডাম এখনও আসেন নাই এই জন্য আমি প্রথম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের একটু পড়াচ্ছি। প্রতিদিন এমন ভাবে ক্লাস নেন নাকি এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি মুচকি হাসি দিয়ে এড়িয়ে যান। 

বেলা সাড়ে এগারোটায় স্যার-ম্যাডাম এখনও স্কুলে আসেন নাই এই প্রশ্নের জবাবে দপ্তরী মোঃ নরু আলম বলেন, প্রধান শিক্ষকের আত্মীয়ের চিকিৎসার জন্য তিনি আসেন নাই, বাকি স্যার ম্যাডাম মনে হয় রাস্তায় আছে, আসতেছেন। নির্দেশনা আছে স্কুল শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং সকাল সারে নয়টায় ক্লাস কার্যক্রম শুরু করতে হবে। 

ভয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত। স্কুলটিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২১৫ জন। বর্তমানে স্কুলটিতে ০৬ জন সরকারি শিক্ষক আছেন। 

ভয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী মোঃ মাহাতুবুদ্দিন বলেন, আমিও স্কুলে এসে দেখি কোন স্যার ম্যাডাম নাই। স্যার ম্যাডাম বেলা সাড়ে এগারোটায় উপস্থিত নাই এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ আগেও শুনছি এখন আপনি, আমি এবং এলাকার মানুষ নিজ চোখে দেখলাম, এমন ভাবে হলে আমাদের সন্তানদের পড়াশোনা কীভাবে হবে। 

ভয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী তাহেরা আক্তারের অভিভাবক মোঃ শাহাবুদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, এই স্কুলে স্যার-ম্যাডামরা যার যেমন ইচ্ছামতো আসেন আবার যায়, স্যার-ম্যাডাম যদি কিশোরগঞ্জ থাকেন আর আসতে আসতে যদি বেলা ১১-১২টা বাজে তাহলে পড়াশোনা কখন করাবে। 

স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা এই স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী, আমাদের ছোট ভাই-বোন এই স্কুলে পড়াশোনা করেন, তাদের খোঁজ খবর নিতে আসলে দেখি স্যার-ম্যাডাম ক্লাস রেখে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত আছেন। একজন বলেন, একদিন আমি একজন ম্যাডামকে ক্লাস রেখে মোবাইলে কথা বলতে দেখে আমি প্রতিবাদ করলে আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। 

উল্লেখ্য যে, বেলা ১২ টা বাজলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ছুটির ঘন্টা বাজিয়ে ছুটি দিচ্ছেন দপ্তরী মোঃ নরু আলম। বেলা ১২টা পর্যন্ত স্কুলে উপস্থিত থেকে সংবাদ প্রতিবেদক কোন শিক্ষকদের দেখা না পেয়ে চলে আসার সময় একজন সহকারী শিক্ষক মোঃ ইকবাল হোসাইন আসেন। 

ভয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি একজন রোগী নিয়ে হাসপাতালে আছি, এই ছুটির ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্যার কে জানিয়ে আসছি। বাকি শিক্ষক বৃন্দ স্কুলে বেলা সারে এগারোটায় উপস্থিত নাই এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমি আসার আগে সবাই কে বলছি স্কুলে ঠিক সময় যাওয়ার জন্য। এখনও স্কুলে কেন আসে নাই, খোঁজ খবর নিতে হবে। কিছুক্ষণ পর তিনি ফোন দিয়ে জানান, দুইজন রাস্তায় আছে, আসতেছেন তখন ঘুরির কাঁটায় বেলা ১১:৪৭ বাজে। 

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক কে উক্ত বিষয়ে অবগত করলে তিনি জানান, সাংবাদিকদের কে ধন্যবাদ জানাই আপনারা তথ্য পেয়ে, মাঠ পর্যায়ে গিয়ে তথ্যের সত্যতা যাচাই করে আমাদের কে জানানোর জন্য। আমি অভিযোগ এবং সংবাদ প্রকাশিত হবার পর তদন্ত করে বিভাগীয় আইনগত ব্যবস্থা নিব। সরকারি দায়িত্ব অবহেলা করলে কেউ ছাড় পাবে না।


আরও খবর



বিএমএসএফ'র খাগড়াছড়ি জেলা কমিটি গঠন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা ,রামগড়(খাগড়াছড়ি)

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফ'র রেজি: নং ০৬/২০২২ খাগড়াছড়ি জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটি গঠন উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮ ঘটিকায় দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে ও আবদুল জলিলের সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালী এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান শেষে সংগঠনটির খাগড়াছড়ি জেলা শাখা কমিটির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ'র প্রতিষ্ঠাতা, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কমিটির সভাপতি আহমেদ আবু জাফর। 

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আজকের দর্পনের জেলা প্রতিনিধি দিদারুল আলমকে সভাপতি, দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার জেলা প্রতিনিধি আবদুল জলিলকে সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা ক্যানভাসের জেলা প্রতিনিধি মিঠুন সাহাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়৷ 

কমিটিতে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শাহজাহান কবির সাজু (কালেরকন্ঠ), মো. চাঁন মিয়া (দিগন্ত আপডেট) ও আলমগীর হোসেন (দৈনিক বর্তমান)। যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন (বাংলা পোর্টাল) ও ফারুক হোসেন (এশিয়ান টিভি),সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক (ভোরের পাতা ও পার্বত্য নিউজ) ও মো. জহিরুল ইসলাম (প্রতিদিনের কাগজ)।


দপ্তর সম্পাদক মোকতাদের হোসেন (ভোরের কাগজ), প্রচার সম্পাদক এম ইদ্রিছ আলী (সময়ের কাগজ), প্রকাশনা সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন(দৈনিক সমকাল) অর্থ সম্পাদক আলমগীর হোসেন (পাহাড় প্রতিদিন), সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম (দৈনিক মানবাধিকার ক্রাইম বার্তা), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সোহাগ মিয়া (প্রতিদিনের কাগজ), আইন বিষয়ক সম্পাদক মো.শাহেদ হোসেন রানা (দি বাংলাদেশ টুডে, বিডিটুডেস ), স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. দিদারুল ইসলাম (সকালের সময়) মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা আক্তার, (সরেজমিন বার্তা), শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মান্না মুৎসুদ্দী (একুশের বাণী), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক আকাশ (দৈনিক পরিবর্তন), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো.আফজাল হোসেন (বাংলাদেশ সমাচার)। 

কার্যনির্বাহী সদস্য মো. ইসমাইল হোসেন (দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম), আল আমিন রনি (দৈনিক আমাদের কন্ঠ) ও দুর্জয় বড়ুয়া, চট্টবাংলা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহমেদ আবু জাফর বলেন, নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ বিএমএসএফ ঘোষিত ১৪ দফা দাবি আদায়ে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ,সুশীল সমাজ নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় রাখবেন। বিএমএসএফ'র সদস্যরা সামাজিক দায়বদ্ধ থেকে সাংবাদিকতা করার প্রতিশ্রুতি জ্ঞাপন করে সাংবাদিকদের স্বার্থ, অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে।


আরও খবর



নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল বিএনপি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 |

Image

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে, ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রার্থী দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলের চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, আমরা জ্বালাও-পোড়াও, আগুনসন্ত্রাসে বিশ্বাসী নই। আগুনসন্ত্রাস করে কোনো সমাধান আসে না। একই সঙ্গে আমরা লগি-বৈঠার তাণ্ডবও চাই না।

সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে কয়েক ডজন সাবেক নেতা তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেন। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল সাব্বির আহমেদ তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেন।

বিএনপির চলমান অবরোধ কর্মসূচি প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমি একসময় বিএনপির রাজনীতি করেছি। সবাই জ্বালাও-পোড়াওয়ের সঙ্গে জড়িত নয়। এজন্য সবাইকে ঢালাওভাবে দোষারোপ করা ঠিক হবে না। যারা প্রকৃতপক্ষে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তৃণমূল বিএনপির রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূল বিএনপির রাজনীতি এমন হবে- কেন্দ্র যাবে তৃণমূলের কাছে। জনগণের কল্যাণই হবে আমাদের রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য।

সভায় দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমানসহ তৃণমূল বিএনপিতে সদ্য যোগদান করা নেতারা বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



বাজার ব্যাগে মাদক বিক্রি, ব্যবসায়ী আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে থানা পুলিশের অভিযানে ইয়াবার বিকল্প ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। এসময় তার কাছ থেকে ৮৮০ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। আটক ওই মাদক ব্যবসায়ীর নাম সমুয়েল চাম্বুগং (২৮)। তিনি দুর্গাপুর উপজেলার বারমারী গ্রামের গ্রেটিলশন সাংমা ছেলে। 

রবিবার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার উত্তর বারমারী গ্রাম থেকে আটক করা।

দুর্গাপুর থানা সূত্র জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুর্গাপুর থানার এসআই মোঃ সানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে দুগার্পুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর বারমারী গ্রামে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই মাদক বিক্রেতা মাদক দ্রব্যসহ পালানোর চেষ্টাকালে সমুয়েল চাম্বুগংকে আটক করে তার কাছে থাকা বাজারের ব্যাগ থেকে ৮৮০ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

দুর্গাপুর থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল আলম জানান, আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করে রবিবার দুপুরে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। 


আরও খবর



নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে কমনওয়েলথ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানাবে কমনওয়েলথকথা বলছেন ইসির সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

ঢাকা: কমনওয়েলথের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল এসে ভোটের পদ্ধতি জেনে গেছে। পরিস্থিতি মূল্যায়নের পর পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত অবহিত করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কমনওয়েলথে প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ইসি সচিব বলেন, কমনওয়েলথ থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল এসেছিলেন। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনের আইন-কানুন, বিধি-বিধান, ভোটের দিন যানবাহন সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা এসব বিষয় কমিশনের কাছে অবহিত হতে চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার তাদের কাছে এসব বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন। এতে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, এটা তাদের অগ্রবর্তী দল। তারা সুপারিশ তুলে ধরবেন। তারপর কমনওয়েলথের পূর্ণাঙ্গ প্রতিনিধিদল নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসবে, কি আসবে না, তা পরে জানাবে।

তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, না। রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চায়নি। বিধি-বিধান, ভোট কীভাবে হয়, ভোটাররা কীভাবে ভোট দেয়, পোস্টাল ব্যালটে ভোট কীভাবে হয় এগুলো সম্পর্কে তারা অবহিত হতে চেয়েছেন। এটা ছিল দ্বিপক্ষীয় আলোচনা।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, নির্বাচন পদ্ধতিটা জানতে চেয়েছেন তারা। কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না, এসব জানতে চাননি। বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোটাররা কীভাবে ভোট দেবেন, ভোট কীভাবে নেওয়া হবে, ভোট স্বচ্ছ করতে হলে যে পদ্ধতিগুলো আছে, রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের কাজ কি এসব বিষয় তারা অবহিত হয়েছেন।

কোনো মানদণ্ডের কথা বলেছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, না না। তারা আমাদের নির্বাচনী প্রসেস সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তারা আসলে জানতে চেয়েছেন নির্বাচনী পদ্ধতিটা। তাদের আসার ভিত্তিটা তারাই বলতে পারবেন।

কমনওয়েলথের গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পিচ ডাইরেক্টোরেটের ইলেকটোরাল সাপোর্ট উপেদষ্টা এবং প্রধান লিনফোর্ড এন্ড্রুস, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিসার্চ অফিসার সার্থক রয়, রাজনৈতিক উপদেষ্টা লিন্ডউই মালেলেকা, নির্বাহী কর্মকর্তা ঝিপি ওজাগো ইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।


আরও খবর



রাঙ্গামাটিতে আবারো নৌকার মাঝি হলেন দীপংকর তালুদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

উচিংছা রাখাইন রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি :

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রায় এক ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশীকে ডিঙ্গিয়ে রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝি হলেন চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ দীপংকর তালুকদার। এ নিয়ে টানা ৬বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন তিনি। ২৯৯নং পার্বত্য রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনের জন্য রোববার দুপুরে তার মনোনয়ন নিশ্চিত করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙ্গামাটি ২৯৯ একটি সংসদীয় আসনে নৌকা প্রতীক চেয়ে দীপংকর তালুকদারসহ ১০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দলীয় মনোনয়ন পেলেন দীপংকর তালুকদার।

বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ দীপংকর তালুকদার এমপি বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্যর দায়িত্ব পালন করছেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনসহ বর্তমানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা যখন সারাদেশে দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাপ চলছিল; সেসময় পাহাড়ের রাজনীতির মাঠেও নানা ধরনের গুজব উঠে। এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নিখিল কুমার চাকমাসহ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী কামাল উদ্দীন, বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরকল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সন্তোষ কুমার চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য সমরেশ দেওয়ান, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমর কুমার দে এবং রাঙ্গামাটির সাবেক সিভিল সার্জন অবসরপ্রাপ্ত ডা. স্নেহ কান্তি চাকমা ও মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী ঢাকার কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে রাঙ্গামাটির ২৯৯ আসনে আওয়ামীলীগের পক্ষে এমপি পদে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নৌকার মাঝি হতে দলীয় টিকিট পেলেন সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার। এই ধারাবাহিকতায় আবারো প্রমাণিত হলো পার্বত্য রাঙ্গামাটি আসনে দীপংকর তালুকদারের কোনো বিকল্প নেই।

আওয়ামীলীগের হয়ে রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনে থেকে টানা ছয়বার অংশ নিয়ে চারবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন দীপংকর তালুকদার। এর মধ্যে বিএনপি এবং অনিবন্ধিত আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) প্রার্থী একবার করে বিজয়ী হয়েছেন।

উল্লেখ্য, দীপংকর তালুকদার ১৯৫২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটিতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মাান) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাজনীতির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ করে আসছেন। ৭৫’এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশে যে কজন নেতা এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল, দীপংকর তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৬৯ ও ১৯৮৭ এর গণঅভূত্থানে অংশগ্রহণ করে তিনি দু’বার কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি ১৯৭২-৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ছাত্র সংসদের সদস্য এবং ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩-৭৪ সালে তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং ইংরেজি বিভাগীয় সমিতির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৮৬ সালে তিনি রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আবার কারারুদ্ধ হন তিনি। ১৯৯৬ ও ২০০২ সালে তিনি পরপর দুইবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এখন পর্যন্ত তিনি দলের নেতাকর্মীদের সমর্থনে সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে রাঙ্গামাটির ২৯৯ আসন থেকে সাংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ সালে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ১৯৯৬ সালের বাংলাদেশ শিক্ষা কমিটি, সংস্থাপন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় সংসদ হাউস কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮ সালে প্রতিমন্ত্রীর পদ মর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদনে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। ২০০৯ সালে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর