Logo
শিরোনাম

ইটনায় সরকারি স্কুলের তদন্ত রিপোর্টে "জজমিয়া কাহিনী"

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মোঃ মুজাহিদ সরকার কিশোরগঞ্জ ঃ

ইতিহাসের পাতায় জজমিয়ার কাহিনী এক নাটকীয় মিথ্যা গল্প। কোন বানানো গল্প বা নাটকীয় মিথ্যা গল্পের কথা আলোচনা হলেই ইতিহাসের পাতা থেকে "জজমিয়ার" নাম চলে আসে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমল; ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার লক্ষ্যে তাঁর সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এই হামলায় ২২ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আড়াইশর বেশি লোক, যারা এখনো গ্রেনেড হামলার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে এই গ্রেনেড হামলার কথা উঠলেই হতাহত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি আরেকটি নাম ঘুরে ফিরে আসে। তিনি জজ মিয়া। 

গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বিচারের প্রহসনের নামে লজ্জাজনক এক নাটক সাজায় তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইতিহাসের পাতায় এটি ‘জজ মিয়া নাটক’ নামে জায়গা করে নেয়। গ্রেনেড হামলার সত্যিকারের অপরাধীকে আড়াল করার জন্য নিরপরাধ সিডি বিক্রেতা জজ মিয়াকে আটক করে হামলার মূল হোতা বানানোর চেষ্টা করে বিএনপি সরকার।

তেমনি আর একটি জজমিয়ার কাহিনীর মত ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের ভয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তদন্ত রিপোর্টে। 

গত ২৮ আগস্ট "ইটনায় সরকারি স্কুলে বেলা ১২টায় শিক্ষক আসে নাই, ক্লাস নিচ্ছেন দপ্তরী" নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একই নিউজ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা যেমনঃ দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক আমার সংবাদ, দৈনিক দেশবাংলা, দৈনিক আজকের পত্রিকা সহ বেশ কিছু অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশিত হবার পর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক তদন্তের নির্দেশ দেন ইটনা সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন কে। নির্দেশ মোতাবেক ২৯ আগস্ট তদন্ত করার জন্য ভয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে তদন্ত রিপোর্ট পাঠান তদন্ত কর্মকর্তা।

০৫ আগস্ট (সোমবার) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়ে দুইজন সহকারী শিক্ষক মুক্তাহার ইয়াসমিন এবং পপি দাস কে শোকজ করেছেন বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক জানান, উপজেলা থেকে তদন্ত রিপোর্টে তিনি পেয়েছেন 'ভয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের নৈমিত্তিক ছুটি ছিল এবং উক্ত স্কুলে একজন সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসাইন যথাযথ সময়ে স্কুলে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি স্কুলের দ্বিতীয় তলায় ক্লাসে ছিলেন।

এবার আসি নতুন "জজমিয়ার গল্পে" গত ২৮ আগস্ট প্রকাশিত সংবাদ কে মিথ্যা বানানোর জন্য জজমিয়ার গল্পের মতোই তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে কারন উক্ত তারিখে প্রতিবেদক সরজমিনে যখন ভয়রা স্কুলে উপস্থিত হন তখন ঘড়ির কাটায় সময় আনুমানিক সকাল সারে এগারোটা (১১:৩০) বাজে।

স্কুলে প্রতিবেদক উপস্থিত হবার পর দেখা যায় একটা স্কেল হাতে একজন ব্যক্তি ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা করাচ্ছেন। তখন সংবাদ প্রতিবেদক ঐ ব্যক্তি পরিচয় জিজ্ঞেস করলে জানতে পারেন তিনি স্কুলের দপ্তরী, উনাকে জিজ্ঞেস করা হয় স্কুলে কোন স্যার-ম্যাডাম নাই? তখন দপ্তরী নূরে আলম প্রতিবেদক কে জানান, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম স্যারের ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে হাসপাতালে আছেন, বাকি স্যার ম্যাডাম এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করতেছি উনারা মনে হয় রাস্তায় আছেন আপনি একটু অফিসে এসে বসেন, আমি স্যার ম্যাডামকে ফোন দিচ্ছি আর আপনার জন্য চা নাস্তার ব্যবস্থা করতেছি আপনি একটু বসেন। তখন সংবাদ প্রতিবেদক অফিস কক্ষে ঢুকতেই দেখতে পান একজন বসে আছেন তিনি উক্ত বিদ্যালয়ের নতুন কমিটির বিদ্যোৎসাহী মোঃ মাহাতুবুদ্দিন (স্কুলে স্যার-ম্যাডাম নাই এবং দপ্তরী নূরে আলম স্যার-ম্যাডাম কে ফোন দিচ্ছে ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত)।

কোন শিক্ষকদের না পেয়ে প্রতিবেদক সকাল ১১: ৩৯ মিনিটে ইটনা সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন কে মুঠোফোনে বিষয়টি জানানোর পর তিনি বিষয়টি খোঁজ খবর নিচ্ছেন জানান (রেকর্ড সংরক্ষিত)।

প্রতিবেদক বিদ্যোৎসাহী মোঃ মাহাতুবুদ্দিন কে নিয়ে স্কুলে ক্লাস গুলো দেখার জন্য দ্বিতীয় তলায় যান, তখন সাথে উক্ত স্কুলে সাবেক শিক্ষার্থী এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক ছিলেন। স্কুলের দপ্তরী নূরে আলম দ্বিতীয় তলার শ্রেণিকক্ষে তালা খুলে দেখান। তখন দ্বিতীয় তলায় ৬-৮ জন শিক্ষার্থী ছাড়া কোন শিক্ষক ছিলেন না (ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত)। স্কুলের প্রতিটা ক্লাস কক্ষ ঘুরে দেখার পর উপস্থিত সবার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় (ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত)।

তদন্ত রিপোর্টে সরকারী শিক্ষক ইকবাল হোসাইন লিখেছেন তিনি স্কুলে ছিলেন এবং ক্লাস করাচ্ছিলেন তাহলে প্রশ্ন ০১) যখন দ্বিতীয় তলায় সংবাদ প্রতিবেদক, অভিভাবক গিয়েছিলেন দপ্তরি সহ তখন তিনি কোথায় ছিলেন? ০২) দপ্তরী নূরে আলম কেন বলেন নাই একজন শিক্ষক উপরে আছেন? ০৩) একজন অপরিচিত মানুষ স্কুলে গিয়ে ছবি তুলেছেন তখন সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসাইন কেন উনার পরিচয় জিজ্ঞেস করলেন না? ০৪) সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসাইন প্রায় বারোটার সময় স্কুলে উপস্থিত হয়ে সংবাদ প্রতিবেদক চলা যাবার সময় তার সাথে কথা বলেন, বিভিন্ন রিকোয়েস্ট করেন, পরে তিনি কেন প্রতিবেদক এর নৌকা ভাড়া ২০টাকা নৌকার মাঝি কে জোর করে ধরিয়ে দেন? ০৫) সংবাদ প্রতিবেদক স্কুল থেকে চলে আসার পর

সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসাইন কেন সংবাদ প্রতিবেদকের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে রিকোয়েস্ট করেন যেন উনার বিষয়টি একটু দেখার জন্য, তিনি যে ১২টার সময় স্কুলে আসছেন এই সময়টা একটু কমিয়ে লেখার জন্য ০৬) প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে মুঠোফোনে শিক্ষক নাই বিষয়টি অবগত করলে, তিনি তখন কেন বললেন সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসাইন এবং পপি দাস কিশোরগঞ্জ থেকে আসতেছেন রাস্তায় আছেন, আপনি একটু বসেন (রেকর্ড সংরক্ষিত )। তদন্ত রিপোর্ট জানাজানি র পর আলোচনা ঝড় উঠেছে সচেতন নাগরিক এবং শিক্ষক সমাজে। কেউ কেউ বলছেন ঐ দিন প্রায় ১২:০০ টার সময় ইকবাল কিশোরগঞ্জ থেকে স্কুলে এসেছে এটা আমরা সবাই জানি কিন্তু এখন তদন্ত রিপোর্ট বলতেছে ইকবাল নাকি ঐদিন স্কুলে ছিল, তদন্ত রিপোর্ট মিথ্যা। সচেতন নাগরিক সমাজের দাবি সত্য কে মিথ্যা করার জন্য এই তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, আবার সঠিক ভাবে তদন্ত করা উচিত। প্রতিবেদক মোঃ মুজাহিদ সরকার বলেন, আমার তথ্য বহুল সত্য প্রতিবেদন কে মিথ্যা করার জন্য একটা অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। তাদের উদ্দেশ্য আমার সংবাদ টি যেকোন উপায়ে মিথ্যা প্রমাণিত করার পর আমার ক্ষতি করার। সাংবাদিক মুজাহিদ সরকার আরও বলেন, হাওর এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আরও প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে ইনশাল্লাহ। 

তদন্ত রিপোর্ট পাঠানোর বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এবং ইটনা সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ইকবাল হোসাইন যদি মিথ্যা লিখিত দিয়ে থাকেন এবং তথ্য গোপন করে থাকেন তাহলে আবার তদন্ত করে রিপোর্ট দিব এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক জানান, তদন্ত রিপোর্টে আলোকে দুইজন সহকারী শিক্ষক কে শোকজ করেছি। শোকজ এর উত্তর আসলে সন্তুষ্টমূলক না হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিব। সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসাইনের তথ্য গোপন করা এবং তিনি ১২টার সময় স্কুলে এসে লিখিত তদন্ত রিপোর্টে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি স্কুলে ছিলেন এই বিষয়ে তিনি বলেন, আপনার কাছে যত প্রমাণ আছে আমাকে পাঠান আমি দেখতেছি এই রকম হলে সেও শাস্তি পাবেন।


আরও খবর



র‌্যাংকিং এ শান্ত-লিটনের বিরাট অবনতি

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

গত বুধবার শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম টেস্ট। সে টেস্টের পারফরম্যান্স দিয়েই আইসিসির প্রকাশিত টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, আশিতা ফার্নান্ডো এবং বাংলাদেশের খালেদ আহমেদ, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাসান মাহমুদরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) আইসিসি র‌্যাঙ্কিং হালনাগাদ করে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে যাচ্ছেতাই ছিলেন লিটন কুমার দাস। নতুন বলে ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে ওয়ানডে দল থেকে সিরিজের মাঝপথেই বাদ পড়েন। তবে টেস্ট সিরিজে সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। দলের প্রয়োজনে হাল ধরার চেয়ে অপ্রয়োজনে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে দলের বিপদটাই বাড়ান লিটন।

টেস্ট সিরিজে একই অবস্থা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ক্ষেত্রেও। তবে ওয়ানডে সিরিজে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। পেয়েছিলেন সেঞ্চুরির দেখা। টেস্টে বাংলাদেশও ভুগেছে নিজেদের নির্ভরযোগ্য দুই ব্যাটারের অফফর্মের কারণে। প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানে রেকর্ড হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে হেরেছে ১৯২ রানের ব্যবধানে।

এমন হারের পর আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দলীয় র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের। বর্তমানে তাদের অবস্থান ৮ম স্থানে। এদিকে দলের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনতি হয়েছে ক্রিকেটারদের। যেখানে অবনমন দেখেছেন শান্ত এবং লিটন। আইসিসির সবশেষ প্রকাশিত র‍্যাঙ্কিংয়ে টেস্টে ৫ ধাপ নেমে ৬২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে লিটন এখন আছেন ২৯ নম্বরে। আর শান্ত ৮ ধাপ নেমে ৪৮৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছেন ৬১তম স্থানে।

এদিকে টেস্টে খারাপের জেরে ক্রিকেটারদের যেমন অবনমন হয়েছে তেমনি উন্নতিও হয়েছে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের। দ্বিতীয় টেস্টে ফিফটি করে র‍্যাঙ্কিংয়ে তিনধাপ উপরে উঠেছেন জাকির হাসান। প্রথম ইনিংসে ৫৪ রান করা এই ব্যাটার তিন ধাপ এগিয়ে অবস্থান করছেন ৭৫তম স্থানে। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ৮১ রান করা মিরাজ ১১ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৮৮ নম্বরে। আর চার ধাপ এগিয়ে ৪৬তম স্থানে উঠে এসেছেন মুমিনুল হক।

এদিকে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রবেশ করেছেন দ্বিতীয় টেস্টে অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ। ছয় উইকেট নিয়ে ৯৫তম অবস্থানে রয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। চট্টগ্রাম টেস্টে ৬ উইকেট পেয়েছেন হাসান। ওই টেস্টে ৩ উইকেট নেয়া আরেক পেসার খালেদ আহমেদ ৬ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৮৩ নম্বরে।

ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন, বোলিংয়ে ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা ধরে রেখেছেন শীর্ষস্থান


আরও খবর



শেরে খোদা আলি (রাঃ) ইমানদারদের অভিভাবক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নবীকরিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ৩১তম বংশধর, শাহ্জাদা-এ-গাউসুল আযম, মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, ২১শে  রমজান মহিমান্বিত এক দিবস যে দিন মওলা-এ-কায়েনাত, শেরে খোদা, মুশকিল কোশা হযরত মওলা আলি (রাঃ) শাহাদাত বরণ করেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি পবিত্র ক্বাবা ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী পুরুষ। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রেমে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ইসলাম প্রচারের প্রাথমিক যুগে, যখন প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পাশে কেউ ছিলেন না, তখন হযরত আলি (রাঃ) প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সাথে ছায়ার মত লেগে ছিলেন। আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হলেন জ্ঞানের শহর আর হযরত আলি (রাঃ) হলেন সেই জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশের দরজা। হযরত মওলা আলি (রাঃ) এর অনুসরণ ব্যতীত কেউ সেই জ্ঞানের শহরে প্রবেশ করতে পারবে না৷ মওলা আলি (রাঃ) হলেন মু'মিন ও মুনাফিক চেনার আয়না। মু'মিনরা মওলা আলি (রাঃ) কে ভালোবাসবে আর মুনাফিকরা তার সাথে বিদ্বেষ পোষণ করবে। প্রিয় নবিজী (দ) তাকে মু'মিনদের অভিভাবকরূপে নির্ধারণ করেছেন।"

সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী আরো বলেন, "তিনি ছিলেন এমনই একজন মহাবীর, যাকে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) 'শেরে খোদা' বা 'আল্লাহর সিংহ' উপাধি দিয়েছেন এবং নিজের 'যুলফিকার' নামক তরবারি উপহার দিয়েছেন। একদিক থেকে তিনি প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পরম বন্ধু, ভাই ; অপরদিকে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর জামাতা ও উত্তরসূরী। তিনি বেহেশতে নারীদের নেতা মা ফাতিমাতুজজাহরা (রাঃ) এর স্বামী এবং বেহেশতে যুবকদের নেতা হযরত সাইয়্যেদুনা ইমাম হাসান (রাঃ) ও ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর সম্মানিত পিতা। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মাধ্যমে নবুয়্যতের সমাপ্তি ঘটলেও বেলায়ত হল নবুয়্যতের ছায়া। মওলা আলি শেরে খোদা (রাঃ) কে আমাদের প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সেই বেলায়তের সিংহাসনে বসিয়েছেন। তাই মওলা আলি (রাঃ) এর প্রতি ভালোবাসা, তার অনুসরণের মাঝেই সত্য পথের পথিকরা পৃথিবী ও আখিরাতের জীবনে মুক্তির পথ এবং মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা ও প্রিয় নবিজী (দ) এর সান্নিধ্য অর্জনের পথ খুঁজে পাবে।

৩১শে মার্চ, ২০২৪ গাজীপুর কেন্দ্রীয় খানকা শরীফ জয়দেবপুর আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া শাখার উদ্যোগে হযরত মওলা আলি মুসকিল কোশা কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুল কারিম এর পবিত্র শাহাদাত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মাহফিলে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, মওলানা আবু তালেব মঈনী, মওলানা ইয়াসিন আনসারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, মুফতি মাকসুদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা নাজের হোসাইন মাইজভাণ্ডারী, হাফেজ মোহাম্মদ মনসুর আলী মাইজভাণ্ডারী, স্থানীয় খলিফাবৃন্দ, আঞ্জুমান-এ-রাহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ। 

হুযুরপুর নূর আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও আহলে বাইতে রাসুল (দ) এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ শেষে বিশ্ববাসীর কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর একতা, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন, সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। হাজারো আশেকে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



নওগাঁয় ঈদের দিন বিষাক্ত মদপানে কলেজ পড়ুয়া ৩ বন্ধুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ঈদের দিন বিষাক্ত মদপানে ৩ জন কলেজ পড়ুয়া বন্ধুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। খবর পেয়ে ঈদের দিন বৃহস্পতিবার দিবাগত ৮টারদিকে নওগাঁর মান্দা থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নিহত ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহত ৩ জনের অপর আরেক বন্ধু গা ঢাকা দিয়েছে। হা ঢাকা দেওয়া বন্ধু হলেন মুক্তার হোসেন।

নিহত ৩ জন নওগাঁর মান্দা উত্তরা ডিগ্রি কলেজ এর একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানাগেছে। নিহত ৩ জন হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়ন এর পাকুড়িয়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে শারিকুল ইসলাম ওরফে পিন্টু (২২), পাকুড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ এর ছেলে আশিক হোসেন (২২) ও প্রসাদপুর ইউনিয়ন এর দ্বারিয়াপুর গ্রামের  নেকবর আলীর ছেলে নাঈমুর রহমান ওরফে নিশাত (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মান্দা উপজেলার বিলউরাইল গ্রামের মাঠে ৪ জন যুবক এক সঙ্গে মাদপান করে। মদ পানের কিছু পরই তারা অসুস্থ হয়ে পরলে। তাদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ 

নেওয়ার পথে আশিক এর মৃত্যু হয়। অপর দু' জনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন। মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আনন্দ কুমার বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই পিন্টু ও নিশাতের মৃত্যু হয়েছে। 

এব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ

মোজাম্মেল হক কাজী প্রতিবেদক কে ৩ জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ৩ জনের মৃতদেহ ময়না তদন্ত এর জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর পস্তুতি চলছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



দেশজুড়ে তীব্র লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ভেস্তে গেল বিদ্যুৎ বিভাগের সব পরিকল্পনাই। গ্রাম থেকে নগর- সবখানেই লোডশেডিং চরমে। গরমে সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়াতে পারে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, এমন পূর্বাভাস থাকলেও ১৫ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা মেটাতেই হিমশিম অবস্থা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সামনে দিনগুলোতে আরও তীব্র হতে পারে পরিস্থিতি।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দিনে কয়েকবার লোডশেডিং সইতে হচ্ছে নগরবাসীকে। তবে শহরের পরিস্থিতি যাই হোক, গ্রামের চিত্র আরও নাজুক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে অনেক এলাকার মানুষকে।

চলতি মৌসুমে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মেগাওয়াট, কিন্তু এখন পর্যন্ত চাহিদা ১৫ হাজার মেগাওয়াটের ঘরে উঠতেই ঘাটতি ছাড়িয়েছে দুই হাজার মেগাওয়াট।

এবারের গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ বিভাগের বড় নির্ভরতার জায়গায় রাখা হয়েছিল, গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোকে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনে দৈনিক ন্যূনতম ১৫৪ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও মিলছে মাত্র এর দুই-তৃতীয়াংশ। আবার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ৪ হাজার মেগাওয়াট বেশি রাখার লক্ষ্য থাকলেও এখনো আটকে আছে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াটের নিচে।

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, জ্বালানি সংকটে ধুঁকছে ৬০টির বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র, আর কারিগরি ত্রুটি ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ আছে ৩০টির বেশি কেন্দ্র। এতে সক্ষমতা থাকার পরও উৎপাদন করা যাচ্ছে না সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমদানি নির্ভর পরিকল্পনার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবেই প্রকট হচ্ছে লোডশেডিং। শঙ্কা রয়েছে সংকট আরও তীব্র হওয়ার।

কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে বিদ্যুতের যে পরিস্থিতি, সেটা কদিনে আসেনি। নানা ধরনের ভুল, বিভ্রান্তি, অপরিকল্পনা, অদূরদর্শিতা থেকে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমদানি করার মতো ডলারও নেই। কাজেই যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটা আরও প্রকট হবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের কথা বলছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ১২ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে তারা যেতে পারছে না। এই যে বিরাট একটা গ্যাপ, এই গ্যাপটা তো সহজে তারা কভার করতে পারবে না। ডলারের যে সংকট, এ অবস্থায় আমরা একেবারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারবো না।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানাচ্ছে, দিনকয়েকের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ শেষে সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আবারও সচল হলে বাড়বে গ্যাস সরবরাহ, আর তাতে স্বস্তি মিলবে বিদ্যুতেও।


আরও খবর

সাত ধরনের মোটরযানের কর মওকুফ

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




প্রতিফলন দেখা যাবে উপজেলা নির্বাচনে

গাজীপুর-৩ আসনে আ.লীগের রাজনীতিতে বাড়ছে ক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন,সিনিয়র রিপোর্টার:

গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ক্ষোভ হতাশা বিভেদ এবং বিভক্তি বাড়ছে।

আশাহত মানুষের কাফেলায় প্রতিদিন যোগ হচ্ছে নতুন মুখ।নেতৃত্বের অদুরদর্শিতা ও একক স্বার্থের নব ইতিহাসের সমুখে  সরোবমুখগুলো আবার খুঁজছে এমন একটি মুখ, যে মুখ তাদেরকে নিরাশ করবে না।এমন অভিযোগ ও প্রত্যাশা রয়েছে সর্বত্রই।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ঐক্যবদ্ধ কাফেলার সরোব পদচারণা এবং বিভিন্ন জনপদে যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠি,সেই ঐক্যবদ্ধতায় ফাটল ধরেছে ফ্যাক্টরির ঝুট ব্যবসার বখরা না পেয়ে।

কথা দিয়ে কথা না রাখা,বিশেষ ব্যক্তির একক সিদ্ধান্ত,সুসম ফ্যাক্টরী ব্যবসা না পাওয়ায় এই জনপদের রাজনীতির অভ্যন্তরে যে চাপা কষ্টের সূচনা হয়েছে তার প্রতিফলন দেখা যাবে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় যে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের মুখর উদ্দীপণা ও এক মঞ্চে এসে পরিবর্তনের যে স্বপ্ন ও প্রতিশ্রুতি ছিল,বাস্তবে তা আর নেই।বাহ্যিকভাবে তা প্রকাশ না হলেও বঞ্চিত নেতৃত্বের আশীর্বাদ আর পাচ্ছেন না ক্ষমতাসীনরা।

যার বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাবে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায়।ইতোমধ্যেই চুড়ান্ত মিটিং করে উপজেলায় প্রার্থি কে,তার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতৃত্ব।একথা অনস্বীকার্য যে,সিংহভাগ নেতৃত্ব যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গোপনে গ্রহন করেছেন জনমত তাদের দিকেই থাকবে।

যেহেতু এবারের উপজেলা নির্বাচন প্রতিকবিহীন হতে যাচ্ছে,সে কারনে বঞ্চিত নেতৃত্ব এবার তাদের পছন্দের প্রার্থির পক্ষেই অবস্থান গ্রহন করবেন। নির্বাচিত হলে এই প্রার্থিই বঞ্চিতদের বঞ্চণা নিরসনে শক্ত অবস্থান গ্রহন করবেন।আর ঠিক সেসময়ই ক্ষমতাসীনদের সাথে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এছাড়াও এখানকার রাজনীতির মূল চাবিকাঠি চলে যাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের হাতে।সেক্ষত্রে বর্তমান নেতৃত্বকে হয় একলা চলো নীতি গ্রহন করতে হবে,না হয় ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের সকল শর্তাবলী মেনে নিতে হবে।বাস্তবতা হল উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব মানা ক্ষমতাসীনদের পক্ষে সম্ভব হবে না।

কারন তারা যদি ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের প্রস্তাব মেনে নেয় তবে পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল ধরবে।রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্ভর হতে হবে।কাঠের পুতুল হয়ে তাদের কথা মেনে চলতে হবে,যা মানা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব।

এছাড়া ফ্যাক্টরি ও অন্যান্য অর্থনৈতিকখাতে যাদেরকে বসানো হয়েছে তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন তালিকায় শুরু করতে গেলে অনুসারিদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম হবে এবং রাজনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরবে।দূর্বল হয়ে যাবেন ক্ষমতাসীনরা।ব্যবসায় পরিবর্তন আনতে গেলেই উত্তাল ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে রাজনীতি বর্তমান নেতৃত্বের।সেই ঝুঁকি তারা নেবেন বলে মনে হয় না।

ফলে বর্তমান নেতৃত্ব উপজেলায় তাদের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বদলে হারাবেন নিজেদের আধিপত্ত।আর এখান থেকেই সূচনা ঘটবে '২৯ সালে সংসদ নির্বাচনে আবার প্রার্থি পরিবর্তনের পদযাত্রা।

তখনও ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বই সফল হবেন।কারন সামনের বছরগুলোতে বর্তমান নেতৃত্ব একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন এবং তারা জনক্ষোভের মুখে পড়বেন,যার আলামত দেখা যাচ্ছে এখনই।

অর্থাৎ সরলরেখায় বললে বলা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারনায় যে মুখগুলো প্রার্থি পরিবর্তনের পক্ষে মঞ্চ ও মাঠ কাঁপিয়েছিলেন তাদের অবস্থানের পরিবর্তন আসন্ন। সেই সব নেতৃত্ব উপজেলায় ক্ষমতাসীন পরিবারের প্রার্থির বিপক্ষে অবস্থান গ্রহন করবেন বলে নানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

কাজেই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন পরিবার উপজেলায় তাদের নিয়ন্ত্রণ হারাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।আর উপজেলায় যদি সত্যিই তাদের পরাজয় ঘটে তবে গাজীপুর-৩ আসনে '২৯ সালের সংসদ নির্বাচনে আবার প্রার্থি পরিবর্তন ঘটতে পারে।

এছাড়াও ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের চোখে এই আসনের কর্মকান্ড নিয়ে যেসব অভিযোগ জমা হয়েছে তা সুখকর নয়।সেসব অভিযোগ এবং আগামি সাড়ে ৪ বছরে যা যা ঘটবে তাতে জনক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে।

সেসব বিষয়সমুহ কেন্দ্রিয় নেতৃত্ব আমলে নিলে হয়ত বা '২৯ সালে গাজীপুর-৩ আসনবাসি দেখবেন এমন এক নতুন মুখ,যে মুখ হবেন সম্ভাব্য আলোচিত প্রার্থিদের বাইরের কেউ,এতে সন্দেহের অবকাশ নেই।কাজেই সাধু সাবধান!


আরও খবর