Logo
শিরোনাম

ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরই ইউক্রেনকে সহায়তাকারী প্রকল্পগুলো স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)। সংস্থার সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউএসএআইডির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেনের প্রকল্পগুলোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সব কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। খবর তাসের।

স্থগিত করা প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে স্কুলে সহায়তা, জরুরি মাতৃত্বকালীন যত্ন এবং শৈশবের টিকাদানের মতো স্বাস্থ্যসেবাও।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ৯০ দিনের জন্য বেশিরভাগ বিদেশি সাহায্যের জন্য অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন।

সব কূটনৈতিক ও কনস্যুলার পদে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসারে, বিভাগের কর্মীদের প্রায় সব বিদ্যমান বৈদেশিক সহায়তার ওপর স্টপ-ওয়ার্ক অর্ডার জারি হবে। তবে, মিশর এবং ইসরায়েলের জন্য বিদেশি সামরিক অর্থায়ন অব্যাহত থাকবে বলে জানায় পলিটিকো।


আরও খবর



আমতলীতে মাজার ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বরগুনার ইসমাইল শাহ মাজারে বাৎসরিক ওরশ চলাকালে মাজার ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তৌহিদি জনতা। প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। আগুনে মাজারের ভিতরের সামিয়ানা ও দুইটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বিক্ষুব্ধ তৌহিদি জনতার হামলায় অন্তত ১৮/২০জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েক জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় রবিবার রাত সোয়া ১২ টার দিকে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে তিনটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় ১৯৯৬ সালে ইসমাইল শাহ মাজার স্থাপন করা হয়। ওই সময় থেকে মাজার কর্তৃপক্ষ দুইদিন ব্যাপী ওরশ উৎযাপন করে আসছেন। ২৮তম ওরশ রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়। ওইদিন তৌহিদি জনতা মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী নেতৃত্বে তাদের শতশত সর্মাথক তৌহিদি জনতা এসে মাজার পুজা ও গান বাজনা বন্ধ করতে বলেন।

কিন্তু মাজারের খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরশ বন্ধে অপরগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্য দ্বন্দ্ব হয়। এক পর্যায় তৌহিদি জনতা লাঠি সোটা নিয়ে মাজার ভাংচুর করে এবং আগুন দেয়। এতে ওই ওরশে আসা শতশত ভক্ত ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে মাজারের দুইটি বৈঠকখানা ও মাজারের মধ্যে সামিয়ানা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে অন্তত ১৮/২০ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে সোলায়মান (৩৮), রেজাউল (১৮), বাদল মৃধা (৪০), দুলাল মৃধা (৪২), আবু বকর (২৯), আবুল হোসেন (২৮), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৮), মো. মামুন (৪৩), আবুল কালাম (৪২), জোবায়ের (১৯) ও ফজলুল করিম (২৭) কে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, শতশত তৌহিদি জনতা­ লাঠি সোঠা নিয়ে এসে মাজার ভাংচুর করে। পরে মাজারে আগুন দেয়। এ সময় ওরশে আসা শতশত ভক্তবৃন্দ ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ধাউ ধাউ করে জ্বলতে থাকে। মানুষ দিক বেদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন।

ইসমাইল শাহ মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীর নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক লাঠি সোঠা নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে মাজারে হামলা চালায় এবং আগুন দেয়। এতে মাজারের ভিতরের গিলাব এবং দুটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, তারা ভক্তবৃন্দকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।

মুফতি ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, এ মাজারটি ভন্ডের আস্তানা। এখানে ওরশের নামে গানবাজনা ও গাজা মাদক সেবন ও নারীর আসর বসে। আর মাজারটির ভক্তবৃন্দ মহিলারা পীরের কবরে ও প্রধান খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের পায়ে সেজদা দেয়। ওরসে নারী পুরুষদের গান বাজনাও চলে প্রকাশ্যে। যা সম্পুর্ণ ইসলাম বিরোধী। আমার মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে এই রমজান মাসে অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম কিন্তু তিনি তা না শুনে তার নির্দেশে তার ভক্তবৃন্দেরা আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এই ভন্ড মাজারের খাদেম বাবুল ও তার দোসরদের শাস্তি দাবী করছি।

আমতলী ফায়ার ষ্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ বলেন, দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত ২ টা ৩৫ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুনে মাজারের ভেতরের সামিয়ানা ও দুই ঘর পুড়ে গেছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অঅইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসান ও ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা বলেন আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



রমজানে স্বস্তি ফেরাতে বেশকিছু পণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেশকিছু পণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পণ্যগুলোর তালিকায় রয়েছে- সরিষার তেল, আটা, ময়দা, ডাল, এলপি গ্যাস, বিস্কুট, লবণ ও গরম মসলাসহ আরও কিছু পণ্য।  সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে। সরিষার তেলের উৎপাদন পর্যায়েও ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে, যার কোনো সময়সীমা দেওয়া হয়নি।

এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত যেসব পণ্যের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো- বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, গুঁড়া মরিচ, ধনে, হলুদ, আদা, চালের কুঁড়ার তেল, সূর্যমুখী তেল, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল, ডাল বা ডাল- জাতীয় খাদ্যশস্য।

শর্ত সাপেক্ষে এলপি গ্যাস ও প্রাকৃতিক গ্যাসেও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়। যারা নিজেরা আমদানি করে নিজেরাই ভোক্তার কাছে বিক্রি করেন, তারা ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পাবে না।

ওই পণ্যগুলোতে ভ্যাট সুবিধা পেতে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে- ভ্যাট নিবন্ধন, চালান ইস্যু, সব ধরনের রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ, মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিলসহ বেশ কিছু শর্ত।


আরও খবর



দমনপীড়নে অংশ না নিতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় দমনপীড়নে অংশ না নিতে জাতিসংঘ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।, তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দমনের পথে গেলে শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অংশগ্রহণ বন্ধের সতর্ক বার্তা দিয়েছিল জাতিসংঘ।

সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের হার্ডটক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার (৫ মার্চ) বিবিসির ওয়েবসাইটে অনুষ্ঠানের এই পর্ব প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে গাজা, সুদান, ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘকে ক্ষমতাহীন মনে হচ্ছে বলে জানান বিবিসির উপস্থাপক স্টিফেন সাকার। জবাবে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেন ভলকার তুর্ক।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, জুলাই-আগস্টে ব্যাপক আন্দোলন করেছিল শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনার সরকার দমনপীড়ন চালিয়েছিল। তাদের (ছাত্ররা) জন্য বড় আশার জায়গা ছিল আসলে আমরা কী বলি, আমি কী বলি, আমরা কী করতে পারি এবং আমরা ওই পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করি।

‘আমরা সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলাম, যদি তারা জড়িয়ে পড়ে তাহলে আর শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী হিসেবে থাকতে পারবে না। ফলে আমরা পরিবর্তনটা দেখতে পেলাম। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দায়িত্ব নিলেন। ফলে স্পটলাইটে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা আমরা এখানে দেখলাম।’ বলেন ভলকার তুর্ক।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এই হাইকমিশনার বলেন, অধ্যাপক ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিলেন, তিনি আমাকে তাৎক্ষণিকভাবে বললেন, আপনি কি একটি তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠাতে পারেন, পরিস্থিতির ওপর গুরুত্ব দিতে পারেন এবং সেখানে যা ঘটছি, তা তদন্ত করতে বললেন। আমরা এগুলোই করেছিলাম। এবং এটা কার্যত সাহায্য করেছিল।

ভলকার তুর্ক আরও বলেন, আমি গত বছর বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। আমরা একটি অবস্থান নেওয়ায়, আমরা কথা বলায় এবং তাদেরকে সহযোগিতা করায় ছাত্ররা আমাদের প্রতি খুব কৃতজ্ঞ ছিল।

২০২৪ সালের জুলাইতে শুরু হওয়া সরকারি কোটা সংস্কারের আন্দোলন সংহিসতার জেরে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলন ঠেকাতে ব্যাপক দমন পীড়ন চালায় আওয়ামী লীগ সরকার। তীব্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

জুলাই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত দল অনুসন্ধান চালায়। ১৩ ফেব্রুয়ারি সেই তথ্যানুসন্ধানের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বারা সংগঠিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচারে গ্রেফতার, নির্যাতন ও অতিরিক্ত বল প্রয়োগের মতো ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উঠে এসেছে। এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গোষ্ঠী, সংগঠন, বিভিন্ন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জড়িত ছিলেন বলে প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছিল।

বুধবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টার পর জেনেভায় বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট বিক্ষোভের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ওপর জাতিসংঘের মানবাধিকার তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ভলকার তুর্ক।

সেখানে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ দমাতে শেখ হাসিনাসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন বলে জানান তিনি।


আরও খবর



সানস্ক্রিন ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

একেকজনের ত্বক একেক রকম, তেমনি ত্বকের সমস্যাও ভিন্ন। ত্বকে যা দারুণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, আরেকজনের ক্ষেত্রে হয়ত হিতে বিপরীত। তবে ত্বকের যত ধরনের সমস্যা দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার পেছনে অনেকটাই দায়ী সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি।

এছাড়াও ত্বকের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল সানবার্ন বা পোড়াত্বক। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। এই অতিবেগুনী রশ্মি বা সানবার্ন থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখাই মূলত সানস্ক্রিনের কাজ।

প্রতিদিন আমাদের ত্বক ২ ধরনের সূর্য রশ্মির মুখোমুখি হয়। একটি ইউভি-এ অন্যটি ইউভি-বি। ইউভি-এ রশ্মি ত্বকের ভেতর পর্যন্ত যেয়ে ত্বকের কোলাজেন প্রোডাকশন কমিয়ে দেয়। যার ফলে চামড়া কুঁচকে যায়, বলিরেখা দেখা দেয়, ত্বকে বয়সের ছাপ বোঝা যায়, ফাইন লাইনের মতো সমস্যা এবং রিংকেল তৈরি হয়। ইউভি-বি রশ্মি মূলত সানবার্নের মতো সমস্যার জন্য দায়ী। এছাড়া ত্বকের কালো দাগ বা পিগমেন্টেশনের সমস্যাগুলো হয় ইউভি-বি এর কারণে।

কানাডিয়ান ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন এবং আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি উভয় সংগঠনই মেলানোমা এবং ননমেলানোমা উভয় ত্বকের ক্যান্সারের প্রকোপ কমাতে এবং প্রতিরোধের জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহারের সুপারিশ করে। কেননা কানাডায়, প্রতি বছর ৮০ হাজারেরও বেশি ত্বকের ক্যান্সার ধরা পড়ে। যার ৮০-৯০ শতাংশ অতিবেগুনী রশ্মি বিকিরণের সংস্পর্শে হয় বলে অনুমান করা হয়।

ইউভি-এ এবং ইউভি-বি দুরকম সূর্য রশ্মিই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই সানস্ক্রিন কেনার আগে সেটি ইউভি-বি এর পাশাপাশি কত ভালো ইউভি-এ রশ্মি থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে তা বিবেচনা করতে হবে। কেনার আগে লেবেলে পিএ+, পিএ++, পিএ + + + এরকম কিছু লেখা আছে কিনা দেখে নিতে হবে যতগুলো প্লাস চিহ্ন থাকবে ত্বক তত সুরক্ষিত থাকবে।

সানস্ক্রিন কিংবা যেকোনো প্রসাধনী ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করলেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব। সাধারণত মানুষের ত্বকের ধরণকে ৪টি ক্যাটাগরিতে ফেলা যায়। স্বাভাবিক, তৈলাক্ত, সংবেদনশীল ও শুষ্ক। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন ধরনের ত্বকের জন্য আর্দ্রতা বজায় রাখবে এমন সানস্ক্রিন বাছাই প্রয়োজন।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে যদি ঘাম হয় বিশেষত তৈলাক্ত ত্বক যাদের, তারা সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার না করে তার পরিবর্তে ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন, জেল সানস্ক্রিন, কিংবা স্প্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারে। এতে ত্বক সহনশীল থাকবে এবং ঘামও কম হবে। অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকলে ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যায়। সমুদ্রের পানিতে নামতে অথবা সুইমিং পুলে গোসল করতেও ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তা নাহলে পানি এবং ঘামের সঙ্গে সানস্ক্রিন উঠে যাবে। অর্থাৎ তেলতেলে ত্বক হলে জেল বেসড বা ওয়াটার বেসড সানস্ক্রিন। শুষ্ক ত্বক হলে অয়েল বেসড সানস্ক্রিন ভালো কাজ করবে।

সানস্ক্রিন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের অপশন থাকে। কিন্তু সবচেয়ে বড় যে বিষয় লক্ষ্য করা প্রয়োজন তা হচ্ছে এসপিএফ। এসপিএফ হল সান প্রটেক্টর ফ্যাক্টর। সানস্ক্রিন ক্রিম ছাড়া রোদে গেলে ত্বক মাত্র ২০ মিনিটেই ত্বক পুড়ে যায়। এই পুড়ে যাওয়ার সময়টুকুকে বর্ধিত করে দেয় এসপিএফ। মূলত এসপিএফ এর উপরেই নির্ভর করে সানস্ক্রিন একজনের ত্বককে কত সময়ের জন্য সুরক্ষা দিতে পারে।

এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি থাকলে তা ত্বককে সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত করতে পারে। এসপিএফ-৩০ আল্ট্রাভায়োলেট-বি ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত ব্লক করে দেয়। আবার এসপিএফ-৫০ আল্ট্রাভায়োলেট-বি ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত ব্লক করে দেয়।

কেউ যদি এসপিএফ-১৫ এর একটি সানস্ক্রিন ব্যবহার করে সেক্ষেত্রে এসপিএফ-১৫ কে ১০ দিয়ে গুন করে যত মিনিট পাওয়া যাবে তত সময় সূর্য রশ্মি থেকে সুরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে ফলাফল আসে ১৫০ মিনিট অর্থাৎ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের জন্য নিশ্চিন্ত। এভাবে যে যত এসপিএফ এর সানস্ক্রিন ব্যবহার করছেন তা ১০ দিয়ে গুন করলে পেয়ে যাবে কতক্ষণ ইউভি রশ্মি থেকে সুরক্ষিত আছে। মূলত এজন্যই সানস্ক্রিন বাছাই করার সময় অনেকেই বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন পছন্দ করেন।

সানস্ক্রিনগুলো প্রায়শই ২টি বিভাগে বিভক্ত হয়: রাসায়নিক ও খনিজ। রাসায়নিক সানস্ক্রিনগুলোতে অ্যাভোবেনজন, অক্টিসালেট, অক্টোক্রাইলিন, হোমোসালেট এবং অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করা হয়। খনিজ সানস্ক্রিনে জিঙ্ক অক্সাইড বা টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে। রাসায়নিক এবং খনিজ উভয় সানস্ক্রিন একইভাবে কাজ করে (অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে এবং সেই শক্তিকে অল্প পরিমাণে তাপে রূপান্তর করে) ।

কারো কারো জন্য, রাসায়নিক সানস্ক্রিন ত্বকে জ্বালাপোড়া তৈরি করতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকে, ঘন ঘন প্রতিক্রিয়া হলে খনিজ সানস্ক্রিন সেদিক থেকে ভাল হতে পারে।

সানস্ক্রিন ব্যবহার

বাইরে বের হওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে এতে ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় পাওয়া যায়। না হলে সূর্যের আলোতে বের হওয়ার পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করে কোনো লাভ হয় না।

রোদ না থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে কারণ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রায় ৮০ ভাগই আটকাতে পারেনা মেঘ। তাই মেঘাচ্ছন্ন এমনকি বৃষ্টির দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়।

শুধু মুখে নয় বরং শরীরের যেসব অংশ রোদের সংস্পর্শে আসতে পারে, সেখানেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়। প্লাস ওয়ানের জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রায় ২০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী তাদের চোখের পাতায় সানস্ক্রিন প্রয়োগ করেননি। অংশগ্রহণকারীদের ধারণাও ছিল না তারা এই স্থানটি বাদ দিয়েছেন। কিন্তু এটি ছিল তাদের জন্য ভীষণ উদ্বেগজনক কেননা চোখের পাতার ত্বকে প্রতি একক জায়গায় স্কিন ক্যান্সারের ঘটনা সর্বোচ্চ।

দিনের বেলায় বাসায় যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় সেখানেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাসায় থাকলে কম এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেও চলবে কিন্তু বাইরে বের হলে বেশি এসপিএফ যুক্ত বাছাই করতে হবে।

কোন সানস্ক্রিনই পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারে না। তাই সানস্ক্রিনের এসপিএফ এর উপরই কেবল নিশ্চিন্ত না থেকে ২ ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস করা উচিত।

সতর্কতা

১) সানস্ক্রিন ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে নিতে পারেন। এতে করে এলার্জি কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রভাব প্রথমেই চেহারার পড়বে না।

২) সানস্ক্রিন ব্যবহারের পর অতিরিক্ত ঘাম হলে প্রয়োজনমত সানস্ক্রিনের সঙ্গে একটু পানি মিশিয়ে ব্যবহার করলে ঘামের সমস্যা কমে যাবে।

৩) সানস্ক্রিনের কাজ শেষ হলে অবশ্যই ভালো করে ক্লিনজিং করতে হবে।


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫




ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবি শিশু নিখোঁজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় মাছ ধরা নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে সুগন্ধা নদীর নলছিটির গৌড়িপাশা অংশে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে ডুবে যায় দুর্ঘটনার পর থেকেই নৌকায় থাকা গৌড়িপাশা এলাকার মোহাম্মদ আলী মল্লিকের ৯ বছর বয়সী শিশু রায়হান মল্লিক।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকালে নদীতে মাছ ধরা নৌকায় প্রতিবেশী বিপ্লব হাওলাদার নামের এক জেলের সাথে মাছ ধরা দেখতে গিয়েছিল শিশু রায়হান মল্লিক। জাল ফেলার পরে নদীতে অপেক্ষমান থাকা অবস্থায় ঢাকা থেকে বরগুনাগামী একটি লঞ্চ নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে নৌকাটি সেখানেই ডুবে গেলে সেই জেলে সাঁতরে অন্য নৌকায় উঠতে পারলেও শিশুটি নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। এ বিষয় নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ  আব্দুস সালাম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট শিশুটির সন্ধানে কাজ করছে সকাল থেকে । এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি শিশুটির।


আরও খবর