ইউক্রেনকে এ পর্যন্ত ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুদ্ধ সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিয়েভকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দেয়ার মাধ্যমে রাশিয়াকে বাধ্য করছে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারে। যার শিকার হতে পারে ওয়াশিংটনের বন্ধুরাষ্ট্র ইউরোপের নিরাপরাধ জনগণই। এমন মন্তব্য ভারতের ফ্লাইট অফিসার গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজয় শ্রীবাস্তবের।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার হলে বা প্রচলিত অস্ত্রে মস্কোর অস্তিত্বকে হুমকি দিলে সম্ভাব্য সবধরনের অস্ত্রের ব্যবহার করা হবে। পুতিন সতর্ক কোরেছেন, এটি কোনো ধাপ্পাবাজি নয়।
ভারতের ফ্লাইট অফিসার গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজয় প্রকাশ শ্রীবাস্তব জানান,
যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ট্যাংক দেয়ার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে হয়তো রাশিয়ার ঠিক কোরে দেয়া চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করতে চলেছে।
রাশিয়া কি প্রতিশোধ হিসাবে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার করবে?
অজয় জানান,
হিমারস রকেট সিস্টেম থেকে ট্যাংক,
অত্যাধুনিক সব অস্ত্র ইউক্রেনকে দেয়ার মাধ্যমে রাশিয়াকে প্রায় কোণঠাসা কোরে ফেলছে পশ্চিমারা। প্রতিশোধ নেয়া ছাড়া মস্কোর জন্য কোনো সুযোগই বাকি রাখছে না তারা।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে প্রায় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সহযোগিতা দিয়েছে বিশ্বের স্বঘোষিত শান্তিরক্ষী যুক্তরাষ্ট্র। যার মধ্যে অস্ত্র,
সরঞ্জাম ও নিরাপত্তা সহায়তা ২৩ বিলিয়ন। সরাসরি আর্থিক ও মানবিক সহায়তা ২৫ বিলিয়ন। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্তত ৪০টি রাষ্ট্র ইউক্রেনকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র হালকা অস্ত্র থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা,
আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য মিসাইল,
বিস্ফোরণ, নজরদারীর ড্রোন, মনুষ্যবিহীন বিমান, কামান, ট্যাংক, সাঁজোয়ানযান, সামরিক ট্রাক, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন টার্মিনাল, বিভিন্ন ধরনের রাডার, যোগাযোগের অন্যান্য সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি দিয়েছে ইউক্রেনকে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি,
গণতন্ত্র রক্ষা,
গণতন্ত্রের বিস্তার,
মানবাধিকার সমুন্নত রাখার পক্ষে কাজ করছে তারা। বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক অপরাধী যুক্তরাষ্ট্র,
ইউরোপে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার জন্য রাশিয়াকে বাধ্য করছে।
বৃহস্পতিবার পুতিন জানান,
আট দশক পর আবারও জার্মান ট্যাংকের হুমকিতে রাশিয়া। পুতিনের মুখপাত্র অজয় জানান,
পশ্চিমের নতুন নতুন অস্ত্রের জবাবে মস্কো নিজেদের শক্তিশালী অস্ত্রের সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে।
অজয় বলেন,
বিশ্বকূটনীতর নজিরবিহীন উদাহরণ যে,
স্বঘোষিত পারমাণবিক অপরাধী যুক্তরাষ্ট্র চক্রান্ত কোরে তার হাজার হাজার মাইল দূরের বন্ধুদেশের নিরাপরাধ মানুষকে হিরোশিমা ও নাগাসাকির মতো নির্মম ভাগ্য বরণে রাশিয়াকে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারে বাধ্য করছে।