Logo
শিরোনাম

জামায়াতের রাজনীতি সমর্থন করি না: ফখরুল

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি জামায়াতের রাজনীতি সমর্থন করি না। কিন্তু তাদের যে সাংগঠনিক কাঠামো তা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত। 


নিজেরা নিজেরা পড়ালেখা করে ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। রোববার (২ জুন) দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।



বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।


ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার দেশপ্রেমিক নয়, ওরা বর্গী। সেজন্যই দেশের টাকা লুটে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা আজ দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। জাতি এখন দ্বিধা বিভক্ত। জিয়াউর রহমান তো নিজে রাজনীতিতে আসেননি। 



তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার নেতৃত্ব দেখে ৭৫ সালে সৈনিকেরা তাকে ফের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।


তিনি বলেন, আজকে পত্রিকা খুললে শুধু লুট আর লুটের খবর। কারা লুট করছে? যারা বড় বড় কর্তা। সেই আর্মির প্রধান, পুলিশের সাবেক আইজি তারা কী করেছে? সংসদে ভদ্রলোক কয়জন খুঁজে পাবেন? বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করছে। রিজার্ভের ডলার লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। 


শেয়ার বাজারে রথি মহারথিরা লুট করছে। তারা এতো বড় মানুষ তাদের পাশে যাওয়া যায় না। কেউ দরবেশ, কেউ মাফিয়া, কেউ হুজুর। আজকে চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৫০ ভরি স্বর্ণ গায়েব হয়ে গেছে। কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই।


বিএনপির মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি জানলে আশ্চর্য হতে হবে। তিনি দেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন। ক্ষমতায় আসার পর দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুসংহত করতে উদ্যোগ নেন। 


সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। তিনি ছিলেন দেশপ্রেমিক। সেজন্যই সকল রাজনৈতিক দল তার ওপর আস্থা রেখেছিল। কমিউনিস্ট পার্টি ও মোজাফফর সাহেবের ন্যাপ জিয়াউর রহমানের ১৯ দফাকে সমর্থন দিয়েছিলেন।


সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ। 


আরও খবর



পিএসজি ছাড়ার ব্যাপারে মুখ খুললেন মেসি

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

বার্সেলোনা ছেড়ে দুই বছর পিএসজিতে কাটিয়েছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু ওই দুই বছর একেবারেই উপভোগ করেননি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এতদিন পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।

২০২১ সালে বার্সার সঙ্গে ২১ বছরের বাঁধন ছিন্ন করে ফরাসি ক্লাবটিতে যোগ দেন মেসি। এই ক্লাবের জার্সিতে দুই বছরে ৭৬ ম্যাচ খেলে ৩২ গোল করার পাশাপাশি ৩৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। কিন্তু এরপর আর চুক্তি নবায়ন না করে মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে পাড়ি জমান আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

ফ্রান্স ছাড়ার ব্যাপারে অ্যাপল মিউজিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আটবারের ব্যালন ডি'অরজয়ী বলেন, 'মায়ামির হয়ে খেলতে আসা একটি সুযোগ এবং প্যারিসে আমার শেষ বছরে যা ঘটেছে, যদিও আমাকে সিদ্ধান্ত নিতেই হতো, কারণ আমাকে বার্সা ছাড়তে হয়েছে এবং ওই দুই বছর আমি উপভোগ করিনি। সেখানে প্রতিটি দিনই আমি অখুশি ছিলাম, অনুশীলন এবং ম্যাচ নিয়েও। সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া আমার জন্য কঠিন ছিল। আমি মায়ামির ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম, কারণ এই ক্লাবটির উন্নতি হচ্ছে, খুবই নতুন এবং ক্লাব হিসেবে মাত্র কয়েক বছর হয়েছে।'

মেসি পিএসজি ছেড়ে যাওয়ার পর কাতারি মালিকানার ক্লাবটির চেয়ারম্যান নাসের আল-খেলাইফি তার বিরুদ্ধে ফরাসি ক্লাবটিকে 'অসম্মান' করার অভিযোগ আনেন। ওই সময় মেসি বলেছিলেন, ক্লাবের সমর্থকদের একটি বড় অংশ তার সঙ্গে বাজে আচরণ করার কারণে দুই পক্ষের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল।

এদিকে মায়ামিতে মেসি ধীরে ধীরে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ ম্যাচে ৩৬ গোল করেছেন তিনি। এছাড়া আছে ২০টি অ্যাসিস্টও। মেসির মাধ্যমে ক্লাব হিসেবে মায়ামির উত্থান হয়েছে নাটকীয়ভাবে। ২০২৫ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছে মায়ামি, যেখানে ম্যানচেস্টার সিটি ও চেলসির সঙ্গে পিএসজিও অংশ নেবে।

ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে আশান্বিত মেসি বলেন, আমি মনে করি, এটা ক্লাবের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া, যেটি হবে এই দেশেই (যুক্তরাষ্ট্র) এবং এমএলএস থেকে দুটি দল অংশ নেবে। এসব এমএলএস-কে লিগ হিসেবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করছে। এতে অন্য খেলোয়াড়দের জন্য এখানে আসার এবং উন্নতি করার পথ তৈরি হচ্ছে।


আরও খবর

কোনো ম্যাচ না জিতলেও ‘কোটিপতি’ শান্তরা

শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




হিযবুত তাহরীরের কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রবাদী সংগঠন হিযবুত তাহরীর আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে পুলিশ সদর দফতর। জানিয়েছে, হিযবুত তাহরীর নিষিদ্ধ সংগঠন। আইন অনুযায়ী তাদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।৭ মার্চ এক ক্ষুদে বার্তায় এই হুঁশিয়ারি দেয় পুলিশ সদর দফতর।

পুলিশ সদর দফতরের বার্তায় বলা হয়, হিযবুত তাহরীর একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। আইন অনুযায়ী এদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় সরকার ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর থেকে সংগঠনটির যেকোনো কার্যক্রম বেআইনি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর যেকোনো প্রচারণামূলক কার্যক্রম কঠোর নজরদারিতে রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে তা দমনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর ‘মার্চ ফর খিলাফাহ’ কর্মসূচি ঘোষণা করায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে হিযবুত তাহরীরের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিট। তারা হলেন- মনিরুল ইসলাম (৪০), মোহতাসিন বিল্লাহ (৪০) ও মাহমুদুল হাসান (২১)।

সিটিটিসি সূত্র জানায়, রাতে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন সেক্টর-১১ ও সেক্টর-১২ এলাকায় হিযবুত তাহরীরের কতিপয় সক্রিয় সদস্য ৭ মার্চ বায়তুল মোকাররাম মসজিদ এলাকায় ‘মার্চ ফর খিলাফাহ’ নামক একটি সমাবেশ পালনের বিষয়ে গোপন পরিকল্পনা করছে। এমন খবরে সিটিটিসির টিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হয়েছে।

সিটিটিসি সূত্র আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রত্যেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে এবং তাদের কাছ থেকে জব্দকৃত আলামত থেকে প্রাথমিকভাবে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




দেশে শান্তি বজায় রাখতে ধৈর্য ধরার আহ্বান

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫ |

Image

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান দেশের চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় বল প্রয়োগ না করার এবং ধৈর্য ধরে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ না করার আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেছেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আজ দুপুরে সাভার সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর ফায়ারিং প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ বক্তব্য দেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা এখন দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যস্ত। দেশ ও জাতির জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে। যতদিন না আমরা একটি নির্বাচিত সরকার পেয়ে যাই, আমাদের ধৈর্য ধরে এই কাজ করতে হবে। দেশের মধ্যে কোন ধরনের অশান্তি ও শৃঙ্খলার অভাব যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন,"আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত আছি, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজগুলোই আমাদের প্রধান দায়িত্ব। আমি প্রথমে মনে করেছিলাম খুব দ্রুত এই কাজ শেষ করে সেনানিবাসে ফিরে আসব, কিন্তু কাজটা দীর্ঘায়িত হচ্ছে।"


জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেন,"আমাদের এই কাজটি করতে হবে, আমাদের দেশের জন্য। আমি জানি, দীর্ঘ সময় ধরে আমরা এই কাজগুলো করছি, তাই ধৈর্য থাকতে হবে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজটি শেষ করতে হবে। দেশ এবং জাতির জন্য আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে যতদিন না আমরা একটি নির্বাচিত সরকার পেয়ে যাই, এবং দেশ একটি শৃঙ্খলা ফিরে পায়।"


তিনি আরও বলেন,"এটা নিশ্চিত করতে হবে, কোনো ধরনের উশৃঙ্খল কাজ যেন না হয়। বলপ্রয়োগ কখনও কখনও প্রয়োগ হতে পারে, তবে সেটা হবে যথাসম্ভব প্রপোরশনেট এবং যত কম বলপ্রয়োগ করা যায়, ততই ভালো।"
শেষে সেনাপ্রধান বলেন,"ইনশাআল্লাহ, যদি আমরা সবাই একসাথে কাজ করি, আমরা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারব এবং একটি সুন্দর দেশ পাবো।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




অস্থির চালের বাজার

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

শুল্কছাড়ের চাল আমদানি, আমনের ভরা মৌসুম বাজারে চালের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। তাতেও দেশের মানুষের খাদ্যের প্রধান উপকরণ চালের দামের অস্থিরতা কমেনি। উল্টো ব্যবসায়ী ও মিলার সিন্ডিকেটের কারসাজিতে চালের বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে সরু চাল সর্বোচ্চ ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে মৌসুমেও চাল কিনতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন ভোক্তা।

বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে সরু চালের কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। সরু চাল ছাড়াও মধ্যবিত্তের একমাত্র ভরসার মোটা জাতের চালের দামেও লেগেছে বাড়তি দামের হাওয়া। ব্যবসায়ীদের দাবি, যদিও বিগত বছরগুলোতে এ সময়ে চালের দাম কম ছিল। কিন্তু বাজারে চালের সংকট না থাকলেও মিলপর্যায়ে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা দাম বাড়িয়েছে মিলমালিকরা। ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এর প্রভাবে চালের বাজারে দামের অস্থিরতা বেড়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, চালের দামের ব্যবধান গড়েছে অন্তত ৮ থেকে ১০ টাকা। ১০ থেকে ১৫ দিন আগে প্রতি কেজি সরু চালের দাম ছিল ৭৫ টাকা, যা বর্তমানে ৮২ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরু চালের পর সব থেকে বেশি দামের পরিবর্তন হয়েছে নাজিরশাইল চালের। দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ছিল ৭০ থেকে ৭৮ টাকা। তবে গতকাল তা ৭৬ থেকে ৮৬ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ প্রতি কেজি নাজিরশাইলের দাম বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা।

চালের পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, কয়েকটি মাফিয়া কোম্পানির কবজায় দেশের চালের বাজার। গেল তিন মাসের কয়েক দফায় এসব গ্রুপের কারসাজিতে প্রতি বস্তা সরু জাতের চালের দাম বেছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের চালের পাইকারি ব্যবসায়ী ও নোয়াখালী রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী শাওন আহমেদ বলেন, বর্তমানে বাজারে চালের কোনো সংকট নেই। একদিকে আমদানি করা চালের সরবরাহ বেড়েছে। অন্যদিকে কোম্পানিগুলোর মজুদ রয়েছে পর্যাপ্ত। তবুও কেন চালের দাম বাড়ছে এর কোনো উত্তর নেই।

এদিকে আগে থেকেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মধ্যবিত্তের চাহিদার শীর্ষে থাকা মোটা জাতের চাল। ভরা মৌসুমে ব্রি-২৮, স্বর্ণা, ও পাইজাম জাতের চালের দাম কমার কথা থাকলেও এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি বিআর-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, গুটি স্বর্ণা চাল কিনতে ক্রেতাদের খরচ করতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা। এ ছাড়া বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি পুরনো আটাশ ৬৫, পাইজাম ৬০, কাটারিভোগ ৮৫, বাসমতী ৯৪ থেকে ৯৮, পোলাওর চাল ১২০ থেকে ১২৫ ও আমন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে গত বছর নভেম্বরে চাল আমদানির ওপর ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর রেখে বাকি আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে এনবিআর। তবুও আমদানি করা চালের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। আমদানি করা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার ওপর।

শান্তিনগর বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা মাহবুব হোসেন জানান, বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮২-৮৫ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগেও ৭৫ টাকা ছিল। নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০-৮৬ টাকা, যা আগে খুচরা পর্যায়ে ৭০-৭৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া মোটা চালের মধ্যে প্রতি কেজি স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা, যা আগে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি মাঝারি আকারের চালের মধ্যে বিআর ২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগেও ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের সরকারি সংস্থাগুলো যে স্তরে অভিযান পরিচালনা করার কথা সে স্তরে তারা অভিযান পরিচালনা করছেন না। দায়সারাভাবে নামমাত্র খুচরা বাজারগুলোতে অভিযান চালায় সংস্থাগুলো। ফলে কারসাজি করা ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা লুটে ফুলেফেঁপে উঠছে। অন্যদিকে বরাবরই দেশের কৃষক ও ভোক্তা ঠকে আসছেন। দ্রুতই এ সংস্কৃতির প্রতিকার করা জরুরি।

এ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজার গড়ার দায়িত্ব মূলত প্রতিযোগিতা কমিশনের। কিন্তু তাদের কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে তারা নিজেরাই বাজার থেকে হারিয়ে গেছে। সরকারের বাজার মনিটরিং সংস্থাগুলোর তদারকি নিয়ে সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, বাজারে একাধিক সংস্থা তদারকি করে। কিন্তু ভোক্তা এ থেকে কোনো সুফল পাচ্ছে না। পণ্যের দাম বাড়লেই কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু যে স্তরে কারসাজি হয়েছে, সেই স্তরে মনিটরিং হয় না। ফলে অসাধুরা এ সুযোগে ভোক্তাকে বেশি করে নাজেহাল করে তোলে। 


আরও খবর

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




যৌথ বাহিনীর অভিযানে আক্তারুজ্জামান আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান মো. আক্তারুজ্জামানকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। তিনি অনলাইন প্রপার্টিজ নামে একটি ডেভেলপার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বাবর রোডের একটি বাসা থেকে তাকে আটকের পর ক্যান্টনমেন্ট থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব।

আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে হত্যা, জবর দখল, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের শতকোটি টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ে সাবেক এক সেনা কর্মকর্তাকে মালিক করে অনিয়মের মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা কামিয়ে অবৈধভাবে পাচার করেছেন তিনি। এসব বিষয়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। দুদক অভিযোগ আমালে নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।

ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ জানায়, রাজধানীর মাটিকাটা এলাকায় অনলাইন প্রপার্টিজ নামে একটি ডেভেলপার কোম্পানির মালিক আক্তারুজ্জামান। তার বিরুদ্ধে ওই এলাকায় জমি দখলের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় সাধারণ মানুষকে আসামি হিসাবে নাম ঢুকিয়ে দিয়ে চাঁদাবাজি করতেন তিনি। আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

র‌্যাব-২ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) খান আসিফ অপু জানান, খান মো. আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার বাবর রোডের একটি বাসায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে ক্যান্টনমেন্ট থানায় হস্তান্তর করে। সেখানে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর