Logo
শিরোনাম

জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এলো ২১৮ কোটি ডলার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহে যে উল্লম্ফন দেখা গিয়েছিল জানুয়ারিতে এসে সেটি কিছুটা ভাটা পড়েছে।  জানুয়ারিতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার গত অর্থবছরের একই মাসে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল সে হিসাবে গত মাসে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র দশমিক ৪১ শতাংশ

গত বছর আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারে পতন হওয়ার পর থেকে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল সর্বশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেও প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস তথা জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ২৭ শতাংশেরও বেশি রেমিট্যান্স কম আসায় জানুয়ারি শেষে প্রবৃদ্ধি ২৩ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে হাজার ৫৯৬ কোটি ডলার বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে দেশে ১২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল সে হিসাবে চলতি অর্থবছরে প্রবাসীরা দশমিক শূন্য বিলিয়ন ডলার বেশি পাঠিয়েছেন এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ

জানুয়ারিতে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে ডলারের দর নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কড়াকড়ি ছিল না। বেশি দর দিয়ে হলেও ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পেরেছে। কিন্তু জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত দরে রেমিট্যান্স কেনার জন্য বেশ কঠোর ছিল। কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা কমে গেছে।

ব্যাংকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেলে হুন্ডির বাজার জমজমাট হয়ে ওঠে। রাজধানীর মতিঝিল কারওয়ান বাজার এলাকার একাধিক মানি এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা জানান, জানুয়ারিতে মানি এক্সচেঞ্জগুলোয় ডলারের চাহিদা বেশ তীব্র ছিল। বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা হাতে করে যে ডলার নিয়ে গেছেন, তা শেষ হয়ে এসেছে। এখন দেশ থেকে নতুন করে টাকা নিচ্ছেন। কারণে হুন্ডির বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে


আরও খবর



ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলনে ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত এবং সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ চিত্র ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নির্মম পাশবিকতায় আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীর মতো আমাকেও ব্যথিত করেছে। তার মৃত্যুর সংবাদে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এই মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে।

তারেক রহমান বলেন, আছিয়ার ওপর ঘটে যাওয়া নির্মম পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে শহর থেকে গ্রামে। রাজপথ উত্তপ্ত হয়েছে মিছিল আর স্লোগানে। একইসঙ্গে তার ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা ছিল প্রতিটি মানুষের। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর সিএমএইচ থেকে আসা খবরে শোক আর ক্ষোভে একাকার মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে মানুষরূপী কুলাঙ্গারদের। আমি শুরুতে এ ঘটনা জানার পর তার চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিলাম।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, অতীতের ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে ধর্ষণকারীদেরকে বিচারের আওতায় না এনে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার ফলে দেশে ধারাবহিকভাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার ফলে আইনের ফাঁক দিয়ে ধর্ষণকারীরা বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ধর্ষণের মাত্রা দিন-দিন বেড়েই চলছে। আধুনিক এই যুগে মানব জাতি এরূপ অমানবিক, পৈশাচিক ও বর্বরোচিত কাজে লিপ্ত হতে পারে, তা কল্পানাতীত।

তারেক রহমান বলেন, ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত এবং সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ চিত্র। আমাদের সমাজে যে নির্মম ও বর্বরোচিত ঘটনাগুলো ঘটে চলছে, তা মানবতা ও নৈতিকতার মৌলিক ভিত্তিকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখছি, পবিত্র মাহে রমজান মাসেও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশুদের ওপর চলমান নিপীড়ন, হেনস্তাকরণ ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজ রোধে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে নারী হেনস্থা, হয়রানি, ধর্ষণ বা ধর্ষণের হুমকির মতো ঘটনা মানুষ আর প্রত্যাশা করে না। তারপরেও এই ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নারী, কিশোরী ও শিশুদের প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতা বা হয়রানি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিশ্চিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। এ ছাড়া একটি বিস্তৃত শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ চলাচল, নাগরিক স্বাধীনতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে হবে। ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে হবে আইনিভাবে। এই ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সমাজে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনা শুধু বর্তমান সমাজকে কলুষিত করছে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এক ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।


আরও খবর



হজযাত্রীর সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

চলতি বছর পবিত্র হজ পালনে আগ্রহীদের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৫ বছর নির্ধারণ করেছে সৌদি আরব সরকার। যা হজযাত্রীর পাসপোর্টের জন্ম তারিখ থেকে ধরা হবে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, ২০২৫ সালের হজে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমে নিবন্ধিত হজযাত্রী, হজ এজেন্সি এবং হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় শিশুদের সুস্থতা ও নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ২০২৫ (১৪৪৬ হিজরি) সনের হজ মৌসুমে পবিত্র হজ পালনে আগ্রহীদের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৫ বছর নির্ধারণ করেছে। যা হজযাত্রীর পাসপোর্টের জন্ম তারিখ থেকে ধরা হবে।

উল্লিখিত ১৫ বছর বয়সী নিবন্ধিত শিশু হজযাত্রী এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিশু হজযাত্রীর সঙ্গে গমনকারী অভিভাবক হজযাত্রীর পরিবর্তে প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী প্রতিস্থাপন করা যাবে।


আরও খবর



‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫ |

Image

বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৬ নগরের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। আজ রবিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে আইকিউ এয়ারের মানসূচকে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ১৬৫। বায়ুর এই মানকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার নিয়মিত বায়ুদূষণ পরিস্থিতি তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে ধারণা দেয়।

সকাল ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে বায়ুর মান ২০৩ নিয়ে বায়ুদূষণে শীর্ষে ছিল মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন। ১৮৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর। ১৮০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল উজবেকিস্তানের তাসখন্দ। আর ১৭১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ছিল চীনের চকিং।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। তবে স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ থাকলে তা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। 

স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




নওগাঁয় গ্রামীণ মেঠো রাস্তার উন্নয়ন কাজে বাধাঁ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরের সীমান্তবর্তি অবহেলিত একটি গ্রাম হচ্ছে একডালা ইউনিয়নের নিচ তালিমপুর। এই গ্রামটির সঙ্গে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার বিষ্ণুপুর নামক আরেকটি গ্রাম সংযুক্ত রয়েছে। গ্রাম দুটি উপজেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় তেমন একটা আধুনিকতার ছোঁয়া স্পর্শ করেনি। সম্প্রতি গ্রামের চলাচলের একমাত্র গ্রামীণ মেঠোপথের পাঁকাকরণ কাজ শুরু হয়েছে। সেই কাজে বালি দেওয়াকে কেন্দ্র করে কতিপয় ব্যক্তিরা বাঁধা দিতে গেলে গ্রামবাসীরা সেই বাঁধাকে প্রতিহত করে। ফলে বহুবছর পর অবহেলিত গ্রামের বাসিন্দাদের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। অপরদিকে বালু উত্তোলনের চাঁদা না দেওয়ায় ভেকু মেশিনে হামলা করে ভাংচুর করাসহ মারপিট করার ঘটনাও ঘটেছে।  

নিচ তালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত-ওয়াজেদ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান জানান গ্রাম দুটি উপজেলার শেষ প্রান্তে হওয়ার কারণে চলাচলের একমাত্র গ্রামীণ রাস্তায় আধুনিকতার ছোঁয়া স্পর্শ করেনি। একসময় রাস্তাটি জমির আইলের মতো ছিলো। এরপর গত ২০০৬ সালে একটি বরাদ্দের মাধ্যমে মাটি কেটে একটু প্রশস্ত করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে কোন মতে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে এক হাটু কাঁদা ভেঙ্গে চলাচল করতে হয়। এতে করে গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থীসহ পুরো গ্রামবাসীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে গত ২০১৯ সালে আমরা গ্রামবাসীরা নিজেদের অর্থ দিয়ে ভ্যান চলাচল করা যায় এমন ভাবে মাটি কেটে প্রশস্তকরন করা হয়। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে চলতি বছর পৌনে দুই কিলোমিটার রাস্তার এক কিলোমিটার অংশ পাকাকরণ কাজ শুরু হয়েছে। সেই রাস্তার জন্য বালি দিতে আমরা গ্রামবাসীরা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বগুড়ার নাগরনদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে অনুমতি প্রদান করি। সেই বালু উত্তোলন করতে গেলে গত ২৫ফেব্রুয়ারী দিবাগত মধ্যরাতে অন্য দূরবর্তি দামুয়া গ্রামের ধান ব্যবসায়ী সবুজ, রিপন, গুয়াতা গ্রামের আম্মাদ হাজীর ছেলে লিটন বাধা প্রদান করে। ওই দিন রাতে খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) স্যার আমাদের রাস্তার পরিস্থিতি দেখে নদী থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি প্রদান করে যান। এসিল্যান্ড স্যার আসার আগে সবুজ বাহিনী ভেকুর চালককে বেদম মারপিট করে এবং ভেকু মেশিনের বাটারিসহ বিভিন্ন উপকরণ লুট করে নিয়ে যায়। এতে ভেকু মেশিনের ঠিকাদার সবুজ বাহিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পালিয়ে যায়। সবুজ বাহিনী ও এসিল্যান্ড চলে যাবার পর পাশের ঘাটাগন গ্রামের অছির উদ্দিনের ছেলে দুলাল, একই গ্রামের হামিদুল, স্বপন ও লাদুর ছেলে আকরাম মোটরসাইকেল নিয়ে পুনরায় এসে ভয়ভীতি দেখালে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে তাদের প্রতিহত করে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে এই অঞ্চলের বাসিন্দারা সবুজ বাহিনী ও ঘাটাগন গ্রামের কয়েক জনের তান্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অবহেলিত এই গ্রামের মানুষদের চলাচলের জন্য রাস্তাটির অবশিষ্ট অংশও পাঁকাকরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

রাস্তায় বালি সরবরাহকারী উপজেলার নারায়নপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী আকন্দের ছেলে ফারুক হোসেন জানান তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে বালি সরবরাহের কাজ করে আসছেন। নিচ তালিমপুর গ্রামের মেঠো রাস্তার বেহাল দশা দেখে সেখানে বালি দেওয়ার চুক্তি হওয়ার পর থেকে সবুজ বাহিনী ও ঘাটাগন গ্রামের স্বপন বাহিনীকে চাঁদা না দেওয়ায় বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকী দিতে থাকে। গ্রামবাসীদের অনুমতিতে নাগরনদীর বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার অংশ থেকে বালি উত্তোলন করে রাস্তায় সরবরাহের কাজ চলছিলো। তাহলে নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার অন্য গ্রামের বিএনপি সমর্থিত সুবজ বাহিনী ও দুলাল বাহিনীকে চাঁদা দিতে হবে কেন? চাঁদা না দেওয়ার কারণে তারা মধ্যরাতে ভেকু মেশিনে হামলা করে ভাংচুর করেছে। এতে করে ভেকু মেশিনের কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভেকুর চালককে বেদম মারপিট করে আহত করা হয়েছে। তাকেও হুমকি-ধামকী প্রদান করা হয়েছে। অথচ ম্যানেজ করে আবাদপুকুর এলাকার অন্যান্য স্থানে আ’লীগের লোকেরা ভেকু দিয়ে অবৈধ ভাবে মাটি খনন করলেও তাতে কোন সমস্যা নেই।

দামুয়া গ্রামের ধান ব্যবসায়ী সবুজ মুঠোফোনে জানান, ঐ রাতে তারা কয়েকজন পাশের গ্রাম থেকে মাহফিল শেষ করে ফিরছিলেন। পথেমধ্যে এসিল্যান্ড স্যার তাদের সহযোগিতা নিয়ে নিচ তালিমপুর গ্রামের নাগর নদীর বালু উত্তোলনের স্থানে যান। তারা আবার এসিল্যান্ড স্যারের সঙ্গে ফিরে আসেন। তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যে। তারা চাঁদা চাওয়া কিংবা ভেকু মেশিন ভাংচুরের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান মুঠোফোনে জানান ঐ রাতে সবুজ ফোনে বালু উত্তোলনের বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য সবুজরা তাকে চয়েনের মোড় থেকে রিসিভ করে নিয়ে যান। গ্রামের মেঠো রাস্তার বেহাল দশা দেখে তিনি নদী থেকে বালু উত্তোলন করে রাস্তায় দেওয়ার অনুমতি প্রদান করে চলে আসেন। এসময় সবুজরা কারো কাছ থেকে চাঁদা দাবী কিংবা ভয়ভীতি প্রদান করেননি। তবে তিনি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর কি হয়েছে সেটা তার অজানা বলে জানান এই কর্মকর্তা। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুঠোফোনে জানান নিচ তালিমপুর গ্রামবাসীরা চরম ভাবে অবহেলিত হয়ে আসছে। তিনি যখন একডালা ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন তখন ওই গ্রামের অভ্যন্তরীণ রাস্তায় ইট বিছিয়ে দিয়েছেন। তাই ওই গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটির পুরো অংশ পাঁকা হওয়া খুবই জরুরী। এমন বিষয়টি না বুঝে সবুজরা অন্যায় করেছে। তাদের দ্বারা এই ধরণের কর্মকান্ড আর কখনোই হবে না বলে অঙ্গিকার করেছে। পরবর্তিতে যদি সবুজসহ অন্যরা উপজেলার কোন স্থানে এমন অনৈতিক কর্মকান্ড করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



লেবু-শসার দামে আগুন, বেগুনেও অস্বস্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

পবিত্র রমজানে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ লেবু ও শসা। রোজা শুরুর একদিন আগে থেকে ইফতারের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান লেবু চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। শুধু লেবু নয় শসার বাজারেও আগুন। বেড়েছে বেগুনের দামও। এগুলো দেখারও যেন কেউ নেই।রাজধানীর শাহজাহানপুর ও খিলগাঁও কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামীকাল শনিবার থেকে বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। এর আগেই বাজারে প্রায় সকল পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রতি বছরের মতো লেবু, শসা এবং বেগুনের দাম বেড়ে গেছে।

বাজারে এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২০ টাকায়। দেড় সপ্তাহ আগেও লেবুর সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ৪০ টাকা। সে সময় ২০ টাকাতেও এক হালি লেবু কেনা গেছে। এখন ৬০ টাকার নিচে মিলছে না। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক হালি এলাচি লেবু ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিলেটের শরবতি লেবুর দাম এক হালি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। অন্যদিকে কাগজি লেবু এক হালি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রোজায় ইফতারির অন্যতম উপকরণ হলো শসা। বাজারে এখন ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে শসা। যা আগে ছিল ৫০ টাকা।

এদিকে বেগুনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে এবং গোল বেগুন ৮০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।

শুধু ক্রেতারাই নয়, খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন লেবুর হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধি অস্বাভাবিক, অযৌক্তিক। রোজায় শরবত তৈরির জন্য লেবুর চাহিদা বেড়ে যায়। এটাকেই সুযোগ হিসেবে নিয়ে সরবরাহকারীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এখন লেবুর মৌসুম নয় বলে দাম বাড়তি থাকা স্বাভাবিক। তবে যতটা বেড়েছে তা স্বাভাবিক নয়।

লেবু এবং শসা ক্রয় করেছেন খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, প্রতিবছর রোজার মাস আসলেই অধিকাংশ পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লেবু এবং শসা। এভাবে দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। রমজান মাসের আগে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এভাবে প্রতিবছর ইফতারের আনুষঙ্গিক পণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধি করে থাকে। এগুলো দেখার যেন কেউ নেই।

সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, আড়তে গিয়ে লেবু পাওয়া যাচ্ছে না। আড়ত থেকে লেবু আনার জন্য যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এক মাস পূর্বেও যে দাম ছিল এখন তার দ্বিগুণ হয়েছে। সকালে এ পর্যন্ত অন্তত ১০০ ক্রেতা দাম জিজ্ঞেস করেছেন, কিন্তু দাম শুনে কেউ নিতে সাহস করছে না। এ পর্যন্ত দুই থেকে তিনজনের কাছে বিক্রি করেছি। আমাদের তো এখানে কিছুই করার নেই। অতিরিক্ত দাম দিয়ে আমাদের কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।


আরও খবর