Logo
শিরোনাম

জাপানে চালু হলো সিক্স-জি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বিশ্বের অনেক দেশই যখন ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের স্বপ্ন দেখছে সেখানে জাপানের প্রযুক্তিবিদরা চালু করে ফেলল সিক্স-জি নেটওয়ার্ক। যার গতি ফাইভ-জির চেয়ে ২০ গুণ বেশি।

তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের প্রথম সিক্স-জি ডিভাইস উদ্ভাবন করেছে জাপান। নতুন এ প্রটোটাইপ ডিভাইসটি তৈরি হয়েছে ডোকমো, এনটিটি করপোরেশন, এনইসি করপোরেশন এবং ফুজিটসুসহ দেশটির টেলিকম কোম্পানির যৌথ প্রচেষ্টায়।

গত মাসে নতুন ডিভাইসটির ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে দাবি করা হয়, তাদের সিক্স-জি প্রোটোটাইপটি ফাইভ জির চেয়েও ২০ গুণ বেশি দ্রুত গতিসম্পন্ন। প্রোটোটাইপটি ১০০ হার্জ ব্যান্ড ব্যবহার করে ১০০ জিবিপিএস গতি অর্জন করতে পারে। আর বাইরে একই গতি অর্জন করতে এটি ব্যবহার করে ৩০০ হার্জ ব্যান্ড।

বর্তমান বিশ্বে মোবাইল নেটওয়ার্কিংয়ে সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি বলে বিবেচিত ৫জি। এর তাত্ত্বিক গতি সর্বোচ্চ ১০ জিবিপিএস। তবে দেশভেদে ৫জি নেটওয়ার্কের গতি ভিন্ন ভিন্ন।

জাপান ছাড়াও সিক্স-জি নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, সিক্স-জির আগমনের সঙ্গে মানুষ রিয়েল-টাইম হলোগ্রাফিক যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে। ভার্চুয়াল এবং মিশ্র বাস্তবতার জগতেও মানুষ নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানের নতুন প্রোটোটাইপটি ৩২৮ ফুট এলাকায় পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় যে ফল এসেছে, তা অবশ্যই প্রেরণাদায়ক। তবে, একে এখনই চূড়ান্ত সাফল্যের মাপকাঠিতে বিচার করা যায় না বলে মত প্রযুক্তিবিদদের।

তাদের মতে, নতুন সিক্স-জি শুধুমাত্র একটি ডিভাইসে পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে বিস্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপার রয়ে গেছে এখনও। তাছাড়া নতুন এ প্রযুক্তি কার্যকর করতে মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারগুলোকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপন করতে হবে এবং সিক্স-জি ইনবিল্ট অ্যান্টেনাসহ নতুন স্মার্টফোন বাজারে আনতে হবে।


আরও খবর



আলেম সমাজ ও রাজনৈতিক দলসহ সারাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ.

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

অন্তর্বর্তী সরকার, আলেম সমাজ ও সব রাজনৈতিক দলসহ সারাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বাঙালী জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে যত বড় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হোক না কেন এদেশের মানুষকে পরাজিত করতে পারবে না, তারা জিতবেই। শুক্রবার বিকেলে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার আমতলী মোড় জামে মসজিদ এলাকায় তাফসিরুল কোরআন ও শানে রিসালাম সম্মেলনে এ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি। ভারতের সাম্রাজ্যবাদীর বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ভারতের সাম্রাজ্যবাদী সূচনা হয়েছিল ১৯৭২ সালে সংবিধানে। এজন্য এই সরকারকে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সংবিধান বাতিল করতে হবে। তাহলে ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে যাবে। আর কোনো দিন তারা এদেশের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস পাবে না।

সংবিধান সংস্কারের জন্য যে যার মতামত দিচ্ছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, আমরা তৌহিদি জনতার পক্ষে স্পষ্ট মতামত দিতে চাই। বাংলাদেশে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন থাকবে না। আরও যদি কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন থাকে তাহলে সেই আইনকে প্রতিহত করার জন্য যুদ্ধের প্রয়োজন হলেও আলেম সমাজ প্রস্তুত।


আরও খবর

লন্ডনে তারেক রহমান ও ফখরুলের বৈঠক

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় ট্রাক,বাস ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে দু' জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ড্রাম ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে 

মাহিন আহমেদ সাগর (২৭) ও আলভী রাব্বানী জিহান (৩২) নামের দু'জনের মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

এদূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দু'জন। সোমবার ৯ ডিসেম্বর বিকেলে নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের মান্দা উপজেলার শাহারপুকুর নামক স্থানে মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। 

নিহত মাহিন আহমেদ সাগর নওগাঁর সাপাহার উপজেলার চৌধুরী পাড়া গ্রামের আঃ জব্বারের ছেলে ও নিহত আলভী রাব্বানী জিহান একই এলাকার এনামুল হকের ছেলে বলে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ অভিমুখি একটি প্রাইভেটকার ও একটি যাত্রীবাহী বাসকে রাজশাহীগামী একটি ড্রাম ট্রাক ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচরে যায় এবং বাসের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ঘটনা স্থলেই প্রাইভেটকারে থাকা দু'জনের মৃত্যু হয় এবং দু'জন আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

সড়ক দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় দু' জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



আসছে নতুন ব্ল্যাক প্যান্থার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্স আবারও ওয়াকান্ডায় ফিরতে প্রস্তুত। মানে, আবারও পর্দায় আসতে চলেছে ব্ল্যাক প্যান্থার। মার্ভেল স্টুডিও অবশ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিনেমা তৈরির কথা ঘোষণা করেনি। তবে অভিনেতা ডেনজেল ওয়াশিংটন গত মঙ্গলবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, সিরিজের তৃতীয় সিনেমা আসছে। সেখানে তিনি একটি চরিত্রে অভিনয়ও করবেন।

অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল নাইনের টুডে শোতে ‘গ্লাডিয়েটর ২’ ছবির প্রচারের অংশ হিসেবে কথা বলতে গিয়ে ওয়াশিংটন এসব কথা বলেন। তিনি জানান, পরিচালক রায়ান কুগলার পরবর্তী ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ সিনেমার জন্য তার জন্য একটি চরিত্র লিখছেন। তবে কবে নাগাদ সিনেমাটির কাজ শুরু হবে, সে নিয়ে কিছুই বলেননি তিনি। আভাস দেননি, এতে অন্যান্য শিল্পী কারা থাকবেন সে ব্যাপারেও।

ভবিষ্যৎ কাজের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওয়াশিংটন বলেন, ‘জানি না আরো কত সিনেমা করতে পারব। তবে ক্যারিয়ারের এ সময় এসে শুধু সেরা পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। হয়তো খুব বেশি সিনেমা করা হবে না। কিন্তু এমন কিছু করতে চাই যা আমি আগে কখনো করিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ২২ বছর বয়সে ‘ওথেলো’ চরিত্রটিতে অভিনয় করেছি। এখন ৭০ বছর বয়সে আবারও সেটা করতে যাচ্ছি। তারপর আমি হ্যানিবাল চরিত্রে অভিনয় করব। আমি স্টিভ ম্যাককুইনের সঙ্গে একটি সিনেমা নিয়ে কথা বলছি, সেটাও বড় কাজ হবে। এরপর রায়ান কুগলার আমার জন্য পরবর্তী ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ ছবিতে একটি চরিত্র লিখছেন।

‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ মার্ভেলের অন্যতম সিগনেচার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে পরিণত হয়েছে। ২০১৮ সালের ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ সিনেমাটি চাডউইক বোসম্যান, লুপিতা নিয়ং’ও এবং মাইকেল বি. জর্ডানের অভিনয়ে শুধু সমালোচকদের প্রশংসাই লাভ করেনি বক্স অফিসেও বিশাল সাফল্য পেয়েছিল। ১.৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল সেই সিনেমাটি, যা ছিল অপ্রত্যাশিত।

বোসম্যান ২০২০ সালে ৪৩ বছর বয়সে মারা যান। তারপর ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া সিক্যুয়েলটি প্রিয় অভিনেতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে তৈরি হয়েছিল। এটি ওয়াকান্ডা এবং তার মানুষের গল্প চালিয়ে নেওয়ারও একটি উপায় ছিল। এটি বক্স অফিসেও সাফল্য অর্জন করে।


আরও খবর

রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা

রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪




বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা নিয়ে অসন্তুষ্টি

প্রকাশিত:সোমবার ০২ ডিসেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের 'তৃতীয় টার্মিনাল : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ' বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এ বৈঠকে শাহজালাল বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ এবং টার্মিনাল-২-এ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা নিয়ে অসন্তুষ্টি এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অংশীজনেরা।  বিমানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান দিয়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।


এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ -এটিজেএফবি'র  আয়োজনে  'তৃতীয় টার্মিনাল :সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক এ  গোলটেবিল বৈঠক আজ  রাজধানীর লা মেরিডিয়ান ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।  

বৈঠকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এভিয়েশন অপারেটর'স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) সেক্রেটারি জেনারেল ও নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান।  বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এটিজেএফবির সভাপতি তানজীম আনোয়ার।

বৈঠকে অন্তবর্তীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়াসহ শাহজালাল বিমানবন্দরের অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে সক্ষমতার বিষয়টি আমরা দেখব। দুই বছর যে আমরা হাত দিয়ে বসে থাকবো বিষয়টা এমন নয়। যদি তার সক্ষমতার ঘাটতি হয় বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় তিনি তৃতীয় টার্মিনাল চালু হতে আরও এক বছর লাগবে বলে জানান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমানের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হেন্ডলিং মতো সক্ষমতা আছে কি নেই, এটা প্রাথমিকভাবে পারসেপশনের একটি বিষয়। তার কারণ, বিমানের এতো দিন যে সার্ভিস আমরা পেয়ে আসছি সেটা মনপুত না।  একটি কমন অভিযোগ, আমি টিকিট পাই না কিন্তু বিমানে উঠে দেখি পুরো বিমান ফাঁকা। বিমান যেহেতু এখন আমার দায়িত্বে, সক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপারে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে সেগুলো নিয়ে গতকাল আলোচনা করেছি।  শুধু আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না, আমি এগুলোর ইনেশপেকশনে যাই। আমাকে আপনার মুভিং কন্ট্রোল রুম বলতে পারেন। যদি বিমানের সক্ষমতার অভাব হয়, সেটার বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করবো।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, এখন পর্যন্ত ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল তৈরিতে ২৩ হাজার কোটি খরচ হয়েছে। একটি কি-নোট পেপারে দেখলাম দূর্নীতি না হলে এত টাকা খরচ হওয়া কথা না। নিশ্চয়ই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

তিনি বলেন, হাসান আরিফ বলেন, সব কিছুতেই সংস্কারের একটি বিষয় আসছে। দুদকও সংস্কার করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিষয় যেটি বিগত সরকারের ১৭ বছরে ঘটেছে, সেগুলোর শেত্বপত্র আসছে। সেভাবে বিমানেরও শেত্বপত্র আসবে। শেত্বপত্র মানে শুধু অভিযোগই আনা না, এটি আত্মশুদ্ধির একটি প্রক্রিয়া।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালসহ দেশের সব টার্মিনালগুলোকে উন্নত করার জন্য বেবিচক কাজ করছে। এসব টার্মিনালের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য উপদেষ্টার সাথে আমাদের কথা হয়েছে। এখন শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু জাতির কাছে একটা স্বপ্ন। তবে এজন্য বেবিচক বসে নেই। সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করে যাচ্ছেন।

এর আগে প্রবন্ধে এভিয়েশন অপারেটর'স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল ও নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিমানের জিম্মায় তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা দুই বছরের জন্য প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জোর বিতর্ক চলমান এবং তা যৌক্তিক। তৃতীয় টার্মিনাল অপারেশনের ক্ষেত্রে যেন রাজনীতির উপর অপারেশনাল বিষয় প্রাধান্য পায় তার জোর দাবি রাখব। তিনি বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা এবং টার্মিনাল অপারেশন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বর্তমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং মনোপলি ভেঙ্গে একাধিক কোম্পানিকে দেয়া হোক। এখানে বিমান প্রসঙ্গ নয়, বরঞ্চ গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবার মনোপলি ভাঙ্গা সম্ভব হলে চূড়ান্ত বিচারে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। আর অন্য অপারেটরের সাথে যোগ্য বিবেচনা হলে বিমানকেও জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবার দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। এতে দেশ এবং জনগণ একধারে আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং উন্নত সেবা পাবে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও বিমান পরিচালনা বোর্ডের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, বিশ্বের কোথাও রাজধানী বাস ঘরের ভিতর বিমানবন্দর নেই। সেখানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তথা তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের সময় তার বিবেচনা করা হয়নি। এমন অপরিকল্পিত কার্যক্রমের জন্য ৫৪ বছরেও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অর্জন শূন্য। তিনি বলেন, বিশ্বের কোথাও কোন একটি সংস্থা একক ভাবে বিমানবন্দর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করে না। সেখানে শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের সব দেশের সব বিমানবন্দর এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করছে বিমান। বিষয়ে সেবা দিতে গিয়ে বিমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এখন তারা শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এটা তারা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে তা বলা যায় না।

ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের জিএসএ রিদম গ্রুপের হেড অব বিজনেস মাসুদুজ্জামান বলেন, বিমান বাংলাদেশের জাতীয় এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান। আমরা চাই বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করুক।  কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো তাদের কাজের প্রক্রিয়া দীর্ঘ। বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার আগে বিমান থেকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবার অনুমতি নিতে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের ৪ মাসে বেশি সময় ঘুরতে হয়েছে।  তিনি বলেন,শাহজালালের নতুন কার্গো টার্মিনাল দেখার আমার সুযোগ হয়েছে। এ টার্মিনালটি বিশ্বের অন্যতম বড় ও আধুনিক। কিন্তু এখন যারা শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ব্যবস্থাপনা করছে, তাদের দিয়ে আদও তা ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব হবে কিনা তা পর্যালোচনা জরুরী।

এয়ারলাইন্স অপারেটরস কমিটির ঢাকার (এওসি) চেয়ারপারসন দিলারা হোসেন বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে আজ থেকে ৩০-৪০ বছর আগে যেসব অভিযোগ শুনেছি এখনো একই ধরনের অভিযোগ আসছে। এই বিমানবন্দরে ক্রমেই বিদেশি এয়ারলাইন্স বাড়ছে। কিন্তু গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং এর সেবার মান বাড়ছে না।

গোল টেবিলে বেবিচকের সদস্য (অপারেশন্স এন্ড প্ল্যানিং) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মেহবুব খান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, এয়ার এ্যাস্ট্রার সিইও ইমরান আসিফ, কাতার এয়ারওয়েজের কার্গো ম্যানেজার সুহেদ আহমেদ চৌধুরী, বিশিষ্ট এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ উইং কমান্ডার এটিএম নজরুল ইসলাম, লা মেরিডিয়াল বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার কনস্টান্টিনোস গ্যাভরিয়েল, বেঙ্গল এয়ারলিফটের গ্রুপ সিইও বাহাউদ্দিন মিয়া, থাই এয়ারওয়েজের এয়ারপোর্ট সার্ভিস সুপারইন্টেন্ডেন্ট সৈয়দ ইয়াসেরুল আলম, এয়ার ইন্ডিয়ার এয়ারপোর্ট ম্যানেজার শয়নদেব ঘোষ, তার্কিশ এয়ারলাইন্সের স্টেশন ম্যানেজার সেরকান অ্যাকেন , ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জিএম-জনসংযোগ কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কবির আহমেদ ছাড়াও দেশি বিদেশী এয়ারলাইন্স, ট্যুর অপারেটর, ওটিএ’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন মনিরুজ্জামান নামে এক আইনজীবী। সেইসঙ্গে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশনাও চেয়েছেন তিনি।

বুধবার গণমাধ্যমের রিপোর্ট তুলে ধরে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এ ব্যাপারে আদেশ প্রার্থনা করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান।

এদিকে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেলকে ডেকে পাঠান আদালত।

আদালতে এসে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, সারাদেশের মানুষের মতো তারও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয় এখনই কোনো সিদ্ধান্ত যেনো আদালত না নেয়। কারণ সরকার এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। সরকারের কাছে এটি এখন ১ নম্বর এজেন্ডা।

তিনি বলেন, যে কেউ কোনো অ্যাঙ্গেল থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সরকার জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এ সময় উদ্বেগ জানিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, কেউ যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করতে না পারে। এছাড়া ইসকন ও সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকারের পদক্ষেপ আগামীকালের মধ্যে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।


আরও খবর

জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪