Logo
শিরোনাম

জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত থাকায় যুবদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির রাজাপুরে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত থাকায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক টি হায়দার সজিবকে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে জেলা যুবদল নেতা রমজানুল মোরশেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহবায়ক টি হায়দার সজিব জাতীয় নাগরিক কমিটিতে থাকায় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডের জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে প্রাথমিক সদস্য পদ সহ দল থেকে বহিস্কার করা হল। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোন ধরণের অপকর্মের দায় দায়িত্ব দল নিবে না। যুবদলের সকল পর্যায় নেতাকর্মীদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।


জাতীয়তাবাদী যুবদল ঝালকাঠি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ রবিউল হোসেন তুহিন ও সদস্য সচিব মোঃ আনিসুর রহমান খান ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।


এ বিষয়ে সজীবের সাথে কথা বললে তিনি জানান , জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম, এখানে কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ ধারণ করা হয় না।

 এখানে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ কাজ করে। এখানে যুবদলের কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়, এটা একটা সর্বজনীন প্লাটফর্ম। আমি কোন গোষ্ঠীর বা ব্যাক্তির চক্রান্তের স্বীকার। 

তবুও আমি দলীয় সিদ্ধান্তর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করছি।


আরও খবর



৩৬ দিনে কোনো বিপ্লব হয় না

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

কোনো অভ্যুত্থান, কোনো বিপ্লব, কোনো পরিবর্তন বা কোনো যুদ্ধ ৩৬ দিন বা এক মাসে হয় না। বছরের পর বছর যুগের পর যুগ সময় লাগে; মানুষের আত্মত্যাগ, মানুষের সংগ্রাম, মানুষের রক্ত ভেসে যায় সেই সংগ্রাম আর বিপ্লবের পেছনে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

২২ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে গাইবান্ধা জেলা স্টেডিয়াম মিলনায়তনে জেলা বিএনপির আয়োজনে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করেন অল্প কয়েক দিনের আন্দোলনে হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছেন, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। শেখ হাসিনার পালানো বিএনপির ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল। গণবিস্ফোরণে হাসিনা পালিয়ে গেছে।

তিনি আরোও বলেন, আওয়ামী লীগ ‘গত ১৫ বছরে যত পাপ করেছে তার বিচার আগামী ১০০ বছর চলতেই থাকবে। বিএনপি গত ১৫ বছর মাটি ছাড়ে নাই, সুতরাং আগামীতেও এক চুল মাটি ছাড়া হবে না।’

জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিকের সভাপতিত্বে ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর, বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খান, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, জাতীয় নির্বাহী সদস্য ফজলুর রহমান খোকন।


আরও খবর



দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন টিউলিপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও লন্ডনের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক বলেছেন, বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রশ্নের উত্তর দিতে তার ‘আইনজীবীরা প্রস্তুত'। ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম স্কাই নিউজকে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপাতত সম্পর্কের বিষয়ে কোনো অনুশোচনা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘আপনারা আমার আইনি চিঠিটি দেখুন এবং দেখুন আমার কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আছে কি না... (বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ) একবারের জন্যও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, কিন্তু তাদের কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় রয়েছি।’

লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট আসনের এই এমপি গত জানুয়ারিতে ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তখন বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি দুর্নীতি তদন্তে তার নাম উঠে আসে। পরে বিরোধীদের ব্যাপক চাপের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।

সরকার ছাড়ার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘মাসখানেক হয়ে গেল অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু (বাংলাদেশের) কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’ এর আগে গত মাসে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস স্কাই নিউজকে বলেছিলেন, টিউলিপ সিদ্দিক ‘দেশে সম্পদ রেখে গেছেন’ এবং তার এ জন্য জবাবদিহি করা উচিত।’

এদিকে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি লিখে বলেছিলেন যে, অভিযোগগুলো ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’। চিঠিতে বলা হয়, দুদককে ‘২০২৫ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে অথবা তার আগে’ টিউলিপ সিদ্দিককে প্রশ্ন করতে হবে, অন্যথায় ‘আমরা ধরে নেব যে, উত্তর দেওয়ার মতো কোনো বৈধ প্রশ্ন নেই।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫




গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

গাজায় চলমান গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে লক্ষ্মীপুরে উত্তাল হয়ে উঠেছে জনসাধারণ। সোমবার সকালে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর তেমুহানী এলাকায় সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। “নো ওয়ার্ক, নো স্কুল” কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই মানবিক প্রতিবাদে হাজারো কণ্ঠে ধ্বনিত হয় “গাজার মানুষ একা নয়”, “ইসরায়েলি বর্বরতার বিচার চাই”, “মজলুমের পক্ষে বিশ্ব মুসলিমকে এক হতে হবে”।  সড়ক অবরোধের ফলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। উত্তর তেমুহানীতে একের পর এক খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে একত্রিত হয়ে রূপ নেয় বিশাল মানবজটে। এই সময় বিক্ষোভকারীরা গাজায় ইসরায়েলি হামলার ছবি ও ব্যানার নিয়ে সংহতি জানান নিহত শিশু, নারী ও অসহায় জনগণের প্রতি।

লক্ষ্মীপুর সদর ছাড়াও রায়পুর, চন্দ্রগঞ্জ, মান্দারী, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায়ও একই দাবিতে মানববন্ধন, দোয়া মাহফিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এসব কর্মসূচিতে অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াত ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম, তৌহিদী ছাত্র-জনতা ও সাধারণ ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের জনগণ।

বক্তারা বলেন,“ইসরায়েল কুলাঙ্গারদের হাতে আমাদের ভাই-বোনদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে গাজার মাটি। আজ চুপ করে থাকা অপরাধ। মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই বর্বরতার জবাব দিতে হবে। মানবতা আজ রক্তাক্ত।”

এই মানবিক আন্দোলনের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরবাসী গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে। তারা চায়, বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হোক, গাজার শিশুর কান্না যেন আর কোনো হৃদয়কে অচেতন না রাখে।


আরও খবর



নওগাঁয় গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৪ জন আটক

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে এসিল্যান্ডের গাড়ীর চালকসহ ৪ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ঈদের পূর্বরাত অথাৎ গতকাল রবিবার দিনগত রাতে নওগাঁর মান্দা উপজেলায়। এঘটনায় মান্দা থানা পুলিশ ভিকটিম গৃহবধূকে উদ্ধার উদ্ধার পূর্বক পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে।

গ্রেফতারকৃত ৪ জন যুবক হলেন, মান্দা উপজেলার ছোট-বেলালদহ গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম সোহাগ (২৯), বড়পই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওরফে সুইট (২৯), বিজয়পুরের প্রিন্সিপালের মোড় এলাকার মোজাহার আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান ওরফে মুন্না (২৯) ও বিজয়পুর মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে নাসির উদ্দিন (২৯)। এদের মধ্যে নাসির উদ্দিন মাষ্টার রোলে এসিল্যান্ডের গাড়ী চালকের দায়িত্বে ছিলেন। মামলার এহাজার সুত্রে জানাযায়, ভিকটিম গৃহবধূর স্বামী পেশায় পিক-আপ চালক। তারা স্বামী-স্ত্রী ও তাদের কন্যা সন্তান সহ বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। ঈদ উপলক্ষে একমাত্র কন্যা সন্তানকে নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনার দিনরাতে পিকআপের ভাড়া মারার জন্য গৃহবধূর স্বামী বাইরে যাওয়ায় বাসাতে একাই ছিলেন গৃহবধূ। ভিকটিম গৃহবধূ জানান, রবিবার দিনগত রাত সারে ৭টারদিকে আমার স্বামী পিকআপের ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে রাত ৯ টারদিকে আমি খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ি। রাত সারে ১০টারদিকে আসামী স্বাধীন বাসায় এসে স্বামীকে ডাকাডাকি করেন। স্বাধীন আমার স্বামীর পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সরল বিশ্বাসে আমি দরজা খুলে দেওয়ার সাথে সাথে ৬-৭জন যুবক বাসার ভেতরে প্রবেশ করে এবং আমার মুখ চেপে ধরে ঘরে নিয়ে একে অপরের সহায়তায় তারা আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকাকালে আমার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ৪জন কে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনুসর রহমান বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ মামলায় ৪ আসামীকে গ্রেফতার করে আজ সোমবার নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শারীরিক পরীক্ষার জন্য ভিকটিম গৃহবধূকে নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে হয়েছে।


আরও খবর



দেশজুড়ে ট্রান্সকমের পণ্য বর্জনের ডাক

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যানারে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন জনতা। এসময় সমাবেশ ও বিক্ষোভ থেকে দেশে ইসরায়েলি পণ্য সরবরাহকারী গ্রুপ ট্রান্সকমের পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে কেএফসি, পিৎজা হাট, পেপসি ও সেভেন আপের মতো কিছু পণ্যের আউটলেটে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়েছে।

সোমবার সারা বিশ্বে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 'নো ওয়ার্ক, নো স্কুল' কর্মসূচি হিসেবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সিলেট

সিলেট নগরের মিরবক্সটুলা এলাকায় কেএফসিতে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান দাবি করে সেখানে দুই দফা হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এসময় কেএফসিতে থাকা কোমল পানীয় দুতলা থেকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হয়। পরে সেগুলো ফাটানো হয়।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতম গণহত্যার প্রতিবাদে ডাকা বৈশ্বিক ধর্মঘটে সংহতি জানিয়ে সিলেটে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে সোমবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। এসব সমাবেশ থেকে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। এসময় চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি এলাকায় পিৎজা হাট ও কেএফসিতে ইট-পাটকেল ও জুতা নিক্ষেপ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে প্রতিষ্ঠান দুটির সামনের অংশের কাচ ভেঙে যায়। এছাড়া মিছিল থেকে রাস্তার পাশের বিভিন্ন দোকানে থাকা কোকা কোলা ও পেপসিকো কোম্পানির সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়।

এদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দুই নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মিছিলটি নাসিরাবাদ অতিক্রম করার পরপরই সানমার ওশান সিটির পাশে থাকা কেএফসিতে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও জুতা নিক্ষেপ করে তারা। এতে রেস্তোরোর কাচ ভেঙে যায়। এছাড়া চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় থাকা পিৎজা হাটের একটি শাখার সামনের কাঁচাও ভাঙচুর করেছে বিক্ষোভে আসা মানুষজন। এরপর জিইসি মোড়ে অবস্থিত হোটেল জামানে কোকা কোলার সাইনবোর্ড থাকায় সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এতে হোটেলটির সামনের অংশের কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পরে তারা পিৎজা হাটেও ভাঙচুর চালায়।

অন্য আরেক মিছিল থেকে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় স্পোর্টস ব্র্যান্ড পুমার সাইনবোর্ড, বাটার সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া নগরীর কাজির দেউড়ী মোড় থেকে জামালখান অভিমুখী আরেকটি মিছিল থেকে রাস্তার পাশের বিভিন্ন দোকানে থাকা কোকা কোলা ও পেপসিকো কম্পানির ফ্রিজ ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা ফ্রিজে থাকা পেপসি, সেভেন আপসহ বিভিন্ন কোমল পানীয় রাস্তায় ছিটিয়ে দেয়।

কক্সবাজার

‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি রেখে কক্সবাজার শহর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সাগর পাড়ের হোটেল-মোটেল জোন সড়কের কাছে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার মালিক ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএফসি ও পিৎজা হাটের আউটলেটে ভাঙচুর চালায়।

বিক্ষুব্ধ জনতা ‘এগুলো ইসরায়েলের দোসর’ বলে উল্লেখ করেন। এসময় সেভেন আপের সাইনবোর্ড দেখেও ভাঙচুর চালানো হয়।

মিছিল শেষে কলাতলি গোল চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা এখন থেকে ইসরায়েল ও ইসরায়েলের দোসরদের পণ্যসামগ্রীও বয়কটের ঘোষণা দেন। কেএফসি, পিৎজা হাট, পেপসি, সেভেন আপের মতো কিছু ইসরায়েলি পণ্যের বাংলাদেশি সরবরাহকারী ট্রান্সকম গ্রুপ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ইসরায়েলের এমন অমানবিক কর্যক্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব নেতাদের চুপ থাকা লজ্জাজনক। আজ থেকে ইসরায়েল সম্পৃক্ত সব পণ্য বয়কট করা হবে।

তারা আরো বলেন, ‘সেই সঙ্গে যত দিন পর্যন্ত ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে না, তত দিন নিরীহ ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকবে কক্সবাজারের সর্বস্তরের জনতা।

বগুড়া

বগুড়ায় ইসরায়েলি পণ্য বাটা শো-রুমসহ দেশটির কোমল পানীয় রাখা দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার শহরের সাতমাথা এলাকায় ভাঙচুর চালান বিক্ষোভকারীরা।

এর আগে সকালে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বগুড়ায় ফুঁসে ওঠে তৌহিদি ছাত্র-জনতা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদিন জানান, বিক্ষোভ মিছিল থেকে দু-একজন বাটার শো-রুমের কাচে ঢিল ছুড়ে মারে। এতে কিছু কাচ ভেঙে যায়। তবে সার্বিক পরিবেশ শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বরিশাল

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বরিশালে গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা ইসরায়েলকে অর্থ সহায়তা দেওয়া কেএফসির বরিশাল ব্রাঞ্চে ভাঙচুর চালান। ছাত্র-জনতা কেএফসির কার্যক্রম বরিশাল থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানায়।

সোমবার সকাল ১১টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সড়কে ছাত্র-জনতার ব্যানারে কর্মসূচি শুরু হয়। সড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার পর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কবি জীবনানন্দ দাশ সড়কে কেএফসির সামনে বিক্ষুব্ধ জনতা অবস্থান নেয়। তারা অভিযোগ করেন, কেএফসি ইসরায়েলকে অর্থ সহায়তা করে। যে অর্থের একাংশ যুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। জনতা কেএফসি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীরা কেএফসির সামনের সড়কে জোহরের নামাজ আদায় করেন। একইস‌ঙ্গে মোনাজাতে গাজাবাসীর জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।

বিকাল সোয়া ৩টার দিকে কয়েকজন বিক্ষোভকারী প্রতিষ্ঠানটির ছাদে উঠে কেএফসির লোগো ভেঙে ফেলেন। পাশাপা‌শি ব্যানার নিয়ে যান। এছাড়া দেয়ালে বয়কট কেএফসি লিখে দেন তারা।

তারা রেস্টুরেন্টটির ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে বরিশালে কেএফসির একমাত্র শাখাটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধরা কেএফসির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। কেএফসির লোগো ভেঙে ফেললেও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

খুলনা

খুলনায় ইসরায়েল বিরোধী মিছিল থেকে নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের কেএফসি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা কেএফসি থেকে ইসরায়েলি পণ্য ও বিভিন্ন কোমল পানীয় বের করে রাস্তায় এনে ভেঙে ফেলে। পরে মিছিলকারীরা আবারো শিববাড়ির দিকে চলে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ময়লাপোতাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল যেতে থাকে শিববাড়ি মোড়ের দিকে। এ সময় ময়লাপোতা থেকে একাধিক মিছিল যাওয়ার সময় কে বা কারা কেএফসিকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই সেখানে অন্যান্যরাও হামলা করে। এ সময় মিছিলের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা চেষ্টা করেও হামলা থেকে কেএফসিকে রক্ষা করতে পারেননি। এক পর্যায়ে কেএফসির মধ্য থেকে কোমল পানীয় বের করে এনে ভেঙে গুড়িয়ে ফেলা হয়। এ সময় রাস্তা পানিময় হয়ে যায়। পরে মিছিলকারীরা আবারো শিববাড়ির দিকে যেতে থাকে।


আরও খবর