Logo
শিরোনাম

জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউএনইএসসিএপি)-এর ৮১তম অধিবেশনে বাংলাদেশ একটি তাৎপর্যপূর্ণ কূটনৈতিক জয়লাভ করেছে।

আঞ্চলিক সহযোগিতায় ক্রমবর্ধমান নেতৃত্ব প্রদর্শন করে বাংলাদেশ ইউএনইএসসিএপির অধীনে মর্যাদাবান দুটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কাউন্সিলের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেনিং সেন্টার অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট (এপিসিআইসিটি) এবং এশিয়া-প্যাসিফিক সেন্টার ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব ডিজাস্টার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট (এপিডিআইএম)-এর গভর্নিং কাউন্সিলে তিন বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

উদ্বোধনী অধিবেশনে জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল এবং ইএসসিএপি‘র নির্বাহী সচিব আর্মিদা সালসিয়াহ আলিশাবানা, থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী বক্তব্য দেন।

নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৮১তম অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

উদ্বোধনী অধিবেশনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের একটি ভিডিও ভাষণ প্রচার করা হয়। এ ভাষণে তিনি সকল ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণের নীতির ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন বিশ্ব গড়ার আহ্বান জানান।

তিনি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

গুরুত্বপূর্ণ এই অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তার সঙ্গে রয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটিডি) সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীল এবং টেকসই নগর উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা’ শীর্ষক অধিবেশনে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর আরও জোর দিয়েছে। বিশেষ করে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী টেকসই উন্নয়নের ওপর ডিসকোর্স তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উল্লেখযোগ্যহারে প্রযুক্তিগত সহায়তা বৃদ্ধি, গবেষণা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং স্মার্ট, সবুজ ও স্থিতিশীল নগরায়ণ প্রকল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ইএসসিএপি এবং এর সদস্য দেশগুলোর প্রতি জোরালো আহ্বান জানান।

অধিবেশনে শীষ হায়দার চৌধুরী তার বক্তব্যে জাতি ও অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারগুলোর ওপর জোর দেন। তিনি স্থিতিশীল ও টেকসই নগর উন্নয়ন অর্জনের জন্য আন্তঃসীমান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বহুমুখী পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি এবং আন্তঃসীমান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তঃসীমান্ত সমাধানের প্রসার ঘটানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘তিনটি শূন্যের মাধ্যমে টেকসই নগরায়ণকে কেন্দ্র করে একটি উচ্চপর্যায়ের সাইড ইভেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও এগিয়ে নিয়েছে।

শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, এই উদ্যোগটি নগর উন্নয়নের একটি উদ্ভাবনী মডেলকে প্রচার করে, যা দৃঢ়ভাবে শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণের নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই মডেল অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘এ ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরোস: দ্য নিউ ইকোনমিক্স অব জিরো পোভার্টি, জিরো আনএমপ্লয়মেন্ট, জিরো নেট কার্বন এমিশনস’ বই থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা তুলে ধরেছে।

‘তিন শূন্য’ বিষয়ক অধিবেশনের আলোচনায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণের এজেন্ডা এগিয়ে নিতে আঞ্চলিক অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অর্জনে উন্নত নগর রূপান্তর অভিযাত্রায় প্রাণবন্ত জ্ঞান বিনিময়, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কারিগরি সহায়তা প্রদানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

নির্বাচন ও বিষয়ভিত্তিক অধিবেশনের বাইরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ইউএনইএসসিএপি’র নির্বাহী সচিবের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশগ্রহণ করে।

বৈঠকে আইসিটি উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা জোরদার করা এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আঞ্চলিক সক্ষমতা জোরদার করার ওপর আলোচনা করা হয়।

তাৎপর্যপূর্ণ এই দুটি নির্বাচনী বিজয় বাংলাদেশের প্রাগ্রসর নীতি এবং এই অঞ্চলের মধ্যে এর প্রভাবশালী নেতৃত্বের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমবর্ধমান আস্থার প্রতিফলন।

দুটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কাউন্সিলের নির্বাচনে মূল্যবান সমর্থনের জন্য বাংলাদেশ সকল সদস্য রাষ্ট্র এবং গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ইউএনইএসসিএপি’র নির্বাহী সচিবের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

সূত্র: বাসস


আরও খবর



সবজিতে আর স্বস্তি নেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

অস্থির হয়ে উঠেছে সবজির বাজার । শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে গত তিন-চার মাস সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে যে স্বস্তি ছিল, তা আর নেই। তবে দাম কমেছে খাসির মাংস ও সব ধরনের মুরগির। আর স্থিতিশীল রয়ে মাছের দাম। অধিকাংশ সবজির দামই ৮০ টাকার ওপরে। পাশাপাশি দাম বেড়েছে পেঁয়াজ ও মুরগির ডিমের। এ ছাড়া আগের মতোই বাড়তি দামে চাল বিক্রি হচ্ছে।


শীত মৌসুমে দাম কিছুটা কম থাকার পর রমজানে সবজির দাম চলে এসেছিল সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে। তবে ঈদের পর থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে শাক-সবজির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কোনো কোনো সবজিতে দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতাদের দাবি, এ সময় এমনিতেই সবজির দাম একটু চড়া থাকে।


রাজধানীর খিলক্ষেতের সবজি বিক্রেতা বলেন, বাজারে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রীষ্মকালীন সবজি আসেনি। আর এসব সবজির উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় মৌসুমের শুরুর দিকে দাম বিছুটা চড়া থাকে। ধীরে ধীরে কম আসবে।


কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী বলেন, এবার শীত মৌসুমে কৃষক লোকসানে ছিল। সবজির দাম পায়নি তেমন। ফলে তারা গ্রীষ্মকালীন সবজিতে কিছুটা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। তাছাড়া এসময় এমনিতেও সবজির দাম কিছুটা বেশি থাকে।


বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি করলা ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ৫০-৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কহি ৬০ টাকা, লতি ৭০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা ও টমেটো ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, পটোল ৫০-৬০ টাকা, সজনে ডাটা ১০০-১২০ টাকা ও ধনেপাতা ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে প্রতি পিস চালকুমড়া ৫০ টাকা ও লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা।


দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও। খুচরা পর্যায়ে মানভেদে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। পাইকারি পর্যায়ে যা কেনাবেচা হচ্ছে ৭০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েকদিনে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির কারণে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম।


ক্রেতারা বলছেন, রমজানে সবজির দাম কম থাকলেও, ঈদের পর থেকেই শাক-সবজির বাজার চড়া। দাম কমাতে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে। না হলে ফের অস্থির হয়ে উঠবে নিত্যপণ্যের বাজার। আরকে রাডার নামে এক ক্রেতা বলেন, রমজানে হাতের নাগালে ছিল সবজির দাম। এখন হঠাৎ করেই বাড়ছে। বাজারে দ্রুত মনিটরিং জোরদার করতে হবে। না বাজারে নতুন করে সিন্ডিকেট তৈরি হবে।


তবে রমজানজুড়ে ভোগানো লেবুর দাম কমে এসেছে। মান ও আকারভেদে প্রতি ডজন নেমে এসেছে ৩০-৫০ টাকায়। বিক্রেতার বলছেন, রমজানে যেখানে লেবুর হালি বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকায়, সেখানে এখন দাম কমে ডজনই বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

 

এদিকে পহেলা বৈশাখ থেকে চড়েছে পেঁয়াজের বাজার। বর্তমানে দামে বেড়ে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

 

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি হালি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে দাম। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে।

তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে আলুর দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর জন্য গুনতে হচ্ছে ২০-২২ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। আর প্রতিকেজি আমদানি করা রসুনের জন্য ১৮০ থেকে ২২০ ও দেশি রসুনে গুনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।


বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দাম। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা, কাতল ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।


এছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, আইড় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, টেংরা ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা ও শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আর বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকায়। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২,৫০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ১৪০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত।


এদিকে, গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে কমেছে সব ধরনের মুরগির দাম। কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৫০ টাকায়।


এছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।


বাজারে কমেছে খাসির মাংসের দামও। তবে স্থিতিশীল রয়েছে গরুর মাংসের দাম। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। আর ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়।


তবে কিছুটা বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০-১৩০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ১৮০-২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


এদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা করা হয়। তবে দাম বাড়লেও বাজারে চাহিদার তুলনায় বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ কিছুটা কম বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।


আরও খবর



হজ অ‍্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

হজযাত্রীদের সেবা সহজীকরণের জন্য প্রস্তুতকৃত মোবাইল অ্যাপ লাব্বাইক উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।এ সময় তিনি বলেছেন, হজযাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে ধর্মকর্ম পালন করতে পারেন, সে জন্য এই অ‍্যাপ বিরাট ভূমিকা রাখবে।

সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রথমবারের মতো নির্মিত অ‍্যাপটি উদ্বোধন করে হজযাত্রীদের এটি ব্যবহারের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

ড. ইউনূস বলেন, ধর্মকর্ম পালনে সহায়ক হওয়ায় এবং স্বাস্থ্য সেবাসহ নানা ফিচার থাকায় এই অ‍্যাপ হাজিদের একাগ্রচিত্তে হজ পালনে মস্তবড় অবদান রাখবে।

চলতি বছর পবিত্র হজব্রত পালনের শুরু থেকে হজযাত্রীরা এই অ‍্যাপ ব্যবহার করতে পারলেও আগামী বছর থেকে যেন মানুষ হজে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনার পর্যায় থেকে এই অ‍্যাপ ব্যবহার করে হজযাত্রাকে সহজ করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় যেসব দেশ আমাদের দেশের চেয়ে উন্নত তাদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা গ্রহণ এবং যেসব দেশ এ ধরনের ব্যবস্থা নেই সেসব দেশকে বিনা মূল্যে আমাদের অ্যাপটির কারিগরি দিক প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।ভবিষ্যতে এই অ‍্যাপকে আরো সহজ এবং ত্রুটিমুক্ত করার পরামর্শও দেন তিনি।

এই অ‍্যাপটি চালু হওয়ার হজযাত্রীদের ধর্মকর্ম পালন সহজতর করার পাশাপাশি সৌদি আরব গিয়ে চলা ফেরায় দুশ্চিন্তা মুক্ত হবে। অ‍্যাপটি তৈরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।

এই অ‍্যাপটির পাশাপাশি হজ প্রিপেইড কার্ড ও হজ রোমিং প‍্যাকেজ সুবিধার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা।

এ সময় অন‍্যদের মধ‍্যে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়‍্যব, হাব মহাচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার।


আরও খবর



নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

নিজস্ব সংবাদদাতা :

সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা RSTP ২০২৫-এর কাজ চলছে। মেট্রোর ৬টি লাইন নিয়ে নতুন প্রস্তাব থাকছে RSTP- তে। নতুন এলাকা যুক্ত করতে সব মেট্রো লাইনের এক্সটেনশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এতে নতুন মেট্রো লাইন না করারও প্রস্তাব আসতে পারে।

.

জানতে চাইলে সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা RSTP প্রকল্প পরিচালক রবিউল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেট্রোরেলের সবগুলো লাইনেরই অলটারনেটিভ চিন্তা করছি। MRT লাইন-৫ এর নর্থ ও সাউথ যেগুলো হচ্ছে, সেগুলোর এক্সটেনশন (সম্প্রসারণ) হতে পারে। যেগুলো এখনো হয় নাই, সেগুলোর মডিফিকেশন (পরিবর্ধন) হবে। মেট্রোতে নতুন এলাকা যুক্ত করার জন্য রুট বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। MRT লাইন-২ এবং লাইন-৪ এখনো হয়নি। সেগুলো নতুন এবং ভালো কোনো অ্যালাইনমেন্টে করা যায় কি না, যাতে বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে। এসব পরিকল্পনা সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (RSTP) থাকবে।’

.

বর্তমানে RSTP- র চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। এই প্রতিবেদন-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে,MRT লাইন- ৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল কাজ অনেক আগেই শেষ। বর্তমানে ট্রেন চলছে। এটি কমলাপুর পর্যন্ত বাড়ানোর কাজ চলমান আছে। তবে নতুন করে উত্তরা থেকে টঙ্গী এবং টঙ্গীর পরে গাজীপুর পর্যন্ত লাইন-৬-এর রুট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হতে পারে RSTP- তে।

.

MRT লাইন-৫ নর্দান রুট হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত। ২০২৩ সালে ৪ নভেম্বর এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এদিকে RSTP তে এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুট হেমায়েতপুর থেকে এক্সটেনশন করে নবীনগর বা বাইপাইল পর্যন্ত এবং ভাটারা থেকে জলসিঁড়ি বা ভুলতা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব থাকতে পারে।

.

MRT লাইন-৫ সাউদার্ন রুট গাবতলী-আফতাবনগর পশ্চিম পর্যন্ত ১৩.১০ কি.মি. পাতাল এবং আফতাব- নগর সেন্টার থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত ৪.১০ কি. মি. উড়াল মোট ১৭.২০ কি.মি. দীর্ঘ এবং ১৫টি স্টেশন (পাতাল ১১টি এবং উড়াল ৪টি) বিশিষ্ট মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং নকশা সম্পন্ন হয়েছে। বিনিয়োগ প্রকল্পের DPP (খসড়া) অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন। বর্তমানে প্রকল্পের ক্রয় নথি প্রস্তুতির কাজ চলছে। এদিকে RSTP তে MRT লাইন-৫ সাউদান রুটের কোনো পরিবর্তন নাও হতে পারে। তবে এটার ফেজিং এবং প্রায়োরিটি কী হবে, সেটা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়।

.

গাবতলী থেকে- মোহাম্মদপুর-নিউমার্কেট-গুলিস্তান-কমলাপুর-সাইন -বোর্ড হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সদর পর্যন্ত সম্ভাব্য মেইন লাইন এবং গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ব্রাঞ্চ লাইন সমন্বয়ে উড়াল ও পাতাল মিলিয়ে প্রায় ৩৫ কি.মি. দীর্ঘ MRT লাইন-২ নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করতে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা খোঁজা হচ্ছে। এদিকে RSTP তে MRT লাইন-২-এর অলটারনেটিভ (বিকল্প) অ্যালাইনমেন্ট করা হয়েছে। তাতে এই লাইনটি পুরান ঢাকার দিকে যাবে অর্থাৎ বংশাল, লালবাগ ও বাবুবাজার ব্রিজ এলাকা দিয়ে যেন যায়, সেই প্রস্তাব রাখা হতে পারে RSTP তে।

MRT লাইন-১ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯.৮৭২ কি. মি. পাতাল লাইন এবং নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৬৯ কি. মি. উড়াল লাইন। এই লাইনের নির্মাণকাজ ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে। RSTP তে MRT লাইন-১-এর রুট বাড়িয়ে গাজীপুর পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হতে পারে। তবে গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত BRT করিডোর যদি কোনো কারণে না হয় বা বাদ যায়, তাহলে MRT লাইন-১ বা লাইন-৬ দুটোরই গাজীপুর পর্যন্ত এক্সটেনশনের সুযোগ আছে।


আরও খবর



মে দিবসে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মে দিবসে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে হাজারো মানুষ অংশ নেয়। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম ১০০ দিনে অভিবাসী ও ফেডারেল কর্মীদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। খবর সিএনএন ও এএফপির।

লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউইয়র্ক সিটি, ডেনভার, শিকাগো, ওয়াশিংটনসহ দেশের সব বড় বড় শহরে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। ছোট শহরগুলোর রাস্তাতেও বিক্ষোভকারীরা সমবেত হন। মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা অভিবাসী, শ্রমিক ও বিদেশি ছাত্রদের কথা বলার স্বাধীনতার অধিকারের দাবি জানান।

বিক্ষোভ ‘৫০৫০১’ আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজন করা হয়। বামঘেঁষা কিছু গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত এই সংগঠনের নামের ব্যাখ্যা হলো ৫০ অঙ্গরাজ্যে ৫০টি বিক্ষোভ এবং একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। এরা আগেও বেশ কয়েকবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল।

এই সংগঠন সংবিধান সমুন্নত রাখার এবং নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ করার লড়াইকে সমর্থন করে। সংগঠনটি জানায়, মে দিবসের এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজারের বেশি জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার কোটিপতি মুনাফাখোররা শ্রমিকদের মজুরি, সুযোগ-সুবিধা, মর্যাদা নিচে নামানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আন্দোলনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘এই মে দিবসে আমরা লড়াই করছি। আমরা এমন একটি দেশ চাই, যেখানে আমাদের পরিবারগুলোকে তাদের ভাগ্যের উপরে প্রাধান্য দেওয়া হবে, বেসরকারি লাভের উপরে পাবলিক স্কুল, হেজ ফান্ডের উপরে স্বাস্থ্যসেবা, মুক্ত বাজার রাজনীতির উপরে সমৃদ্ধি।’

ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ৫৪ বছর বয়সি শেন রিডল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা মনে করি, অতি ধনীরা দেশকে দখল করে নিচ্ছে এবং শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে দমন করছে।

ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি শিক্ষা ইউনিয়নে কর্মরত রিডল আরও বলেন, আমাদের নাগরিকরা যদি এই প্রেসিডেন্ট ও তার ধনকুবের মিত্রদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে না পারে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারে পরিণত হতে পারে।

টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বার্নার্ড স্যাম্পসন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করে বলেন, এই অভিবাসীরাই তোমার রেস্তোরাঁয় কাজ করে, তোমার ঘরবাড়ি নির্মাণ করে।

শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, ফ্রান্স থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত মে দিবসের র‍্যালিতে ট্রাম্পবিরোধী বার্তা দেখা গেছে।


আরও খবর



মহাসড়কে তিন চাকার দাপট, শঙ্কা বাড়ছে দুর্ঘটনার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের ১০৫ কিলোমিটার অংশে তিন চাকার অবাধে ছুটে চলছে সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যান। এ কারণে বেড়েই চলেছে দুর্ঘটনা। এতে ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। আবার অনেকে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে অভিশপ্ত জীবন পার করছেন। মহাসড়কে কাগজে কলমে তিন চাকার বাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও বাস্তবে এই চিত্র উল্টো। ফলে সমস্যায় পড়ছেন বাস, ট্রাকসহ বড় যানবাহনের চালকরা।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, গত দুই মাসে সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে প্রায় ২৫টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহতও হয়েছেন।

মহাসড়কে দেখা যায়, অবাধে চলছে সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যান। আবার কোথাও কোথাও প্রকাশ্যেই চলছে নছিমন ও ভটভটি। জমি চাষের ট্রাক্টরের পেছনে ট্রলি লাগিয়েও মহাসড়ক দাবড়ে বেড়াতে দেখা গেছে।

মহাসড়কের নলকা ও ভুইয়াগাঁতী অংশে দেখা দেখা গেছে, দ্বিমুখী লেনেই উল্টো পথে চলছে এই তিন চাকার যান। এ কারণে বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরিসহ বড় গাড়িগুলোর চালকদের হঠাৎ ব্রেক কষে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে দেশের মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপর ২০১৯ সালে উচ্চ আদালত মহাসড়কে তিন চাকার বাহন না চালানোর নির্দেশ দেয়। এরপর একই বছরের আগস্ট থেকে মহাসড়কে তিন চাকার যান নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। আজও এই সিদ্ধান্ত শুধু কাগজে-কলমে আছে বাস্তবে নেই।

নাটোরগামী ট্রাকচালক হামিদ সরকার বলেন, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহনের দৌরাত্ম্যে তাদের অনেক সমস্যা হয়। ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয় তাদের।

সিরাজগঞ্জ থেকে পাবনার পথে চলাচলকারী একটি পরিবহনের চালক হামিদুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধ এসব যান হঠাৎ করেই সংযোগ সড়ক থেকে মহাসড়কে উঠে পড়ে। তখন জরুরি ব্রেক করলে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আমরা এই সমস্যার সমাধান চাই।

সিরাজগঞ্জের আইয়ুব আলী নামক একজন শিক্ষক জানান, কদিন আগে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের পূর্বদেলুয়া ব্রিজ এলাকায় ট্যাংক লরি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে শরিফুল ইসলাম (৩৫) ও আব্দুল মমিন (৩৫) নামের দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও চারজন। সড়কে তিন চাকার অরাজকতার কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ প্রসঙ্গে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঝে মাঝে তিন চাকার যান মহাসড়কে উঠে যায়। তারপরও আমরা এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল শূন্যের কোটায় আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।


আরও খবর