Logo
শিরোনাম

জেলেই থাকতে হচ্ছে সাহেদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৩৬১জন দেখেছেন

Image

অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত রেখেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি) নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সাহেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ আদালত।

মামলায় সাহেদকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় যাবজ্জীবন ও (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুটি সাজা একত্রে চলবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওই অস্ত্র বাজেয়াপ্ত ও যে গাড়ি থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে তার মালিকানা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

পরে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চেয়েছিলেন সাহেদ। ২০২২ সালের ৭ জুন তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদেনে ১২ জুন তা স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করেন।

২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে সংস্থাটি। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।

একই বছরের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

 


আরও খবর



নওগাঁয় গভীর রাতে গরুর শেডে আগুন দিলো দূর্বৃত্তরা

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়ন এর গোয়ালি গ্রামে গরুর শেডে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। আগুনে দুটি গরু প্রাণে বেঁচে গেলেও ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০লাখ টাকার। 

বুধবার পূর্বরাতে আনুমানিক আড়াইটার দিকে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কাশেম প্রামাণিকের বসত বাড়ীতে গরুর সেডে আগুন দেন দূর্বৃত্তরা।

জানা যায় যে, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে মেম্বার আবুল কাশেম বাণিজ্যিক ভাবে গরু মোটা-তাজাকরণ করছিলেন। ঘটনার রাতে সময়ে বিদ্যুৎ ছিলো না। ঐ হটাৎ রাতে ছাগলের আওয়াজ শোনে ঘুম থেকে জেগে গরুর শেডে আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠেন মেম্বার। চিৎকার শুনে তার ছেলে শামিম আহমেদ ও প্রতিবেশিরা ঘুম থেকে ওঠে এসে সবাই মিলে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে করেন। আগুন নিয়ন্ত্রণ করার সময় মেম্বারের ছেলের শরীরের কিছু অংশ আগুনের তাপে ঝলসে যাওয়ায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মেম্বার।  এছাড়া শেডে থাকা ৩টি গরুর গায়ে আগুনের তাপ লেগে ঝলসে যায় এবং  গরু গুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। এছাড়াও কিছু মুরগী ও হাঁস আগুনে পুড়ে গেছে। এতে করে প্রায় ১০লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মেম্বার আবুল কাশেম প্রামাণিক।


এব্যাপারে শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান রূকুনূজ্জামান (টুক) সাংবাদিকদের বলেন, শত্রুতা মূলকভাবে মেম্বারকে ক্ষতিগ্রস্থ করতেই দূর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অমানবিক কাজ এটি, যেই করুক না কেন, জড়ীতরা যেন ছার না পায়, তদন্ত পূর্বক জড়ীতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ প্রশাসনের আশুদৃষ্টি ও কামনা করেছেন তিনি।

এব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ  ফায়সাল আহমেদ জানান, অগ্নিকান্ডের কথা শোনার পরই সাথে সাথে ঘটনাস্থলে থানা থেকে পুলিশ গিয়েছিলো। লিখিত অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী সুমনা ছেলেতে রূপান্তরিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৬৭৩জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্কুলছাত্রী সুমনা মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত, এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে শনিবার সুমনাকে এক নজর দেখার জন্য লোকজনের ভীড়। এলাকার লোকজনের মাঝে ব্যাপক তোলপাড় ও আলোড়ন সৃষ্টিকারি এঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ঝাড়াবর্ষা গ্রামে।

দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী সুমনা এখন ছেলে এমন খবর শনিবার সকালে জানাজানি হলে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়া সুমনাকে একনজর দেখতে এলাকা সহ আশে-পাশের গ্রামের লোকজন ভীড় করছেন তার বাড়িতে। 

এব্যাপারে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী সুমনা'র দাদি দৌলত নেছা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তার নাতনী সুমনা তাকে (দাদিকে) গোপনে বলে আসছিলো নিজের শারীরিক পরিবর্তন হওয়ার কথা, সর্বশেষ এমন কথা বলে সে গত ২৩ মে ক্লাস করতে বিদ্যালয়েও যায়নি।

অপরদিকে স্কুল ছাত্রী সুমনার মা মোসাঃ লাভলী বেগম বলেন, আমার ৩ জন মেয়ে। এদের মধ্যে সুমনা সবার বড়। আমার মেয়ে সুমনা বর্তমানে এলাকার ঝাড়া-বর্ষা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী। আমাকে আমার শাশুড়ী দু'দিন আগে জানান, আমার মেয়ে সুমনার নাকি লিঙ্গ পরিবর্তন হয়েছে।

প্রথমে আমি নিজেও বিশ্বাস না করলেও পরে ঘটনাটি জেনে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমার কোন ছেলে নেই জন্য হয়তবা আল্লাহ আমার মেয়েকে ছেলে বানিয়েছেন বলেও মনে করছেন তিনি।

এব্যাপারে স্কুলছাত্রী সুমনা'র বাবা সুমনার বাবা সাইদুর রহমান জানান, সুমনা আমার মেয়ে, সে হঠাৎ করে ছেলেতে রূপান্তরিত হলেও এখন পর্যন্ত তার নাম, ''সুমনা'' রয়েছে এখনো তার নাম পরিবর্তন করা হয়নি।


দেখতে আসা কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী সুমনা'র শারীরিক গঠন এখন পুরুষের মতো। তবে তার মাথার লম্বা চুল ও পড়নের পোশাক মেয়েদের-ই রয়েছে যা এখনো পরিবর্তন করা হয়নি। এব্যাপারে স্কুল ছাত্রী সুমনা জানান, আমরা ৩ বোন, সবার বড় আমি। হঠাৎ কয়েক দিনধরে আমার পরিবর্তণ আমি নিজেই লক্ষ্য করছি এমন অবস্থায় প্রথমে ঘটনাটি গোপনে আমার দাদিকে আমি জানিয়েছি। পরিবর্তণ হলেও সুমনা খুশি বা আনন্দে রয়েছেন।

ঘটনার ব্যাপারে স্থানিয় সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আরিফুজ্জামান জানান, অবাক হওয়ার কোন বিষয় এটি নয়, হরমোন পরিবর্তনের কারণে এমন ঘটনা ঘটে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতি পূর্বেও দেশে ছেলে থেকে মেয়ে, আবার মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। এটা সাধারণত হরমোন পরিবর্তন এর কারণে ঘটে থাকে। তবে স্কুল ছাত্রী সুমনা'র ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে এবং কেন ঘটেছে তা এখন বলা সম্ভব নয়। হাসপাতালে এলে পরিক্ষা শেষে এবিষয় ( বাস্তব ঘটনা) জানা যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী সুমনা এখন ছেলে এমন খবর শনিবার সকালে জানাজানি হলে মহূর্তের মধ্যেই ঘটনাটি ব্যাপকভাবে জানাজানি হয়ে পড়ে। যার ফলে সুমনাকে এক নজর দেখার জন্য শত শত লোকজন তার বাড়িতে ভীড় জমান।


আরও খবর



কানাডায় ছড়িয়ে পড়ছে দাবানল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image

কানাডার পূর্বাঞ্চলীয় শহর হ্যালিফ্যাক্সে দাবানলের কারণে হাজার হাজার বাড়িঘর বাধ্যতামূলকভাবে খালি করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, পৌর কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত বাসিন্দাদের তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেওয়া হবে না।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে দাবানলের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল কানাডার আলবার্টা প্রদেশ। মঙ্গলবার (৩০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

হ্যালিফ্যাক্স শহরের মেয়র মাইক স্যাভেজ বলেছেন, বাড়িঘর খালি করার আদেশ দেওয়ার কারণে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

রয়টার্স বলছে, স্থানীয় সময় রোববার জারি করা এই আদেশে হ্যামন্ডস প্লেইনস, আপার ট্যান্টালন এবং পকওক এলাকাও কভার করেছে। শহরতলির এই এলাকাগুলোতে এমন মানুষই বেশি থাকেন যারা শহরে শ্রমিকের কাজ করেন এবং এটি হ্যালিফ্যাক্স শহর থেকে প্রায় ১৫ মাইল দূরে অবস্থিত। জঙ্গলে ঘেরা আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা সারারাত অস্বস্তির মধ্যে কাটিয়েছেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবার নোভা স্কটিয়া প্রদেশের দাবানল পরিস্থিতিকে - যেখানে হ্যালিফ্যাক্স অবস্থিত - অবিশ্বাস্যভাবে গুরুতর বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, তার সরকার প্রয়োজনে যে কোনও সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

এদিকে দাবানলের কারণে সপ্তাহান্তে নিউ ব্রান্সউইক প্রদেশে প্রায় ৪০০টি বাড়ি থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নিউ ব্রান্সউইকের সেন্ট অ্যান্ড্রুসের মেয়র ব্র্যাড হেন্ডারসন সোমবার বলেছেন, দাবানল পরিস্থিতির অগ্রগতি হলেও আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

হ্যালিফ্যাক্স রিজিওনাল ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সির ডেপুটি চিফ ডেভ মেলড্রাম সোমবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ট্যান্টালন এবং হ্যামন্ডস প্লেইন এলাকায় আগুন জ্বলছে। আগুনের কারণ এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত মৃত্যু বা আহত হওয়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

মেলড্রাম আরও বলেছেন, প্রায় ১০০ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মী সারারাত আগুন নিয়ন্ত্রণে লড়াই করেছেন। একইসঙ্গে জরুরি কর্মীদের সামনে অনেক দিন ব্যাপক কাজ করেতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রয়টার্স বলছে, দাবানলের কারণে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে রোববার রাতে শহরটি স্থানীয় ভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এবং কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি স্কুলও বন্ধ করে দেয়। জারিকৃত এই জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া না হলে বা আরও বাড়ানো না হলে আগামী সাত দিনের জন্য কার্যকর থাকবে বলে পৌরসভা জানিয়েছে।

এর আগে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার কারণে চলতি মাসের শুরুর দিকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল কানাডার আলবার্টা প্রদেশ। একইসঙ্গে দাবানল মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সামরিক সহায়তার অনুরোধও জানিয়েছিল প্রদেশটি।


আরও খবর



তীব্র গরমে নাকাল দার্জিলিংয়ের পর্যটকরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৪২জন দেখেছেন

Image

গরমের ছুটিতে বহু পর্যটকের গন্তব্য হয় দার্জিলিং, না হয় সিকিম। কিন্তু এবার গরম থেকে রেহাই পেল না পাহাড়ও। মে মাসে এত গরম কখনো দেখেনি শৈলশহর দার্জিলিং। তাপমাত্রার সব রেকর্ড এবার ভাঙল।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পর পর দুদিন দার্জিলিংয়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির বেশি। মঙ্গলবার ২৫.৪ ও বুধবার ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার কালিম্পংয়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

রেকর্ড ভেঙেছে পড়শি শৈলশহর গ্যাংটকেও। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছয় ২৫.৯ ডিগ্রিতে, বুধবার পারদ উঠে যায় ২৬.১ ডিগ্রিতে। দার্জিলিংয়ের মতো সর্বকালীন রেকর্ড না ভাঙলেও, বুধবার ২৩ বছরের উষ্ণতম দিন কাটিয়েছে সিকিমের রাজধানী। সর্বশেষ ২০০০ সালের ১৪ মে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ২৬.১ ডিগ্রিতে। তারপর এবার।

ভারতীয় আবহাওয়া ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, বৃষ্টি হচ্ছে না। আকাশ একেবারে পরিষ্কার। চড়া রোদের ফল এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি।

রোদের প্রভাব পড়েছে বাকি অঞ্চলেও। পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুর তো বটেই, শিলিগুড়িতেও চল্লিশের উপর তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি জলপাইগুড়ি, কোচবিহারেও।

ভারতের আবহাওয়া দফতরের ইঙ্গিত, জুনের ৬-৭ তারিখের দিকে গরম আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর



স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। এর পেছনে রয়েছে অনেক সংগ্রামের ইতিহাস। যার নেতৃত্বে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পিতার নেতৃত্বে জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আমি রাষ্ট্রপতি হয়েছি।

তিনি বলেন, আপনারা কেউ চাকরি করছেন, কেউ রাজনীতি করছেন। সবাই স্বাধীনভাবে নিজ নিজ পেশা বেছে নিতে পেরেছেন। নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই আমাদের সবার দায়িত্ব হবে বঙ্গবন্ধু যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সারাজীবন জেল জুলুম ও অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন তা পূরণে নিরলস প্রয়াস চালানো।

মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে মাঠে পাবনা নাগরিক সমাজের আয়োজনে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমি এই পাবনা শহরে প্রতিরোধ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট আমাকে গ্রেপ্তার করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেনা ক্যাম্পে আমাকেসহ আরো অনেককে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা তিন মাস ধরে চলে অসহ্য-অমানবিক নির্যাতন। দীর্ঘ তিনটি বছর কারাভোগের পর ১৯৭৮ সালে আমি মুক্তি পাই। এরপর আমি বিচারক হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দিই। এ সময় আমি সাধ্যমতো দেশের জন্য কাজ করেছি। আমি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। পরবর্তী সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বভার আমাকে দেওয়া হয়েছিল। এটা ছিল এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমার দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কানাডার আদালতে বিশ্ব ব্যাংকের সেই অভিযোগ অসত্য প্রমাণিত হয়। এই চাপ মোকাবিলায় আমার প্রতি পাবনাবাসীসহ দেশবাসীর দোয়া ছিল বলেই এই কঠিন কাজ আমি সফলভাবে শেষ করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমি ভেসে আসিনি, একেবারে রাজপথ থেকেই বঙ্গভবনে গিয়েছি। পাবনার রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া পেয়েছি। আমাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। চরম অত্যাচারিত হয়েছি আমি। আমাকে রাতের আঁধারে তুলে নেওয়া হয়েছে। হাতকড়া পরানো হয়েছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছে। রাজপথে সক্রিয় হয়ে আমি বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাকশালের পাবনার জয়েন্ট সেক্রেটারি হয়েছিলাম।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ১৪ বছরের নানা অগ্রগতি ও পূর্বের অবস্থা মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রাদায়িক চেতনা ধ্বংস করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনা আবার ফিরে এসেছে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারকে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। অনেক মন্ত্রী আমার কাছে এসে বিশ্ব ব্যাংকের দাবি মেনে নিতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি রাজি হইনি। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। কিন্তু আমি শক্ত হাতে তা মোকাবিলা করেছি। এ সময় রাষ্ট্রপতি আগামী সেপ্টেম্বরে পাবনা-ঢাকা রুটে সরাসরি ট্রেন চালু করার ঘোষণা দেন। সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। ধাপে ধাপে পাবনাবাসীর সকল দাবি পূরণের আশ্বাস দেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপ্রতি সাহাবুদ্দিন পাবনাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমার আগমন ঘিরে পাবনায় যে এইভাবে আয়োজন হবে তা কল্পনাও করিনি। পাবনাবাসীর এই উচ্ছ্বাসের ঋণ আমি কীভাবে শোধ করবো? আমি চির কৃতজ্ঞ। এই আয়োজন আমি জীবনেও ভুলবো না। পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের স্মৃতিবিজড়িত এ ঐতিহাসিক মাঠে নাগরিক সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনাদের এতো ভালোবাসা ও সম্মান পেয়ে আমি আবেগাপ্লুত-আনন্দিত। ঢাকার বাইরে প্রথম সফরেই নিজ জন্মস্থান পাবনায় আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতি হব- এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ভাগ্য আজ আমাকে রাষ্ট্রপতির পদে বসিয়েছে। আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসা ছিল বলেই আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আপনাদের ভালোবাসাকে সঙ্গী করেই রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই। এজন্য আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩