Logo
শিরোনাম

জেলেনস্কির ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্স সফরে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্স সফরে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরো সহায়তা ও সমর্থন পেলেন। ইউরোপীয় ঐক্যে বিশেষ অবদানের জন্য শার্লেমান পুরস্কারও গ্রহণ করলেন জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পর পর তিনটি ইউরোপীয় দেশ সফর করে ইউক্রেনের জন্য আরো সমর্থন ও সামরিক সহায়তা নিশ্চিত করলেন। সেই সঙ্গে ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্স ইউক্রেনের প্রতি অবিচ্ছিন্ন সহায়তার অঙ্গীকার করছে। রোমে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে নিজস্ব উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

যুদ্ধের শুরুর দিকে ইউক্রেনের জন্য জার্মানির সমর্থন ও সহায়তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব, ধীরগতি নিয়ে কিয়েভে যথেষ্ট ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে সেই কালো মেঘ কেটে গেছে। বার্লিন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একাধিক ক্ষেত্রে সত্যিকারের বন্ধু ও সহযোগীদেশ হিসেবে জার্মানির ঢালাও সহায়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পরই জার্মানির অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। 

 এ ছাড়াও জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেন শুধু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিজস্ব ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলমুক্ত করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে, রাশিয়ার ভূখণ্ড দখলের কোনো চেষ্টা করবে না। অতীতের উত্তেজনা কাটিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন জেলেনস্কি। সেই সঙ্গে জার্মানির জনগণ ও করদাতাদের প্রতি ইউক্রেনের মানুষের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

উল্লেখ্য, জেলেনস্কির সফরের ঠিক আগে জার্মানি আরো এক দফা সামরিক সহায়তার ঘোষণ করেছে। ২৭০ কোটি ইউরো মূল্যের সেই প্যাকেজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট শলৎসের কাছে উন্নত বোমারু বিমান সরবরাহের অনুরোধ করেন। তিনি সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশকে নিয়ে এক ফাইটার জেট কোয়ালিশনগঠনের উদ্যোগের কথাও বলেন। শলৎস অবশ্য সেই অনুরোধ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।

রবিবার জেলেনস্কি জার্মানির পশ্চিমে আখেন শহরে শার্লেমান পুরস্কার গ্রহণ করেন। ইউরোপীয় ঐক্যের জন্য জেলেনস্কি ও ইউক্রেনের মানুষকে যৌথভাবে এ বছরের পুরস্কার দেওয়া হলো। পুরস্কার গ্রহণ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি ইউক্রেনের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছেন, যা প্রতিদিন নিজেদের স্বাধীনতা এবং ইউরোপীয় মূল্যবোধ রক্ষার জন্য লড়াই করছেন। তাদের প্রত্যেকে আজ এখানে উপস্থিত থাকলে ভালো হতো।

জেলেনস্কির মতে, ইউক্রেন শান্তি ছাড়া কিছুই চায় না। একমাত্র বর্তমান সংকটে জয়ের মাধ্যমে সেই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব। ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপের ভবিষ্যৎও নির্ধারণ করতে পারে বলে জেলেনস্কি মনে করেন। কারণ রাশিয়া যেকোনো ধরনের নিষ্ঠুরতা ও পাপের মাধ্যমে ইউরোপীয় একত্রীকরণের ইতিহাসের চাকা পেছন দিকে ঠেলতে বদ্ধপরিকর।

জার্মানির পর ফ্রান্স সফরে গিয়েও জেলেনস্কি আরো সমর্থন পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ প্যারিসে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের পর আরো লাইট ট্যাংক ও আর্মার্ড যান সরবরাহের ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেবে ফ্রান্স। রবিবার জেলেনস্কির সফরের শুরুতেই ম্যাখোঁ এক টুইট বার্তায় লেখেন, ইউরোপের সঙ্গে ইউক্রেনের বন্ধন আরো বাড়ছে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরও খবর



নওগাঁয় বন বিভাগের মাধ্যমে উপকারভোগীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁর রাণীনগরে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের সামাজিক বনায়নে সৃজিত বাগান ব্যবস্থাপনা, প্রতিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন অভিঘাত, অভিযোজন ও হ্রাসকরণ বিষয়ক একদিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার দিনব্যাপী রাণীনগর বন বিভাগের আয়োজনে পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনষ্ঠিত হয়। 

এ সময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন, জেলা বন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ, আত্রাই উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষনার্থীদের সৃজিত বাগান ব্যবস্থাপনা, প্রতিবেশ সংরক্ষণ জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন। প্রশিক্ষণে ৬০ জন প্রশিক্ষনার্থী অংশ নেয়।


আরও খবর



দশমিনায় গোখরা সাপে কামড়ে এক ছাত্রের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

মোঃ নাঈম হোসাইন দশমিনা (পটুয়াখালী) :

পটুয়াাখালীর দশমিনা উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নে গোখরা সাপর কামড়ে সৌরভ (১০) নামে এক শিশুর মৃত্য হয়েছে। সাপে কাটার পর পরিবার লোকেরা চিকিৎসকের পরিবর্তে ওঝাকে খবর দিয়ে বাড়িতে আনেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৯ মে) আলিপুর ইউনিয়নের পূর্ব আলিপুর গ্রামের আলী হোসেন মুন্সি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সৌরভ ওই গ্রামের মো.খবির খলিফা ছোট ছেলে।

পারিবারিক সুত্র  জানা যায় পূর্ব আলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প ম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন সৌরভ।

সৌরভ বাবা খবির খলিফা জানান, শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে বাড়ির সামনে পুকুরে আমার বাড়ির একটি শিশু  পরে গেলে তাকে  উঠানোর সময় আমার ছেলের ডান পায়ে গোখরা সাপে কাম দেয়।

কিছুক্ষণ পরে চিৎকার করলে আমি তাকে উঠিয়ে বাসায় নিয়ে আসি। তখন আমার পরিবারের লোকজন চিৎকার করলে এলাকার অনেক মানুষ এক্ষেত্রে হয়ার পরে। তাৎক্ষণিক আমার পরিবারের ও স্থানীয় লোকেরা পার্শ্ববর্তী উপজেলার গলাচিপা থানার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মো.মনির হোসেন নামে এক ওঝাকে খবর দিলে বাড়িতে এসে ওঝা ঝাড়পোক করেন। 

তবে ওই ওঝা শেষ পর্যন্ত ঝারপোক দাও ব্যর্থ হয়ে পরেন। পরে সৌরভে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।এরপরে  সৌরভকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরে  আনুমানিক  রাতে ৯ টার  সময়  চিকিৎসা দিন অবস্থা মারা জায়। 

এর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা.মোস্তাফিজুর রহমানকে পরিবারের লোকজনেরা মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন,সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার 'অ্যান্টিভেনম' আমাদের হাসপাতালে নেই। তাই আপনারা সাপে কাটার রোগীকে অতি দ্রুত পটুায়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।


আরও খবর



ভোটের জন্য প্রস্তুত গাজীপুর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা মঙ্গলবার রাত থেকে শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম সিটির প্রায় ১২ লাখ ভোটার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ইভিএম মেশিনে ভোট দেবেন। এখন সব ভোটারের অপেক্ষা ভোট উৎসবের জন্য।

নির্বাচনে আট মেয়র প্রার্থী, ২৪৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৭৯ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদের মধ্য একজন মেয়র, ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৫৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৯ জন নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন ভোটাররা। প্রায় ৪০ লাখ নগরবাসীর সেবার জন্য কারা হচ্ছেন জনপ্রতিনিধি, এটাই নির্ধারণ হবে ২৫ মের এ নির্বাচনে। অবশ্য এরই মধ্যে একজন সাধারণ কাউন্সিলর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের দিকে শুধু নগরবাসী নয়, সারা দেশ এমনকি বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রের মানুষ তাকিয়ে আছে। অবশ্য এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। প্রথমে মানুষের ধারণা ছিল নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না। কিন্তু বিএনপি পরিবারের সন্তান এবং সাবেক মেয়রের মা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এ নির্বাচন পেয়েছে নতুন মাত্রা। অনেকের মতে, এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে।

এদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমারা প্রস্তুত। এরই মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার সদস্য নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচনী এলাকার ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। নির্বাচনে ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ এবং ১৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, অঙ্গীভূত আনসার বা ভিডিপি সদস্যসহ ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন দায়িত্ব পালন করবেন। এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স সিটির প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে স্ট্রাইকিং ফোর্স একটি এবং মহানগরের আটটি থানায় একটি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এছাড়া প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে টিমসহ র‌্যাবের ৩০টি টিম, পাঁচটি সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন হিসেবে বিজিবির ১৩ প্লাটুন সদস্য এবং ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোটগ্রহণের পূর্বের দুই দিন (মঙ্গলবার থেকে) ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের দুই দিন (২৭ মে) পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্তরা আসতে শুরু করেছেন গাজীপুরে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় ভারী যানবাহনসহ ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা এবং আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন, আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। এ বিষয়ে জিএমপির জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বুধবার (২৪ মে) রাত ১২টা থেকে ২৫ মে রাত ১২টা পর্যন্ত যে কোনো ধরনের ভারী যানবাহনসহ ট্রাক, পিকআপ ইত্যাদি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে মঙ্গলবার (২৩ মে) রাত ১২টা থেকে ২৬ মে সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় ২৩ মে ভোর ৬টা থেকে ২৭ মে রাত ১২ পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন, আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল নিষিদ্ধের পাশাপাশি সব ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার এবং আতশবাজি ও পটকা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

 


আরও খবর

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় তেজ

রবিবার ০৪ জুন ২০২৩




সহায়ক হতে পারে মার্কিন ভিসা নীতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র বুধবার যে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের অঙ্গীকার রক্ষায় সহায়ক হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) কাতার থেকে পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার ও অবস্থানকে যাতে কেউ জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, তার জন্য মার্কিন সরকারের ভিসা নীতি আমাদের প্রচেষ্টাকে সাহায্য করতে পারে।

কাতার ইকোনমিক ফোরামে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে দোহায় রয়েছেন। এই সফরে তার সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই নীতি অনুযায়ী, ভোটের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কোনো বাংলাদেশিকে ভিসা দেবে না দেশটি।

বুধবার (২৪ মে) রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেন এক টুইট বার্তায় বলেন, আজ, আমি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বাধা দেয়া ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারি, যদি তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য জড়িত থাকে।

গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে যেমন- ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।


আরও খবর



চীন ও রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে চায় জি-৭

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

সাতটি শিল্পোন্নত দেশ শনিবার ক্রমবর্ধমান সামরিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হুমকির জন্য চীনকে দায়ী করেছে এবং এর নিন্দা করেছে। একই সময়ে তারা রাশিয়াকে তার সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

হিরোশিমায় জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের এক বিবৃতিতে, চীনের 'অর্থনৈতিক বল প্রয়োগ', দক্ষিণ চীন সাগরের সামরিকীকরণ এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তাকে অবমূল্যায়ন ও তাদের কাজে হস্তক্ষেপ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের নিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে অবমূল্যায়নের সমালোচনা করা হয়েছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার

এছাড়া 'জি-সেভেন রাশিয়ার অবৈধ আগ্রাসনের মুখে, যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন ইউক্রেনকে সমর্থন করার' প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই গ্রুপ বলেছে যে তাদের উদ্যোগগুলো চীনের ক্ষতি করার জন্য বা তার অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং উন্নয়নকে বাধা দেয়ার জন্য নয়। জি-সেভেন বেইজিংকে জলবায়ু, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ঋণ পুনর্গঠন, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা বিচ্ছিন্ন হচ্ছি না বা অন্তর্মুখি হয়ে যাচ্ছি না। একই সঙ্গে, আমরা স্বীকার করি যে স্থিতিশীলতার জন্য অর্থনীতিকে ঝুঁকিমুক্ত ও বৈচিত্র্যময় করা প্রয়োজন। আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থনৈতিকে প্রানবন্ত করতে, আমাদের অর্থনীতিতে এককভাবে এবং সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নেবো। আমরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খলে অত্যধিক নির্ভরশীলতা হ্রাস করবো।

জি-সেভেন পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে পুনরায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং এটি ইউক্রেনে 'সার্বিক, ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তি'কে সমর্থন করতে বেইজিংকে উৎসাহিত করে।

যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালে ২০২১ সালের জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের পর এই বিবৃতিকে বেইজিংয়ের সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেই সম্মেলনে চীনের কথা প্রথমবারের মতো উল্লেখ করা হয়েছিলে। তুলনামূলকভাবে মৃদু ভাষায় এক 'শান্তিপূর্ণ সমাধানের' আহ্বান এবং তাইওয়ানে 'স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের একতরফা প্রচেষ্টার' বিরোধিতা করা হয় বিবৃতিতে।

তবে জি-সেভেন সদস্যদের মধ্যে একটি সমঝোতার ভাবও দেখা গেছে; কেউ কেউ এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আলোচনায় অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।এদের মধ্যে রয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

ম্যাক্রোঁ এপ্রিলে বলেছিলেন, এটা ভাবা সবচেয়ে খারাপ হবে যে আমরা ইউরোপীয়রা এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্ডা এবং চীনের অতি-প্রতিক্রিয়ার অনুগামী হবো।

এর আগে শনিবার জি-সেভেন নেতারা 'অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগ সংক্রান্ত সমন্বয় প্ল্যাটফর্ম' চালু করেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শাস্তিমূলক বাণিজ্য অনুশীলনের মোকাবেলার জন্য এটি একটি নতুন পরিকাঠামো । নির্দিষ্টভাবে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করলেও এই পরিকাঠামোটি চীনকে লক্ষ্য করেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তা অনুধাবন করা যায়।

এক বিবৃতিতে, জি-সেভেন বলেছে যে প্লাটফর্মটি এই গ্রুপের 'সম্মিলিত মূল্যায়ন, প্রস্তুতি, প্রতিরোধ এবং প্রতিক্রিয়া' সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। আর 'সমন্বিত প্রতিক্রিয়া সন্ধান, প্রতিরোধ এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে অর্থনৈতিক চাপ মোকাবেলা' করতে ব্যবহৃত হবে নিজ নিজ আইনি ব্যবস্থা অনুসারে।

বেইজিং থেকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন শুক্রবার এই উদ্যোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলন যদি অর্থনৈতিক বলপ্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করতে চায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র অন্য ছয় সদস্যকে যেভাবে বল প্রয়োগ করছে তা আগে আলোচিত হতে হবে।


আরও খবর