Logo
শিরোনাম

জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা জানালেন পেন্টাগন

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image



বিডি টুডেস আন্তর্জাতিক ডেস্ক:


দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে গত মে মাসে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।


 নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে পেন্টাগন। মঙ্গলবার (২৫ জুন) মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর বলছে, জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।



ব্রিফিংয়ে প্যাটের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘পেন্টাগন কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তার সামরিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব নির্দেশ করছে। কারণ বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে তার উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।



 মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভুল পথে এগোচ্ছে। পুলিশ এবং র‌্যাবের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এরইমধ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।



 এছাড়া বর্তমান সরকার যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে পেন্টাগন কী ভাবছে আমি কী তা জানতে পারি?’


এমন প্রশ্নের জবাবে পেন্টাগন মুখপাত্র বলেন, ‘হ্যাঁ- প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আজকের ব্রিফিং কক্ষে আপনাকে স্বাগতম। আপনি যেমন জানেন বা আপনি যে বিষয়টি উল্লেখ করলেন যে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর দুর্নীতির অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। 



এটি গত মে মাসে করা হয়েছিল। মূলত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে মজবুত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিশ্রুতিকে নিশ্চিত করেছে এবং পেন্টগন বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে।’


তিনি বলেন, আমি এ কথা বলে শেষ করতে চাই যে, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের একই স্বার্থ ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে অংশীদারিত্ব বজায় রয়েছে।


 বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সমুদ্রসীমা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে আমরা একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় রাখি।


আরও খবর



চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা নয়, চলছে পরীক্ষার প্রহসন

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

আমি পপি আক্তার—একজন সংবাদকর্মী। কিন্তু আজ আমি কোনো চায়ের কাপ হাতে টেবিলে বসে রিপোর্ট লিখছি না। লিখছি বিছানায় শুয়ে, ব্যথায় কাতর শরীর নিয়ে। জায়গাটা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আজ আমি রোগী। আমার কণ্ঠে আজ হাজারো রোগীর আর্তনাদ, যাদের চিকিৎসা না পেয়ে চোখে জল, মনে ক্ষোভ, মুখে নীরবতা। গত এক সপ্তাহ ধরে আমি গুরুতর অসুস্থ। ভর্তি হয়েছি চট্টগ্রাম মেডিকেলের জরুরি বিভাগে। প্রথমদিন সাংবাদিক ভাই মো. কামাল উদ্দিন হাসপাতালে এসে আমাকে দেখে সেবা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন। কর্তৃপক্ষ তার উপস্থিতিতে কিছুটা সাড়া দেয়, কয়েকজন ডাক্তার-প্রফেসরও আমাকে পরীক্ষা করেন। কিন্তু তারপর? নীরবতা, উপেক্ষা, উদাসীনতা। আজও আমার চিকিৎসা সুনির্দিষ্ট নয়। এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে ঠেলাঠেলি, এক পরীক্ষা থেকে আরেক পরীক্ষায় পিষে যাওয়া আমার মতো শত শত রোগীর গল্প একই। পরীক্ষাই যেন এখানে একমাত্র চিকিৎসা। শুধু টেস্ট, আর টেস্ট। ওষুধ নেই, পরিকল্পনা নেই, করুণা নেই।

পেশার মেশিনও নেই, খাবার আসে বিকেলে- বলেন তো, একটা সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ডে যদি পেশার মেশিনই না থাকে, তাহলে উচ্চ রক্তচাপের রোগী কিভাবে বাঁচবে? পেশার মাপতে বললে আয়ারা বলেন—মেশিন নাই! গায়ে জ্বর, মাথা ঘোরে, বুক ধড়ফড় করে—তবুও সাড়া নেই। দুপুরের খাবার আসে ৩টা বা ৪টায়। সেই খাবারও রোগীর নয়—বিনাভাবে অভিভাবক খায়, কারণ রোগী এতক্ষণে অজ্ঞান বা নি:শেষ।

নারী ওয়ার্ডে পুরুষদের অনুপ্রবেশ, রাতে ঘুমায় পাশেই! সবচেয়ে লজ্জাজনক ঘটনা, মহিলা ওয়ার্ডেও রক্ষা নেই। পুরুষরা দিনের বেলায় যেমন ঘোরাঘুরি করে, রাতেও এসে পাশেই শুয়ে পড়ে। নারীর ব্যক্তিগত সুরক্ষা এখানে এক ভিন্নরকম ব্যঙ্গ। হাসপাতালের নিরাপত্তা যেন নিছক কল্পকাহিনি। বাথরুমে আলো নেই, কল ভাঙা, পানি পড়ে না। নারী ওয়াশরুমেও পুরুষ! ওয়াশরুমের অবস্থা বর্ণনাতীত। একটামাত্র আলো, তাও কাঁপছে। পানির কল সব ভাঙা। গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে। নারী ওয়াশরুমেও পুরুষের অবাধ প্রবেশ, যেন নারীত্বের লজ্জা কেউ দেখে না, বোঝেও না।ডাক্তাররা থাকেন সকালে—তারপর নিখোঁজ- সকাল বেলা হয়তো দু’একজন ডাক্তার আসেন। কিন্তু তারপর গোটা দিন ওয়ার্ড যেন জনশূন্য। রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকে, জ্বর গায়ে উঠে, ব্যথায় কাতরায়—কিন্তু চিকিৎসা নেই, চিকিৎসক নেই, কেবল দয়া-ভিক্ষার ভরসা। টেস্ট করতে হয় টাকার বিনিময়ে, সিরিয়াল ভেঙে, তাও চিকিৎসা মেলে না

আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, এক্স-রে—প্রতিটি পরীক্ষার পেছনে টাকা গুনতে হয়। সিরিয়ালের তোয়াক্কা না করে ডাক্তাররা বলেন, ‘ইমারজেন্সি’। দেরি হলে ফাইল ফেলে দেন। একজন রোগী তো বলেই ফেললেন—"সিস্টেম নাই, আল্লাহর উপর ভরসা রাখেন!" এই কি আমাদের রাষ্ট্রের স্বাস্থ্যব্যবস্থা? আমি লিখছি, কারণ আমি সাংবাদিক। কিন্তু আমার পাশের বেডে যে নারীটি শুয়ে আছেন, যিনি চট্টগ্রামের কোনো প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলশিক্ষিকা, তার কণ্ঠ নেই, কলম নেই। তার চিৎকার কে শুনবে? আজ আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মাননীয় উপদেষ্টা Asif Mahmud Shojib Bhuyain স্যার, আপনি দেখুন এই হাসপাতালে কী ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে।

চিকিৎসা নয়, এখানে মানুষ শুধু প্রহসনের শিকার হচ্ছে। এখানে শুয়ে থেকে আমি দেখেছি, কিভাবে মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মরে যাচ্ছে, আর কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শক।

এই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কি মৃত্যুর এক কারখানা হয়ে যাচ্ছে?

একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে, একজন নারী হিসেবে, একজন রোগী হিসেবে এবং একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আমি অনুরোধ জানাই—এই অব্যবস্থাপনার পরিবর্তন হোক। মানুষ যেন অন্তত সরকারি হাসপাতালে এসে সুস্থ হওয়ার আশায় মরতে না হয়। আমি চাই, এই লিখন একটি জবাব পাক। শুধু আমার জন্য নয়, আমার মতো হাজারো কণ্ঠহীন রোগীর জন্য। চট্টগ্রাম মেডিকেলের প্রতিটি অসংগতি যেন আজ সরকারের চোখে পড়ে।


আরও খবর



সীমিত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মাভাবিপ্রবিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলা শুভ নববর্ষ ১লা বৈশাখ-১৪৩২ পালন করা হয়েছে। 

এ উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ-এর নেতৃত্বে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় সকল অনুষদের ডিনবৃন্দ, গ্রন্থাগারিক, শিক্ষার্থীকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান এবং অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া নববর্ষ উপলক্ষে মুক্তমঞ্চে মাভাবিপ্রবি সাহিত্য সংসদের নববর্ষ বই মেলা, রোটারেক্ট ক্লাব অব মাওলানা ভাসানীর খেলাধুলা ও খাবারের দোকান, ধ্রুবতারার আয়োজনে পান্তা-ইলিশ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি ও মাভাবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

এতে অংশগ্রহণ করেন সীমিত সাধারণ শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীরা।


আরও খবর



ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বৈশ্বিক কর্মসূচিতে ধর্মঘট মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে ডাকা বৈশ্বিক ধর্মঘটে সংহতি জানিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। একইসঙ্গে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট পালন করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং টাংগাইলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে কাজ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

গাজাবাসীর সমর্থনে আজ সোমবার ৭ই এপ্রিল, টাংগাইলে সংহতি সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিয়ে সাধারণ ধর্মঘট পালন করেছে মাভাবিপ্রবি এবং টাংগাইলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই ডাকের প্রতি সংহতি জানিয়ে এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগে আজ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, আইইউবিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিসহ বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে। 

সকাল ১১টায় টাঙ্গাইলের প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে প্রেসক্লাব-নিরালা মোড়-পুরাতন বাস স্ট্যান্ড - ডিস্ট্রিক্ট গেট- প্রেস ক্লাব হয়ে পৌর উদ্যানে এসে শেষ হয়। মিছিলে তারা ইনকিলাব ইনকিলাব, আল-আকসা জিন্দাবাদ।  "শেম শেম জায়োনিস্ট, মেক ফ্রী প্যালেস্টাইন, ফ্রম দা রিভার টু দা সি প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রী, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ, ইসরাইল মুর্দাবাদ, ইসরাইল নিপাক যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, ব্রেক ডাউন ইজরায়েল বিল্ড আপ ফিলিস্তিন, সেভ গাজা, স্টপ জেনোসাইড" ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে পৌর উদ্যানে লিফলেট বিতরণ করে  আগামী ৭ দিনের মধ্যে সকল ইসরায়িলের পণ্য সরিয়ে ফেলার আহব্বান জানানোর পাশাপাশি ৬ দফা ঘোষণা করা হয়। দফাগুলো হলো: ইজরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা, ভিসায় এক্সেপ্ট ইজরায়েল লেখা, জাতীয়ভাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিবৃতি প্রকাশ, ভারতের ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ ও ভারতের সাথে দালালির সম্পর্ক ছিন্ন করা।

‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম আজ সোমবার বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে সংহতি সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছে।


আরও খবর



জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশ জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি। আজ সোমবার সচিবালয়ে সচিবালয়ে অবৈধ অভিবাসী প্রত্যাবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এসওপি সই শেষে করা এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে এসওপি করেন আইজিপি বাহারুল আলম ও অস্ট্রেলিয়ার জয়েন্ট এজেন্সি টাস্কফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার মার্ক হোয়াইট চার্চ। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ঈদের সময়ের আইনশৃঙ্খলা আশা করি স্বাভাবিক থাকবে। জরুরি অবস্থা নিয়ে যা ছড়ানো হচ্ছে, এটা গুজব। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

নাসিমুল গনি বলেন, ঘরবাড়ি ও জমি বিক্রি করে দালালের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধ পথে বাংলাদেশিদের প্রবেশ বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এসওপি স্বাক্ষর করেছে।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টারটা বাংলাদেশের বাইরে ছিল। বাংলাদেশিদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা প্রসেস এতদিন নয়াদিল্লি থেকে হয়ে আসছিল। তারা এই মাসের শেষ থেকে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করবে। ঈদের পরপরই হয়তো চালু হয়ে যাবে।


আরও খবর



বাংলাদেশকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে আর্টেমিস চুক্তি স্বাক্ষর করায় বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা বিষয়ক কাজ অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা জানিয়েছে দেশটি গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় নতুন অধ্যায় সূচিত করল। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ইনভেস্টমেন্ট সামিটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে আর্টেমিস অ্যাকর্ড এ স্বাক্ষর করে বিশ্বের ৫৪তম দেশ হিসেবে এতে যোগ দিয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসন উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে চুক্তিতে বাংলাদেশসহ আরও ৫৩টি দেশ রয়েছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউক্রেন, থাইল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল অন্যতম।


আরও খবর