Logo
শিরোনাম

ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে শাহাদাত সভাপতি, নাসিম সম্পাদক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

 দীর্ঘ ১০বছর পরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে একটানা দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। আইনজীবীগণের  ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে একবছরের জন্য আইনজীবী সমিতির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে। এতে অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেনকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

তিনি জনসম্মুখে প্রকাশ্য ঘোষণায় জানান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন ৫৯ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন মোট ৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব জাতীয়তাবাদী ঐক্য প্যানেলের অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ২৮ ভোট। সহসভাপতি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট খান শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট নুর হোসেন পেয়েছেন ৬০ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে পৌর বিএনপির সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসান ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল প্যানেল সমর্থিত জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট বিএম আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৪ভোট ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট সোহেল আকন পেয়েছেন ৩৭ভোট। যুগ্ম সম্পাদকের দুটি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট হাসান সিকদার  ৮০ভোট ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট ফয়সাল খান ৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত মিজানুর রহমান মুবিন ৫২ ও বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন ৩৯ ভোট পেয়েছেন। অর্থ সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত ঝালকাঠি:- ৩) ১১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

ঝালকাঠি:-  তার নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট ফিরোজ হোসাইন পেয়েছেন ৩০ ভোট। ভিজিল্যান্স সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট মাহেব হোসেন ৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট মোফাজ্জেল হোসেন ৬৮ ভোট পেয়েছেন। লাইব্রেরী (গ্রন্থাগার) সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট আরিফ হোসেন খান  ৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট আলআমীন (৩) ৬৩ ভোট পেয়েছেন। ভর্তি সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট আক্কাস সিকদার ৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট  মো. শাহজাহান ৩৫ ও বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট মো. কাঞ্চন মিয়া ৩১ ভোট পেয়েছেন। নির্বাহী সদস্যের দুটি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট আনিচুর রহমান খান ৯৩ ও  জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট  মাসুম হাওলাদার ৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অপর প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট এ.ওয়াই.এ. সাইয়েদ ৪২ ভোট ও বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল প্যানেল সমর্থিত অ্যাডভোকেট শহীদুল্লাহ জোমাদ্দার ৫৩ ভোট পেয়েছেন।


আরও খবর



একটি দল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

একটা পলাতক দল দেশ ছেড়ে চলে গেছে বা তাদের নেতৃত্ব চলে গেছে। অথচ তারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সোমবার (৩ মার্চ) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যমটি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমার কোনো চিন্তাভাবনা ছিল না হঠাৎ করে একটা সরকারের প্রধান হবো। এবং সেই দেশ এমন যেখানে সব তছনছ হয়ে গেছে। কোনো জিনিস আর ঠিকমতো কাজ করছে না। যা কিছু আছে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে কাজ করতে হবে। আমার প্রথম চেষ্টা ছিল সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে আসল চেহারাটা বের করে আনা। মানুষের দৈনন্দিন জীবন সহজ করে আনা।

তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অর্থনীতি সহজ করেছি। দেশ-বিদেশের আস্থা অর্জন করেছি। এটাতো পরিষ্কার- সারা দুনিয়ায় আমরা আস্থা স্থাপন করতে পেরেছি। দেশের মানুষেরও আমাদের ওপর আস্থা আছে। আমাদের মধ্যে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। কিছু ভালো করেছে, কিছু ভালো করতে পারেনি। এটা হতে পারে। এটা আমিতো অস্বীকার করছি না।

ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, নতুন দলকে সরকার কোনো সহায়তা করে না। যে রাজনীতি করতে চায়, সে নিজেই ইস্তফা দিয়ে চলে গেছে। তিনজন ছাত্র প্রতিনিধি ছিল সরকারের ভেতরে। যিনি রাজনীতি করতে মন স্থির করেছেন, তিনি ইস্তফা দিয়ে সরকার থেকে চলে গেছেন। উনি প্রাইভেট সিটিজেনশিপে রাজনীতি করবেন, কার বাধা দেওয়ার কী আছে?

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ভালো জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্কের কোনো অবনতি হয় নাই। আমি যেভাবে ব্যাখ্যা করে এসেছি আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভালো থাকবে। এখনও ভালো আছে, ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ভালো না থেকে উপায় নেই। আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, আমাদের পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা এত বেশি এবং ঐতিহাসিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের এত ক্লোজ সম্পর্ক, সেটা থেকে আমরা বিচ্যুত হতে পারবো না।

তিনি বলেন, মাঝখানে কিছু কিছু দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, আমি বলেছি মেঘ দেখা দিয়েছে। এই মেঘগুলো মোটামুটি এসেছে অপপ্রচার থেকে। অপপ্রচারের সূত্র কারা সেটা অন্যরা বিচার করবে। কিন্তু এই অপপ্রচারের ফলে আমাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে। সেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমরা উত্তরণের চেষ্টা করছি।

ড. ইউনূস বলেন, ভারত সরকারের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। তারা এখানে আসছে, আমাদের লোকজন সেখানে যাচ্ছে। প্রাইম মিনিস্টার মোদির সঙ্গে আমার প্রথম সপ্তাহেই কথাবার্তা হয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সবাই মিলে যা ঠিক করবে আমরা তাই করবো। তবে, আমরা সব ভাই ভাই। আমাদেরকে এই দেশেই বাঁচতে হবে। এ দেশকেই বড় করতে হবে। যে অন্যায় করেছে, যার বিচার হওয়া উচিৎ, তার বিচার হতে হবে। এটুকুই শুধু।


আরও খবর



আরেফিন স্যারের জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না হওয়া অন্যায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

শরিফুল হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইবারের সাবেক উপাচার্য যিনি প্রায় পাঁচ দশক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়েছেন, অধ্যাপনা করেছেন আজকে তাঁর জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে না হওয়া অন্যায়, এক ধরনের ফ্যাসিজম। যে কারণেই হোক যাদের কারণেই হোক এই যে স্যারকে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হলো না তাতে স্যারের কিছু যায় আসে না কারণ স্যার সবকিছুর উর্ধ্বে। এই ঘটনায় ছোট হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছোট হয়েছে। 

আরেফিন স্যারের পরিবার বলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সহকর্মীরা চাইলে মর্যাদার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা হোক। যাদের কারণে যাদের ব্যর্থতায় যাদের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ বাধায় সেটি হলো না এবং একটি খারাপ উদাহরণ তৈরি হলো আল্লাহ তাদের বোধ দিক! 

যারা বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাধা ছিল না তাদের কাছে প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন পরিবারকে বললো না আমরা চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা হোক। এখনো দাফন হয়নি। তারা বলুক আরেকটা জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হোক। অন্তত দাফনের আগে দায়িত্ব নিয়ে তারা শেষবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে এনে সম্মান দিক! কেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সাবেক উপাচার্যের জন্য তা করছে না? 

সাংবাদিকরা যখন বর্তমান উপাচার্যকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলেন কেন তিনি উত্তর না দিয়ে চলে গেলেন? আমি নিশ্চিত করে বলছি গত এক সপ্তাহ ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রায় সবার সাথে কথা হয়েছে। কেউ দায়িত্ব নেননি বরং নানাভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন।

যাই হোক, এসব কথা বলে লাভ নেই। স্যারের পরিবার ভীষণ বিনয়ী। আরেফিন স্যরের জানাজার নামাজ বাদ জু'মা ধানমন্ডি ঈদগাহ মসজিদে ( সড়ক ৬/এ) হবে। এখানেই বিভাগ, অ্যালামনাই, বিভিন্ন সংগঠন এবং বিভাগের ব্যাচগুলোর পক্ষ থেকে স্যরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এর আগে স্যরের পারিবারিক বাড়ির (১, নর্থ রোড) কাছে, ভুতের গলি বাইতুল আকসা মসজিদে  সকাল এগারোটায় আরেকটি জানাজার কর্মসূচি হয়েছে।

আপনাদের মনে করিয়ে দিই, ব্যক্তি আরেফিন স্যার উপাচার্য থাকাকালে সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ কিংবা মনিরুজ্জামান মিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা পড়াসহ সব ধরনের ব্যবস্থা করেছিলেন। ভিন্নমতের মানুষসহ সবার প্রতি তিনি অমায়িক ছিলেন। সবার পাশে থাকতেন। 

এই দেশে এমন মানুষ পাওয়া বিরল যিনি বলতে পারবেন আরেফিন স্যার কারো সাথে কোনদিন কারো সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। আমি তো বলবো শুধুমাত্র অমায়িক ব্যবহার বা ভালো আখলাকের কারণে আরেফিন স্যার আল্লাহর রহমতে জান্নাতবাসী হবেন। 

আবারো বলি, গত ২৪ বছর ধরে স্যারকে দেখেছি। এমন বিনয়ী শিক্ষার্থী বান্ধব উপাচার্য শিক্ষক এই দেশে খুব বেশি আছে বলে দেখিনি। দিন রাত সবসময় একজন শিক্ষক হিসেবে তাঁর দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল হোক তিনি যেই আদর্শের। এমন কোন মানুষ নেই যার সংকটে তিনি পাশে থাকেননি। 

স্যারকে প্রথম দেখি ২০০১ সালের মার্চে। এরপর গত ২৪ বছরে কখনো স্যারের সরাসরি ছাত্র, কখনো সাংবাদিক, কখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক, কখনো অভিভাবক হিসেবে স্যারকে পেয়েছি‌।‌ স্যারের সেই সেন্ট্রাল রোডের বাসা থেকে শুরু করে টিচার্স ক্লাব, উপাচার্য কার্যালয়, উপাচার্য বাংলো, টিএসসি নানা জায়গায় নানা পরিচয়ে স্যারকে দেখেছি‌। সবসময় সবাইকে তিনি মানুষ হবার কথা বলতেন!

দেখেন এক জীবনে তো কম মানুষ দেখলাম না। উপাচার্য বলেন, শিক্ষক বলেন, মানুষ বলেন, অভিভাবক বলেন  এই যুগে শিক্ষার্থীদের জন্য এমন অন্তঃপ্রাণ শিক্ষক বিরল! সত্যি বলতে তাঁর ব্যক্তিগত কোন জীবন ছিলো না। বলতে গেলে পুরো জীবনটা অন্যের জন্য কাটিয়েছেন।‌ যে কেউ যে কোন সংকট নিয়ে গেলে তিনি শুনতেন।‌ সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেন। 

স্যারের ছাত্র ছাত্রী কিংবা স্যারকে সামনাসামনি দেখেছে এমন মানুষদের জিজ্ঞেস করলেই জানবেন কতোটা শিক্ষার্থী অন্তঃপ্রাণ তিনি ছিলেন। আমার সাথে স্যারের সম্পর্কটা সবসময় দারুণ ছিলো কারণ সম্পর্কটা নিঃস্বার্থ ছিলো।‌ আমি বলবো, এই দেশে তাঁর চেয়ে ভালো একাডেমিসিয়ান থাকতে পারেন কিন্তু শিক্ষার্থী বান্ধব এমন শিক্ষক এমন অভিভাবক এমন উপাচার্য বিরল! আমি অন্তত পাইনি। 

আমাদের সেই স্যার গতরাতে চলে গেলেন। আজকে বাদ জুমা জানাজার নামাজ শেষে স্যরের মরদেহ রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবরে দাফন করা হবে। আল্লাহ আমাদের স্যারকে জান্নাতবাসী করুন। অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা স্যার আপনার জন্য! আপনি বেঁচে থাকবেন হাজারো শিক্ষার্থীর হৃদয়ে।


আরও খবর

আজকের শিশু আছিয়াদের আর্তনাদ

রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫




কোনো ম্যাচ না জিতলেও ‘কোটিপতি’ শান্তরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বৃষ্টির কল্যাণে পাকিস্তানের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে বাংলাদেশ। দুই দলেরই পয়েন্ট সমান সমান। তবে রান রেটে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে গ্রুপে তৃতীয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এক পয়েন্ট পাওয়ায় স্বস্তি থাকলেও লম্বা সময় পর আইসিসি ইভেন্ট থেকে শূন্য হাতে ফিরছে বাংলাদেশ। অবশ্য সাফল্য বিবেচনায় খালি হাতে ফিরলেও টাকার হিসাবে কোটিপতি তারা।

টুর্নামেন্টে সবমিলিয়ে বাংলাদেশ এখন সাত নম্বরে। তবে ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ হেরে গেলে বাংলদেশ আট দলের প্রতিযোগিতা শেষ করবে ৬ নম্বরে থেকে। তাতে করে প্রাইজমানিও খানিকটা বেশি পাবে।

গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার পরও বাংলাদেশে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে কোটি টাকা আয় করছে। আইসিসি ঘোষিত প্রাইজমানি অনুযায়ী, সপ্তম ও অষ্টম দল প্রাইজমানি ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর অংশগ্রহণ ফি হিসেবে বাংলাদেশ পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার, যা প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ দলের কোষাগারে ইতোমধ্যে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা চলে এসেছে। টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে যদি ইংল্যান্ড শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে যায়। সেটি হলে বাংলাদেশ ষষ্ঠ স্থান অর্জন করবে, ফলে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলারের বদলে শান্তরা পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা ৪ কোটি ২২ লাখ টাকার বেশি।

গতবারের চেয়ে প্রাইজমানি এবার ৩৬ লাখ ডলার বেশি দেওয়া হবে, ৫৩ শতাংশ বেশি।

সব মিলিয়ে প্রাইজমানি ৬৯ লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বেশি। ৯ মার্চ ফাইনাল শেষে ট্রফির সঙ্গে চ্যাম্পিয়নরা পাবে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার বা ২৭ কোটি ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪২৪ টাকা। রানার্সআপদের ব্যাংকে ঢুকবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার বা সাড়ে ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ২৩ হাজার ২১২ টাকা। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া প্রত্যেক দল পাবে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার (৬ কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার ৬০৬ টাকা) করে।


আরও খবর

আইপিএলের নিয়মে পরিবর্তন

শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫




ডিএমপি কমিশনারের দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

সম্প্রতি ধর্ষণ শব্দটির পরিবর্তে নারী নির্যাতন শব্দটি ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। পরে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।

ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রসঙ্গে আলোচনাকালে ধর্ষণকে বৃহত্তর পরিসরে নির্যাতন হিসেবে অভিহিত করেছি। আমার বক্তব্যে কেউ মনঃক্ষুণ্ন হলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।

এর আগে ধর্ষণ শব্দ পরিহার নিয়ে ডিএম‌পি কমিশনারের করা মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।গতকাল রবিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃবিতে বলা হয়, ধর্ষণ ধর্ষণই, তা ৮ বছর বয়সী বা ৮০ বছর বয়সী যেকোনো বৃদ্ধার বিরুদ্ধেই করা হোক না কেন। এই ধরনের জঘন্য অপরাধকে তার যথাযথ নামেই ডাকা উচিত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সহিংসতা সহ্য করবে না।

উল্লেখ্য, গত শনিবার গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হেল্প অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমে ধর্ষণ শব্দটি ব্যবহার না করার অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, আমি দুটো শব্দ খুব অপছন্দ করি, এর মধ্যে একটি হলো ধর্ষণ। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এটা ব্যবহার করবেন না। আপনারা ‘‘নারী নির্যাতন’’ বা ‘‘নিপীড়ন’’ বলবেন। আমাদের আইনেও নারী ও শিশু নির্যাতন বলা হয়েছে। যে শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে, সেগুলো আমরা না বলি।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ২০২৫-২৬ মেয়াদে প্রায় ১শ’ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ।জেনেভায় অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে জয়েন্ট রেসপন্স প্যান (জেআরপি)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানানো হয়।

জাতিসংঘ জানায়, ১০০টির বেশি অংশীদারের সঙ্গে প্রস্তুত করা এ প্ল্যানে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয়সহ ১৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষের জন্য ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রয়োজন। এদিকে এ বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সোমবার সকালে জেআরপি প্রকাশনা ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।

এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন রোহিঙ্গা সমস্যা এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলির জন্য প্রধান উপদেষ্টার হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দাতা দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।

২০১৭ সাল থেকে এক বছরমেয়াদি জেআরপি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো দুই বছরের মেয়াদের জন্য জেআরপির ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন (প্রায় ৯৪ কোটি) ডলার সহায়তার প্রস্তাব শুধু ২০২৫ সালের জন্য।

বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের অষ্টম বছরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট আন্তর্জাতিক আলোচনার বাইরে। যদিও তাদের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজন এখনো রয়ে গেছে।

এতে জোর দিয়ে বলা হয়, খাদ্য সহায়তা, জ্বালানি বা তহবিলের ঘাটতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই জনগোষ্ঠীর জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের এক তৃতীয়াংশের বয়স ১০-২৪ বছর। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা, পর্যাপ্ত দক্ষতা বৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতার সুযোগ না পেলে তাদের ভবিষ্যৎ আশঙ্কাপূর্ণ।

যতক্ষণ না মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ হয় এবং রোহিঙ্গাদের সেখানে নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুকূল না হয়, ততক্ষণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের জন্য জীবন রক্ষাকারী জরুরি সহায়তা তহবিল অব্যাহত রাখতে হবে, বলা হয় বিবৃতিতে।

জেআরপি ২০২৫-২৬-এর উপকারভোগীরা কারা

জেআরপি ২০২৫-২৬-এর আওতায় সরাসরি সুবিধাভোগীদের মধ্যে কক্সবাজার ও ভাসানচরের ক্যাম্পে বসবাসকারী ১০ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং কক্সবাজার জেলার প্রায় ৩ লাখ ৯২ হাজার স্থানীয় জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত।

পরোক্ষভাবে, জেআরপি অংশীদাররা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে থাকবে। ক্যাম্প ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সেবা, খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মূলত দেশীয় বাজার থেকেই সংগ্রহ করা হয়, যেখানে সম্ভব হলে কক্সবাজার ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে সরাসরি ক্রয় করা হয়।

এ ছাড়া, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো স্থানীয় অংশীদার নির্বাচন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়করণকে গুরুত্ব দিচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও আশপাশের উপজেলাগুলোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর