Logo
শিরোনাম

জিএসএমএর প্রতিবেদন : মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে বাংলাদেশের নারীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক :

মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে দেশে পুরুষের চেয়ে নারীরা অনেকে পিছিয়ে রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। 


এছাড়া শুধু ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নারীদের অবস্থান সর্বশেষ। শিক্ষা ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারে পুরুষের থেকে আগ্রহ বেশি থাকা সত্ত্বেও দেশের নারীরা এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে।


মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) ‘দ্য মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।



প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে বাংলাদেশশের নারী–পুরুষের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি (৪০ শতাংশ)। ভারতে এ ব্যবধান ৩০ শতাংশ, পাকিস্তানে ৩৮ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ায় ৮ শতাংশ।


বাংলাদেশে ৮৫ শতাংশ পুরুষ ও ৬৮ শতাংশ নারী মুঠোফোনের মালিক। অর্থাৎ মালিকানায় নারী–পুরুষের ব্যবধান ২০ শতাংশের কাছাকাছি। এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবকারী পুরুষের সংখ্যা বাংলাদেশে ৪০ শতাংশ এবং নারীর সংখ্যা ২৪ শতাংশ। নারীদের এ হার ভারতে ৫৩ শতাংশ ও ৩৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৬৯ শতাংশ ও ৬৩ শতাংশ, পাকিস্তানে ৫৩ শতাংশ ও ৩৩ শতাংশ।



বাংলাদেশের নারীদের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্বচ্ছল, পড়াশোনা না জানা, গ্রামাঞ্চলে বসবাস বা বিশেষভাবে সক্ষম নারীরা এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে। এছাড়া সাক্ষরতা ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাবের কথা উঠে এসেছে, যা পুরুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।


ইন্টারনেট ব্যবহারে বড় বাধা হিসেবে সামর্থ্যের বিষয়টিও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, মোবাইল ও ইন্টারনেটের বাড়তি দামও বাধা হিসেবে ভূমিকা রাখছে। বিশেষত বাংলাদেশ, কেনিয়া, নাইজেরিয়া ও উগান্ডায় মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ডেটা প্যাকেজের বাড়তি দাম বড় একটি সমস্যা। 


বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ২৪ শতাংশ নারী এবং ১৫ শতাংশ পুরুষ প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ডাটা প্যাকেজের বাড়তি দামের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।


যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারী-পুরুষ ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করেন তার মধ্যে রয়েছে- অনলাইন কল, ভিডিও কল। এছাড়া, ৫৫ শতাংশ পুরুষ ও ৪৫ শতাংশ নারী অনলাইনে খবর পড়েন। পুরুষের ২৩ ও নারীর ১২ শতাংশ চাকরি ও ব্যবসা–সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে খুঁজে থাকেন।


এ প্রতিবেদন তৈরিতে সংস্থাটি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ১২টি দেশের ৩ হাজারের বেশি নারী ও পুরুষের ওপর জরিপ চালায়। দেশগুলো হলো-মিসর, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকো। এরমধ্যে ভারতেই ২ হাজার জনের ওপর জরিপ চালানো হয়। 


আরও খবর



আগের মতোই দখলদারি-চাঁদাবাজি শুরু হ‌য়েছে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ব্যক্তি পরিবর্তন হয়েছে, বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি। ওসি বদলি হয়, ডিসি বদলি হয়; কিন্তু চাঁদার সিস্টেম থেকেই গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। শুক্রবার বিকালে ভোলা সরকারী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে এ সব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, লুটরাজ বন্ধ করতে হলে ইসলামী শাসন কায়েম করতে হবে। যতদিন ইসলামী শাসন কায়েম না হবে, ততদিন এ দুর্নীতিবাজকে দমন করা যাবে না। সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়ন ও ভোলার গ্যাস ভোলাসহ বরিশাল বিভাগে ব্যবহারে নিশ্চিত করতে হবে। আর যদি তা না হয় তাহলে ভোলার মানুষদের সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ এবং শান্তির প্রতিক হাতপাখা। তাই সকলকে হাত পাখায় সমর্থন দেওয়ার আহ্বান করেন নায়েব আমীর। ফয়জুল করীম বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন যদি ভোটের অধিকার নিশ্চিত না করে তাহলে অতীতের কমিশনের মত তাদেরও অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। এ দেশের জনগণ ছাড় দিবে না।

ভোলার আবাসনে গ্যাস সংযোগ, ইন্ট্রাকোর সাথে অবৈধ চুক্তি বাতিল, ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়ন, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণ-সমাবেশে ভোলা জেলা (উত্তর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ আদদানের যৌথ সঞ্চালনায়


আরও খবর



বায়ুদূষণে দিল্লিতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঘন বিষাক্ত ধোঁয়াশায় ভারতের উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা ঢেকে গেছে। দেশটির রাজধানী দিল্লিতে সোমবার (১৮ নভেম্বর) বায়ুর মান এ বছর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২৪ ঘণ্টার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) মান হয়েছে ৪৮৪। এই মান 'চরম বিপজ্জনক' শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। সুইস সংস্থা আইকিউএয়ারের লাইভ র‍্যাংকিং অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে শীর্ষে রয়েছে দিল্লী। শহরের বায়ুতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধূলিকণার (পিএম টু পয়েন্ট ফাইভ) উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত মাত্রার ১৩০ গুণ বেশি পাওয়া গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ধূলিকণা, গাড়ির ধোঁয়া ও আশপাশের রাজ্যগুলোতে ফসল কাটার পর অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ধোঁয়া আটকে থাকে। এতে ধোঁয়াশার (স্মগ) সৃষ্টি হয়।

সোমবার দিল্লি ও চণ্ডীগড় শহরে স্বাভাবিক দৃষ্টিসীমা মাত্র ১০০ মিটারে নেমে আসে। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছুটা বিলম্ব সত্ত্বেও বিমান ও ট্রেন চলাচল অব্যাহত আছে।

চলমান পরিস্থিতিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে চালানোর নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি নির্মাণকাজ ও যানবাহন চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

দেশটির উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থানে 'ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশা'র পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর।

বায়ু দূষণ থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক পরে চলাচল করছেন সাধারণ জনগণ। দিল্লির বাসিন্দা অক্ষয় পাঠক ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, সকালের হাঁটাচলা সাধারণত উপভোগ করেন তিনি। কিন্তু এখন দূষিত বাতাসে চোখ জ্বালাপোড়া করে ও শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।

আবহাওয়া পূর্বাভাস দানকারী সরকারি সংস্থা সাফার জানিয়েছে, দিল্লির দূষণের ৪০ শতাংশের জন্য পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোর কৃষি জমিতে খড় পোড়ানো দায়ী। রবিবার স্যাটেলাইটে ছয়টি রাজ্যে এক হাজার ৩৩৪টি এমন ঘটনা চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, বায়ুদূষণের এই চরম অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালাল ইউক্রেন

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে চালানো এই হামলায় পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে এবং আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরে যায়।

রাশিয়া জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ২৫ মিনিটে এই হামলা চালানো হয়। আগুন দ্রুত নেভানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

এদিকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় একটি গোলাবারুদের গুদামে হামলা চালিয়েছে। তবে এই হামলায় আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করা হয়েছে কি না সেটা তারা নিশ্চিত করেনি। সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটারের মতো দূরে কারাচেভ শহরের কাছে একটি ডিপোতে হামলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এ ধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি দেওয়ার পরপরই এই ঘটনা ঘটলো। এর আগে, গত সোমবার রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, ইউক্রেন এমন কোনো আক্রমণ চালালে তারা উপযুক্ত এবং কঠোর জবাব দেবে।

এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নতুন পারমাণবিক নীতিমালা অনুমোদন করেছেন। এতে বলা হয়েছে, কোনো অ-পরমাণবিক রাষ্ট্র যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় এবং তাতে কোনো পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সমর্থন পায়, তবে সেটি যৌথ আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এমন পরিস্থিতিতে ওই দেশটিতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাতে পারবে রাশিয়া।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




আইপিএলের নিলামে ১২ বাংলাদেশির নাম

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

২০২৫ সালের আইপিএলের মেগা নিলামের জন্য চূড়ান্ত তালিকায় ১২ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) নিলামে উঠতে যাওয়া ক্রিকেটারদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে আইপিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল বাংলাদেশের ১৩ জনসহ সর্বমোট বিশ্বের ১ হাজার ৫৮৪ জন নিবন্ধন করে। যাচাই-বাছাই শেষে ৫৭৪ জনের নাম প্রকাশ করে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৩৬৬ জন ভারতীয় এবং ২০৮ জন বিদেশি।

আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলো থেকেও ৩ জন ক্রিকেটার আছেন। নিলামে আছেন অভিষেক না হওয়া ৩১৮ জন ভারতীয়, অভিষেক না হওয়া ১২ জন বিদেশি ক্রিকেটার। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ২০৪ জন ক্রিকেটার কিনতে পারবে, যেখানে বিদেশিদের জন্য জায়গা আছে ৭০টি।

বাংলাদেশের হয়ে আইপিএলে দীর্ঘদিন প্রতিনিধিত্ব করা সাকিব ও মুস্তাফিজ রয়েছেন ১২ জনের চূড়ান্ত তালিকায়। ৯ মৌসুম সাকিব আইপিএল মাতিয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতার জার্সি গায়ে তুলেছেন (২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত) সাত মৌসুম। এ সময়ের মধ্যে ২০১২ ও ২০১৪ সালে কলকাতাকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে ২২ গজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সাকিব। বাকি দুই মৌসুম খেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে।

অন্যদিকে বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজ ২০১৬ সাল থেকেই আইপিএলের নিয়মিত মুখ। এই দু’জন ছাড়া আইপিএলে আগে খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন লিটন দাস। তিনি ২০২৩ সালে কলকাতার হয়ে এক ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন।

এ ছাড়া চূড়ান্ত তালিকায় থাকা অন্য ক্রিকেটাররা হলেন রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, তানজিম হাসান, মেহেদি হাসান, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ। তাদের কারোরই আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তাসকিনের প্রতি আইপিএলের কয়েকটি দলের আগ্রহ থাকলেও কোনো না কোনো কারণে শেষ পর্যন্ত খেলা হয়নি।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের জেদ্দায় আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে আইপিএলের ১৮তম আসরের মেগা নিলাম।


আরও খবর

বাংলাদেশে আসবেন ফিফা প্রেসিডেন্ট

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




লন্ডনে তারেক রহমান ও ফখরুলের বৈঠক

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দশ দিনের সফরে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন এবং এরই মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেরেছেন প্রাথমিক আলাপ। সাক্ষাৎকালে ফখরুল দেশের সার্বিক পরিস্থিতির পাশাপাশি নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, অর্ন্তর্বতী সরকারের কাছ থেকে নির্বাচনী রোডম্যাপ আদায়ের কৌশল নির্ধারণ করা, বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখার অধিকতর প্রচারণা ও কার্যকর করা, দলকে সাংগঠনিকভাবে আরও গতিশীল করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ও তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে। কারণ, এসব ইস্যু নিয়েই মির্জা ফখরুল লন্ডনে গেছেন।

এদিকে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার চান বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা।

তাদের ভাষ্য, দেশের জনগণের কাছে মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব যেমন অন্তর্বর্তী সরকারের, ঠিক তেমনি মানুষকে সেবা প্রদানের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের।

তারা আরও বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের ভোটে যে-ই সরকার গঠন করুক না কেন, মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করাটাই বিএনপির টার্গেট।

এ বিষয়ে কথা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে।

তিনি বলেন, দেশ পরিচালনায় আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি। প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার শেষে নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছি। তারাও এ বিষয়ে সম্মত। বলেছে সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া হবে। এখন আমরা দেখব তারা কী সিদ্ধান্ত নেয়। যদি ডিসেম্বরের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণা না করে, তবে নির্বাচনের জন্য আন্দোলনে নামতে পারি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, দলীয়ভাবে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। এখন দুই নেতার বৈঠকের পর কী সিদ্ধান্ত আসে, তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপি মনে করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচিত সরকারের হাতে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত। এজন্য বিএনপির পক্ষ থেকে কয়েক ধরনের কাজ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এরপরও যদি প্রয়োজন হয়, তখন আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। পরে ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

এরপর সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারের বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও নির্বাচন নিয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা। আর এই পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করতে লন্ডনে গেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।


আরও খবর