Logo
শিরোনাম

জনপ্রিয় হচ্ছে ই-সিম

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মোবাইল ফোনে নতুন প্রযুক্তির ই-সিম বা ভার্চুয়াল সিম জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। এই সিমের প্রতি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। বিশেষ করে যারা নতুন প্রযুক্তির মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তারা ই-সিমে আগ্রহী বেশি বলে জানিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটররা।

গ্রামীণফোনের পর ই-সিম রবি ও বাংলালিংক বাজারে ছাড়ার প্রযুক্তি নিয়েছে বলে জানা গেছে। ই-সিম ব্যবহারে সুবিধার পাশাপাশি কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। তার পরও ক্রেতারা বিশেষভাবে এই সিমের খোঁজ করছেন বলে জানিয়েছে অপারেটররা। নতুন নম্বরের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় নতুন নম্বরে ই-সিম বিক্রি করতে পারছে না গ্রামীণফোন।

জানা গেছে, ই-সিমের প্রতি মোবাইল গ্রাহকদের আগ্রহ রয়েছে। এই সিম জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। ৫ লাখের মতো ডিভাইসে গ্রামীণফোনের ই-সিম ব্যবহার হচ্ছে। গ্রামীণফোন সেন্টারে গেলে ই-সিম নেওয়া যাবে।

ই-সিম হলো ভার্চুয়াল বা অ্যাম্বেডেড সিম। এটা এমন এক ধরনের সিম, যেটা ব্যবহার করতে ফোনে কোনো ধরনের সিমকার্ড মোবাইল সেটে ঢোকাতে হয় না। এতে প্লাস্টিকের ব্যবহারও কম হয়। ই-সিম ব্যবহার করতে হলে পছন্দমতো যেকোনো অপারেটরের একটা প্ল্যান বেছে নিতে হবে। তারপর একটা মোবাইল নাম্বার বাছতে হবে না (পুরোনো নম্বরে করতে চাইলে নম্বর বাছতে হবে না)। বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন পদ্ধতি সম্পন্ন করে হ্যান্ডসেটে ইন্টারনেট সংযোগ চালু করতে হবে। সিম কিটে দেওয়া কিউআর কোড স্ক্যান করে তারপর মোবাইল সেট অনুযায়ী ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে।

আইফোন, স্যামসাং, গুগল পিক্সেল ও মটোরোলার কয়েকটি মডেলের ফোনে ই-সিম ব্যবহার করা যাচ্ছে। এ ছাড়া আইপ্যাড প্রো, অ্যাপল ওয়াচের সব সিরিজ, স্যামসাং গ্যালাক্সি স্মার্ট ওয়াচ ও হুয়াওয়ের স্মার্ট ওয়াচে ই-সিম ব্যবহার করা যাচ্ছে। অনেক ডিভাইসেই সিমকার্ড ও ই-সিম ব্যবহারের সুযোগ থাকে। কোনোগুলোতে শুধু ই-সিম ব্যবহারেরই সুযোগ থাকে। ফলে ফোন কেনার আগে বিষয়গুলো দেখে নেওয়া জরুরি।


আরও খবর

CMOS(সিমোস) কি?এবং এর কাজের বর্ননা

শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩




বাজার ব্যাগে মাদক বিক্রি, ব্যবসায়ী আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মির্জা হৃদয় সাগর, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে থানা পুলিশের অভিযানে ইয়াবার বিকল্প ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। এসময় তার কাছ থেকে ৮৮০ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। আটক ওই মাদক ব্যবসায়ীর নাম সমুয়েল চাম্বুগং (২৮)। তিনি দুর্গাপুর উপজেলার বারমারী গ্রামের গ্রেটিলশন সাংমা ছেলে। 

রবিবার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার উত্তর বারমারী গ্রাম থেকে আটক করা।

দুর্গাপুর থানা সূত্র জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুর্গাপুর থানার এসআই মোঃ সানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে দুগার্পুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর বারমারী গ্রামে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই মাদক বিক্রেতা মাদক দ্রব্যসহ পালানোর চেষ্টাকালে সমুয়েল চাম্বুগংকে আটক করে তার কাছে থাকা বাজারের ব্যাগ থেকে ৮৮০ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

দুর্গাপুর থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল আলম জানান, আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করে রবিবার দুপুরে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। 


আরও খবর



৯৫ শতাংশ বুকিং বাতিল ছাঁটাই শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা :  প্রকৃতিতে শীতের আমেজ ও বছরের শেষ সময় পর্যটন মৌসুমের শুরু হিসেবে ধরা হলেও কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের আগমন নেই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকায়। গত মাসের মধ্যবর্তী সময়ও জেলার যেসব পর্যটন কেন্দ্র সকাল-সন্ধ্যা কোলাহল মুখর ছিল, সেসব স্থান এখন নীরব।

গত অক্টোবরের ২৮ তারিখ থেকে অবরোধ-হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় ৯৫ শতাংশ বাতিল হয়েছে। অলস সময় পার করছেন জেলার দেড় শতাধিক হোটেল, গেস্ট হাউস, মোটেল, রিসোর্টের কর্মীরা। এতে প্রতিদিন কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম আহমেদ। এতে মৌসুমের শুরুতেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

জেলার অন্যতম পর্যটন স্পটগুলো হলো কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর স্মৃতিসৌধ, মণিপুরী পাড়া, হামহাম জল প্রপাত, ছয়সিঁড়ি দীঘি, ক্যামেলিয়া লেক, পাত্রখোলা লেক, পদ্মছড়া লেক, বামবুতল লেক, হরিনারায়ন দিঘি, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে সবুজ চা বাগান, রাবার বাগান, বধ্যভূমি একাত্তর চত্বর, হাইল হাওর, বাইক্কা বিল, হাকালুকি হাওর, মুন ব্যারেজ।

সাধারণত বন্ধের দিন ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি ভিড় থাকে। গতকাল শুক্রবার ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জেলার বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট কোনো পর্যটক শূন্য দেখা গেছে। পর্যটন নগরীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান খালি, দেশী- বিদেশি কোনো পর্যটক নেই। অথচ গত এক মাস আগেও পর্যটন কেন্দ্রগুলো মুখরিত ছিল।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে পরের বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত মৌলভীবাজারের প্রায় দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টাহাউসে শতভাগ অগ্রিম বুকিং থাকত। চলতি বছরেও অগ্রিম বুকিং হয়েছিল। তবে অক্টোবরের ২৮ তারিখ থেকে অবরোধ-হরতাল ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় ৯৫ শতাংশ বাতিল হয়েছে। দ্রুত এ অবস্থা থেকে উত্তরণ না হলে পর্যটনশিল্পে আবারও বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা করছেন তারা।

শ্রীমঙ্গল হোটেল প্যারাডাইজের স্বত্বাধিকারী হাজী আবুজার বাবলা জানান, নভেম্বর পর্যটনের ভরা মৌসুম। প্রতি বছর এ সময়ে পর্যটন স্পটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকে। কিন্তু হরতাল ও অবরোধের কারণে চলতি মৌসুমের তুলনায় ১০ ভাগ ট্যুরিস্টও নাই।

আবুজার বাবলা বলেন, এখন ক্ষতির মুখে আমরা। এই ক্ষতি কিভাবে পোষাব, বুঝতে পারছি না। কর্মচারী ও বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংকের লোন, বাসা ভাড়া সব কিছু দিতে হিমসীম খেতে হচ্ছে। এভাবে যদি চলে তাহলে হোটেল রিসোর্ট গুটিয়ে নিতে হবে।

কমলগঞ্জ অরণ্য বিলাস ইকো রিসোর্টের মালিক এহসান কবির সবুজ বলেন, করোনাভাইরাস, বন্যাসহ নানা কারণে কয়েক বছরে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার অতীতের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার আশায় ছিলাম। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পর্যটক বলতেই নাই। এ অবস্থা চলতে থাকলে কর্মচারী ছাঁটাই করতে হবে, সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাশের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, লাউয়াছড়ায় ডাব বিক্রি করে সংসার চলে। এক মাস ধরে এ উদ্যানে কোনো ট্যুরিস্ট নাই। বেচা-বিকি নাই। দুরবস্থায় আছি। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। একই ধরনের কথা জানান কসমেটিক ও চা-পাতা ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন।

পর্যটন সেবা সংস্থার সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। সবগুলোই এখন ফাঁকা। প্রতিদিন প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান ছাঁটাই শুরু করেছে। অনেকের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এই সমস্যা থাকে, তাহলে ধ্বংসের মুখে পড়বে হোটেল রিসোর্ট।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ম্যানাজার শাহিন আহমেদ বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দেশি-বিদেশি পর্যটক বছরের এই সময়ে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ ট্যুরিস্ট আসতেন, তখন টিকিট বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব আয় হত ৩৫-৪০ হাজার টাকা। এখন গড়ে ৮০-১২০ জন পর্যটক আসছেন সরকারের রাজস্ব আসছে ৩-৫ হাজার টাকা।

লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এই মৌসুমে হাজার হাজার পর্যটক দেখা যেত। বর্তমানে হরতাল ও অবরোধের কারণে দেখা নাই। মানুষ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে না, যানবাহন চলে না, তাই ভ্রমণে আসে না। প্রতি বছর যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হতো তা এখন হচ্ছে না।

ট্যুরিস্ট পুলিশ মৌলভীবাজার জোনের উপ-পরিদর্শক প্রবাণ সিনহা বলেন, নানা কারণে তুলনামূলকভাবে এবার পর্যটক অনেক কম। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপারে সোচ্চার। পর্যটকরা যাতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সে লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 


আরও খবর

তিন শতাধিক পর্যটক আটকা সেন্টমার্টিনে

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




গাজীপুরে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

গাজীপুরে গত সাত দিন ধরে শ্রমিকদের অসন্তোষের কারণে মঙ্গলবার থেকে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। কারখানা বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে। এতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে।

শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মাসের ২৩ অক্টোবর থেকে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ও তেলিচালা এলাকার কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে অবরোধ শুরু করে। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে শ্রমিক বিক্ষোভ গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী নাওজোর, ভোগরা, চান্দনা চৌরাস্তাসহ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকাল থেকে শ্রমিকরা মৌচাক ও তেলিচালা এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

গাজীপুর মহানগরের চান্দরা চান্দনা চৌরাস্তায় এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। অবরোধের মধ্যে সল্প পরিমাণে যানবাহন চলাচল করলেও শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে সকাল সাড়ে আটটা থেকে সেগুলো চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেতন বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকরা নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। অপরদিকে গত সোমবার গাজীপুরের মহানগরীর কোনাবাড়ী, ভওগড়আ, বাসন সড়ক, চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রায় সারাদিনই শ্রমিক বিক্ষোভ চলায় মঙ্গলবার অধিকাংশ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার সকালে কোনাবাড়ি এলাকায় দেখা গেছে, কোনাবাড়ী এলাকার সবচেয়ে বড় কারখানা তুসুকা গ্রুপের প্রধান ফটকে বড় একটি ব্যানার ঝুলছে । তাতে লেখা রয়েছে অনিবার্য কারণবশত কারখানার সকল কার্যক্রম আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। একই এলাকার এম এম নেটওয়ার্ক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শুধু মঙ্গলবারের জন্য। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি কারখানার সামনে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার এক কর্মকর্তা বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের কারণে কারখানার সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই খুলে দেয়া হবে।

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকার তুসুকা গ্রুপের নিটিং সেকশনের শ্রমিক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের বেতন দেয়া হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। এই টাকায় আমাদের সংসার চলছে না। ঘরভাড়া দেয়া পর যা থাকে তাই কোনো ভাবে বেচে আছি। এখন আমাদের দাবি সর্বনিন্ম বেতন ২৩ হাজার টাকা দিতে হবে। দাবি পুরন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, শ্রমিকদের মুজুরি বোর্ড নিয়ে সরকার কাজ করছে। এখনও সেটি চুরান্ত হয়নি। যখন মুজুরি চুরান্ত করে ঘাষনা দেওয়া হবে তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিব সেটি মানব কি মানব না। কিছু উশৃখল লোক শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে ননইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলছে।

গাজীপুরের বাসন থানার ওসি আবু সিদ্দিক বলেন, শ্রমিকরা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে মিছিল করছে। আজকে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের সংখ্যা কিছুটা কম। তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক বাজার এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে এবং মহাসড়কে ১০-১২ টি যানবাহন ভাঙচুর করে। এসময়ে শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শতশত শ্রমিক পুলিশকে ধাওয়া করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে মৌচাক বাজার এলাকায় অবস্থিত কালিয়াকৈর থানাধীন পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান নেয়। এ সময়ে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। ফাড়ীর গেট, অফিসের গ্লাস এবং সাইনবোর ভাঙচুর করে। 


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে দেশ...ছলিম উদ্দীন সেলিম

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

দেশের এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন এর ছোয়া লাগেনি বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম। 

রবিবার দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার শিক্ষক সমিতির আয়োজনে জাহাঙ্গীরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ চত্বরে শিক্ষার শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন এমপি ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম।

ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম এমপি আরো বলেন, উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে দেশ। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা অতীতে কোন সরকারের আমলে হয়নি। আমাদের দেশের অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি হয়েছে, মেট্রোরেল চলছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী বাড়ানো হয়েছে। দেশের সকল সেক্টরের মতো শিক্ষা সেক্টরেও উন্নয়ন হয়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকায় হয়তোবা এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। 

তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিশ্ব চলছে তথ্যপ্রযুক্তির উপর। সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ল্যাব বিতরণ করছে সরকার। যা আমাদের আগামী প্রজন্মকে সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করবে। শেষে তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকারকে ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়নে আবারও ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যক্ষ আলহাজ মোঃ নাজিম উদ্দীন মিঞার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আহসান হাবীব ভোদন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোতাহার হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম নূরানী আলাল, অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান, অধ্যক্ষ আলহাজ মোবারক আলী, অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এস এম ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।


আরও খবর



বাড়ল আলু-পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ |

Image

লাগামহীন গতিতে ছুটছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। বাড়তে বাড়তে দেশি পেঁয়াজের কেজি গিয়ে ঠেকেছে ১৪০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। এর সঙ্গে চড়ছে আলুর দামও। সবশেষ হরতাল-অবরোধের সুযোগ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে।

রাজধানীর কাওরান বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, আলু-পেঁয়াজের দাম নিয়ে ক্ষুব্ধ খোদ খুচরা বিক্রেতারাই। তারা ক্রেতাদের বোঝাতে গিয়ে মেজাজ হারাচ্ছেন।

এ ছাড়া পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা ভারতের রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কায়নের কথা বলছেন।

এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে শিম ও গাজরের দাম ৪০ টাকা বেড়ে যথাক্রমে ১৮০ ও ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে শিম ও গাজরের কেজি ছিল যথাক্রমে ১৪০ ও ১২০ টাকা।

বেড়েছে বেগুন ও করলার দামও। আজ প্রতি কেজি লম্বা জাতের বেগুন ৮০ টাকা ও গোল বেগুন (সাদা) বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। ১ সপ্তাহ আগে লম্বা জাতের বেগুন ৬০ টাকা ও গোল বেগুন (সাদা) বিক্রি হচ্ছিল ৮০ টাকা কেজি দরে। ৩ সপ্তাহ আগে লম্বা বেগুনের দর ছিল ৪০ টাকা ও গোল (সাদা) বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা ও পাকিস্তানি মুরগি ৩২০ টাকা কেজি দরে। ৩ সপ্তাহ আগে এর দাম ছিল যথাক্রমে ১৭০ ও ৩০০ টাকা।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির ডিমের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে হাঁসের ডিমের দাম। প্রতি ডজন মুরগির ডিম (লাল) বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম বেড়ে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা হয়েছে।

কাওরান বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ও পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ধুন্দল, চিচিঙ্গা, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। টমেটোর কেজি ১২০ টাকা।

পেঁয়াজ কিনতে আসা নাসরিন বেগম বলেন, ১ টাকাও আয় বাড়েনি। অথচ খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আগে যেখানে ২ কেজি সবজি লাগত, বাধ্য হয়ে সেখানে ১ কেজিতেই চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে।

এক খুচরা বিক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, কোল্ড স্টোরেজে প্রচুর পরিমাণে আলু মজুত রয়েছে। সরকার তাদের ধরেন না কেন? তারা কেন বড় বড় ব্যবসায়ীদের ধরেন না? তারাই তো আলু মজুত করে বসে আছেন।

কারওয়ান বাজারের এক মুদির দোকানি জানান, আড়ত মালিকরা সাধারণ ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে বেশি দামে আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করছে। তাদের কাছে দোকানিদের বকেয়া থাকায় নির্ধারিত দামে না কিনলে মালপত্র না দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছে। ফলে ব্যবসার স্বার্থে বেশি দামে আলু-পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে এবং বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।


আরও খবর

কমছে সবজি ও ব্রয়লারের দাম

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩