Logo
শিরোনাম

জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশ জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি। আজ সোমবার সচিবালয়ে সচিবালয়ে অবৈধ অভিবাসী প্রত্যাবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এসওপি সই শেষে করা এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে এসওপি করেন আইজিপি বাহারুল আলম ও অস্ট্রেলিয়ার জয়েন্ট এজেন্সি টাস্কফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার মার্ক হোয়াইট চার্চ। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ঈদের সময়ের আইনশৃঙ্খলা আশা করি স্বাভাবিক থাকবে। জরুরি অবস্থা নিয়ে যা ছড়ানো হচ্ছে, এটা গুজব। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

নাসিমুল গনি বলেন, ঘরবাড়ি ও জমি বিক্রি করে দালালের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধ পথে বাংলাদেশিদের প্রবেশ বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এসওপি স্বাক্ষর করেছে।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ভিসা সেন্টারটা বাংলাদেশের বাইরে ছিল। বাংলাদেশিদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা প্রসেস এতদিন নয়াদিল্লি থেকে হয়ে আসছিল। তারা এই মাসের শেষ থেকে ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করবে। ঈদের পরপরই হয়তো চালু হয়ে যাবে।


আরও খবর



ইসলামপুরের গোয়ালেরচর ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাদশার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সোমবার বিকালে গোয়ালেরচর ইউনিয়ন বিএনপি,সহযোগী অঙ্গসংগঠন ও সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে মহলগিরি শাপলা চত্বর মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ইসলামপুর-গোয়ালেরচর আঞ্চলিক সড়কে ঘন্ট্যাব্যাপী মানববন্ধনে চেয়ারম্যানের অপসারণে এক দফা দাবি জানানো হয়। অপসারণ চেয়ে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গোয়ালেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল করিম মেম্বার,সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক পাগাল,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম,শাজাহান মিয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আলী,যুবদল নেতা পারভেজ ফারাজী,মুছা আলী,জলিল মিয়া ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রহিম বাদশা। এর আগে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে শাপলা চত্বরে বিক্ষোভ করেন তারা। 

বক্তারা বলেন,গোয়ালেরচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর  রহিম বিগত সরকারের আমলে বিএনপি,ছাত্রদল,যুবদলসহ ইউনিয়নের নিরপরাধ মানুষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি এবং ব্যাপক চাদাঁবাজি করেছেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পর টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ সকল প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। তার অত্যাচারে ইউনিয়নের মানুষ অতিষ্ঠ। আওয়ামীলীগের দোসররা পালিয়ে গেলেও বহাল তরিয়তে আছেন আবদুর রহিম। এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের চিহ্নিত কোন দোসর থাকতে পারবে না। তাই দুর্নীতিবাজ ও বহু অপকর্মের হোতা আবদুর রহিমকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ করতে হবে। তাকে অপসারণ না করা হলে ইউনিয়নের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তারা। 

এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাদশার ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।


আরও খবর



কখন কীভাবে দই খাবেন

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। এই গরমে পানিশূন্যতা একটি বড় সমস্যা। পানিশূন্যতা থেকে ক্লান্তি ও অবসন্ন ভাব হয়। আমরা বিভিন্ন পানীয় খেয়ে সেই পানিশূন্যতা দূর করার চেষ্টা করি। এর মধ্যে রয়েছে তরমুজ, শসা, ডাবের পানি, কমলা, পানিসমৃদ্ধ সবজি ইত্যাদি। এগুলো শরীরকে ঠান্ডা রাখে। তবে এগুলো ছাড়াও গরমের সময় দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে।

দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই ভাল, তবে গরমে এটি খাওয়ার সঠিক উপায় জানাটাও কিন্তু জরুরি। তবে দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য, অভ্যাস এবং খাওয়ার উদ্দেশ্যের ওপর। তবে সাধারণভাবে কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে দই থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ পাওয়া সম্ভব।

কীভাবে দই খাবেন?

– দই খাওয়ার আগে এতে সামান্য পানি মেশাতে হবে, কারণ দইয়ের প্রকৃতি গরম, এমন অবস্থায় পানি যোগ করলে ভারসাম্য তৈরি হয় এবং দই ক্ষতিকর না হয়ে উপকারী হয়।

– চিনি বা জিরার গুঁড়া ইত্যাদি মিশিয়ে অনেকে দই খেতে পছন্দ করলেও বেশিরভাগ মানুষ শুধু লবণ দিয়ে দই খাওয়া পছন্দ করেন। কিন্তু, লবণ দিয়ে দই খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

– কেউ যদি দই খেতে পছন্দ করেন, তাহলে দইয়ের সঙ্গে চিনি, আমলকির গুঁড়ো, মধু ইত্যাদি মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি শরীরকে বিভিন্ন পুষ্টি সরবরাহ করে।

– দই কখনোই গরম খাওয়া উচিত নয়। এটি শরীরের জন্য বেশ বিপজ্জনক হতে পারে। দই গরম খাবারের সঙ্গে খেলেও এর প্রোবায়োটিক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

– সরাসরি দই খাওয়া উচিত নয়। এতে অনেক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এতে ত্বকের সমস্যা, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা এবং শরীরে তাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই যখনই দই খাবেন, তাতে হালকা পানি মেশাতে হবে। মনে রাখবেন দইয়ে একেবারেই লবণ দেওয়া যাবে না।

কখন দই খাবেন?

ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. নেহা গয়াল বলেন, শুধুমাত্র দিনের বেলা দই খাওয়া উচিত। কারণ রাতে দই খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

দই খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। দই খেলে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি থেকে পুষ্টি পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্ককে শক্তি দেয়। এটি শরীরের পেশিকে শক্তি দেয় এবং হাড়কে শক্তিশালী করে।


আরও খবর



চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা নয়, চলছে পরীক্ষার প্রহসন

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

আমি পপি আক্তার—একজন সংবাদকর্মী। কিন্তু আজ আমি কোনো চায়ের কাপ হাতে টেবিলে বসে রিপোর্ট লিখছি না। লিখছি বিছানায় শুয়ে, ব্যথায় কাতর শরীর নিয়ে। জায়গাটা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। আজ আমি রোগী। আমার কণ্ঠে আজ হাজারো রোগীর আর্তনাদ, যাদের চিকিৎসা না পেয়ে চোখে জল, মনে ক্ষোভ, মুখে নীরবতা। গত এক সপ্তাহ ধরে আমি গুরুতর অসুস্থ। ভর্তি হয়েছি চট্টগ্রাম মেডিকেলের জরুরি বিভাগে। প্রথমদিন সাংবাদিক ভাই মো. কামাল উদ্দিন হাসপাতালে এসে আমাকে দেখে সেবা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন। কর্তৃপক্ষ তার উপস্থিতিতে কিছুটা সাড়া দেয়, কয়েকজন ডাক্তার-প্রফেসরও আমাকে পরীক্ষা করেন। কিন্তু তারপর? নীরবতা, উপেক্ষা, উদাসীনতা। আজও আমার চিকিৎসা সুনির্দিষ্ট নয়। এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে ঠেলাঠেলি, এক পরীক্ষা থেকে আরেক পরীক্ষায় পিষে যাওয়া আমার মতো শত শত রোগীর গল্প একই। পরীক্ষাই যেন এখানে একমাত্র চিকিৎসা। শুধু টেস্ট, আর টেস্ট। ওষুধ নেই, পরিকল্পনা নেই, করুণা নেই।

পেশার মেশিনও নেই, খাবার আসে বিকেলে- বলেন তো, একটা সরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ডে যদি পেশার মেশিনই না থাকে, তাহলে উচ্চ রক্তচাপের রোগী কিভাবে বাঁচবে? পেশার মাপতে বললে আয়ারা বলেন—মেশিন নাই! গায়ে জ্বর, মাথা ঘোরে, বুক ধড়ফড় করে—তবুও সাড়া নেই। দুপুরের খাবার আসে ৩টা বা ৪টায়। সেই খাবারও রোগীর নয়—বিনাভাবে অভিভাবক খায়, কারণ রোগী এতক্ষণে অজ্ঞান বা নি:শেষ।

নারী ওয়ার্ডে পুরুষদের অনুপ্রবেশ, রাতে ঘুমায় পাশেই! সবচেয়ে লজ্জাজনক ঘটনা, মহিলা ওয়ার্ডেও রক্ষা নেই। পুরুষরা দিনের বেলায় যেমন ঘোরাঘুরি করে, রাতেও এসে পাশেই শুয়ে পড়ে। নারীর ব্যক্তিগত সুরক্ষা এখানে এক ভিন্নরকম ব্যঙ্গ। হাসপাতালের নিরাপত্তা যেন নিছক কল্পকাহিনি। বাথরুমে আলো নেই, কল ভাঙা, পানি পড়ে না। নারী ওয়াশরুমেও পুরুষ! ওয়াশরুমের অবস্থা বর্ণনাতীত। একটামাত্র আলো, তাও কাঁপছে। পানির কল সব ভাঙা। গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে। নারী ওয়াশরুমেও পুরুষের অবাধ প্রবেশ, যেন নারীত্বের লজ্জা কেউ দেখে না, বোঝেও না।ডাক্তাররা থাকেন সকালে—তারপর নিখোঁজ- সকাল বেলা হয়তো দু’একজন ডাক্তার আসেন। কিন্তু তারপর গোটা দিন ওয়ার্ড যেন জনশূন্য। রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকে, জ্বর গায়ে উঠে, ব্যথায় কাতরায়—কিন্তু চিকিৎসা নেই, চিকিৎসক নেই, কেবল দয়া-ভিক্ষার ভরসা। টেস্ট করতে হয় টাকার বিনিময়ে, সিরিয়াল ভেঙে, তাও চিকিৎসা মেলে না

আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, এক্স-রে—প্রতিটি পরীক্ষার পেছনে টাকা গুনতে হয়। সিরিয়ালের তোয়াক্কা না করে ডাক্তাররা বলেন, ‘ইমারজেন্সি’। দেরি হলে ফাইল ফেলে দেন। একজন রোগী তো বলেই ফেললেন—"সিস্টেম নাই, আল্লাহর উপর ভরসা রাখেন!" এই কি আমাদের রাষ্ট্রের স্বাস্থ্যব্যবস্থা? আমি লিখছি, কারণ আমি সাংবাদিক। কিন্তু আমার পাশের বেডে যে নারীটি শুয়ে আছেন, যিনি চট্টগ্রামের কোনো প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলশিক্ষিকা, তার কণ্ঠ নেই, কলম নেই। তার চিৎকার কে শুনবে? আজ আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মাননীয় উপদেষ্টা Asif Mahmud Shojib Bhuyain স্যার, আপনি দেখুন এই হাসপাতালে কী ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে।

চিকিৎসা নয়, এখানে মানুষ শুধু প্রহসনের শিকার হচ্ছে। এখানে শুয়ে থেকে আমি দেখেছি, কিভাবে মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মরে যাচ্ছে, আর কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শক।

এই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কি মৃত্যুর এক কারখানা হয়ে যাচ্ছে?

একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে, একজন নারী হিসেবে, একজন রোগী হিসেবে এবং একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আমি অনুরোধ জানাই—এই অব্যবস্থাপনার পরিবর্তন হোক। মানুষ যেন অন্তত সরকারি হাসপাতালে এসে সুস্থ হওয়ার আশায় মরতে না হয়। আমি চাই, এই লিখন একটি জবাব পাক। শুধু আমার জন্য নয়, আমার মতো হাজারো কণ্ঠহীন রোগীর জন্য। চট্টগ্রাম মেডিকেলের প্রতিটি অসংগতি যেন আজ সরকারের চোখে পড়ে।


আরও খবর



কোন মহামানবকে দায়িত্ব দিতে আন্দোলন করিনি

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বললেন, কোনও মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, কোনও মহামানব কোনও দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে তার জন্য দেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কারণ নেই।

এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে আমজনতার দলের সঙ্গে বৈঠকে করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। আমজনতার দলের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা।

বিএনপির পক্ষে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।

আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, মানুষ বলতে কারা? আমার বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, যারা জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করছে। যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সঙ্গে যারা রাস্তায় ছিল, ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দল, পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচনের জন্য।

তিনি আরও বলেন, সংস্কারের জন্য যে কথাগুলো বলা হয়, সংস্কারের ব্যাপারে যেখানে ঐকমত্য হবে- সেই সংস্কারগুলো দ্রুত করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে ভোটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তো জনগণ বলতে কারা?

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখন জনগণ বলতে যদি কোনও একটি বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী- যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে, জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে! এটা তো কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সেটা যে সরকারই হোক।


আরও খবর



প্রিয় বন্ধু হবেন যেভাবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জগৎখ্যাত মনীষী এরিস্টটলের অমর এই বাণী “দুর্ভাগ্যবান তারাই, যাদের প্রকৃত বন্ধু নেই’’। এই বাক্যটি চলার পথে সর্বদা আমাদের বন্ধুত্বের গুরুত্বের কথা স্বরণ করে দেয়। সেজন্য জীবনে চলার পথে সকলের একজন হলেও বন্ধু প্রয়োজন। কেননা, বন্ধুহীন মানুষ চার্জ ছাড়া মোবাইলের মতো।

তাইতো বিখ্যাত মনীষী নিৎসে বলেছেন, ‘‘একজন বিশ্বস্ত বন্ধুত্ব হচ্ছে প্রাণরক্ষাকারী ছায়ার মতো। যে তা খুঁজে পেলো, সে যেন একটি গুপ্তধন পেলো।”

হাসি-তামাশা, হট্টগোল, খুনসুটি, মান-অভিমান, বিরক্তি, হিংসা ও ভালোবাসা এসব মিলেই তৈরী হয় একটি বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ঠিক তেমনি দিন শেষে সব ভুলে প্রকৃত বন্ধুত্বের বন্ধনটা ঠিকই টিকে থাকে এবং নতুন সকালে ফের শুরু হয় বন্ধুত্বের সেই খুনসুটি।

বন্ধুত্ব এমন একটা সম্পর্ক যা হৃদয়ের গভীরে নিমেষেই দাগ কেটে যায়। সুতরাং প্রত্যেকের জীবনে অন্তত একজন বন্ধু থাকা প্রয়োজন, যে তার আবেগ-অনুভূতির মূল্যায়ন করবে।

প্রযত্নে প্রিয়বন্ধু

কি করে ভালো বন্ধু হয়ে ওঠা যায় সেটা কেউ-ই হয়ত ছকে দিতে পারবে না৷ সঠিক বন্ধু পেলে সেটা বুঝে নিতে হবে৷ যদিও বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম হয় না৷ সবটাই বেনিয়ম৷ কিন্ত্ত বেনিয়মেও নিয়ম শব্দ আছে৷ ফলে ভালো বন্ধু হওয়ার এবং বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার কৌশল জেনে নিন।

দুজনে আলাদা

ওরা তো মানিকজোড়৷ এমন কথা আপনি এবং আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধুটিও মাঝেমধ্যেই শোনেন? বাহ খুব ভালো৷ কিন্ত্ত তার মানে এই নয় যে আপনারা দুজনে একই মানুষ৷ আপনারা দুজনে আলাদা মানুষ সেটা কখনওই ভুলবেন না৷ ফলে মতের অমিল হতেই পারে৷ অমিল হলে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই৷ তাছাড়া দুজনের জীবনও আলাদা৷ ফলে একে অপরকে স্পেস দিন৷ যদি সব করেও দুজনের কথা না বলে মন খারাপ হয় এবং একে অপরকে ছাড়া ভালো না লাগে তাহলে আপনারা সত্যিই মানিকজোড়৷

বন্ধুত্ব সাবলীল

পাশাপাশি দু'জনকে বসিয়ে বন্ধুত্ব করতে হবে বলে বন্ধুত্ব করা যায় না৷ প্রেমের মতোই বন্ধুত্বও সাবলীল এবং স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া৷ ফলে প্রিয় বন্ধুরা কখনওই একসঙ্গে চুপচাপ থাকে না৷ তারা প্রানবন্ত এবং উচ্ছল থাকে৷ যদি কথাই বলতে ইচ্ছা না করে তাহলে সেই বন্ধুত্ব না করাই ভালো৷ জোর করে অন্তত বন্ধুত্ব হয় না৷

চিরকালের

প্রিয় বন্ধু চিরকালের৷ হতেই পারে দু'জনে আলাদা কলেজ গিয়েছেন৷ আলাদা শহর হয়ে গেল৷ কিন্ত্ত নিজেদের সংসারে ব্যস্ত হয়ে গিয়ে তারা কখনওই একে অপরকে ভুলে যাবেন না৷ বরং আরও বেশি করে একে অপরকে মনে করবেন এবং সময় পেলেই একে অপরের সঙ্গে দেখা করে খুনসুটি করবেন এমন হতে হবে বন্ধুত্ব৷ রাগ অভিমান করে পরস্পরকে ভুলে গেলে সেটা কখনওই প্রকৃত বন্ধুত্ব নয়৷ যে কোনও উপায়ে সংযুক্ত থাকুন এবং মনের ভাব আদানপ্রদান করুন৷

ভালো হোক

ভালো বন্ধু সবসময় বন্ধুর ভালো চায়৷ নিজের ভালো হোক সকলেই চায়, তবে তার জন্য বন্ধুর ক্ষতি হোক এমন ভাবা কিন্ত্ত প্রকৃত বন্ধুর পরিচায়ক নয়৷ প্রকৃত বন্ধু চাইবেন তার নিজের উন্নতির পাশাপাশি আপনারও উন্নতি হোক৷ যেখানে কিংবা যত দূরেই থাকুন না কেন বন্ধুর কল্যাণ কামনাই প্রিয় বন্ধুর পরিচায়ক৷

পাশে আছি

রাত ৩টের সময়েও প্রয়োজনে বন্ধুর পাশে থাকা অপর বন্ধুর কর্তব্য৷ যে বন্ধুর জন্য আপনি এমন করতে পারবেন এবং যে বন্ধু আপনার পাশে সর্বদা থাকতে পারবে সেই আপনার প্রকৃত বন্ধু৷ ফলে এইরকম বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করুন৷


আরও খবর