Logo
শিরোনাম

জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

গণঅভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে জুলাই গণ অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করেছে সরকার। আজ সোমবার অধিদপ্তর গঠন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।


আরও খবর



মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

শুধু ব্যবসা নয়, শস্যভাণ্ডার হিসেবেও খ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। জেলার ১৫ উপজেলার প্রতিটিতে আবাদ হয় প্রচুর ধান-চাল, ডাল, সবজি ও ফল-ফলাদি। লবণ ও মাছ উৎপাদনের প্রাকৃতিক উৎসও চট্টগ্রাম। আবার ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, গমসহ নানা ভোগ্যপণ্যের আমদানি আসে এই চট্টগ্রামে।

কিন্তু চট্টগ্রামে এসব ভোগ্যপণ্যের দাম মোটেও স্বাভাাবিক নয়। এমনকি দেশের কোনো কোনো এলাকার চেয়ে এসব ভোগ্যপণের দাম অনেক বেশি চট্টগ্রামে। এর মূলে সরবরাহে কারসাজি। যার কারিগর মধ্যস্বত্বভোগীরা। যাদের বেড়াজালে এসব ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী কৃষক যেমন প্রতিনিয়ত ছিড়ে চ্যাপ্টা হচ্ছে, তেমনি চ্যাপ্টা হচ্ছে ভোক্তাও।

এমন অভিযোগ শুধু উৎপাদনকারী কৃষক, আমদানিকারক বা ভোক্তা নয়, খোদ বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) নেতারাও করেছেন। বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মধ্যস্বত্বভোগী অসাধু ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের কারসাজির প্রমাণও সামনে নিয়ে এসেছেন ক্যাব নেতারা।

ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু বলেন, চট্টগ্রামে আমদানি করা ভোগ্যপণ্য পাইকারি দরে বিক্রি হয় চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে। পাইকারি চাল বিক্রি হয় পাহাড়তলী বাজারে। সবজি বিক্রি হয় রিয়াজুদ্দিন বাজারে। দেখা যায়, এসব বাজারে হাজার হাজার বেপারির অবস্থান। যাদের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ২০ থেকে ২৫ জনের আড়তদারের চুক্তি থাকে।

আবার এসব বেপারি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের কাছে অগ্রিম টাকা দিয়ে ফসলি জমি কিনে রাখেন। পরে ওই জমিতে উৎপাদিত ফসল আড়তদারদের কাছে পৌঁছে দেন। এই আড়তদাররাই জমি কেনার টাকা দেন ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের। আর বিনিময়ে আড়তদাররা সব ধরনের সবজিতে কেজিপ্রতি ৬ টাকা ৪ আনা কমিশন পান। আড়তদারদের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা কিনে নেন। সেখান থেকে ভোক্তাপর্যায়ে পৌঁছায়। এভাবে হাতবদলের কারণে সবজির দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন রিয়াজুদ্দিন বাজারের আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক শিবলীও। তিনি বলেন, কৃষকরা সরাসরি আমাদের কাছে সবজি বিক্রি করতে পারেন না। বেপারির মাধ্যমে বিক্রি করতে হয়। বেপারিরা চট্টগ্রামের সবজি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে নিয়ে যায়। এতে সংকটও সৃষ্টি হয়। গ্রীষ্মকাল এলে যখন ফলন কমে যায় বা গরমে নষ্ট হয় তখন সবজির দাম অত্যধিক বেড়ে যায়।

তিনি বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে সবজির বাজার একেবারে অস্থির। কাঁকরোল, ঝিঙা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে। কচুরলতি ৯০ টাকা এবং পটল, করলা, ঢেড়শ, বরবটি ও চিচিঙ্গা কিনতে গুনতে হচ্ছে কেজিতে ৭০ টাকার বেশি। অথচ ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা উৎপাদনকারী কৃষক থেকে ৩০-৩৫ টাকার নিচে কিনেছে সব সবজি।

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার কৃষক আবু হানিফ বলেন, আমি ২০ শতক জমিতে কাকরোল চাষ করেছি। ফলনও হয়েছে ভালো। কিন্তু দাম পাচ্ছি না। বাজারে ১২০ টাকা কেজিতে কাকরোল বিক্রি হলেও আমরা পাই কেজিপ্রতি ৩০ টাকা। বেপারিদের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম টাকায় চাষ করায় তাদের ইচ্ছার ওপর কোনো রকম কথা বলা সম্ভব হয় না বলে জানান তিনি।

একই অবস্থা পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও। দেশীয় পেঁয়াজ এখন খুচরায় বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫৪ টাকায়। যা কৃষক পর্যায়ে দাম মিলছে ১৪ থেকে ১৫ টাকায়। চট্টগ্রামে আবার তেমন পেঁয়াজ উৎপাদন হয় না। মেহেরপুর, রাজবাড়ী, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মধ্যস্বত্বভোগীরা কৃষকের কাছ থেকে কম দামে পেঁয়াজ কিনে মজুত করে রেখেছেন। এখন তা বেশি দামে বাজারে ছাড়ছেন। এর প্রভাব পড়ছে ভোক্তাপর্যায়ে। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৮ টাকায়। যা ক্রয় পর্যায়ে ২৪-২৫ টাকায় কিনছে আমদানিকারকরা।

একসময় মধ্যস্বত্বভোগীর ভূমিকা কম ছিল, এখন বেড়েছে। পাকিস্তান আমল থেকে এর চর্চা হয়ে আসছে।

হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীর অস্তিত্ব নতুন কিছু নয়। সেই পাকিস্তান আমল থেকে এর চর্চা হয়ে আসছে। একসময় মধ্যস্বত্বভোগীর ভূমিকা কম ছিল, এখন বেড়েছে। আর তাদের ছাড়া কৃষকের কোনো পণ্যই বিক্রি করার সুযোগ নেই। গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিও পণ্যের দাম বাড়ার জন্য কিছুটা দায়ী।

এদিকে মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি জিরাশাইল চালের দাম ১৪ টাকা বেড়ে ৮৪ টাকা, নাজিরশাইল ১২ টাকা বেড়ে ৮৮ টাকা, কাটারি সেদ্ধ চাল ১৪ টাকা বেড়ে ৮৬ টাকা, মিনিকেট আতপ চাল ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মোটা চাল, গুটি স্বর্ণা, ভারতীয় সেদ্ধ চাল, পাইজাম ও বেতি চাল বিক্রি হচ্ছে আগের দরে। প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৬ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৫০, ভারতীয় সেদ্ধ চাল ৫৫, পাইজাম ৫৬ ও বেতি চাল ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম নিজামউদ্দিন বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে চালের দাম বেড়ে যায়। ভরা মৌসুমে ধান মজুত করে পরে চড়া দামে বিক্রি করেন তারা। বাজারেও এর প্রভাব পড়ে। বোরো ধান মাত্র উঠতে শুরু করেছে। আশা করা যায়, ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে চালের দাম কমে আসবে।

এদিকে কয়েক মাস আগেও খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় মুরগির ডিম (বাদামি) ডজনপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার জানান, বর্তমানে একটি ডিম উৎপাদন করতে ১০ টাকার ওপর খরচ পড়ে। কিন্তু বিক্রি করতে হচ্ছে ৮ টাকায়। কারণ ডিম উৎপাদন করলেও কোনো খামারি ডিমের দাম নির্ধারণ করতে পারেন না। মধ্যস্বত্বভোগীরাই দাম নির্ধারণ করে কিনে নেন। তারাই পরে তা পাইকারের কাছে বিক্রি করেন। সেখান থেকে খুচরা পর্যায়ে যায়। এটা একটা সিস্টেমে পরিণত হয়েছে। এর ওপর বড় ফার্মগুলো মুরগির বাচ্চা বাড়তি দরে বিক্রি করছে। এ কারণে মুরগির বাজারদরটাও বাড়তি।

ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে পাইকারি ব্যবসায়ীরাও দায়ী। এ কারণে কৃষক লবণের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। চাক্তাই, মাঝিরঘাট ও বাংলাবাজার এলাকার পাইকারি লবণ বিক্রেতারা প্রতি কেজি লবণে ২ টাকা বাড়িয়ে ৯ টাকায় বিক্রি করছেন। বস্তাপ্রতি (৭৪ কেজি) ১৪০ টাকা দাম বাড়িয়ে ৬৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। দাম বাড়ানোর পেছনে দেখিয়েছেন সরবরাহ সংকটের অজুহাত।

বিশ্ববাজারে গমের দাম কমে এসেছে। কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরবরাহ সংকটের অজুহাতে প্রতি কেজি গমে ৩ টাকা বাড়িয়ে ৩৪ টাকায় বিক্রি করছেন। বস্তা ১১০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়।

এদিকে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জে প্রতি লিটার পাম অয়েলে ১২ টাকা ৬ পয়সা বেড়ে ১৩৯ টাকা ৮৭ পয়সা এবং লিটারপ্রতি ৭ টাকা ২৩ পয়সা বেড়ে সয়াবিন তেল ১৫১ টাকা ৯২ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। মণপ্রতি হিসাবে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাম অয়েলে ৫০০ টাকা ও সয়াবিনে ৩০০ টাকা বেড়েছে। অথচ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকায়, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৯ টাকায় বিক্রি করার কথা। কিন্তু বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৮০ টাকারও বেশি দামে।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের আইনবিষয়ক সম্পাদক এবং চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন দাবি করেন, খাতুনগঞ্জে অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী। তবে বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে এখানে বেড়ে যায়। বিশ্ববাজারে কমে গেলে এখানেও কমে। এখানে মধ্যস্বত্বভোগীর হাত নেই বলে দাবি করেন তিনি।

কিন্তু তার এই দাবির সঙ্গে একমত নন ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণেই বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। বিশ্ববাজারে কোনো একটা পণ্যের দাম কমলে আমাদের ব্যবসায়ীরা আর সে পণ্যের দাম কমান না। এখন খুচরা ব্যবসায়ীরাও অতি মুনাফালোভী হয়ে উঠেছেন। এসব ব্যাপারে সরকারকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কঠোরভাবে বাজার তদারকি করতে হবে। ব্যবসায়ীদেরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, আমাদের জনবল সীমিত। তবু আমরা বিভিন্ন বাজার তদারকি করছি। কারসাজি পেলেই জরিমানা ও সতর্ক করছি। বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছি। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।


আরও খবর



মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মেদান ইম্বিতে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। অভিযানে ৫০৬ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান জানান, মেদান ইম্বি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অভিবাসীদের কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত ছিল। এখানকার অনেক দোকানঘরের ওপরের তলা ভাড়া নিয়ে অবৈধ অভিবাসীরা বসবাস করতেন।

অভিযানকালে পালানোর চেষ্টাকালে দুই বিদেশি পুরুষ আহত হন। এছাড়া উঁচু হিলের জুতা পরা এক নারীও পালাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ইমার্জেন্সি মেডিকেল রেসপন্স সার্ভিস ইউনিট তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে ৮৯৫ জনকে পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ৭৪৯ জন ছিলেন বিদেশি নাগরিক এবং ১৪৬ জন স্থানীয়। আটকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি ছাড়াও নেপালি (১৪২ জন), ইন্দোনেশিয়ান (১০৯ জন) এবং কিছু ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান নাগরিকও রয়েছেন।

ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, আটকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বৈধ কাগজপত্র না থাকা, ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া এবং ওয়ার্কিং ভিজিট পাসের অপব্যবহার। অনেক কর্মীকে দেখা গেছে যাদের জোহরের ওয়ার্কিং ভিসা থাকলেও তারা কুয়ালালামপুরে অবস্থান করছিলেন।

পরিদর্শনে আরেো দেখা গেছে, বিদেশি শ্রমিকরা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর ও ঘিঞ্জি পরিবেশে বসবাস করছেন। ছোট ছোট কক্ষে গাদাগাদি করে পাঁচ-ছয়জন এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি বাড়িতে ৩০ জন পর্যন্ত ভাড়াটিয়া বসবাস করছিলেন।


আরও খবর



ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: শেয়ারবাজারে পতন

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ |

Image

ভারত ও পাকিস্তান কেউই যেন কাউকে দেখতে পারে না। তাদের সম্পর্কটা এরকমই সাপে-নেউলে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা দু’দেশের চিরবৈরী মনোভাবকে আরও উসকে দিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বর্তমানে দেশ দুটির মধ্যে দেখা দিয়েছে সামরিক উত্তেজনা। আর সেই উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেওয়ায় ঘটেছে বড় ধরনের দরপতন।

৭ মে দুপুর ১টায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দরপতন হয় ৩৭৭টির। এর মধ্যে দর বাড়ে কেবল ৯টির এবং আগের দরে লেনদেন হয় ৭টির। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১১৬ পয়েন্ট। আর এই সময়ে লেনদেন হয়েছে ৩৫৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

অন্যদিকে দুপুর ১টা ৭ মিনিটে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২২৪ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৭৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬ টির, কমেছে ১৫২ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬ টির।

জানা গেছে, ভারত ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে আজ বুধবার দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। ফলে লেনদেনের শুরুতেই হয় বড় ধরনের দরপতন।

শেয়ারবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এই উপমহাদেশে আতঙ্ক ছড়াবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আগে থেকেই পতনের ধারায় থাকা দেশের শেয়ারবাজার এখন তলানিতে রয়েছে। এখান থেকে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন না হওয়াটাই অস্বাভাবিক। সুতরাং বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হয়ে স্বাভাবিক আচরণ করা উচিত। তাহলে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি ও ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া পরিস্থিতির কারণে শেয়ারবাজারে এমন দরপতন দেখা দিয়েছে।

আমাদের শেয়ারবাজার এমনিতেই এখন বটম লাইনে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এখান থেকে বাজার খুব নিচে নামার সম্ভাবনা কম। আশা করছি, বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।

দীর্ঘদিন ধরেই দেশের শেয়ারবাজার পতনের মধ্যে রয়েছে জানিয়ে ডিএসইর এক সদস্য বলেন, বিনিয়োগকারীদের এখন দিশেহারা অবস্থা। এর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের ভেতর সৃষ্ট বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা গণমাধ্যমে এসেছে। দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট এই পরিস্থিতির কারণে সবার মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্কে অনেক বিনিয়োগকারী কম দামে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করছেন। এ কারণেই লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন দেখা দিয়েছে।

বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে শেয়ার বিক্রির চাপ না বাড়ালে বাজার অচিরেই ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। হামলার পর দিল্লি সোজাসুজি এর দায় চাপায় ইসলামাবাদের ঘাড়ে। দুই দেশ থেকে নেওয়া হয় বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপও।

পরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি থামাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয় ইরান ও রাশিয়া। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে জম্মু-কাশ্মীরে হামলার দুই সপ্তাহ পর মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত।

এদিকে পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে তারাও কাশ্মীরের ভিম্বর গলি অঞ্চলে গোলা নিক্ষেপ করেছে।


আরও খবর



গাজীপুরে ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইকৃত ৯৮ লক্ষ টাকা উদ্ধারসহ আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

গাজীপুর প্রতিবেদক :

মাল্টি পয়েন্ট বিডি প্রতিষ্ঠানের ভল্টে থাকা নগদ ৯৮,০০,০০০/-টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আসামী গ্রেফতার ও লুন্ঠিত নগদ টাকা উদ্ধারসহ মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করল পিবিআই গাজীপুর জেলা।

গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন আউটপাড়া সাকিনস্থ রিয়াজ টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলায় মাল্টিপয়েন্ট বিডি নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভল্টে থাকা নগদ ৯৮,০০,০০০/-টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় আসামী গ্রেফতার, লুন্ঠিত নগদ টাকা উদ্ধার ও মামলার মূল রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী গ্রেফতার করেছে পিবিআই গাজীপুর জেলা।

ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ১। মোঃ আব্দুর রহমান @ রাজন (২৮), পিতা-মোঃ হাসান বেপারী, মাতা-রাবেয়া বেগম @ নিলুফা, সাং-গোবিন্দপুর, হাজী বাড়ি, থানা-ফরিদগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর, এ/পি. সরকারবাড়ী মোড়, প্রিয়াংকা ভিলা, ওয়ার্ড নং-১৬, থানা-বাসন, গাজীপুরকে ডিএমপি, ঢাকার পল্টন থানাধীন ফকিরাপুল কাঁচাবাজার এলাকা থেকে গত ইং ২৩/০৪/২০২৫ তারিখ সময় ২০:৩০ ঘটিকায় গ্রেফতার করে তার দেয়া তথ্য মতে সাক্ষী মোঃ আব্দুল গফুর আকন্দ এর উপস্থাপন মতে লুন্ঠিত ২,৫৫,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার) টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ২। মোঃ রবিউল ইসলাম (৩০), পিতা-মোঃ ফারুক, সাং- কাহনিয়া, থানা-ইটনা, জেলা- কিশোরগঞ্জ, এ/পি সাং- মালেকের বাড়ী হাজী মান্নানের বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা- গাছা, জিএমপি গাজীপুরকে ইং ২৮/০৪/২০২৫ তারিখ ০৩.১০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়। ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ৩। মোঃ উজ্জল (৩৬), ৪। মোঃ মিরাজ (২৫), উভয় পিতা-মোঃ হাসান মৃধা, সাং-ছোট চরশিবা, থানা-গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালী দ্বয়কে ভোলা জেলার দুলারহাট থানাধীন শিকদারের চর সাকিনে কিল্লার মাঠ এলাকা থেকে গত ইং ৩০/০৪/২০২৫ তারিখ ভোর ০৫.০০ ঘটিকায় গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ উজ্জল এর হেফাজত হতে ঘটনায় লুন্ঠিত নগদ ২,৫০,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা উদ্ধার এবং আসামী মোঃ আসামী মোঃ মিরাজ এর তথ্য ও দেখানো মতে গাজীপুর টঙ্গীপূর্ব থানাধীন মরকুন সাকিনস্থ আসামী মোঃ মিরাজ এর স্ত্রীর বড় ভাই রাহাত এর ভাড়া বাসায় রেখে যাওয়া লুন্ঠিত নগদ ১৭,৫০,০০০/-(সতের লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা সহ তিন জনের নিকট থেকে সর্বমোট ২২,৫৫,০০০/-(বাইঁশ লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার) টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।

গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন আউটপাড়া সাকিনস্থ রিয়াজ টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলায় মাল্টিপয়েন্ট বিডি নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গত ইং ১৪/০৪/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.১৫ ঘটিকার সময় বাদী মোহাম্মদ একরামুল হক (৩২), পিতা-শাহ মোহাম্মদ মনিরুল হক, মাতা-হাসিনা বেগম, সাং-মির্জারচর, থানা-রায়পুরা, জেলা-নরসিংদী, বর্তমান সাং-মিরেরবাজার, থানা-পুবাইল, গাজীপুর মহানগর সহ তার প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছিলেন। অফিসের কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে ইং ১৪/০৪/২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.৪৪ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামীরা তাদের অফিসে প্রবেশ করে নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাদীর প্রতিষ্ঠানে অবৈধ কার্যকলাপ করা হয় মর্মে জানিয়ে আসামীদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদানসহ প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বাদীসহ অন্যান্যদেরকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে। একপর্যায়ে আসামীরা বাদীর অফিসের ভল্টে থাকা নগদ ৯৮,০০,০০০/- (আটানব্বই লক্ষ) টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

পরবর্তীতে এই সংক্রান্তে মাল্টি পয়েন্ট বিডি প্রতিষ্ঠানের জিএম মোহাম্মদ একরামুল হক বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে জিএমপি বাসন থানার মামলা নং-২০ তারিখ-১৫/০৪/২০২৫ ইং ধারা-১৭০/৩৯৪ পেনাল কোড রুজু হয়।

মামলাটি রুজু হওয়ার পর জিএমপি বাসন থানা পুলিশ গত ইং ১৫/০৪/২০২৫ তারিখ হতে ০৮ দিন মামলাটি তদন্তকালীন সময়ে মামলাটি পিবিআই এর সিডিউল ভূক্ত মামলা হওয়ায় আবেদনের প্রেক্ষিতে অত্র মামলাটি পিবিআই গাজীপুর জেলা অধিগ্রহন করেন।  

অতিরিক্ত আইজিপি পিবিআই জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল মহোদয়ের সঠিক তত্তাবধানে ও জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার পিবিআই গাজীপুর মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় মামলাটি এসআই(নিঃ)/ বিশ্বজিত বিশ্বাস, বিপিএম-সেবা তদন্ত করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মোঃ আব্দুর রহমান @ রাজন এর জবানবন্দি মতে, বাইপাস থেকে বাগের বাজার পর্যন্ত নগদ ডিস্টিবিউটর অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আসামী আব্দুর রহমান ২ মাস পূর্বে চান্দনা ঈদগাহ মাঠে ঘুরতে গেলে রবিউলের সাথে তার পরিচয় হয়। তখন সে জানায় তাদের অফিসে অনলাইনে ক্যাসিনো (জুয়া) এবং অবৈধ লেনদেনের ব্যাবসা চলে। আলোচনার ১০/১৫ দিন পরে রবিউল আব্দুর রহমানকে নিয়ে তার ঘনিষ্ট বন্ধু মিরাজের কাছে যায়। মিরাজের কাছে তাদের অফিসে অনলাইন ক্যাসিনোর ব্যাবসার কথা বলে। তার ৪/৫ দিন পরে মিরাজ তার আপন ভাই মোঃ উজ্জলকে নিয়ে তার কাছে আসে। মিরাজ এবং উজ্জল @ আমিনুর দুজনে মিলে পরিকল্পনা করে তারা ডিবি পরিচয়ে নগদ ডিস্টিবিউটর অফিসে ঢুকে কম্পিউটার তল্লাশি দিয়ে ক্যাসিনোর সাথে সম্পৃক্ততার তথ্য সংগ্রহ করে অফিসের টাকা পয়সা হাতিয়ে নিবে। গার্মেন্টসের বেতনের সময় (৭ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে) তাদের অফিসে কোটি টাকার বেশী ক্যাশ থাকে। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১৪/০৪/২৫ ইং তারিখ বিকাল ৫.৪৫ ঘটিকায় উজ্জ্বল, মিরাজসহ আরো ৪ জন নগদ ডিস্টিবিউটর অফিসে প্রবেশ করে ডিবির পরিচয় দিয়ে অবৈধ ক্যাসিনোর সাথে উক্ত অফিসের সম্পৃক্ততার কথা জানিয়ে অফিসে থাকা ৫/৬ জন লোককে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে অফিসের ভল্টের থাকা ৯৮,০০,০০০/- (আটা নব্বই লক্ষ) টাকা ছিনিয়ে নেয়। আসামী মোঃ আব্দুর রহমান @ রাজন ঘটনার দিন ০২.৩০ ঘটিকার সময় পূর্ব পরিকল্পনা করে একটি তালা কিনে আসামী উজ্জলকে দেয়। ঘটনার পর আসামী উজ্জল তালা দিয়ে অফিসের বাইরের দিক থেকে সবাইকে তালা মেরে দেয়। পরে আব্দুর রহমান অভিনয় করে তালা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করে। মিরাজ, আব্দুর রহমানের বাসায় গিয়ে তাকে লুন্ঠনকৃত ০৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে। 


আরও খবর



ইতিহাসের সব রেকর্ড ভাঙল রেমিট্যান্স প্রবাহ

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে চলতি মে মাসেও। এই মাসের প্রথম সাত দিনেই দেশে ৭৩৫ মিলিয়ন বা ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি (৮ হাজার ৯৬৭ কোটি) টাকা। আর প্রতিদিন আসছে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ১২৮১ কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে আবারও রেকর্ড তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে পারে।

সূত্র জানায়, মে মাসের প্রথম সাত দিনে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের ছেয়ে সাড়ে ১৩ কোটি ডলার বেশি। ২০২৪ সালের মে মাসের প্রথম সাত দিনে এসেছিল ৬০ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে মে মাসের ৭ দিন পর্যন্ত দেশে মোট ২ হাজার ৫২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছ, যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসের ৭ দিন পর্যন্ত এসেছিল এক হাজার ৯৭২ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার বেশি এসেছে। অর্থবছরের হিসাবে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্স আসার প্রবৃদ্ধি ২৮.২ শতাংশ।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং সবশেষ এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।


আরও খবর