Logo
শিরোনাম

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে গোখাদ্য নেপিয়ার ঘাস এখন অর্থকারী ফসল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image
আবু সুফিয়ান মুক্তার - জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি::



জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পশু পালন বৃদ্ধি পাওয়ায় নেপিয়ার ঘাস এখন অন্যতম অর্থকারী ফসল হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। লাভজনক হওয়ায় পশু পালনের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে নেপিয়ার ঘাস। গো-খামারে ব্যবহৃত ছোলা, ভুট্টা, গম, ভুসি, ফিড ও খড়ের দাম বৃদ্ধি হাওয়ায় প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরা শাক সবজি চাষের পরিবর্তে এখন ঘাস চাষের দিকেই ঝুকছে বেশি। কারণ হিসাবে জানা গেছে, ঘাস চাষে ব্যয় কম, উৎপাদন হয় সারা বছর। অন্য ফসলের তুলনায় লাভ বেশি।

যে কোন মৌসুমে ঘাস চাষ শুরু করা যায়। জমি তৈরির পর একবার ঘাসের চারা রোপন করলে একটানা দু’বছর ঘাস উৎপাদন হতে থাকে। ২ মাস পর পর ঘাস কর্তন করা যায়। সে হিসাবে দু’বছরে ১২ বার ঘাস কর্তন করা হয়। মৌসুমে শেষে ঘাসের দাম ওঠা নামা করলেও বছরে ১ বিঘা জমির ঘাস একলাখ চল্লিশ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। অথচ উৎপাদন খরচ মাত বিঘা প্রতি বছরে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা। তুলনামুলক দাম কম হওয়ায় নেপিয়ার ঘাসকেই প্রধান গোখাদ্য হিসাবে দেখছে গো-খামারিরা। পাঁচবিবির নন্দইল গ্রামের গো-খামার আঃ হাকিম জানান তাঁর খামারে সবসময় ৭০/৮০টি গরু থাকে এদের খাদ্য হিসাবে তিনি ১০বিঘা জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছেন। এতে খামারে খরচ অনেক কমে গেছে। ছিট মানিক গ্রামের প্রান্তিক কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, ”আমার নিজের জমি ১ বিঘা লিজ নেওয়া আছে আর ২ বিঘা মোট ৩ বিঘার মধ্যে ১ বিঘাতে সবজি চাষ করি অন্য ২ বিঘাতে ঘাস চাষ করি। ঘাস চাষ করতে খরচ কম কিন্তুু বিক্রি করতে দাম ভাল পাওয়া যায়। ঘাস আবাদ করে লাভ ছাড়া কখনো লোকসান হয়না, তাই ঘাস আবাদ করি”। 
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা জায়, “এ মৌসুমে উপজেলাতে ৬৫ হেক্টর জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ হয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামীতে এই ঘাসের চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে”। 

পাঁচবিবি বড়মানিক বাজার নেপিয়ার ঘাষ বিক্রয়ের জন্য খুবই পরিচিত। এখানে দূর দুরান্তের খামারীরা ঘাস ক্রয়ের জন্য আসেন। এ বাজারে ১৫/২০ জন ফরিয়া নিয়মিত ঘাস বিক্রয় করেন। ফরিয়ারা কৃষকদের নিকট থেকে সরাসরি ঘাস কিনে থাকেন। “ঘাস বিক্রেতা অফির উদ্দিন বলেন, এখন ব্যবসা নাই, কাম নাই, তাই ঘাস বিক্রয় করছি। ঘাসের খদ্দের সবসময় পাওয়া যায়। ঘাস নিয়ে বসে থাকতে হয় না। লাভও মোটামুটি ভালো হয়”। 

হয়তো এমনদিন সামনে আসবে, সেদিন নেপিয়ার ঘাস পাঁচবিবির প্রধান অর্থকারী ফসল হিসাবে পরিচিতি পাবে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় কৃষকেরা। 

আরও খবর



স্টারলিংকের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

ইলন মাস্কের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কোম্পানি। আর দেশীয় এই কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে স্টারলিংকের গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী একটি দল বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছে। এই সফরের অংশ হিসেবে কোম্পানিগুলো স্টারলিংকের সাথে সহযোগিতার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে স্থান বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা এবং চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ।

স্টারলিংক দলের এই সফর বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে তাদের আগ্রহের কয়েকটি স্থান জানতে সাহায্য করছে। কিছু স্থানে কোম্পানিগুলো তাদের নিজস্ব সম্পত্তি ব্যবহার করে সহায়তা প্রদান করছে। আবার কিছু স্থানে স্টারলিংক হাইটেক পার্কের সম্পত্তি বিবেচনা করছে।

এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ আহমেদ তৈয়ব বলেন, ‘স্থান বরাদ্দ এবং বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা চলছে।’

তৈয়ব আশা প্রকাশ করেছেন যে, স্টারলিংক লোডশেডিং বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝামেলা ছাড়াই বাংলাদেশের শহর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং উপকূলীয় অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য এবং উচ্চ-গতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে।

তিনি বলেন, ‘এটি নিরবচ্ছিন্ন এবং উচ্চ-মানের পরিসেবা নিশ্চিত করবে। যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম-গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের কভারেজ সীমিত এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়েছে। তাই স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং ডিজিটাল অর্থনৈতিক উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সাথে একটি যুক্তিসঙ্গত মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লেখা এক চিঠিতে শীর্ষ মার্কিন ব্যবসায়ী এবং স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের এবং দেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট পরিসেবা চালু করার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

তিনি চিঠিতে মাস্ককে জানান, বাংলাদেশ সফর মাস্ককে তরুণ বাংলাদেশি নারী ও পুরুষদের সাথে দেখা করার সুযোগ দেবে, যারা এই অগ্রণী প্রযুক্তির প্রধান সুবিধাভোগীদের মধ্যে থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা তার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে স্পেসএক্স দলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করার জন্য বলেন, যাতে আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করা যায়।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা টেলিফোনে মাস্কের সাথে ভবিষ্যতের সহযোগিতা অন্বেষণ এবং বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিসেবা চালু করার জন্য আরও অগ্রগতি সাধনের জন্য একটি বিস্তৃত আলোচনা করেন।


আরও খবর



নওগাঁয় ট্রাক চাপায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ শহর বাইপাস সড়কের খলিসাকুড়ি মোড় এলাকায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী'র মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুর ২টারদিকে।

নিহত স্বামী ও স্ত্রী হলেন, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলাহাট এলাকার পালসা গ্রামের আফাজ উদ্দিন (৫৬) ও তার স্ত্রী বিলকিস বানু (৪৯)। 

প্রত্যক্ষদর্শী  ও নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে আফাজ উদ্দিন তার স্ত্রী বিলকিস বিবিকে সাথে নিয়ে নওগাঁ শহর থেকে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি পালসা গ্রামে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে বাইপাস সড়কের খলিসাকুড়ি মোড় এলাকায় আলহেরা রাইচ মিলের সামনে পৌছালে এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে তাদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে দূর্ঘনাস্থলেই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রী'র মৃত্যু হয়। নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ শেষ করে মৃতদেহ থানায় নিয়ে এসেছে। এখান থেকে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। স্বজনেরা আসলে ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও মোটরসাইকেল টি পুলিশি (থানা) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



শাপলা চত্বরে গণহত্যা হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (১২ মার্চ) এই আদেশ দেন আদালত।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, গনজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, এবং বেনজির আহমদ।

এছাড়া, অপর মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান এবং সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় আরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আগামী ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য।

এটি ছিল হেফাজতে ইসলামের দায়ের করা একটি মামলা, যা গত ২৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়। মামলায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। হেফাজতে ইসলামের অভিযোগ ছিল, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিতে এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ থেকে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পরবর্তী সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণহত্যা ঘটিয়েছিলেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা রাত ১১টার দিকে শাপলা চত্বরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন, ফলে রাতের আঁধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমাবেশকারীদের ওপর হামলা চালায়। মাদরাসা ছাত্র এবং পথচারীদের ওপর নৃশংসভাবে আক্রমণ চালানো হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে শতাধিক মানুষ নিহত হয় বলে দাবি করা হয়। এর পর, নিহতদের লাশ সিটি করপোরেশনের গাড়িতে করে গুম করা হয়। নিহতদের পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহণ করেনি।

এছাড়া, মামলার বাদী পক্ষের দাবি, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা একযোগে এই অপরাধ সংঘটন করেন। বাদী পক্ষ আরও অভিযোগ করেছেন, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত না করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

এই ঘটনায়, বিভিন্ন গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনরা সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানায়।


আরও খবর



হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বেঁধে দিলো সরকার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

অবশেষে আলু সংরক্ষণের জন্য কোল্ডস্টোরেজের সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮-এর ১৬ (খ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৬ টাকা ৭৫ পয়সা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত মাসের ৮ তারিখে বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন আলু সংরক্ষণের জন্য প্রতি কেজি ভাড়া ১ টাকা বাড়িয়ে ৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল, যা গত বছর ছিল ৭ টাকা। বিষয়টি হিমাগারগুলোতে জানিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়। এরপর সংবাদ সম্মেলনে তার যৌক্তিকতাও তুলে ধরেন হিমাগারমালিকেরা। এ ছাড়া এক বস্তায় ৫০ কেজির বেশি রাখা যাবে না বলেও জানান হিমাগার মালিকেরা।

ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা রাস্তায় আলু ফেলে প্রতিবাদ জানান। গত শনিবার লালমনিরহাটে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা মহাসড়ক অবরোধ করে ৩ ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ৪০৪টি কোল্ডস্টোরেজ রয়েছে, যার মধ্যে ২৯ লাখ টন আলু সংরক্ষণ সম্ভব। বর্তমানে ৩৫০টি কোল্ডস্টোরেজ কার্যক্রম চালু রয়েছে এবং এর ধারণক্ষমতা ৩০০ কোটি কেজি আলু, যা দেশের মোট আলু উৎপাদনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ।


আরও খবর



তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে রিভিউ শুনানি পেছাল

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৮ মে দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

রবিবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। পরে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারী পক্ষ। এ আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশকিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। পরে ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভুঁইয়া ও জাহরা রহমান।

আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

পরবর্তী সময়ে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর একটি আবেদন করেন।


আরও খবর