Logo
শিরোনাম

কাগজের দাম বেড়েছে প্রায় দেড়গুণ

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, গ্যাস ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অভাবে কাগজ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে কম-বেশি কাগজ নিয়ে সমস্যা থাকলেও এখন তা জটিল আকার ধারণ করছে। আগামী দুই মাস চরমপর্যায়ে সংকট থাকবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কাগজশিল্প-সংশ্লিষ্টদের অনেকে বলছেন, ডলার সংকট না মিটলে এবং লেখা ও ছাপার কাগজে শুল্কহার না কমালে এ সমস্যা দীর্ঘায়িত হবে। অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বাড়ায় কাগজের দামও বাড়বে।

কাগজকল মালিক পক্ষ বলছে, দেশে কাগজ সংকটের এ সময় পাঠ্যবই ছাপার জন্য প্রায় ১ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টন কাগজের চাহিদা রয়েছে সরকারের। এ ছাড়া বছরের শেষ দিকে এসে ডায়েরি, ক্যালেন্ডার ছাপানোর জন্যও বাড়তি কাগজের চাপও আছে। এই পরিস্থিতিতে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো শুল্কমুক্ত আমদানির অনুমতি চেয়েছে। তবে সরকার ডলার খরচ করে কাগজ আমদানি করতে দেবে না। দেশের কাগজ কলগুলোকে সরবরাহ নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।

এদিকে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতে না পারায় ‘অফসেট’ কাগজ বা উন্নত কাগজের জন্য ভার্জিন পাল্প আমদানি করতে পারছেন না কাগজ কল মালিকরা। তাই চাহিদামতো কাগজ সরবরাহও করতে পারছেন না তারা। ভার্জিন পাল্প ছাড়া রিসাইকেল করে যারা কাগজ (নিউজপ্রিন্ট) উৎপাদন করেন, তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। পাশাপাশি উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে।

আম্বার পেপার মিল, লিপি পেপার মিল, টিকে পেপার মিল, মেঘনা পেপার মিল ও রশিদ পেপার মিল মালিকরা ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, টাকার মূল্যস্ফীতি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে তাদের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে বলে সরকারকে জানিয়েছেন। বিশেষ করে গ্যাস সংকটের কারণে মিলের উৎপাদন ক্ষমতা এক-তৃতীয়াংশে নেমে গেছে বলে তারা উল্লেখ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে কাগজের চাহিদা প্রায় ১০ লাখ টন। ২০১৪ সালের পর থেকে লেখা ও ছাপার কাগজের (আর্ট পেপার ছাড়া) চাহিদা মেটানো হতো দেশি কাগজ কল থেকে। তবে যদি উৎপাদন বাড়ানো না যায় তাহলে দেশব্যাপী কাগজ সংকট চরমে পৌঁছাবে বলে মনে করছেন কাগজ কলের মালিকরা। অন্যদিকে এলসি না পাওয়ায় আর্ট পেপারও আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে সব ধরনের কাগজ সংকট চলছে এখন।

এদিকে সরকারের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপতে প্রায় ১ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টন কাগজ লাগবে ডিসেম্বরের মধ্যে। ফলে আগামী দুই মাস কাগজ সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিসেম্বরের পরও সংকট থাকতে পারে। ডলার সংকট না মেটা পর্যন্ত এ সংকট অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

শপথ নিয়েছেন নব নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন।

গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন।

এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।

তার বাবা মরহুম ডা. আলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি গণপরিষদ সদস্য হিসেবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় অংশ নেন এবং সংবিধান রচনার পর তাতে স্বাক্ষর করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৮৬ সালে জেলা আদালত, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

২০০৯ সালের ৩০ জুন তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১১ সালের ৬ জুন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

তিনি ১৯৯১ সালে বিচারপতি হাসান নিয়মিত আইনজীবী হিসেবে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল লইয়ারস কনফারেন্সে অংশ নেন। তিনি অনেক সাংবিধানিক মোকদ্দমা পরিচালনা করেন।

বিচারপতি হিসেবে যোগদানের আগে তিনি দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং সাংবিধানিক বিষয়াদি সম্পর্কিত মোকদ্দমার একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধানমন্ডি ল কলেজের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন সদস্য হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীকালে একই সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিচারপতি হাসান অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম পাকিস্তান, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, সৌদি আরব ইত্যাদি।

তার একমাত্র ছেলে আহমেদ শাফকাত হাসান আইনবিষয়ক একজন গবেষক। তিনি যুক্তরাজ্যের ইনার টেম্পল থেকে বার-এট-ল করার পর ইউনিভার্সিটি অব ডারহাম থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। এখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত। তার স্ত্রী নাফিসা বানু বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য (অর্থ) হিসেবে কর্মরত।


আরও খবর



এনার্জি ড্রিংকস : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিশুরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি আড্ডা, পার্টি, পিকনিক কিংবা বাসাবাড়ির যে কোনো অনুষ্ঠানে অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে এনার্জি ড্রিংকস ও সফট ড্রিংকস (কোমল পানীয়)। কেউ কেউ ভাত-মাংস, এমনকি পানির মতো গ্রহণ করেন এগুলো। স্কুলের টিফিনে শিশুদের খাবার কিংবা কোমল পানীয় দিয়ে অতিথিকে আপ্যায়ন যেন মানুষের রীতি বা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড়দের জন্য এগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, অথচ শিশুদের ক্ষেত্রে? এটি নিয়ে কেউ কি চিন্তা করেছেন?

এসব পানীয়ের প্রতি আসক্তির বিষয়টি উঠে আসে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপে (২০২২)। সেখানে দেশের ৩০ হাজার ৩৭৫টি পরিবারের কাছ থেকে নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। খাদ্য গ্রহণসংক্রান্ত তথ্য নেওয়া হয় ছয় থেকে ২৩ মাস বয়সী দুই হাজার ৫৭৮টি শিশুর কাছ থেকে। জরিপের ফলে উঠে আসে, ৩২ শতাংশ শিশু তথ্য সংগ্রহের আগের দিন কোমল পানীয় পান করেছেন। ৪৯ শতাংশ শিশু অতিরিক্ত চিনি ও লবণজাতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছেন।

গবেষণায় কোমল পানীয়তে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এনার্জি ড্রিংকসে এর মাত্রা আরও বেশি। সেখানে বলা হয়েছে, ক্যাফেইনের জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদিত সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা ১৪৫ পিপিএম হলেও একটি এনার্জি ড্রিংকসে এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে ৩২১.৭ পিপিএম। এ ছাড়া এক বোতল (২৫০ মিলি) কোমল পানীয়তে সিসার মাত্রা মিলেছে যথাক্রমে ০.০৫৩ ও ০.০৪৮ মিলিগ্রাম

সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষণাতেও কোমল পারীয় ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি উঠে এসেছে। গবেষণায় কোমল পানীয়তে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এনার্জি ড্রিংকসে এর মাত্রা আরও বেশি। সেখানে বলা হয়েছে, ক্যাফেইনের জন্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদিত সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা ১৪৫ পিপিএম হলেও একটি এনার্জি ড্রিংকসে এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে ৩২১.৭ পিপিএম। এ ছাড়া এক বোতল (২৫০ মিলি) কোমল পানীয়তে সিসার মাত্রা মিলেছে যথাক্রমে ০.০৫৩ ও ০.০৪৮ মিলিগ্রাম।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, নমুনার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ পানীয়ের পিএইচ (পটেনশিয়াল অব হাইড্রোজেন) ও অ্যাসিটিক মাত্রা আসে ৩-এর নিচে, যা দাঁতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ২৫০ মিলিলিটারের (মিলি) কোমল পানীয়তে চিনির পরিমাণ ২০.৮ থেকে ২৮.৮ গ্রাম এবং এনার্জি ড্রিংকে তা ২২.৬ থেকে ৩৭.০ গ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এটি একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা পূরণের সমান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য দিনে সর্বোচ্চ চিনি গ্রহণের মাত্রা ২৫ গ্রাম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এনার্জি ড্রিংকসে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইন থাকে যার পরিমাণ হয় ২৫০ মিলিলিটার (মিলি) ক্যানে অন্তত ৮০ মিলিগ্রাম (মিগ্রা)। যেখানে ৩৩০ মিলির একটি কোকাকোলা ক্যানে এর পরিমাণ থাকে ৩২ মিগ্রা। সেখানে ৬০ মিলির একটি এনার্জি ড্রিংকসের বোতলে ১৬০ মিগ্রা পর্যন্ত ক্যাফেইন থাকতে পারে। বেশি মাত্রার ক্যাফেইন উদ্বেগ ও আতঙ্কিত হওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়।

এনার্জি ড্রিংকসে উচ্চ মাত্রার সুগার ও ক্যাফেইন থাকে যার পরিমাণ হয় ২৫০ মিলিলিটার (মিলি) ক্যানে অন্তত ৮০ মিলিগ্রাম (মিগ্রা)। যেখানে ৩৩০ মিলির একটি কোকাকোলা ক্যানে এর পরিমাণ থাকে ৩২ মিগ্রা। সেখানে ৬০ মিলির একটি এনার্জি ড্রিংকসের বোতলে ১৬০ মিগ্রা পর্যন্ত ক্যাফেইন থাকতে পারে। বেশি মাত্রার ক্যাফেইন উদ্বেগ ও আতঙ্কিত হওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি রক্তচাপও বাড়িয়ে দেয়

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন  ধরনের কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকস বাজারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে কিছু আছে কার্বনেটেড ওয়াটার, কিছু কার্বনেটেড ড্রিংকস ও সফট ড্রিংকস। এগুলোর ক্ষতির মাত্রাও ভিন্ন। এসব পানীয়তে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। চিনির কারণে বাচ্চাদের ওজন দ্রুত বেড়ে যায়।

ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে বাচ্চাসহ বয়স্ক ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়ারেটিকস  দ্রুত বাড়ে। এমনকি কোমল পানীয় বাচ্চাদের মধ্যে এক ধরনের আসক্তিও তৈরি করে। ঠিক তামাকের নিকোটিনের মতো। এ কারণে বাচ্চারা একবার অভ্যস্ত হলে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

কেমিক্যাল-কাঁচামালে নকলের ছড়াছড়ি

ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত যেসব ড্রিংকস বা জুস আছে, সেগুলোতে ফলমূলের ব্যবহার খুবই কম থাকে। ব্যবহার হয় মূলত কেমিক্যাল, সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে চিনি। তাও আসল চিনি নয়। চিনির নামে ফ্রুক্টোজ, যা সিরাপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এগুলোতে খুবই উচ্চমাত্রার ক্যালরি থাকে, যা শরীরে মেটাবলিক প্রবলেম (বিপাকীয় সমস্যা) তৈরি করে।

বেশি ক্ষতি শিশু-কিশোরদের

দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ  বলেন, কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকসে কোনো পুষ্টিকর উপাদান নেই। বরং দেহের জন্য ক্ষতিকর কিছু রাসায়নিক উপাদান আছে। বেশকিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, কোমল পানীয় দাঁতের ক্ষয়রোগ সৃষ্টি করে, মাড়ি দুর্বল করে। এমনকি এর প্রভাবে হাড়, পেশি ও লিভারে জটিল রোগ দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয় শিশু-কিশোররা।

গবেষকরা বলেন, কোমল পানীয়ের অন্যতম উপাদান হচ্ছে ক্যাফেইন। এটি অত্যন্ত আসক্তিকর মাদক। এটি শুধু স্নায়ুতন্ত্র নয় দেহকেও কৃত্রিমভাবে উত্তেজিত করে। হৃৎস্পন্দন ও সাময়িক বুদ্ধিবৃত্তি বাড়ায়, অবসন্ন ভাব বা ক্লান্তি-শ্রান্তি দূর করে। ছোটরা তাই একবার খেলে আবারও খেতে চায়।


আরও খবর



৬০০ কোটি ছাড়িয়েছে রজনীকান্তের 'জেলার'

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

বিনোদন ডেস্ক : গত ১০ আগস্ট মুক্তি পেয়েছে রজনীকান্তের ছবি ‘জেলার’। মুক্তির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই ৬০০ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে এই ছবির বক্স অফিস ব্যবসা। ছবির সাফল্য উদযাপন করতে নিজের শিকড়েই ফিরে গেলেন রজনীকান্ত।

সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে নিজের পুরোনো কাজের জায়গায় দেখা গেল রজনীকান্তকে। বেঙ্গালুরুর ওই বাস ডিপোতেই কন্ডাক্টর হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি। তখন তার নাম শিবাজি রাও গাইকোয়াড়। বিখ্যাত তামিল পরিচালক বালাচন্দ্রের নজরে পড়েছিলেন তিনি। তার পর ১৯৭৫ সালে মুক্তি পায় কমল হাসনের সঙ্গে তার প্রথম ছবি ‘অপূর্ব রঙ্গলাল’। শিবাজি রাও থেকে তিনি হয়ে ওঠেন রজনীকান্ত।
তার পরে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি রজনীকান্তকে। এখনও পর্যন্ত ১৫০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন। শোনা গিয়েছে, নিজের ১৭১তম ছবির কাজ শেষ করে নাকি অভিনয় জীবনকে বিদায় জানাতে চান রজনীকান্ত। সেই খবরে এখনই নিজে সিলমোহর দেননি সুপারস্টার।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ ভারতের বিনোদন জগতের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র রজনীকান্ত। গত ৫ দশক ধরে দর্শকের মনোরঞ্জন করছেন তিনি। তার অভিনয় মন কেড়েছে অসংখ্য অনুরাগীর। বড় পর্দায় নিজের কেরামতি দেখিয়ে দর্শক ও অনুরাগীদের মনোরঞ্জন করে চলেছেন তিনি।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




কয়েকদিনের মধ্যে কমে আসবে আলুর দাম

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, দেশে আলুর কোনো ঘাটতি নেই কিন্তু একটি অদৃশ্য হাত আলুর বাজারকে অস্থির করেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আলুর বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।

 মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে রিভারভিউ কোল্ড স্টোরেজ পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সফিকুজ্জামান বলেন, আলুর বিক্রির ক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতার পাকা রশিদ ব্যবহার করতে হবে। পাকা রশিদ না থাকলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী ভোক্তা পর্যায়ে আলু দাম বাস্তবায়ন করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মহাপরিচালক মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে রিভারভিউ কোল্ড স্টোরেজ থেকে ১০ হাজার বস্তা আলু জব্দ করেন এবং পাকা রশিদ ছাড়া মোবাইলে দাম নির্ধারণ করে আলু বিক্রি করার অভিযোগে রসরাজ বাবু নামের ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আলু ব্যবসায়ী রসরাজের কথায় অসঙ্গতি থাকায় এবং পাকা রশিদ ছাড়া আলু বিক্রি করায় হিমাগারে তার সংরক্ষিত আলু হেফাজতে নিয়ে ২৭ টাকা মূল্যে সেই আলু বিক্রি করে দাম বুঝিয়ে দেয়ার জন্য তিনি স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেন।


আরও খবর



নওগাঁয় গাঁজা সহ দুই যুবক আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় থানা পুলিশ এর অভিযানে গাঁজা সহ দু'জন যুবক কে আটক। 

নওগাঁর রাণীনগর থানা পুলিশ শুক্রবার সন্ধায় দু' জন যুবককে আটক করার পর রাতে মামলা দায়ের পূর্বক শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর আটককৃতদের নওগাঁর বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করেন। 

আটককৃত দু'জন হলেন, রাণীনগর উপজেলার মিরাট দক্ষিনপাড়া গ্রামের জাবেদ মোল্লার ছেলে সানাউল্লাহ মোল্লা (২৮) এবং একই গ্রাামের গোপাল চন্দ্র'র ছেলে কিশোর কুমার (২৬)। সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান,মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা কালে শুক্রবার সন্ধায় উপজেলার মিরাট এলাকা থেকে এক জনের কাছে ৪০ গ্রাম গাঁজা ও আরেক জনের কাছ থেকে ৩০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার সহ তাদের আটক করা হয়। 

আটককৃতদের বিরুদ্ধে রাতে মাদক আইনে মামলা রুজু পূর্বক আজ শনিবার আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর