Logo
শিরোনাম

কালকিনিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৬ বসতঘড় পুড়ে ছাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

কালকিনি (মাদারীপুর) সংবাদদাতা :

মাদারীপুরের কালকিনিতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৬ টি বসতঘড়সহ আসবা জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে করে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে রান্না ঘরের চুলার আগুন থেকে এ আগুনের সুত্রপাত ঘটেছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানাগেছে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও ফায়ার সার্ভিস অফিস সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার কয়ারিয়া এলাকার রামারপোল-নামার চর গ্রামের কাজী বাড়িতে একটি রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুন লাগে। এই আগুন মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে করিম কাজী, রহিম কাজী, ছালাম কাজীসহ ৬টি বসত ঘর ও ঘরের বিভিন্ন মুল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে নিশ্চিহৃ হয়ে যায়। পরে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে কালকিনি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে স্থানীয়দের সহযোগীতা ঘন্টাব্যাপী প্রানপন চেষ্ঠা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।

ভুক্তভোগী ছালাম কাজীসহ বেশ কয়েকজন বলেন, আগুন আমাদের সব নিঃস্ব করে দিয়ে গেছে। এখন আমরা পরিবার নিয়ে যাব কোথায়। আমরা বসবাড়ি হারিয়ে এখন পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে আছি।

কয়ারিয়া ইউপির আ.লীগের সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান মন্টু বলেন, চুলা থেকে আগুন লেগে প্রায় ৬/৭টি পরিবার শেষ হয়ে গেল। বিষয় খুবই দুঃখজনক। আমরা প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।

উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অফিসের কর্মকর্তা মোঃ খোকন জানান, উপজেলা সদর থেকে কয়ারিয়া এলাকা অনেক দুরে বিধায় আমরা ঘটনাস্থলে যেতে যেতে বেশ কয়েটি ঘর পুড় গেছে। তবে অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তা না হলে পুড়ো গ্রাম চলে যেত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহযোগীতা করা হবে। 


আরও খবর



নওগাঁয় সড়ক দূর্ঘটনায় প্রবাস ফেরত নব-বিবাহীত যুবক সহ দু'জন নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালক সহ দু' জনের মৃত্যু।

নওগাঁর রাণীনগরে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে ঐ ট্রাকের চালক আমির হোসেন (৫৮) এর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার বান্দায়খাড়া এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত ট্রাক চালক আমির নাটোর জেলার বড়ই গ্রামের মৃত দিলবর রহমানের ছেলে।

সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ট্রাক নিয়ে বান্দাইখাড়া বাজারে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে যাত্রী ছাউনিতে গিয়ে ধাক্কা দেয় ট্রাকটি। এতে দূর্ঘটনাস্থলেই চালক আমির গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। দূর্ঘটনা কবলীত ট্রাকটি উদ্ধারের কাজ চলছে।

অপরদিকে নওগাঁর পত্নীতলার বাকরইল রুপগ্রাম মোড়ে সকাল ১১ টায় ট্রলির সাথে মোটরসাইকেল এর সংঘর্ষে  মোটরসাইকেল আরোহী তুহিন হোসেন (২৬) নামের এক যুবকের মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। নিহত তুহিন হোসেন পত্নীতলা উপজেলার বড় মহোরন্দি গ্রামের সারওয়ার হোসেন এর ছেলে।

সত্যতা নিশ্চিত করে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, নিহতের পরিবার বা কারো কোন অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের  নিটক মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানায়, নিহত তুহিন হোসেন দীর্ঘ দিন প্রবাসে থাকার পর প্রায় দু মাস পূর্বে দেশে (বাড়িতে) আসেন এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। বিবাহের মাত্র কয়েক দিন পরই তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে নিহতের পরিবার-স্বজন সহ গ্রামজুড়ে লোকজনের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া।


আরও খবর



মেট্রোরেলের সব স্টেশন চালু

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৯জন দেখেছেন

Image

খুলে দেওয়া হলো মেট্রোরেলের উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন। যাত্রীদের জন্য আজ (শুক্রবার) সকাল ৮টায় স্টেশন দুটি কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এমআর‌টি-৬ লাইনের দিয়বা‌ড়ী-আগারগাঁও অংশের সবকটিতেই ট্রেন থামবে এবং যাত্রী উঠানামা করবে।

মেট্রোরেলের এই অংশে মোট স্টেশন ৯টি। সেগুলো হলো- উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি), উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও।

এর আগে ৩০ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে মে‌ট্রো‌রে‌লের নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কোম্পা‌নির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. এন. ছিদ্দিক বলেন, মার্চের মধ্যেই উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের ৯টি স্টেশনের সবগুলোই চালু করার প্রতিশ্রুতি পূরণ হ‌চ্ছে। বর্তমান সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলছে। আগামী জুলাই মাসে ভোর থেকে মধ‌্যরাত পর্যন্ত চল‌বে ট্রেন। সারা‌দিন ট্রেন প‌রিচালনার প্রস্তুতি হি‌সে‌বে ৫ এপ্রিল থে‌কে দুপুর ২টা পর্যন্ত ট্রেন চল‌বে।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা যায়, নতুন দুই স্টেশন চালু করতে দুটি আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে। যারা স্টেশন পরিচালনায় সমন্বয় করবে।

উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় মেট্রোরেলের। এরপর ধাপে ধাপে পল্লবী, উত্তরা সেন্টার, মিরপুর-১০ স্টেশন খুলে দেওয়া হয়। গত ১৫ মার্চ কাজীপাড়া ও মিরপুর-১১ স্টেশন খুলে দেওয়া হয়।

ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। ২০১২ সালে এই প্রকল্প হাতে নেয় সরকার।

২৮ ডিসেম্বর এই পথের প্রথমাংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হলেও আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অর্থাৎ দ্বিতীয় অংশ ২০২৩ সালের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আর মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বর্ধিতাংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে।

প্রকল্পের মূল ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। পরে মতিঝিল থেকে কমলাপুর বাড়তি অংশ যোগ হওয়ায় ব্যয় বাড়ে ১১ হাজার ৪৯৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তখন সর্বমোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায়। এর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগী জাইকার অর্থায়ন ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। আর সরকারি অর্থায়ন ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।

 


আরও খবর



নতুন শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ প্রসংগে কিছু কথা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

মুহাম্মদ মাসুম খান, সাংবাদিক ও শিক্ষক :

সময়ের আবর্তে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন, পরিবর্ধন অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং যৌক্তিক বিষয়। শিক্ষা বিজ্ঞানে শিক্ষাক্রম পরিবর্তন একটি চলমান প্রক্রিয়া। জীবনের জন্য যেহেতূ শিক্ষা সময়ের প্রয়োজনে পরিবর্তনশীল জীবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিবর্তন ও আবশ্যিক বিষয়।

 ২০১২ সালের পর এই বছর আমাদের দেশে নতুন শিক্ষাক্রম এসেছে। একটি শিক্ষাক্রম মোটেই শতভাগ ত্রুটি বা বিতর্ক মুক্ত হয় না। 

বর্তমান শিক্ষাক্রম অত্যন্ত আধুনিক,Naturalism, Pragmatism and Assentialism  শিক্ষা দর্শনকে গুরুত্ব দিয়েছে। পূর্বের শিক্ষাক্রম ছিল মূলত Idealism  বা ভাব বাদ ভিত্তিক। 

সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো না।সার্বিক ভাবে নতুন কারিকুলামকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে এই কারিকুলাম বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিদ্যালয়ের বেসরকারি ব্যবস্থাপনা। 

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এদেশের ৯৭% শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে।

বর্তমান কারিকুলামে সামস্টিক মূল্যায়নের চেয়ে শিখনকালীন মূল্যায়নের প্রতি অধিক গুরুত দেয়া হয়েছে। খুবই ভাল দিক কারন শিখন যথার্থ হলে শিখনকালীন মূল্যায়ন যথার্থ হলে সারা বছরে এমনিতেই শিক্ষার্থীদের শিখন সম্পন্ন হয়ে যায়। পরীক্ষার আগে তাড়াহুড়ো করে, মুখস্ত করে পরীক্ষা দেয়ার যে চাপ সেটা থাকে না।

শিক্ষার্থীরা ক্লাস রুমে সক্রিয় এবং স্বতস্ফুর্ত থাকবে।

কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি একেক টা একেক রকম পদ্ধতিতে চলে। ক্লাস ডিউরেশন,সংখ্যা,পরীক্ষার সংখ্যা ধরন ভিন্ন রকম। 

কিন্তু বর্তমান কারিকুলামে সামস্টিক পরীক্ষা মাত্র ২ টা এবং সেখানে মাত্র ৪০% মূল্যায়ন হবে।

পরীক্ষা না নিলেতো বিদ্যালয়ের বেতন কালেকশন হবে না। বেতন কালেকশন নাহলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিবে কিভাবে? 

শিক্ষক নিয়মিত বেতন না পেলে কিভাবে চলবে? 

দুই শিফট,অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বিষয় ভিত্তিল শিক্ষকের অভাবতো রয়েছেই।

কাজেই শিক্ষা ব্যবস্থা একই ব্যবস্থাপনায় না নিয়ে অর্থাৎ জাতীয়করণ না করে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন যথার্থ বাস্তবায়ন একেবারেই সম্ভব নয়।

বরং দারুন বাস্তবসম্মত এবং উন্নত একটি কারিকুলাম বিতর্কিত হবে,শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃস্টি হতে পারে।


আরও খবর

নৌকার পালে নির্বাচনের হাওয়া

মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩




স্বাধীনতা দিবসে কৃষকের যে উপহার

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

মাহবুবুল আলম রিপন (স্টাফ রিপোর্টার):

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কৃষক মোঃ হাবিবুর রহমান বেগুনি (পার্পল লিফ রাইস) ও ফাতেমা এবং ন্যাশনাল ১ ধানের প্রজাতির ধান চারা দিয়ে ফসলের মাঠে এঁকেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আর জাতীয় স্মৃতিসৌধ।


ঢাকার আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের রায় পাড়া গ্রামে মো.হাবিবুর রহমান তার নিজের ফসলের মাঠে সবুজ ও বেগুনি রঙের (পার্পল লিফ রাইস) ধানের চারা দিয়ে তৈরি করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আর জাতীয় স্মৃতিসৌধ। আবহমানকাল থেকে সবুজ রঙের ধান গাছ দেখে এসেছে বাংলার কৃষক, কিন্তু সবুজ ও বেগুনি রঙের সংমিশ্রণে ব্যতিক্রমী এ ধান চাষ দেখতে ভিড় করছে মানুষ। প্রতিদিনই দূর-দুরান্ত থেকে ধানের সৌন্দর্য দেখতে আসছেন অনেকে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিগন্ত মাঠজুড়ে সবুজ আর সবুজ। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় সবুজের মাঠে মাঝখানে বেগুনি রঙ। সবুজ ধানের বেষ্টুনির কাছে গেলে মনে হয় বেগুনি রঙের জায়গাটুকু কোনো আগাছা বা বালাই আক্রান্ত ধান। কিন্তু না, এটি এমন একটি ধানের জাত, যার পাতা ও কান্ডের রং বেগুনি। যেভাবে তৈরি করেছে দেখে নয়ন জুরায়ে যায় বাংলার স্বাধীনতার প্রতীক জাতীয় পতাকা। আবার পাশের আরেকটি ক্ষেতে দেখা যায় সবুজ ধান ও বেগুনি ধানের মিশ্রনে বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ ।


কৃষক মো.হাবিবুর রহমান বলেন, বেগুনি রঙের ‘পার্পল লিফ রাইস’ নামের এ ধান চাষে তিনি আগ্রহী হয়ে এ ধানের বীজ সংগ্রহের অনেক চেষ্টার পর, স্থানীয় এক বীজের দোকানদারের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করেছেন।


তিনি আরো বলেন, ধানের ফলন কী রকম হবে, তা দেখার পর ভবিষ্যতে আবাদ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আর দেশের প্রতি ভালবাসা আর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে কষ্ট হলেও এঁকেছি জাতীয় পতাকা আর জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ধান দিয়ে পতাকা আর স্মৃতিসৌধ অংকন করায় প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছে আমার ক্ষেতে এসে। অনেক কৃষক এই ধান চাষ করতে বীজ চেয়েছে বলেও জানান তিনি।


চারদিকে বিস্তৃত সবুজ ধানক্ষেতের মধ্যে বেগুনি রঙের এই ধানগাছ দেখে থমকে যায় পথচারীরা। তারা জানার চেষ্টা করে এটি কোন জাতের ধান বা ধানের এমন অবস্থা কী করে হলো? অনেকেই এ সৌন্দর্যের ছবি তুলে। কেউ কেউ তুলে সেলফিও।


পথচারী যুবক বাবুল হোসেন বলেন, ‘এত সুন্দর করে ধানের আবাদ করায় এ কৃষককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরাও এ ধরনের চাষ করব। আমি ছবি তুলে রাখছি। একটি সেলফিও নিলাম।


স্থানীয় শিমুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এ.বি.এম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ বলেন, ‘দেশের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে এ কাজ কোনো ভাবেই করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ধানক্ষেতটি দেখলে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়।


’সাভার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহমেদ বলেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে লালন করে কৃষক মো.হাবিবুর রহমান বেগুনি (পার্পল লিফ রাইস) জাতের ধান দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা লাল বৃত্ত এবং ন্যাশনাল ১ জাতের ধান দিয়ে পতাকার সবুজ অংশ অংকন করেন। পাশের আরও একটি ধান ক্ষেতে এই দুই জাতের ধান দিয়ে একেঁছেন জাতীয় সৃতিসৌধ। তার এই আবাদি জমিতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সৃতিসৌধ অংকনে সাভার উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সার্বিক সহযোগিতা, পরামর্শ ও তত্ত্বাবধান করে আসছে। এই ধানের পুষ্টিমান বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ চালের ভাত খেতেও সুস্বাদু। এই ধান ডায়াবেটিস রোগীদের বেশ উপকারী। ফলন ভালো হলে উৎপাদিত ধানগুলো বীজ আকারে রাখা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে ধানের আবাদ বৃদ্ধির চিন্তা করা হচ্ছে।’


আরও খবর



নওগাঁয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ১২ জন ''মেধাবী'' শিক্ষার্থী পেলো ট্যাব

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ এপ্রিল ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ট্যাব বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সারা দেশে সরকারি ও এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী (মেধাবী) শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে যে ২ লাখ ট্যাব বিতরণ করা হবে তারই অংশ হিসেবে নওগাঁয় এই ট্যাব বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয় রবিবার সকাল ১০টায় নওগাঁ জেলা স্টেডিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নওগাঁ জেলা প্রশাসন এর কর্মসূচি চলাকালে ট্যাব বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান পিএএ ও নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক।

নওগাঁ জেলা পরিসংখ্যান বিভাগ আয়োজিত ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠনে আরো উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন আবু হেনা মোঃ রায়হান উজ্জামান সরকার, নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান, জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ফয়সাল হাসান সহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলা শহরের চক এনায়েত উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান প্রাপ্ত ৬ জন শিক্ষার্থী এবং প্যারিমোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানপ্রাপ্ত ৬ জন সহ মোট ১২ জন শিক্ষার্থীর হাতে ট্যাব তুলে দেওয়া হয়।

নওগাঁ জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ফয়সাল হাসান জানান, নওগাঁ জেলায় মোট ৫শ' মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর মোট ৩ হাজার ট্যাপ বিতরণ করা হবে।


আরও খবর